নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নব দিগন্তে সুচনা তামা, কাঁসার অলঙ্কার রপ্তানি

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

দেশের রপ্তানি ভারে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পণ্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য বিশ্ববাসির নজর কাড়ায়, বিশ্ববাসির দৃষ্টি আকর্ষণ করায় বাড়ছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা। এটি দেশের মানুষের জন্য, অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ এবং উৎসাহ নিয়েই তৈরি করছে রুপা, তামা, কাঁসা, পিতলের গহনা। সেই গহনা আবার বিদেশের বাজারে রপ্তানির জন্যই তৈরি হচ্ছে। এটা সুখবর। সাভারের হেমায়েতপুরের এরকম একটি গ্রাম। যেখানে অসহায়, হতাশ, কর্মহীন মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে। পাশাপাশি কর্মস্থান ও অর্থ রুজির পথ সুগম করে দিয়েছে। এই গ্রামে অবস্থিত একটি প্রকা- বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে বাজারের মাঝখানে। বটগাছ ঘেঁষে সারি সারি গহনা তৈরির দোকান। আছে গহনা তৈরির কাঁচামাল বিক্রির দোকানও। এই গ্রামের সবার পেশা গহনা গড়া। এদের কেউ গহনার কাঁচামাল জোগান দেন, কেউবা ডাইস বানানোর কাজ করেন। আবার কেউ গহনাগুলো জিঙ্কে দস্তা ধুয়ে রং বের করেন। দোকানিরা কাঁচামাল পৌঁছে দেন গ্রামের ঘরে ঘরে। এরপর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে অলঙ্কার তৈরির কাজ। বাজার থেকে বের হয়ে গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ল তার প্রমাণ। প্রত্যেক ঘরের দাওয়া, দরজা, ঘরের ভেতরজুড়ে অলঙ্কার তৈরির সরঞ্জামের ছড়াছড়ি। ছেলে-বুড়ো, মা-মেয়ে-বউ সবাই ব্যস্ত গলার হার, কানের দুল, ঝুমকা, চেন, পায়েল, নূপুর তৈরিতে। এ দৃশ্য সাভারের হেমায়েতপুরের ভাকুর্তা গ্রামের। রাজধানীর লাগোয়া বুড়িগঙ্গার তীরের গ্রামীণ জনপদ ভাকুর্তা। সাভার উপজেলার ইউনিয়ন এটি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার পেরোলেই তুরাগ নদের ওপর ছোট্ট একটি লোহার সেতু। সেখান থেকে ভাকুর্তা মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এই ইউনিয়নভুক্ত গ্রামের সংখ্যা ৩৬। এই জনপদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে গহনা শিল্প। গ্রামগুলোর মধ্যে চুনারচর, ডোমরাকান্দা, সোলারমার্কেট, খাগুড়িয়া, নলাগুড়িয়া, মোগরাকান্দা, চাপরা, কান্দিভাকুর্তা, হিন্দুভাকুর্তা, বাহেরচর, মুশরিখোলা, ঝাউচর, লুটেরচর, চরতুলাতলি, চাইরা সর্বত্র অলঙ্কার তৈরির একই দৃশ্য। গ্রামের মানুষ কৃষি কাজ ছাড়াও অলঙ্কার তৈরির কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। গেরস্ত বাড়ির পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অলঙ্কার তৈরির কাজে নিয়োজিত। ঘর এখানকার মহিলারা সংসার সামলানোর পাশাপাশি তারা গহনা তৈরি করে পরিবারে সচ্ছলতা এনেছেন। অবসরে গহনার কাজ করে ছেলেমেয়েরা নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেরা বহন করছে। এ কাজ করে ভাকুর্তার অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। তাদের কারও কারও অধীনে ৫-৭ কর্মচারী কাজ করেন। ব্যবসার সফলতায় কেউ কেউ জমি কিনে পাকা বাড়িও নির্মাণ করেছেন। এক সময় গ্রামাঞ্চলে মহিলারা এসব গহনা ব্যবহার করতেন, মাঝে বিলুপ্ত ছিল এর ব্যবহার। এখন আবার নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক সময় স্বর্ণের পরিবর্তে ইমিটেশন গহনা, রুপা, তামা, কাঁসা, পিতলের গহনা ব্যবহারের প্রতি ঝুঁকছেন। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সাফল্য। আমরা সব সেক্টরকে সাফল্যমন্ডিত করতে সমর্থ হচ্ছি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এখন আবার নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক সময় স্বর্ণের পরিবর্তে ইমিটেশন গহনা, রুপা, তামা, কাঁসা, পিতলের গহনা ব্যবহারের প্রতি ঝুঁকছেন। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সাফল্য। "

-নিরপত্তা আরেকটু কমলে, মাটির গহনা তৈরি করবে জাতি; সাফল্যটা একটু বড় হবে; মগজের দিক থেকে একটু ধরণের সাংবাদিক মনে হচ্ছে!

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: হা হা চাঁদগাজী ভাইজান যা কইছেন না। যাক ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখেন।
আর সপ্ন বিথী, দেশের জনগন গোল্ড পড়তে পারছে না এটা ভাল বিষয় নয়, এটা কোন সফলতা ও নয়, তার মানে দেশে নিরাপত্তা কম। তাই নয় কি?
তবে অনেক সুন্দর তথ্য পড়ে ভাল লাগলো, যেহেতু ঢাকার কাছাকাছি সেহেতু একদিন শুক্রবারে যাব, আপনি কি গিয়েছিলেন? তাহলে যাবার সহজ রাস্তা জানাবেন এবং শুক্রবার সব দোকান পাট খোলা থাকে কিনা সেটা ও জানাবেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আর একটা বিষয়, রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু বললেন না, কোন দেশ নিচ্ছে, কেমন পরিমান নিচ্ছে, ভবিষ্যত কেমন এই সকল ব্যবসা বানিজ্যের ইত্যাদি ইত্যাদি।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সঞ্জয় নিপু ,

এই ব্লগারের কথা থেকে বলা যায়, কিছুদিন পরে প্রাইম মিনিস্টার রাস্তায় বের হতে মাটির অলংকার পরে বের হবেন, অফিসে পৌঁছে বদলায়ে স্বর্ণের অলংকার পরবেন।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বাংলাদেশ ইদানীং অনেক কিছু রপ্তানি করছে। জনসংখ্যা রপ্তানি করা গেলে করুক।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: স্বপ্ন বীথি নিকটা পেইড মনে হলেও। পজেটিভ দিক হচ্ছে - সব কিছু সাফল্য নিয়েই করে। কিন্তু মাঝে মাঝে শুভংকর এর ফাকি থেকে যায় যে! ;) তবুও ভাল লাগে।

আশা করছি সামনের পোষ্ট হবে --- দেশে বাম্পার ফলন তবে দাম চড়া তাই চাল রপ্তানী উর্দ্ধমুখি
=p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.