নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ও চীনের সাথে সুসম্পর্ক

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বরাবরই আগ্রহ ও আকর্ষণ ছিল গণচীনের দিকে। মুজিব আমলেই চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সূচিত হয়েছিল। বিশেষ করে পাট রফতানির জন্য এর প্রয়োজন অনুভূত হয়েছিল ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে।সম্প্রীতি চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের দৃশ্যত অর্থনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি নেপথ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বও কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে সফরটির বিরাট মূল্য ও মর্যাদা। চীনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের দু’দিনের এই সফরের সময়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির সংখ্যা এবং চীনের প্রতিশ্রুত ঋণের পরিমাণের দিক দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে ক্ষমতাসীন মহল স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ অর্জন ও অবিস্মরণীয় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে। বাস্তবতা হলো, আমাদের সরকার চীনের বিরাট অঙ্কের ঋণলাভ কিংবা চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের জন্য সাধ্যমতো প্রয়াস চালিয়েছে ঠিকই, তবে বেইজিংয়ের বিশেষ স্বার্থ ও বিপুল আগ্রহ না থাকলে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক এমন অভাবনীয় মাত্রায় উন্নীত হতে পারত না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় সফরে এসে যতটা সাড়া ফেলেছিলেন, এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আগমনে সাড়া পড়েছে এর চেয়ে অনেক বেশি। মিডিয়া কভারেজের দিক দিয়েও ভারতের চেয়ে চীন এগিয়ে।চীনের জনগণের প্রতি রয়েছে আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। আমরা চীনের নেতাদের প্রশংসা করি এবং আমরা তাদের বিপ্লবকেও সমর্থন করেছি। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি নয় বৈরিতা এই শ্লোগানে বাংলাদেশ চীনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রাখবে সবসময়। গত কয়েক বছরে চীনের সাথে শুধু অর্থনৈতিক নয়, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও আমাদের সম্পর্ক ক্রমেই জোরদার হয়েছে। এই ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলো, এবারে চীনা প্রেসিডেন্টের ঢাকা আগমন এবং তার বিপুল সংবর্ধনার পর বাংলাদেশের জন্য চীনের প্রতিশ্রুত ঋণের পরিমাণ এবং সম্পাদিত চুক্তি উভয় ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ম্লান হয়ে গিয়েছে। চীন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর শুরুর দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যায়নের প্রভাবই দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। যা বজায় ছিল ও থাকবে সারা জীবন। তাই এটাই চূড়ান্ত সত্য যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্রের ‘স্থায়ী মিত্র’ নেই, যা আছে তা হলো স্থায়ী-জাতীয় স্বার্থ যা চীনের চোখে বাংলাদেশের বিশেষ গুরুত্ব পরিলক্ষিত হওয়ার কারণে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



চীনারা নিজ দেশের ভয়ংকর উন্নতি সাধন করেছে, সন্দেহ নেই; তবে, এখন তারা সেরা জালিয়াত; আমাদের সরকার ও প্রশাসন, ওদের সাহায্য নিয়ে, কম টাকায় প্রজেক্ট শেষ করে, বড় বিল দেখায়ে জাতির সম্পদ লুট করার জন্য চীনকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.