নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে। ।বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে দেশের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে এবং সাম্প্রতিক কালের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরো জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি জঙ্গি হামলার পরে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে যারা রাষ্ট্র এবং এর জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেইসব জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। । আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে জনগণকে সচেতন করতে কাজ শুরু করেছে।সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ও দল বিশেষ জনসম্পৃক্ত কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
আইনী পদক্ষেপ:
বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে আইনী পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৭ টি মামলার মধ্যে ১২টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গিদের গ্রেফতার:
বাংলাদেশের আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী উগ্রবাদীদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এ পর্যন্ত পিস্তল, গুলি এবং হাতে তৈরী বোমাসহ বিপুল পরিমান অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে র্যা্ব।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারঃ
সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান হামলা ও শোলাকিয়ায় হামলার পরে সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে। নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী আমদানি কারক, রপ্তানি কারক এবং বিদেশীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছে। গুলশানসহ ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে অতিসত্তর সকল প্রকার অনুমোদনহীন ও অবৈধ স্থাপনা, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, গেস্ট হাউজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।সকল প্রকার কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই), গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রেলওয়ে স্টেশন, সারাদেশের রেল লাইন, বিমানবন্দর, পাবলিক প্লেস, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল এবং সাধারণত যেসব জায়গাতে জনসমাগম ঘটে সেইসব জায়গাতে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।সরকার দেশব্যাপী সকল সরকারী প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দিয়েছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বা স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে খুব সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য। তাদের জামিনের ব্যাপারেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যেন যথাযথ আইনী বিষয়গুলো দেখা হয় যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা জামিন পেয়ে পরবর্তীতে কোন ধরনের নাশকতা করতে না পারে ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুর্ন:ব্যক্ত করেছেন।
সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা:
ঢাকা এবং শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদেরকে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আমরা আশা করব বাংলার মাটি থেকে অচিরেই সমুলে নির্মুল হবে জঙ্গিরা এবং তাদের মদদদাতা এবং অর্থদাতারা ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

সজীব মোহন্ত বলেছেন: যতই চাপাচাপি করা হোক কোন লাভ নাই! বাংলাস্তানে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.