নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কি দেশ প্রেমিক না বিশ্বাসঘাতক?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

রক্তে কেনা বাংলাদেশ, কারও দানে পাওয়া নয়...! সেই দেশে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেশও জাতিকে কতটা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, দেশের সমকালিন পরিস্থিতিকে কতটা জটিলতায় ফেলেছে, এর সমাধানের নেপথ্য কি..? প্রধান বিচারপতির এমন হটকারীতার মূল রহস্যই বা কি..? একজন প্রধান বিচারপতির উষ্কানীমূলক মন্তব্যে কিসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে.? তাঁর এমন হীন মানুষিকতা মূলক কর্মকান্ডে কি প্রকাশ পায়, তিনি কি দেশপ্রেমিক না বিশ্বাসঘাতক..? দেশপ্রেমিক বা বিশ্বাসঘাতক কি কারও শরীরে লেখা থাকে..? না থাকে না। ইহা ব্যক্তি বিশেষের স্বভাব-চরিত্র ও কর্মকান্ডের মাঝে তা প্রকাশ পায়। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে চারদিকে কাদা ছড়াছড়িতে পানি ঘোলা হচ্ছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য তৃতীয় পক্ষ কি চুপ করে বসে আছে..? না তারা বসে নাই, তারা সুযোগের অপেক্ষায় শিকারের নেশায় ছুটে চলেছে হয়ত। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে যখন বাকযুদ্ধে মাঠ সরব, তখন প্রধান বিচারপতি আদালতে ভিন্ন এক মামলার শুনানির সময় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিকে উষ্কে দিলেন। প্রধান বিচারপতির এমন উষ্কানীমূলক বক্তব্য পেশ করে তিনি কি বুঝাতে চাইলেন..? তিনি কি তার আত্মচিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন নাকি কোন দুর্বিসন্ধির ইঙ্গিত দিলেন..? নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপকৌশল অবলম্বন করলেন..? নাকি পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করে তিনি তাঁর স্বদেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন..? নাকি তিনি তাঁর সম্মানী আসনের ক্ষমতা কাজে লাগালেন...? বিষয়টা নিয়ে জাতিকে ভাবাটা খুবই জরুরী নয় কি..? প্রধান বিচারপতির একাধিক মন্তব্য বিশ্লেষণ করে দেশ ও জাতির কল্যানে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা জরুরী.......!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

উদুম্ভূত বলেছেন: এত সহজ বিষয় না বুঝার কি আছে?

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

মানিজার বলেছেন: তুতুয়া পাকির মতন বুলি ব্লগে চলব না মনু ।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আওয়ামী লীগের কাছে তিনি এক বিশ্বাসঘাতক মাত্র।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: শুধু এই লেখাটা পড়লেই বুঝবেন এস কে সিনহা কাদের ঘুটি:

http://www.somewhereinblog.net/blog/akandablog/30208523#nogo

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: ১৯। এইবার আসেন উদ্দেশ্যে।
একটা রাজনৈতিক চালের এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আবার একটা চাল আরেকটা চালের পরিপূরক বা সম্পূরক বা বিকল্প চাল হতে পারে। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে যে চাল চালে সেই শুধু জানতে পারে আসল উদ্দেশ্য। চালের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হওয়ার আগে অন্যরা শুধু বিশ্লেষণ ও অনুমান করতে পারে।

২০। উদ্দেশ্য ১। প্রধান বিচারপতিকে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ দলগুলির আছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। ইতোমধ্যে এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। বি এন পি প্রধান বিচারপতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন তাকে প্রতিপক্ষ দলগুলির আছে গ্রহণ যোগ্য করে তুলতে হবে?
উত্তর:- ভবিষ্যতে যদি তার উপর কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হয়, তখন যেন আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ দলগুলি তাকে সমর্থন দেয়, অথবা নিদেনপক্ষে নরম অবস্থান নেয়।

উদ্দেশ্য ২। বর্তমান সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন ১। কে চাপ সৃষ্টি করতে চায়? উত্তর:- ইন্ডিয়া এবং তার বর্তমান মিত্র বৃহৎ শক্তি।
প্রশ্ন ২। কেন চাপ সৃষ্টি করতে চায়?
উত্তর:- বিশ্বের বৃহৎ শক্তি এবার যুদ্ধ-রেখা টেনেছে দক্ষিণ এশিয়াতে।

