নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা . . .

পলক শাহরিয়ার

Life is too short to be wasted in finding Answers. Enjoy the Questions!

পলক শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলের দেশে, মাছের দেশে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

চলন বিল। ভরা বর্ষায় যৌবনবতী এক অচেনা সুন্দরী। মনে হয় যেন সাদার মাঝে সবুজের পাড় দেয়া শাড়ি পড়ে রূপের পসরা সাজিয়ে প্রকৃতি প্রেমিকের প্রতিক্ষায় সে। আমার ছেলেবেলার এক বন্ধুর গ্রামের বাড়ি সেখানে। এই বরষায় আমার স্ত্রীসহ তাকে নিয়ে যখন সেই গ্রামে পৌছলাম তখন সূর্য সেদিনের মত বিদায়ের আয়োজনে ব্যস্ত। কি অদ্ভূত শান্ত আর সুন্দর গ্রাম! জলমগ্ন। কয়েকটি রাজহাঁস দুষ্টু ছেলের মত ঘরে ফেরার কথা ভুলে দুরন্ত জলকেলিতে মত্ত হয়ে আছে। একটা হাঁস আবার তার ছানাদল নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওদের পিছু পিছু আমরাও পৌছে গেলাম গন্তব্যে।

অচেনা জীবন



রাজশাহী বিভাগের তিনটি জেলায় (পাবনা, সিরাজগঞ্জ আর নাটোর) বিস্তৃত অংশে ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের এই বৃহত্তম বিল। বর্ষা মৌসুমে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসা যাবার পথেও বাস বা ট্রেন থেকে চোখে পড়ে নয়নাভিরাম চলন বিলের একাংশ।

অবারিত জলের আমন্ত্রণ


প্রায় পনের'শ গ্রাম নিয়ে ছড়িয়ে থাকা এই বিলের একসময় আয়তন ছিল প্রায় একহাজার বর্গমাইল যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে এখন। ব্রহ্মপূত্রের প্রবাহপথ পরিবর্তনের সময় যখন যমুনার সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকেই এই বিলের জন্ম বলে মনে করা হয়। চলন বিলের মধ্যে দিয়ে বেশ কয়েকটি নদী বয়ে গেছে যার মধ্যে আছে আত্রাই,করোতোয়া,বড়াল,তুলসী ইত্যাদি।
পরের দিন সূর্য্যিমামাকে হারিয়ে দিয়ে তার আগেই জেগে উঠলাম। ঘাটে গিয়ে দেখি নৌকা রেডিই আছে। বন্ধুকে নিয়ে আনাড়ি হাতে নৌকা চালানো শুরু করলাম। এলোমেলো যাত্রায় শুরু হলো অনন্য এক দিনের। জলের মাঝে গ্রামগুলোকে ভীষণ অচেনা লাগছিল। বাংলাদেশের সাধারন গ্রামের মত না। রাশি রাশি পানির মাঝে একেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেন।

