নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফলভাবে সম্পন্ন হলো ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, আনন্দঘন ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ আন্তর্জাতিক আয়োজন। ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন-আইপিইউ’র পাঁচ দিনব্যাপী ১৩৬তম সম্মেলন। সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষণার সঙ্গে-সঙ্গে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তৈরি হয় এক অন্যরকম পরিবেশ। বিশ্বের ১৩১টি দেশের সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যরাসহ আগত পর্যবেক্ষকরা পরস্পরকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে বিদায় নিলেন। টানা পাঁচদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একসাথে কাটানোর পর পরস্পরকে ছেড়ে যেতে কাউকে কাউকে কিছুটা আবেগাপ্লুত হতেও দেখা গেছে। এবারের আইপিইউ সম্মেলনে গৃহীত ও ঢাকা ঘোষণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলো—সার্বভৌম কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ নয় অর্থাত্ দুর্বলের উপর সবলরা চাপ দেবেন না; আইনিভাবে বৈধ কোনো সরকারকে সে দেশের ভেতর এবং বাইর থেকে ধাক্কা দেয়া যাবে না; বৈষম্য দূর করে সবার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রবৃদ্ধির সুফল হতদরিদ্র ও পশ্চাপদদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার; সংসদসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি; তরুণ ও কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ; বেকরাকত্ব দূর করতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ক্ষুধা ও খরামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে হাতে হাত ধরে বিশ্বের একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি। বিশ্বের সাবেক-বর্তমান সকল সংসদ সদস্য এবং নারী-শিশুসহ সকল মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রতিজ্ঞা। সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদসহ যে কোনো ধরনের চরমপন্থাকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করে বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কথা দিয়ে গেলেন বিশ্বের প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ ফোরাম তথা আইনসভার প্রতিনিধিরা। এই সংসদের প্রতি যে দেশের মানুষের এবং বিশ্বের পরিপূর্ণ আস্থা আছে, সেটি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো। বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সংসদীয় ফোরাম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন-সিপিএ এবং আইপিইউ’র প্রধান পদে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়েও এটা প্রমাণ হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান সেটিও আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা ছিল আন্তর্জাতিক পরিসরে সর্ববৃহৎ আয়োজন। জাতি হিসেবে আমরা মর্যাদার উচ্চতর জায়গায় পৌঁছুতে পেরেছি। তাছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে এতদিন পর্যন্ত অনেকের ধারণা ছিল- এটা তলাবিহীন ঝুড়ির সেই দেশ, এটা বন্যা-খরা-মঙ্গা ও দুর্যোগের দেশ; কিন্তু বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা এসে দেখে গেলেন এসবকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ কত সামনে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা বদলে দিতে পারাও এই সম্মেলন থেকে অনেক বড় পাওয়া।অত্যন্ত সফলভাবে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব নিতে সক্ষম। বিশ্বকে এই বার্তা দিতে পারাটাই আমাদের বড় অর্জন।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই সংসদের প্রতি যে দেশের মানুষের এবং বিশ্বের পরিপূর্ণ আস্থা আছে, সেটি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো। বিশ্বের সর্বোচ্চ দুটি সংসদীয় ফোরাম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন-সিপিএ এবং আইপিইউ’র প্রধান পদে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়েও এটা প্রমাণ হয়েছে।


তাহলে এর আগ পর্যন্ত কি কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি!!! বছর তো কম হলো না!! মেয়াদের শেষদিকে এসে প্রমাণ করলে কি বলা উচিত সেটাও বুঝতে পারছি না। :||

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো মানুষকে মুলা দেখায়ে বাঁশ দেয়া; শেখ হাসিনা মানুষের উপর আস্হা রাখতে পারেন, এ সব হাউকাউ ঝামেলা আর কতদিন করবেন উনি, নিজের পরিবার ফেলে পড়সী নিয়ে ব্যস্ত?

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

নিউ সিস্টেম বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে সহমত । এই সরকার দেশের সাধারন মানুষকে শুধু মুলা দেখাইতেছেন ।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

রেজা এম বলেছেন: ভাই, খাওয়া দাওয়া চরম হইছে । আহা । B-) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.