নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের রূপকার আওয়ামী লীগ সরকার

১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩


একজন অর্থনীতিবিদ কিংবা একজন সমাজ বিজ্ঞানী যুগপৎভাবে উন্নয়নের যে তত্ত্ব দাঁড় করান তার মূল কথা হলো একটি উন্নয়নের দুটো দিক সমান গতিতে চলতে হবে তবেই সেটি হবে একটি সুষম ও সমন্বিত উন্নয়ন। একসময় অর্থনীতিবিদরা ভাবতেন কোনও দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কিংবা কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হলেই কেবল উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রতীয়মান হয়েছে। কারণ জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সামাজিক সচেতনতা, উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিংবা মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার কমানো ও জনগণের আত্মপোলব্ধির ক্ষেত্রে যদি ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত না হয় তাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল ধরে রাখা সম্ভব নয়। সে কারণে টেকসই উন্নয়ন মানেই সমন্বিত উন্নয়ন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সময়ই বলেন ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে তখন জনগণ কিছু পায়। জনগণের উন্নয়নই জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়তে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’ সত্যি সোনার বাংলা কোন অলৌকিক স্বপ্ন নয়। বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের হাত থেকে মুক্ত করে পূর্ব বাংলার মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য রাজনীতি করতেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ধর্মঘটের সমর্থন করতে গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন এবং মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে নিতে চাননি। অসহায়, দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের জন্যই ছিল তার রাজনীতি। যে রাজনীতিবিদ সারাজীবন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করেছেন তারই উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা তো সেটাই করবেন। এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্যে আওয়ামী লীগ সরকার যে ‘ভিশন ২০১০-২০২১’ ঘোষণা করেছে তা পূরণ করা কঠিন নয়। কারণ শেখ হাসিনা উন্নয়নের আধুনিক তত্ত্বটি ভাল করেই রপ্ত করতে পেরেছেন। তিনি দেখেছেন একজন কৃষক যদি সুষম খাবারের অভাব পূরণ করতে পারে তাহলে তার সামাজিক মান বৃদ্ধি পাবে। অর্থনীতির সুপার কাঠামো বা উপরি কাঠামোর সুবিধাগুলো ভোগ করা তার জন্য কঠিন হবে না। এ কারণেই কৃষিতে ব্যাপক ভর্তুকি, কৃষি ঋণ সহজীকরণ, সার-বীজ-কীটনাশক সহজলভ্য করণ ও আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে কৃষককে পরিচিতি করে তোলার উপর তিনি জোর দিয়েছেন। কৃষি গবেষণায় ব্যাপক সাফল্যের কারণে আজ আবাদি জমি হ্রাস পাওয়ার পরেও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৯৭১ সালে জনসংখ্যার জন্য যে টুকু আবাদি জমি ছিল তা আজ প্রায় অর্ধেকের কোঠায় অথচ জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও অধিক। তারপরও মানুষের মুখে হাসি, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ঘরে ঘরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে সকলেই পাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে মিলছে যাবতীয় তথ্য, ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, স্বাস্থ্য সেবা মিলছে মোবাইল ফোনে। পরীক্ষার ফলাফল নিমিষেই দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেটের বদৌলতে। স্কাইপিতে মা তার সন্তানকে দেখছে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে। টাকা আসছে মোবাইল ফোনে। ঘরে বসে ট্রেনের, বাসের টিকিট মিলছে কয়েক সেকেন্ডে। কি হচ্ছে না গ্রামের উত্তরপাড়া থেকে দক্ষিণ পাড়া কিংবা পূর্ব পশ্চিমে? সবই সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে। তাই দেশের প্রতিটি মানুষের আন্তরিক বিশ্বাস থেকে আজ এক দৃপ্ত উচ্চারণ - উন্নয়নের রূপকার আওয়ামী লীগ সরকার।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"একসময় অর্থনীতিবিদরা ভাবতেন কোনও দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কিংবা কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হলেই কেবল উন্নয়ন সম্ভব। "

-মনে হয়, সেই সময়ের অর্থনীতিবিদরা আপনার পোস্ট পড়েননি! এখন অর্থনীতিবিদরা আপনার কাছে পড়ালেখা করছে?

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

Rubel Pervez বলেছেন:

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

Rubel Pervez বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.