একটা সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র চীন-ইন্ডিয়া সীমান্ত। সম্ভাব্য এই যুদ্ধে একপক্ষে থাকবে ইন্ডিয়া ও বৃহৎ শক্তি, অন্য দিকে থাকবে চীন ও পাকিস্তান। ইতোমধ্যে ডোকলামে ইন্ডিয়া ও চীনের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। ইন্ডিয়া অবশ্য এখন এই যুদ্ধ করতে চাচ্ছে না। সামরিক বাহিনী শুধুমাত্র যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য সরকারের কাছে ২০ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ চেয়েছে। এরপর সরকার একটা সর্বদলীয় সভা ডাকে। দিল্লীতে সর্বদলীয় বৈঠকে সম্মানজনক ভাবে সরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্র পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত। এটা অনেকটা ইন্ডিয়া-পাকিস্তান-চীনের প্রক্সি যুদ্ধের মতো হবে। বৃহৎ শক্তি ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আফগান তালেবানদের সাহায্য না করার জন্য। আর ইন্ডিয়াকে বলেছে আফগান তালেবানদের দমনের জন্য আফগান সরকারকে সামরিক সাহায্য দিতে। ইন্ডিয়া রাজি হয়েছে। অর্থ দাঁড়াচ্ছে, তালেবান দমনের নামে আফগান সরকার ইন্ডিয়ান সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়ে পাকিস্তান আক্রমণ করবে। আর পাকিস্তান চীনের সমর্থন নিয়ে মোকাবেলা করবে।

সম্ভাব্য দুইটা যুদ্ধেই বাংলাদেশের অবস্থান হবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অবস্থান হতে পারে (১) ইন্ডিয়ার পক্ষে, (২) চীনের পক্ষে, (৩) নিরপেক্ষে। বর্তমান সরকার কখনই সরাসরি ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আর চীনের পক্ষে যাবে না -- এটা চীন জানে। চীনের লক্ষ্য বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ রাখা। বাংলাদেশ নিরপেক্ষ থাকলেও চীনের লাভ।

সবাই জানে বর্তমান সরকার ইন্ডিয়ার সমর্থন পুষ্ট। তা হলে ভয়টা কোথায়?
চীন বাংলাদেশকে সম্ভাব্য যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শাসকদেরকে অস্ত্র ও সাবমেরিন বিক্রির নামে বিপুল পরিমাণ কমিশন প্রদান করেছে বলে ইন্ডিয়া ও বৃহৎশক্তি মনে করে। বিষয়টা বুঝার জন্য একটা উদাহরণ দেয়া যায়। বাংলাদেশ চীন থেকে Ming-class Type 035B সাবমেরিন কিনেছে। যার দাম ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার, টাকার অংকে ১৬২৪ কোটি। ১৯৭০ সালে নির্মিত এত মূল্যবান এই জিনিসটা দিয়ে চীন ১৯৯০সাল থেকে ছাত্রদের ট্রেনিং দিতো। এটা কত উন্নত জিনিস বোঝতে পারছেন। এটাকে এখন লোহা-লক্কড় হিসাব বিক্রি করতে হতো। নুন খেলে গুণ গাইতে হয়। টাকা পকেটে গেলে বিপক্ষে যাওয়া যায় না।

এমন একটা পরিস্থিতিতে সরকারের উপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি করে আসন্ন সম্ভাব্য সংঘাতে বাংলাদেশকে সরাসরি ভাবে ইন্ডিয়ার পক্ষে এবং চীনের বিপক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য করা।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার মাথা চুলকায় |-)

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

শুভ্র বিকেল বলেছেন: তিনি যা করেছেন স্পষ্টতই শপথ ভেঙ্গেছেন কিন্তু সরকার পরিস্থিতির চাপে কিছু করতে পারছে না।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

আজাবুল মরফুদ বলেছেন: @চেংকু প্যাঁক; বাঁশের চেয়ে কঞ্চি (লেখার চেয়ে মন্তব্য) বড় কিন্তু আগাম উদ্ভট ভাবনা।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শুভ্র বিকেল বলেছেন: তিনি যা করেছেন স্পষ্টতই শপথ ভেঙ্গেছেন কিন্তু সরকার পরিস্থিতির চাপে কিছু করতে পারছে না।

আওয়ামী লীগের দালাল কলামিস্টের তো কোন অভাব নেই। তাদের দিয়ে একটা লেখা লিখালেও তো আমরা জানতে পারি প্রধান বিচারপতি কি করে শপথ ভাংগলেন?

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

তপোবণ বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে জাতি ভেবেছে। ক্ষমতা কাদেরকে দৈত্য বানিয়েছে জাতি তা চিনতে পেরেছে। একটা হ্যা না ভোট দিয়ে মেপে দেখতে পারেন জাতি কি চায়।

ভোটে অনেক ভয় হয়।
ভোট হলে কি লীগ রয়?

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

তপোবণ বলেছেন: পাগলা ঘোড়ায় কাউকে লাগাম পড়াতে তো হবে নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.