নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারিদ্র্য জয়ে সফল বাংলাদেশ

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬


বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে এক অনুকরণীয় নাম। এত দিন সরকারের নীতিনির্ধারকদের মুখ থেকে কথাটি শোনা গেলেও এবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলল বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। সংখ্যায় বললে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে দুই কোটি ৮০ লাখ অতি দরিদ্র এখন। অথচ ২০০৫ সালে এ হার ছিল ৪৩.৩ শতাংশ।
অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশি ছিল অতি দরিদ্র। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে এখন অতি দরিদ্র তারাই, যাদের দৈনিক আয় ১.৯০ ডলারের কম। এক ডলার=৭৮ টাকা হিসাবে ১৪৮ টাকার কম আয় করে তারা। ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন আপডেট’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।দেশে এখন অতি দারিদ্র্যের হার বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলনের চেয়ে আরো কম। এই হার ১১.২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক অতি দারিদ্রের হার নিরূপণ করে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে । সংস্থাটি একজন মানুষের আয় দিয়ে দারিদ্র্য নির্ধারণ করে থাকে। আর সরকার অতি দারিদ্র্যের হার নির্ধারণ করে কস্ট অব বেসিক নিডস বা ভোগ পদ্ধতিতে। যেখানে একজনের দৈনন্দিন জীবন ধারণের জন্য যা প্রয়োজন তার ভিত্তিতে। দেশে এখন অতি দারিদ্র্যের হার ১১.২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশের দারিদ্র্যের হার বলতে সে দেশের অতি দারিদ্র্যকে বোঝায়। ২০০৫ সালে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি দৈনিক ১.২৫ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৮ টাকা) নিচে আয় করলে তাকে অতি দরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। সেটিকে সংস্কার করে এখন ১.৯০ ডলার করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী নতুন এই মানদণ্ড গত বছর থেকে কার্যকর হলেও বাংলাদেশে হয়েছে এ বছর। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি দৈনিক যদি ১.৯০ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৮ টাকা) কম আয় করে, তাহলে সে অতি দরিদ্র হিসেবে গণ্য হবে। অতি দারিদ্র্যের হার পরিমাপে ১.২৫ থেকে ১.৯০ ডলারে উন্নীত করার ফলে যেখানে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার কথা, সেখানে কমার কারণ কি? ২০০৫ সালে ডলারের বিপরীতে টাকার মান নির্ধারণে ত্রুটি ছিল। তখন টাকার মান কম ধরা হয়েছিল। পাশাপাশি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে পদ্ধতিগত সংস্কারের কারণে বাংলাদেশে অতি দরিদ্রের হার কমেছে। উদাহরণ স্বরুপ ২০০৫ সালে দুটি কমলা কিনতে যেখানে ৫২ টাকা খরচ হতো, এখন সেই দুই কমলা কিনতে খরচ হচ্ছে ২৫ টাকা। এতে বোঝা যায়, টাকার মান কতটা শক্তিশালী হয়েছে। কয়েক বছর ধরে সরকারের নেওয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে এ সাফল্য। সরকার গত ছয় বছরে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের আওতায় নেওয়া কর্মসূচি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশে সড়ক-নেটওয়ার্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গ্রাম-উপজেলা-জেলাসহ সব ক্ষেত্রে সড়ক অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ জনগণ। এখন কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য খুব সহজে শহরে আনতে পারছে। এসব কারণে অতি দরিদ্রের হার কমে এসেছে ।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.