নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্ত্বের ভুয়সী প্রসংসায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯


বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আন্তরিকতার রূপ দিতে মার্কিন প্রশাসনের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর রাজনীতিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঢাকায় গুরুত্ত্বপুর্ন ঝটিকা সফর করে গেলেন। ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। প্রকাশ্য ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শুধু উন্নয়ন অংশীদার নয়, বন্ধু হতে চায়। ঘোষণা দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে থাকার। প্রস্তাব দিয়েছেন ‘বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দাদের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাহায্য করার।একমত হয়েছেন অর্থনৈতিক বাজার সম্প্রসারণের। আশ্বাস দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার।সবকিছু ছাপিয়ে লক্ষণীয়ভাবে জন কেরির কণ্ঠে একাধিক দফায় উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা। জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এমন মন্তব্য নিজ হাতে লিখে স্বাক্ষর করেছেন জন কেরি। সফর শেষ করে ব্যক্তিগত টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অসাধারণ একটি উন্নয়ন গল্প আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ আনন্দিত। পরপর ব্লগার হত্যা, একাধিক বিদেশি হত্যা, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা হত্যার ধারাবাহিকতায় গুলশান ও শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার পরের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসেন জন কেরি। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন ও বর্তমান বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে অবস্থান করে গভীর মনোযোগ দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার চিহ্ন দেখেন এবং তার আবেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে লড়াই করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। টেররিজমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-ইউএস একসঙ্গে লড়াই করবে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রের কাজ করার আশা প্রকাশ করেন।বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মত দেন জন কেরি। বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দুর্দান্ত কাজ করছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তিনি তাদের এক্সপার্টিজ দিয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের বিষয় আরো এগিয়ে নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।তার এই সফর দুই দেশের পারস্পরিক সহযোদীতাকে আরো গতিশীল করবে বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.