নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের সকল জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

দেশের সব ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে বিদ্যুতহীন গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকায় ৭৭ হাজার কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন বসানো হবে। এর ফলে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে ২৭ লাখ গ্রাহক। এ লক্ষ্যে পৃথক দুটি প্রকল্প নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন সমগ্র দেশকে পূর্ব ও পশ্চিম এ দুই ভাগে ভাগ করে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পূর্বাঞ্চলের জন্য নেয়া ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ। অপর দিকে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎবিহীন এলাকাগুলোতে ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। অন্যান্য বিতরণ কোম্পানির মতো পল্লী বিদ্যুতের বিতরণ এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এসব এলকার সিংহভাগ এলাকা বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কে চলে এসেছে। অবশিষ্ট এলাকা এ নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে ইস্ট জোনের ৪ বিভাগ ও ওয়েস্ট জোনের ৪ বিভাগের জন্য দুটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানের চলমান অন্যান্য প্রকল্পের পাশাপাশি এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান এলকার শতভাগ এলাকা এবং শতভাগ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের সুবিধা পাবে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৭৯টি বিদ্যুৎ সমিতি। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৫ হাজার কিমি. বিতরণ লাইন নির্মাণ হয়েছে। একই সময়ে ১ কোটি ৬২ লাখ গ্রাহক সংযোগও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চলমান ১৫টি প্রকল্পের আওতায় ৮০ হাজার কিমি. লাইন নির্মাণ ও কয়েক লাখ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে। এ তালিকার সঙ্গে প্রস্তাবিত নতুন দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এ দুটি প্রকল্পসহ চলমান অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে পুরনো, জরাজীর্ণ ও ওভারলোডেড বিতরণ লাইনের পুনর্বাসন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা হবে। ফলে বিতরণ ব্যবস্থায় সিস্টেম লস কমিয়ে আনার মাধ্যমে ৭৯টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্ষমতা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্রান্তিক এলাকায় বিদ্যুতের সুবিধা নিয়ে কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের বিকাশ ঘটবে, সেচের মাধ্যমে অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে এ খাতে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য হ্রাস পাবে।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

রুরু বলেছেন: যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ আছে সেখানে আগে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করলে ভালো হয়।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: রুরু বলেছেন: যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ আছে সেখানে আগে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করলে ভালো হয়।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এটাও একটা স্বপ্ন বিথীপু ! ঘরে ঘরে বজ্রপাতের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতেই বিদ্যুৎ ঘরে ঘরেই পৌঁছানো সম্ভব !
বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতেই লিখিলাম !

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.