নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না জালালকে

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

দেশে এখন গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গুণতে হয় ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯ টাকা ৯৮ পয়সা পর্যন্ত। আর আমদানি পর্যায়ে সরকারকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধ করতে হয় সাড়ে ৬ টাকা থেকে কুইক রেন্টালে ক্ষেত্র বিশেষে গড়ে ১২ টাকা ৯৬ পয়সা। ১৯৭৪ সালে ১ আগস্ট এ দেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানায় জন্ম নিয়েছিল একটি শিশু, সময়ের পরিক্রমায় সে দিনের সেই শিশু জালাল উদ্দিন আজ
অনমনীয় দৃঢ়তা আর স্বদেশের কল্যাণ ভাবনায় উজ্জীবিত এক নিরলস যোদ্ধার প্রতিকৃতি। আজ তার পরিচিতি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার একজন তরুণ উদ্ভাবক হিসেবে। ১৯৯৫ সালে এমবিএ পাস করে একটি ব্যাটারি কোম্পানিতে কর্ম জীবন শুরু করা জালালের ধ্যান-জ্ঞান ছিল কিভাবে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। দীর্ঘ গবেষণা শেষে ফ্লাই হুইল এনার্জি, ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জি, রেটিও এনার্জি, অ্যাসেন্ট অ্যান্ড ডিসেন্ট এনার্জিৎ, লেভেল এনার্জি, গ্র্যাভিটেশন এনার্জি অ্যান্ড মেকানিক্যাল এনার্জিসহ নানা প্রকার বিদ্যুৎ শক্তি শক্তির সমন্বয় করে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্র আবিষ্কার করে নাম দিয়েছেন ‘ফিরেল জেম মেশিন’। তার উদ্ভাবিত এ অভিনব বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রটিতে প্রথমে ১০ মিনিট বাইরের কোন শক্তি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পর যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃচক্রকার (রিসাইক্লিং) পদ্ধতিতে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উক্ত মেশিনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে অবশিষ্ট ৬০ ভাগ ব্যবহার্য বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে সক্ষম। আবিষ্কৃত মেশিনের বিদ্যুৎ উৎপাদন আউটপুট ৩.২ ভাগ। এ প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বায়ু ও শব্দ দূষণ মুক্ত। মেশিনের ওয়েস্টেজ এবং পরিচালনা খরচসহ বৃহৎ পরিসরে ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০ পয়সা। গ্যাস, ডিজেল, ফার্নেস ওয়েল, সোলার, জলবিদ্যুৎ বা পরমাণু বিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কম। বর্তমানে তিনি বড়াইগ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে জুনাইদ পাওয়ার লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ২৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন। পুঁজি সংকটে প্রকল্প সম্প্রসারিত না হাওয়ার এখনও জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম না হলেও জালালের সবচেয়ে বড় ভরসার স্থান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তিনি দেশীয় সম্পদ আর উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাতে দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নতুন মেরুকরণে জালালের স্বল্পব্যয়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিবেনই। দেশে মেধা আর উদ্যোগ মূল্যায়নের যে ইতিবাচক সংস্কৃতি বিকশিত হয়েছে তাতে তার মতো বিরল প্রতিভার স্বীকৃতি মিলবেই, কোনভাবেই হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না জালালকে। কৃতিমান জালালের মতো অকৃত্রিম প্রতিভার দ্যুতিতে আলোকিত হবে স্বনির্ভর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা – স্বল্প মূল্যের বিদ্যুতে নিশ্চিত হবে দেশের টেকসই উন্নয়ন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৪

কালীদাস বলেছেন: ৫৫ লাখ টাকা ইনভেস্ট করা হয়ছে এই লোকের পেছনে, তারমানে অলরেডি উনি ফোকাসড হয়ে গেছেন; তাই নয় কি? প্রডাকশনে লাভ থাকলে পাওয়ার বোর্ড থেকে এমনিতেই যোগাযোগ করার কথা; আফটার অল সরকারের এনার্জি পলিসিই হচ্ছে দীর্ঘস্হায়ি জিনিষের জায়গায় বাক্সপেটরা টাইপের ছোটছোট প্ল্যান্টের সল্যুশন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.