নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোশাক শিল্পে নতুন সম্ভাবনা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

দীর্ঘদিন ধরে একটি চিহ্নিত অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কালোহাত আমাদের দেশীয় অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে নিরন্তর। সম্প্রতি এদের অপতৎপরতায় দেশীয় পোশাকশিল্পের অনেক সমৃদ্ধ রপ্তানি বাজারে জিএসপি সুবিধা রহিত হওয়াতে এ শিল্প সংকটের মুখে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের অদম্য উদ্যোক্তারা হার মানেনি, শত প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দৃঢ়প্রত্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নব উদ্যমে। নিরলস প্রচেষ্টা নির্ভর যৌক্তিক উদ্যোগ কখনো হার মানে না – তাই প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে আবারও ক্রমশঃ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে আমাদের পোশাকশিল্প, প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করছে নতুন নতুন রপ্তানি বাজার। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি পোশাকশিল্পে এখন নতুন সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশসমূহ। উদ্যোক্তারা আগামী পাঁচ বছরে উপসাগরীয় দেশ কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন ও সৌদি আরবে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিট পোশাক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। ২০২০ সালে দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল সামনে রেখে এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দাভাবের ফলে সেখানে বাংলাদেশি পোশাক পণ্য রপ্তানি আশানুরূপভাবে বাড়ছে না। বরং মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। এই সংকটে পোশাকশিল্পে নতুন সম্ভাবনা হয়ে উঠছে উপসাগরীয় অঞ্চল। উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ‘গলফ ইকোনমিক কাউন্সিলভুক্ত দেশ বা জেসিসিতে আছে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন ও সৌদি আরব। জেসিসিভুক্ত দেশগুলোতে নিট পোশাক পণ্য রপ্তানির ৮০০ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে। বর্তমানে যার মাত্র ১০ শতাংশ বা ৮০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এমন প্রেক্ষাপটে দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে রপ্তানি বাড়াতে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। এজন্য জেসিসি দেশগুলোতে পোশাক পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদ্যমান শুল্ক বাধা দূর করার সময়োপযোগী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রপ্তানি ৫ বিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব হবে আশা করা হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশসমূহ অংশ নেবে। আবার ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে পৃথিবীর ৪০ লাখ মানুষ অংশ নেবে। কাতারের আবহওয়া গরম হওয়ায় টি-শার্টের বিশেষ চাহিদা থাকবে। এ দুটি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মূলত তারই আলোকে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর আগেও ব্রাজিল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে এ ধরণের উদ্যোগ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে নিট ও ওভেন পোশাকের রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়াতে এবং বাজার সম্প্রসারণে ভূমিকা রেখেছিল। এ কারণেই দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে সম্প্রতি ঢাকায় দেশ দুটির রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে বিকেএমইএ। বিশ্বের সপ্তম তেলসমৃদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বিস্তৃত অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের নিট পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা আছে। দুবাই এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। আবার বৈশ্বিক যোগাযোগের গেটওয়ে হিসেবেও বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬২ শতাংশ তরুণ ও মধ্য বয়সী। যে কারণে এখানে বৈচিত্র্যময় পোশাকের চাহিদা দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যমান থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যের বাজার আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আগামী বছর রাশিয়া টার্গেট ছিল আমাদের কিন্তু তাদের ব্যংকিং জটিলতার কারনে অনেক বড় ব্যবসা থেকে আমরা বঞ্চিত হলাম।
তা না হলে ২০১৭ তে বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলতো এখন তো শুধু ২-১ টা বড় প্রতিষ্ঠান শুধু ব্যবসা করবে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.