নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোড়া রোগীদের জন্য দেশে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

১০ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫



২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিরোধী দলের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি এবং আগুন সন্ত্রাসের শিকার অগ্নিদগ্ধ নিরীহ মানুষের আর্তনাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যথিত করে। সে সময় তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ছুটে গিয়েছিলেন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁরই নির্দেশে এদেশে প্রথম বিশ্বমানের একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ হাতে নেওয়া হয়। পোড়া রোগীদের জন্য রাজধানীর চানখাঁরপুলে “শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির” নির্মাণ কাজ ২৫ ভাগ শেষ হয়েছে। হাসপাতালটিতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। শতভাগ সেবার মান নিশ্চিত করা হবে। এমনভাবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে যেন বিদেশ থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। দক্ষ জনবলের জন্য সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বমানের চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এই হাসপাতালের জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। গত এপ্রিলে এক ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছর মেয়াদে ধাপে ধাপে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে ৯০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ২০ জন ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ জন ফিজিওথেরাপিস্টকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পোড়া রোগীদের জন্য সারাবিশ্বে এই হাসপাতাল মডেল হবে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। দেশে বছরে ৯ লাখ পোড়া রোগীর চিকিৎসা হয়। এদের মধ্যে ৯৮ ভাগের প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন হয়। পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসা দুইটাই ব্যয়বহুল। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। ৫০০ বেডের এই হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ জন নার্স ও ৫০০ চিকিৎসক থাকবে। এটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটা হবে বিশ্বমানের সর্ববৃহৎ বার্ন হাসপাতাল, যা স্বাস্থ্যখাতের বড় একটি অর্জন। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আশা করি অগ্নিদগ্ধ মানুষের সেবাদানের ক্ষেত্রে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এখানে রোগীদের চিকিৎসা ও সার্জারি দুটোই বিনামূল্যে করা হবে। পোড়া রোগীর চিকিৎসার জন্য আর বিদেশে যেতে হবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়, ইলেকসান হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.