সূয্যিমামা জাগার আগে


সাঁঝের বিল


ছেলে-বুড়ো নৌকা নিয়ে যে যার কাজে ছুটছে। বই খাতা হাতে একদল শিশু হইচই করতে করতে স্কুলে যাচ্ছে । বন্ধুর কাছে জানলাম,যাদের নিজেদের নৌকা নেই, তাদের কেউ কেউ আবার সাঁতরেই স্কুলে যায়। কখনো দেখা যায় পাশে একটা অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল ভাসিয়ে তাতে জামাকাপড় রেখে যাত্রা শুরু করে স্কুলের জন্য। এদের মধ্যেই কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতে দেশ ও জাতীর কান্ডারী হবেন অথবা নোবেল প্রাইজ জিতবেন। একই রক্ত-মাংসের,একই মেধা নিয়ে জন্ম নেয়া একটা শিশু বাবা-মায়ের হাত ধরে অথবা BMW তে চেপে স্কুলে যাচ্ছে অন্যদিকে তারই মত আরেকজন নেংটো হয়ে পোশাক আগলে সাঁতরে স্কুলে যেতে হচ্ছে। সত্যিই সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!
আরেকটা মজার ব্যাপার যে, এখানে প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই নিজেদের অন্ততঃ একটা নৌকা আছে। আর নারী-পুরুষ, ছেলে বুড়ো প্রায় সবাই নৌকা চালাতে জানে। এখানকার মানুষগুলো ভীষণ সহজ-সরল। তাদের কাছে শুকনা মৌসুমে চলনবিল একটা নাকি একটা শস্যখনি যা আবার ভরা মৌসুমে রূপ নেয় বিশাল একটা মৎসখনিতে। নাম না জানা হরেক রকম দেশি মাছের ভান্ডার এ বিল। এখানে মেলে দেশি পুটি,গজার বোয়াল,টেংরা,বাতাসী,খলসে,বাইন,চেরা,রাইখর, শৈল,টাকি ছাড়াও আরো কত নাম না জানা মাছ। এক গবেষনার তথ্য অনুযায়ী, চলন বিলে প্রায় ৮০-৯০ প্রজাতির মাছের বাস যার মধ্যে ৯০ শতাংশই দেশীয় মাছ।
মাছেদের সাথে, জেলেদের সাথে সকালটা কাটল। জেলের জীবন,জলের জীবন দেখা, নানা বিচিত্র উপায়ে মাছ ধরা দেখতে দেখতে যে বেলা গড়িয়ে দুপুর হল টেরই পাইনি।

চলনবিলের মাছশিকারি

বাড়ি গিয়ে দেখি দুপুরে নানারকম মাছের আয়োজন। সত্যি বলতে কি, মাছ দিয়ে ভাত নয়, ভাত দিয়ে মাছ খেলাম। জিরোনোর একদম সময় নেই। মাঝি এসে গেছে ততক্ষণে। নৌকা চলতে শুরু করল গ্রামের ভেতর দিয়ে। একসময় সুবিস্তৃত জলরাশির মাঝে এসে পড়লাম। পানকৌড়িরা চৌকস ডুবুরির মত জলের গভীর থেকে তুলে আনছিল শামুক/ঝিনুক। এরই মাঝে ঝুম বৃষ্টি নামল। নিস্তরঙ্গ জলে যেন নুপুরের নিক্কন। আরেকটু এগোতেই ছোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। শাপলা-শালুকের বিশাল রাজ্য! সেখানে একদল কিশোর দাপাদাপি আর পানিতে ঝাপ দিয়ে তুলে আনছিল মুঠোভরা শাপলা-শালুক।

শাপলাশিকারি-১


শাপলাশিকারি-২


আমার স্ত্রী গ্রাম্যবালিকার মত তার চুলে কয়েকটা শাপলা গুঁজে নিল আর আমি ছেলেবেলায় ফিরে গিয়ে এটা দিয়ে লাটিমের মত একপ্রকার ঘূর্ণি বানালাম।

জলছবি-১

জলছবি-২


রাতের খাবার শেষে শুরু হল স্মৃতিময় নৌভ্রমনের শেষপর্ব- জোৎস্নাপর্ব। পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ, মাঝির মনমাতানো সুর আর চাঁদের আলোয় প্লাবিত হলাম। জোৎস্নাস্নাত বিল, আশপাশর বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত গ্রাম, অনেক দুরে পানির মাঝে একটা দুটো খড়ের গাদা, হঠাৎ উড়ে যাওয়া গাংচিল অথবা অন্যকিছু । চারপাশ কেন জানি অপার্থিব মনে হচ্ছিল। স্বপ্নের মত লাগছিল সবকিছু। বাস্তবও কখনও কখনও স্বপ্নের মত হয় কখনো বা তার চেয়ে বেশিই সুন্দর হয়!

