নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারিদ্র্যদূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার

৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

গণরায়ে নির্বাচিত বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশের গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দায়বদ্ধতায় উজ্জীবিত বর্তমান সরকার শুধু কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী, জবাবদিহিতার প্রশ্নে আপোষহীন মানসিকতার কারণেই এই সরকার সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দারিদ্র্যদূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মনে করে। এর মাধ্যমে সরকার ঐ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার চেষ্টা করছে। এ কারণেই দেশে দারিদ্র্য ও সম্পদের সুষম বন্টনে বিদ্যমান অসমতা দূরীকরণ ও মানবসম্পদের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। সরকারে সদিচ্ছায় দেশের চরম দরিদ্র জনগণের জীবনের ঝুঁকিগুলো মোকাবিলার মাধ্যমে তাদেরকে চরম দারিদ্র্যের বলয় থেকে মুক্ত করতে নানা সময়োপযোগী উদ্যোগ গৃহিত হয়েছে। দেশের সার্বিক দারিদ্র্য হ্রাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা এবং হতদরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও টেস্ট রিলিফ (টিআর), জিআর ছাড়াও সরকার উদ্ভাবিত ‘একটি বাড়ি একটি খামার’, আশ্রয়ণ, গৃহায়ন, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচির পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, বিধবা-স্বামী নিগৃহীতা-দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালিন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, চর জীবিকায়নসহ নানাবিধ সময়োপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে আরো যুগোপযোগী ও কার্যকর করতে এবং টেকসই দারিদ্র্যবিমোচনে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত এবং রূপকল্প-২০২১ ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে নীতি ও কৌশল নির্ধারণপূর্বক একটি ‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল’ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কৌশলের আওতায় ৫ বছর মেয়াদি লক্ষ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি অভীষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে কর্মক্ষম পুরুষের সংখ্যা জনগোষ্ঠীর ৮১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশির ভাগই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ কারণেই কৃষির আধুনিকায়ন এবং এ খাতে প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে আগামী ৫ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের সিঁড়ি হিসেবে বিবেচনা করছে সরকার। এ জন্যই পরিকল্পনা প্রণয়নে অন্যতম অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করা হয়েছে কৃষি খাতকে। তবে প্রাথমিকভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে ৬টি উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে উদ্যোগটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে এবং আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা শেষ হবে। বর্তমান সরকার তার দূরদর্শী ভাবনার আলোকে বিগত দিনগুলিতে নানা সময়োপযোগী উদ্যোগ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় দেশীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে একটি সুদৃঢ় ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে বিধায় আগামী ১৫ বছরের উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য দেশ এখন এক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসডিজি’র গুরুত্ব অপরিসীম, এই বিবেচনাতেই বর্তমান সরকার দেশের সর্বোচ্চ উন্নয়ন দলিল হিসেবে বিবেচিত চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৬-২০)’তে জাতিসংঘ কর্তৃক চূড়ান্তকৃত এসডিজির অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে সমন্বিত করেছে।




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বসুন্ধরা, ওবায়দুল কাদেরদের হাউসিং, কর্ণেল ফারুক, আবুল হোসেন, শামীম ওসমান, এরা দরিদ্রদের দুর করে দেবে

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৪

আবদুল মমিন বলেছেন: জনগন বলে থাকে লজ্জার মা মারা গিয়াছে , আজ দেখি লজ্জা নিজেও ইন্তেকাল করিয়াছেন ।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৩

আলআমিন১২৩ বলেছেন: প্রথমেই ভূল। গণরায়ে নিবাচিত সরকার এটি নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.