নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাজ নির্মান শিল্পে খুলনা শিপইয়ার্ডে সাফল্য

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫



জাহাজ নির্মান শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ডও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এটি। খুলনা শিপইয়ার্ড দেশের চাহিদা পূরণ করে ভবিষ্যতে বিদেশেও জাহাজ রফতানি করবে। এরই মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ওপর লক্ষাধিক মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। খুলনা শিপইয়ার্ডে কোস্টগার্ডের তিনটি ‘ইনশোর পেট্রল ভেসেল’ এর কিল-লেয়িং করা হল। জাহাজ তিনটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে কোস্টগার্ড সমুদ্র উপকূলে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এভাবে উপকূলে চোরাচালান বন্ধ এবং দস্যুতা দমন করা সম্ভব হবে। খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য তিনটি স্তরে ইনশোর পেট্রল ভেসেল (আইভিপি) নির্মাণ করছে। প্রায় ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ নবনির্মাণ এটি। নির্মাণ কাজে কারিগরি সহায়তা করছে চায়নার সিএসওসি কোম্পানি। নির্মাণাধীন এসব জাহাজের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে দৈর্ঘ্য ৫০ দশমিক ৪০ মিটার, প্রস্থ ৭ দশমিক ৫০ মিটার, গভীরতা ৪ দশমিক ১০ মিটার, ড্রাফট ১ দশমিক ৯৪ মিটার, ডিসপ্লেমেন্ট ৩০০ মেট্রিক টন এবং সর্বোচ্চ গতি ২৩ নটিক্যাল মাইল। জাহাজে দুইটি ৩০ মিলিমিটার সেমি অটোমেটিক গান, দুইটি ১৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার গান এবং দুইটি এলএমজি সমরাস্ত্র থাকবে। নির্মাণাধীন এসব জাহাজে ৪৬ জন জনবল, ১ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল এনডিওরেন্স, দুইটি নেভিগেশন রাডার, দুইটি কমিউনিকেশন এইচএফ, একটি কমিউনিকেশন ভিএইচএফ এবং একটি নাভটেক্স রিসিভার রাখা হবে। নির্মাণাধীন এ জাহাজ দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালানবিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ-পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর আগে যাত্রা শুরু করে। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর এটি নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর লভ্যাংশ ৬৪ দশমিক ৬২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। এ পর্যন্ত খুলনা শিপইয়ার্ড মোট ৭১৯টি জাহাজ
নির্মাণ করেছে। একই সঙ্গে ২ হাজার ২১৯টি জাহাজ মেরামত করেছে। খুলনা শিপইয়ার্ড এরই মধ্যে দেশের মাটিতে প্রথম পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ পেট্রল ক্রাফট তৈরি করে নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করে। বর্তমানে এখানে সর্ববৃহৎ আরও দুইটি লার্জ পেট্রল ক্রাফট নির্মাণ করে তাদের সক্ষমতা প্রমান করেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.