নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৌ-পুলিশের জন্য নৌযান

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪


নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিস্তৃর্ণ জনপদের মানুষের জীবন আর জীবিকার অন্যতম নিয়ামক নৌপথ। এখনো দেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণে অন্যতম শীর্ষ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে নৌপথ। দেশব্যাপী জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নৌপথে যাত্রী ও পণ্যের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে নৌ-পুলিশ। কর্মপরিধির তুলনায় জনবল স্বল্পতা, সরঞ্জামের অপ্রতুলতাসহ নানা সীমাবদ্ধতায় এতদিন তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেক সময়ই ব্যাহত হতো। সরকার এবার তাই নৌ-পুলিশকে ঢেলে সাজানোর সময়োপযোগী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এই ইউনিটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ফাঁড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন নৌযান কেনার উদ্যোগ নেয়া হবে। ইতোমধ্যে নৌ-পুলিশের জন্য ১০ কোটি টাকার নৌযান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই বিভাগে বিদ্যমান সমস্যা দূর করে এই ইউনিটকে শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। উল্লেখ্য, নৌ-পথে দস্যুতা ও চাঁদাবাজি রোধে ২০১৩ সালের ১৩ই নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের আলাদা ইউনিট হিসাবে নৌ-পুলিশ গঠন করা হয়। এই ইউনিটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭৪৭ জন। একজন ডিআইজির নেতৃত্বে দেশের ২৩টি জেলাকে ৬টি অঞ্চলে বিভক্ত করে ৪২টি পুলিশ ফাঁড়ি দিয়ে এই ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নদী বন্দর, গুরুত্বপূর্ণ ঘাট এলাকায় অবস্থিত ফাঁড়িগুলোতে নৌ-পুলিশের সদস্যরা শিফটিং ডিউটির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা নৌ-পথের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। আধুনিকায়নের আওতায় কাজে গতি আনার জন্য ৬টি অঞ্চলকে ১২টি অঞ্চল উন্নীত করে ৬টি অঞ্চলে একজন এসপি এবং অন্য ৬টি অঞ্চলে আরো একজন এসপি’র মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এছাড়াও নৌ-পুলিশের সদস্য সংখ্যা আরো ১১০০ জন বাড়ানো হবে। বিদ্যমান ৪২টি ফাঁড়িকে ৭০টি ফাঁড়িতে উন্নীত করা হবে। এতে নৌ-পথে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। নৌ-পুলিশ ইউনিটের নৌ-যান ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব পূরণে ৫০টি স্পিডবোট এবং ১০০টি ওয়াটার বাইক কেনার সাম্প্রতিক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দ্রুতগতির নৌযানের সহজলভ্যতায় অপরাধীরা আর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে পারবে না। নৌ-পথ এলাকায় সার্বক্ষণিক ডিউটিও আর বাধাগ্রস্ত হবে না ফলে নৌ-পথের বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত হবে। এছাড়াও ফাঁড়িগুলোর দ্রুতগতির আন্তঃফাঁড়ি বেতার যোগাযোগের জন্য ৬০০টি ওয়াকিটকি কেনা হবে। ফাঁড়িগুলোতে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে এক ফাঁড়ি থেকে অন্য ফাঁড়িতে দ্রুত সংবাদ পাঠানোর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগে আধুনিকায়িত নৌ-পুলিশ আগামীতে দেশের আভ্যন্তরীণ নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেই। ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

পলাশমিঞা বলেছেন: দায়িত্ব এবং কর্তব্য আদায় করলে, অনেক লোক অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.