নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে সঙ্কেত দেবে ডিজিটাল যন্ত্র

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

নদী তীরবর্তী এলাকা, চরগ্রাম ও উপকূলীয় এলাকার মানুষ নদীর পানি বৃদ্ধি ও সাগরের জলোচ্ছ্বাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই আগাম সংকেত পাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে মেধার বিকাশে এমন ডিজিটাল যন্ত্র উদ্ভাবিত হয়েছে। যে যন্ত্রের সংকেতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে প্রাণের ও সম্পদের সুরক্ষা করতে পারে। এই যন্ত্রে এমন ডিভাইস ও সেন্সর আছে যা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার আবহাওয়া বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এই যন্ত্রটির উদ্ভাবক বগুড়ার যন্ত্র প্রকৌশলী মাহমুদুন নবী বিপ্লব। যন্ত্রটি নদী তীরের সুবিধাজনক কোন স্থানে ২৫ মিটার উঁচু টাওয়ারের স্থাপন করলে নদীর স্বাভাবিক অস্বাভাবিক গতিপথ, পানি বেড়ে যাওয়া, কমে যাওয়া, স্থিতি থাকা, বিপদসীমা অতিক্রম করা ইত্যাদি বিষয়গুলো তিনটি রঙের বিশেষ ধরনের এলইডি বাতির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এর আগে এই যন্ত্রে পানির পরিমাপ নদীর গতি প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়গুলো ডিভাইসে যুক্ত করে যন্ত্রে সেট করা হবে। এটাও এক ধরনের সফটওয়্যার। যা একটি সেন্সরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পরিচালিত হয়ে রিডিংগুলো নির্দিষ্ট ডিভাইসে পৌঁছে দেবে। ডিভাইস এসব তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে সিগনাল দেবে। প্রতিটি সিগনালের সঙ্গে সাইরেনের মতো পৃথক শব্দসুর সেট করা হচ্ছে। যেমন স্রোতের ঢল নেমে পানি বেড়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হলে হলুদ সংকেত দেবে। পানি যত বাড়বে বিশেষ ধরনের শব্দ করে জানান দেবে। বিপদসীমা অতিক্রম করার সঙ্গেই লাল বাতি জ্বলে উঠে ঘন ঘন সাইরেন বাজিয়ে আশপাশের মানুষকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সংকেত দেবে। এলাকার লোক দূরে থেকে লালবাতি দেখে কি করণীয় তা নিজেরাই ঠিক করে নেবে। নদী ও উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থায় যন্ত্রে সবুজ বাতি জ্বলবে। যন্ত্রটি চলবে সোলার প্যানেলের ২৪ ভোল্টের শক্তিতে। টাওয়ারের সঙ্গে সোলার প্যানেল রাখার ব্যবস্থায় ছোট একটি ঘর থাকবে। ডিজিটাল এই যন্ত্রে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। যন্ত্রের সঙ্গে সেট করা মনিটরে সকল তথ্যই দেখা যাবে।ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যন্ত্রে উচ্চ শক্তির এমন ডিভাইস দেয়া আছে যার সেন্সর এ্যান্টেনার মাধ্যমে ঢাকায় নির্দিষ্ট অফিসগুলোর কর্মকর্তাগণ কম্পিউটারের মাধ্যমে মনিটর করতে পারবেন। দেশের কোন নদী অঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার নদনদী প্রবাহের কি অবস্থা তা জানতে পারবেন কর্মকর্তাগণ। কোন নদী অঞ্চলে কতটি এ ধরনের টাওয়ার বসানো হবে তা নির্ধারিত হবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক বিবেচনা করে। বড় টাওয়ার মাঝারি টাওয়ার ও ছোট টাওয়ার তৈরি করে নদীর অবস্থানগত দিক বিশ্লেষণ করে টাওয়ার বসাতে হবে।নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই ডিজিটাল যন্ত্রটি বসালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.