নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২

সাংবিধানিক দায়িত্বে থাকা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এ কেমন আচরণ করছেন? তিনি কি কোন ব্যক্তি, দল বা অন্য কোন দেশের হয়ে কাজ করছেন? সাধারণ মানুষ আইন অমান্য করলে তাদের বিচার কড়াকড়িই হয়। কিন্তু যিনি দেশের সর্বোচ্চ বিচারকের আসনে বসে সেই আসনকে কলঙ্কিত করেছেন তার কি কোন বিচার হবে না? অবশ্যই হওয়া উচিত কারণ আইন সবার জন্য সমান। কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়। এস কে সিনহাও আইনের বাইরে নন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্তব্য এবং রায় পরবর্তী বক্তব্যে প্রধান বিচারপতির পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সাধারণ জনতার পক্ষ থেকে তাই তার পদত্যাগের দাবি উঠে এসেছে। তিনি সাধারণ মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত হেনেছেন। দেশের ভাবমুর্তি রক্ষার্থেই প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করছে দেশের সাধারণ শান্তিকামী মানুষ। বর্তমানে তার কার্যকলাপ স্পষ্ট করে তুলেছে যে তিনি একজন দেশদ্রোহী। তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করার পায়তারা করছেন। তাকে অপসারন করে যথাযথ বিচারের আওতায় আনা উচিত। শুধু বাংলাদেশেই যে এরকম ঘটনা ঘটতে চলেছে বিষয়টি কিন্তু সে রকম নয়, বিচারপতি নিয়ে বাংলাদেশের মতো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে অনেক দেশকেই। দেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে অনেক দেশেই বিচারপতি সরানো হয়েছে এমন নজির অপ্রতুল নয়। আবার কোথাও কোথাও প্রধান বিচারপতিই সরে গেছেন সসম্মানে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- চলতি বছরে মে মাসেই নেপালের প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে বরখাস্ত করা হয়। সুশীলার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগে সরকারের আভ্যন্তরীণ কাজের পদ্ধতিতে তিনি হস্তক্ষেপ করছিলেন। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি শিরানি বন্দরনায়েকের বিরুদ্ধে স্পিকার চামাল রাজাপাকসে দুর্নীতি ও সম্পত্তির হিসাব গোপন রাখার অভিযোগ আনেন। ২০১৩ সালে পার্লামেন্টে গণভোটে শিরানিকে অভিসংশিত করা হয়। ফিলিপাইনের ২৩তম প্রধান বিচারপতি রেনাটো করোনাকে বরখাস্ত করতে ২০১১ সালে সেদেশের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো আকুইনো প্রস্তাব দেন। করোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি আকুইনোকে উৎখাত করতে সাবেক রাষ্ট্রপতি গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগালের আরিয়োর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। করোনাকে বরখাস্ত করতে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয় এবং আকুইনো তাঁকে অভিশংসিত করতে সক্ষম হন। প্রধান বিচারপতিরা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া বা উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগে অতীতে অনেক বার অনেক দেশেই তারা জনগণের দাবির কাছে টিকতে পারেননি। একটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস আর সংসদ সদস্যরা হলেন জনগণের প্রতিনিধি। গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে এবং রাখতে হলে দেশে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হতে হবে সংসদ থেকেই, সংসদই নিশ্চিত করবে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণ। দেশের সাধারণ জনতার একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমার অনুরোধ, এস কে সিনহা সাহেব আপনি রাষ্ট্রবিরোধী এবং দেশে বিভাজনমূলক যে সকল কর্মকান্ড চালাচ্ছেন তা থেকে সরে আসুন। স্বেচ্ছায় পদ ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত করুন দেশের কল্যাণ। অনেক হয়েছে আর নিজেকে বির্তকিত করবেন না। নইলে অচিরেই এ দেশের সচেতন জনতার গণদাবিতে আপনাকে ছুড়ে ফেলা হবে আস্তাকুঁড়ে আর আগামী প্রজন্ম ওই সকল বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাকে স্মরণ করবে এক ঘৃণিত খলনায়ক হিসেবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আদালত সে নিয়মনীতিতে তার কাজ করেছে।
সরকারের সেটা মানান সই হয়নি।
বিএনপি তা হয়েছে।
তাই এক দল কাদছে ,আরেক দল নাচছে।

বিচারপতির এমন কথা নিশ্চয়ই অবাঞ্ছনীয়। কিন্তু কেন কেমন অবাঞ্ছনীয় কথা বলতে গেলেন সেটা কি ভাবার বিষয় নয়?
বিচারকের কাজ বিচারক করেছেন।
আইনের কাজ আইনজীবী করবেন।
নির্বাহী বিভাগের কাজ নির্বাহী বিভাগ করবে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু নির্বাহী বিভাগ কি করছে তা কি ভাববার বিষয় নয়?

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তিনি সাধারণ মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত
হেনেছেন। কিভাবে??? বলবেন।
সাধারন মানুষের উপর জরিপ করেছেন নাকি অনুমান?

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

আহা রুবন বলেছেন: প্রধান বিচারপতি বেশি কথা বলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.