নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০


পারমাণবিক চুল্লিতে ইউরেনিয়াম পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয় তাপ। উৎপন্ন তাপ ব্রয়লারের মাধ্যমে পানিকে বাষ্প করে। সে বাষ্প টারবাইন ঘোরাবে। এই টারবাইনের সঙ্গে যুক্ত জেনারেটর অলটারনেটের মাধ্যমে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ। ষাটের দশকে নেয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবে ধরা দিতে শুরু করে বছর তিনেক
আগে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণ চুক্তি হয়েছে। রুশ ফেডারেশনের সহযোগিতায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পের কাজ চলছে বেশ জোর কদমেই। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মাপারের রূপপুর ছিল একসময়কার বিরানভূমি। সেখানেই ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী বছর। সবকিছু ঠিক থাকলে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম চুল্লি বিদ্যুৎ দেবে ২০২২ সালে। একই ক্ষমতার আরেকটি চুল্লি তার পরের বছরই শুরু করবে উৎপাদন। উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের মূল্য হবে সাড়ে তিন টাকা। এই কেন্দ্রের স্থায়িত্ব (লাইফ টাইম) হবে পঞ্চাশ বছর, যা পরবর্তীতে আরও ত্রিশ বছর বাড়ানো সম্ভব। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। এখন চলছে চুল্লি বসানোর আগে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নসহ সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক নির্মাণ কাজ। এর মধ্যে রয়েছে-ভূমি উন্নয়ন, মনিটরিং স্টেশন, মাটি পরীক্ষাগার ও কনস্ট্রাকশন ল্যাবরেটরি, কনক্রিট বেসিং প্লাট, ওয়্যার হাউজ, ওয়ার্কশপ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, অফিস ভবন, ক্যান্টিন ইত্যাদি। এ ছাড়া অগ্নি নির্বাপণ ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজও চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির মূল কাজ শুরু হবে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে। সে হিসেবে অন্যান্য কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় এবং এর বাইরে বিদেশিরা যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে ব্যাপক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও আনসার, র্যা ব-পুলিশ, বিজিবি পাহারা দিচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও টহল দেয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। বর্জ্য অপসারণের বিষয় চূড়ান্ত হয়নি এখনও, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপন্ন হবে, যা রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে জোর আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হবে। মূল কাজ শুরুর আগে এসব বিষয়ে চুক্তি হবে। রূপপুরে ব্যবহৃত ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। রিঅ্যাক্টরটি মনুষ্যসৃষ্ট যেকোনো বিপর্যয় এবং প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে পারে এমন যেকোনো দুর্ঘটনা যেমন-শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা মোকাবেলায় সক্ষম হবে। বিগত একশ’ বছরের ভূমিকম্প জরিপ বিশ্লেষণ করে এখানে ভূমির স্থায়িত্ব রক্ষায় জার্মানির সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে সকল দিক বিবেচনা করেই তৈরি করা হচ্ছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যৎ কেন্দ্রটি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

মোটরসাইকেল ভ্যালী বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা, ভালো লাগলো।
আমার ব্লগ বাড়ীতে নিমন্ত্রন রইলো..

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

কালীদাস বলেছেন:
পারমাণবিক চুল্লিতে ইউরেনিয়াম পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয় তাপ। উৎপন্ন তাপ ব্রয়লারের মাধ্যমে পানিকে বাষ্প করে। সে বাষ্প টারবাইন ঘোরাবে। এই টারবাইনের সঙ্গে যুক্ত জেনারেটর অলটারনেটের মাধ্যমে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ।

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আল্লাহরে, আজকে মনে হয় হাসতে হাসতে মইড়াই যামু। গুড, বেরি গুড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.