নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ইউনিডোর সহায়তা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারীগুলো সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশের চামড়া শিল্পের জন্য যে অশনিসংকেতের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল তা অচিরেই কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেননা কান্ট্রি প্রোগ্রামের আওতায় জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) বাংলাদেশের চামড়া, কৃষিভিত্তিক হালকা প্রকৌশল ও অটোমোবাইল শিল্পখাতের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি দেশের শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও ইউনিডো সহায়তা করতে আগ্রহী। ইউনিডোর আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সম্পর্কিত আঞ্চলিক অফিসের প্রধান রেনে ভ্যান বারকেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল শনিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পখাতের উন্নয়নে ইউনিডোর সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ইউনিডোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের চামড়া, ডেইরি ফুড, পশুপালন, কৃষিভিত্তিক পণ্য, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, পাট, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্নখাতের উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ইউনিডো বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে ইউনিডোর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের শিল্পখাতে সাম্প্রতিক গুণগত পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। জ্ঞানভিত্তিক শিল্পখাত বিকাশের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এর আলোকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য খাতভিত্তিক চাহিদার আলোকে ইউনিডো এদেশে কান্ট্রি প্রোগ্রাম গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে ইউনিডো ইতোমধ্যে বাংলাদেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত বিকাশের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে ইউনিডো আগামীতে আরো কারিগরি সহায়তা করবে এটাই প্রত্যাশিত। তবে কান্ট্রি প্রোগ্রাম কর্মসূচির চূড়ান্ত করার আগে ইউনিডো প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের চাহিদা নিরূপন এবং সে অনুযায়ী কর্মসূচি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। দেশীয় পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ আর বিভিন্ন রাষ্ট ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক-কারিগরী সাহায্য-সহযোগিতার সমন্বিত কার্যক্রমে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের সকল শিল্পখাত, উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা হয়ে উঠেছে অব্যাহত – সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আজ আর শুধুমাত্র স্বপ্ন কিংবা প্রত্যাশায় সীমাবদ্ধ নেই, প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে এক অনিবার্য বাস্তবতায়। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখবে কে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.