নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষার প্রাঞ্জলতা শিক্ষাকে করে তুলবে সহজ

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

সময়ের বিবর্তনে আধুনিকতা আর গুণগত উৎকর্ষতার দোহাই দিয়ে এ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্রমশ শিশু মানসের জন্য হয়ে উঠেছিল নিরানন্দ আর জগদ্দল পাথরের মতো ভারি। মূলত পাঠ্য পুস্তক রচনার সময় শিশু মানসের সরলতা আর কোমলতাকে বিবেচনার বাইরে রেখে পান্ডিত্য প্রদর্শনের অপচেষ্টায় গুরু-গম্ভীর, নিরস ভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের কারণেই সৃষ্টি হয়েছিল এই অহেতুক বিড়ম্বনা। অবশেষে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনার পথিকৃৎ বর্তমান সরকারের তত্ত্ববধানে গৃহিত হতে যাচ্ছে আরও একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সহজ ভাষায় পাঠ্যবই রচনা এবং শ্রেণিভেদে বইয়ের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ২০১৮ সালে সহজ ভাষায় নতুন সংস্করণের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় মত বিনিময়ের পর দ্রুততম সময়ে এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণ করলেন তার সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আজকের শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশকে বিবেচনায় এনে তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা কমানোর পাশাপাশি সহজবোধ্য ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, বিশেষ করে বিজ্ঞান বইয়ের কঠিন ভাষা পরিবর্তনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রেণিভেদে পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া বিদ্যমান শিক্ষা পদ্ধতির একটি বড় সমস্যা। বর্তমান পরিকল্পনায় শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনায় শ্রেণিভেদে পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা বৃদ্ধির হারকে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থায় আনা হবে, বাদ দেয়া হবে অনেক অপ্রাসঙ্গিক বই। সার্বিক কার্যক্রম তদারকি ও মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চারটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো হলো, কারিকুলাম পর্যালোচনা সাব-কমিটি, নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়ন ও ভাষা প্রাঞ্জলকরণের উদ্দেশ্যে সাব-কমিটি, প্রশ্নব্যাংক সাব-কমিটি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত সাব-কমিটি। এসব কমিটি বৈঠক করে করণীয় চূড়ান্ত করবে এবং বর্তমান সরকারের জবাবদিহিতা মূলক কর্মকৌশলের আলোকে বিষয়টির অগ্রগতি নিয়মিত বিরতিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে অবহিত করবে। উল্লেখ্য, এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের মধ্যেও সমন্বয় করা হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হবে প্রশ্নব্যাংক। সরকারের এই ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়ন আমাদের দেশের শিশু মানসে শিক্ষার অহেতুক ভীতি দূর করে তাদের মানসিক বিকাশে বিদ্যমান অন্তরায় দূর করায় সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখবে। অহেতুক বইয়ের ভারি বোঝো থেকে মুক্তি দিয়ে ফিরিয়ে দিবে তাদের শৈশবের আনন্দ। পাঠ্য বইয়ের ভাষার প্রাঞ্জলতা তাদের শিক্ষাকে করে তুলবে সহজ, সাবলীল।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ভাষার প্রাঞ্জলতা সব কিছুই সহজ করে দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.