নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র নয় শতাংশ সুদে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ পাবে কৃষকরা

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনায় দেশের কৃষিতে আজ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অঞ্চল ও মাটির গুণাগুণ, ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী ফসল উদ্ভাবন, লবণ, জলমগ্নতা, খরা এবং জলবায়ুসহিষ্ণু বীজ উৎপাদন, যথাযথ প্রযুক্তির প্রয়োগে কৃষিতে এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। গত আট বছর ধরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ছে, ভরে উঠেছে শস্যভাণ্ডার। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, খাদ্য রপ্তানিও করছে। সরকার ফলপ্রসূ কৃষিবান্ধব নীতি নিয়ে কাজ করছে। কৃষকের প্রয়োজনীয় উপকরণ সার, বীজ, কীটনাশক এবং কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান, সেচের ব্যবস্থা, কৃষি কার্ড বিতরণ, নিত্যনতুন উন্নত প্রযুক্তির জোগান দিয়ে যাওয়া এমন সাফল্যের পেছনে বড় নিয়ামক হয়ে উঠেছে। কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কৃষকদের মধ্যে প্রায় সোয়া দুই কোটি কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট খোলার কার্যক্রমে কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চাল, গম, ভুট্টা উৎপাদন ছিল প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টন, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এসে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৯১ লাখ টনে। একইভাবে বেড়েছে ডাল, পেঁয়াজ ও পাটের উৎপাদন। উদ্ভাবিত হয়েছে নতুন জাতের বিভিন্ন ফসল। কৃষিতে অর্জিত সাফল্যকে আরো গতিশীল করতে সরকার কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের হার আরেক দফা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এখন থেকে মাত্র নয় শতাংশ সুদে ঋণ পাবে কৃষকরা। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা গত অর্থবছরে তুলনায় ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭২০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৫ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও শস্য /ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টিং ও সিআইবি ইনকোয়্যারির প্রয়োজন পড়বে না। কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি ঋণের কর্মসূচী গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের বৈষম্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

তপোবণ বলেছেন: সরকারের সাফল্যগাঁথায় টুইটুম্বুর লেখা। ভোটের সফলতা ০

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



টাকাটা কি এখনো আছে, নাকি আপনি লেখার আগে ভাগ হয়ে গেছে?

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

প্রোলার্ড বলেছেন: কৃষকদের হাতে এই ঋণ পৌছানোর আগে সরকারী দলের নেতা কর্মীরা সেটা ভাগ করে খেয়ে ফেলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.