নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

বর্তমানে বিএনপির সবকিছুতেই অভিযোগ। অভিযোগের অন্ত নেই তাদের। এই অভিযোগের আড়ালে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার যে কোন কিছু শুরু করুক না কেন বিএনপি তার বিরোধীতা করবেই। এটি তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়েও কত কথা বলেছেন তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। মূলত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিতেই তারা নির্বাচন কমিশনারের কাছে যান। প্রায় আধঘণ্টা সাক্ষাত শেষে রিজভী সুর পাল্টে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন ‘সজ্জন’ ব্যক্তি। চাকুরি জীবনে তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলেন। তার মতো মানুষ কখনোই অবান্তর কথা বার্তা বলবেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন। অথচ সাক্ষাত করতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেও তিনি পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসিকে নিয়ে সমালোচনা করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেছিলেন, ""সিইসি বলেছেন, কুমিল্লা থেকেই গণতন্ত্র চর্চা শুরু করতে চান তিনি। কিন্তু সিইসির বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই।'' অথচ সেই তিনিই সিইসির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে তার সম্পর্কে প্রশংসা সূচক কথা বলেছিলেন। সিইসিসহ বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে। বিএনপি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সবস্তরের নেতারাই ইসিকে সরকারী দলের আজ্ঞাবহ বলে উল্লেখ করে আসছেন। গত মাসের ১৫ তারিখে দায়িত্ব নেয়ার আগেই নূরুল হুদাকে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রিজভী। সিইসি হিসেবে কেএম নূরুল হুদাকে নিয়োগ দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন মন্তব্য করেছিলেন, ""তিনি সরকারের আজ্ঞাবহ।'' গতকাল বিকেলেও অর্থাৎ ৩০ মার্চ ২০১৭ -তে রুহুল কবির রিজভী সাহেব বলেছিলেন, এই নির্বাচন কমিশন তাদের যে বিশ্বস্ততা ও আস্থা থাকা প্রয়োজন সেটি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পেলাম কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। কেননা বর্তমান সরকার মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং তারা বিশ্বাস করে গণতন্ত্রে। এই সরকার নিশ্চিত করতে চায়, জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই যেন জয়ী হয়। মজার বিষয় হচ্ছে, কুমিল্লায় বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করার পর বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদ বলেছেন - ""এটা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা পরীক্ষা, তবে একটি বিষয়ে পাশ করলে তো হবে না। পরীক্ষায় আরও বিষয় আছে সেগুলোতেও পাশ করতে হবে।'' তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনেই অনেক ভোট কেন্দ্রে থেকে বিএনপি কর্মীদের মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এত কিছুর পরও বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করল কিভাবে? সরকার যদি প্রভাব খাটাত তাহলে বিএনপি প্রার্থী কি জয়ী হতে পারত? তবে একটা বিষয় এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে, এটা এখন তাদের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে যে কোনো নির্বাচনে জিততে পারলে তো খুবই ভাল আর জিততে না পারলে কারচুপি হয়েছে বলে গলা ফাটিয়ে অভিযোগ করতে হবে। দেশ ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনে তাদেরকে অনতিবিলম্বে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপ ভালো তো জগৎ ভালো। বিএনপিপন্থিদের প্রতি আহ্বান - বারবার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে দেশের কল্যাণে কাজ করতে শুরু করুন, তাহলেই জনগনের সার্পোট পাবেন, অর্জন করতে সক্ষম হবেন জনগণের ভালোবাসা, অতিক্রম করতে পারবেন নির্বাচনী বৈতরণী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.