নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (পর্ব-১)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০


উন্নয়নে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সফলতা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে জাতীয় নেতৃত্বের কারণে। যে নেতৃত্ব দেশের মানুষের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা যথাযথভাবে ধারণ করতে পেরেছে। জাতীয় নেতৃত্ব কর্তৃক অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে পররাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে তা প্রবাহিত করার কৌশল নির্ধারণ করতে পারার কারণেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফলতা এসেছে। এই সফলতা ঐতিহাসিক। বর্তমান সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর কিছু কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

 ২০০৯-২০১৫ সময়ে উন্নয়ন খাতের আওতায় ১৭৮১.৪২ কিলোমিটার নতুন মহাসড়ক নির্মাণ এবং ৪১০৪.৭৫ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্ত করণ ও মজবুতিকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
 ২০০৯-২০১৫ সময়ে অনুন্নয়ন খাতের আওতায় ৫৭৯.৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক পুনর্বাসন, ৩৮০১.৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক কার্পেটিং ও সীলকোট, ১০০০৮.৯৭ কিলোমিটার সীলকোট, ৪৪৩৫ কিলোমিটার ওভারলে এবং ১৭৪১.৯২ কিলোমিটার ডিবিএসটি করা হয়েছে।
 উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে ২০০৯-২০১৫ সময়ে ৬৫১টি সেতু ও ২৮১৫টি কালভার্ট নির্মান/পুননির্মান করা হয়েছে। তন্মধ্যে নতুন নির্মিত সেতুর সংখ্যা ৩৮৪টি এবং কালভার্টের সংখ্যা ১৫১৭টি। এছাড়াও ২৬৭টি সেতু এবং ১২৯৮টি কালভার্ট একই সময়ে পুননির্মান করা হয়েছে।
 ১৯৭১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ৭৩.৪০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেন বা তদুর্ধ লেনে উন্নীত করা হয়। বর্তমান সরকার বিগত ৭ বছরে ৩৬৮.৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেন বা তদুর্ধ লেনে উন্নীত করেছে।
 ঢাকা মহানগরীর পশ্চিমাংশের সাথে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী কেরানীগঞ্জের যাতায়াত সহজ করার জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (৩য় বুড়িগঙ্গা সেতু) নির্মাণ করা হয়েছে।
 টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ও টঙ্গী শিল্প এলাকার রেলপথ ক্রসিং স্থলে সৃষ্ট যানজট নিরসনের লক্ষ্যে টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা মহাসড়কের ১ম কিলোমিটারে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
 বৃহত্তর সিলেট, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী যানবাহনের ঢাকা প্রবেশ ও নির্গমন সহজ করার লক্ষ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর সুলতানা কামাল সেতু (২য় শীতলক্ষ্যা সেতু) নির্মাণ করা হয়েছে।
 দক্ষিন চট্টগ্রাম, বান্দরবান, পার্বত্য জেলা ও পর্যটন জেলা কক্সবাজারের সাথে যাতায়াত সহজ ও সুগম করার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর উপর হযরত শাহ আমানত (রহঃ) সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
 দক্ষিন অঞ্চলের সাথে ঢাকার যোগাযোগ সহজ ও সময় সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে কীর্তন খোলা নদীর উপর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
 ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ১৪২০ মিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম বন্দর সংযোগ উড়াল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। (চলবে.........)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দেশকে নিয়ে নেতিবাচক লিখার ভিরে এরকম একটি ইতিবাচক তথ্য সমৃদ্ধ লিখা উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ । এর সাথে দু একটা ছবি দিতে পারলে ভাল হতো । এ সমস্ত উন্নয়রের সুফল যখন আসতে শুরু হবে তখন দেশের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে ও দেশের জনগনের অবস্থারও উন্নতি হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.