নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন কুয়াকাটায়

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮


বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল কুয়াকাটায় ১০ একর জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে ঢাকার মগবাজার টেলিফোন ভবন পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তুরঙ্কের ইস্তানবুলে সি-মি-ইউ-৫ কনসোর্টিয়ামের বৈঠক শেষে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের মালিক দেশগুলোতে সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এই সংযোগ শুধুমাত্র ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহের কাজটি করবে স্ব স্ব দেশ। দ্বিতীয় সাবমেরিন
কেবলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযুক্ত হওয়ায় দেশে অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে আরও ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব আছে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪শ’ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪শ’ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস বিএসসিসিএলের প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আসছে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আইটিসির মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে কুয়াকাটা-ঢাকা ব্যাকহোল লিংক বা কেবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বিটিসিএলের এই ব্যাকহোল লিংক স্থাপনের কাজ সম্পন্ন ও টেস্টিং সম্পন্ন হওয়ার পরে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। একটি কেবল কোন কারণে বিকল হলে অন্য কেবলটি ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করবে। দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে। ফলে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজকর্মে গতি বাড়বে। দেশে বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল দেশের মানুষের কাছে একটি বড় সুখবর। এই কেবল দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগের একটি সাবমেরিন কেবলে থাকায় কোন কারণে কাটা পড়লে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হত। তখন ভারত থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হতো। দ্বিতীয় সাবমেরিনে যুক্ত হওয়ার ফলে এখন একটা ব্যাকআপ তৈরি হলো। প্রতিটি সাবমেরিন কেবলের লাইফ টাইম ১০ থেকে ১৫ বছর। এখনই উচিত তৃতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপনের চিন্তা হবে। ভারত অন্তত ২০ সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিসর, ইতালি, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া ও ফ্রান্স। সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়ামে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিয়ে। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের মালিকও দ্বিতীয় কনসোর্টিয়ামের সদস্য দেশগুলো। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

নাগরিক কবি বলেছেন: ভাল সংবাদ। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ এই কামনা মনের গহীন থেকে

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০১

শোভনের শোভন বলেছেন: এগিয়ে যাক, প্রত্যাশা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.