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ছবি ও বর্ণনায় মুগ্ধ +++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আর শুভকামনা জানবেন প্রিয় কান্ডারি অথর্ব।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

সূখীমানব বলেছেন: চলনের সৌন্দর্য পর্যটকদের পদভারে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় একটু একটু করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।চমৎকার পোস্ট। প্লাস।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।এই কদিন আগেও চলনবিল অনেক প্রাকৃতিক ছিল।অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ সূখীমানব।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
জলের জীবন ছায়ায় আর স্মৃতিতে ৷ নষ্টালজিক কথন ৷আশা ও ভাবনায় এগিয়ে যাক মানবসন্তানেরা ৷

জলের ঘ্রাণ এখনও মিশে আছে দেহ-মনে ৷ভাল লাগল ৷

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: জলের জীবন ছায়ায় আর স্মৃতিতে। জলের ঘ্রাণ এখনও মিশে আছে দেহ-মনে। ভাল বলেছেন। শুভকামনা নিরন্তর।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কখনো দেখা যায় পাশে একটা অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল ভাসিয়ে তাতে জামাকাপড় রেখে যাত্রা শুরু করে স্কুলের জন্য। এদের মধ্যেই কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতে দেশ ও জাতীর কান্ডারী হবেন অথবা নোবেল প্রাইজ জিতবেন। -- সত্যি, কতটা সংগ্রাম করে চলতে হয় ওদেরকে দৈনন্দিন জীবনে!
ছবিগুলো খুব সুন্দর, তবে লেখাটা আরেকটু বড় হতে পারতো।
প্রতিযোগিতায় সাফল্য কামনা করছি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে প্রতিযোগিতায় পাঠানো মূল লেখাটা আরেকটু বড়ই ছিল। এডিট করে দিয়েছি।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!

লাভ ইউ লাভ ইউ লাভ ইউ!!!!!!!!

আর তোমাকে ভুলেই যাবোনা!!!!!!!!


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লাভ ইউ টু-থ্রি-ফোর!!!!!!!!!!!!!
ভুলবে কিভাবে? সেরা পাঠক যে সেরা লেখক হয়ে গেলাম। হা হা...
আরেকটা কথা। মূল লেখার শেষাংশ (শেষ প্যারা) ব্লগে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এডিট করে দিলাম। এই অংশটুকু তোমার জন্য ডেডিকেট করা হলো।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখাটি ৭ম বাংলা ব্লগ দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হলাম! আপনাকে ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব ভাই।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

আলোরিকা বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া......... অসাধারণ !

৭ম বাংলা ব্লগ দিবস ২০১৫ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ফিচার বিভাগে বিজয়ী হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া.......ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া........যাবেন নাকি?
আলোরিকা। নামটা বেশ। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

সকাল রয় বলেছেন: আমি বেশ ক'বছর আগে সিংড়া-তে দেখেছিলাম। বেশ উপভোগ্য

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: গুরুদাসপুরের কাছাকাছি সম্ভবত চলনবিলের মূল অংশগুলো। সিংড়া হয়েও যাওয়া যায়। কবে গিয়েছিলেন?

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: বাহ! বেশ ভাল লাগলো। লেখা পড়েই, ঘুরে আসতে ইচ্ছে করছে ভীষণ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ঘুরে আসার তত অনন্য এক জায়গা বটে। জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে যাবেন। শুকামনা থাকল।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিননন্দন! !:#P

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই। প্রিয় লেখকের কাছ থেকে অভিনন্দন অনেক বড় প্রাপ্তি।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আর নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লাভ ইউ টু-থ্রি-ফোর!!!!!!!!!!!!!
ভুলবে কিভাবে? সেরা পাঠক যে সেরা লেখক হয়ে গেলাম। হা হা...
আরেকটা কথা। মূল লেখার শেষাংশ (শেষ প্যারা) ব্লগে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এডিট করে দিলাম। এই অংশটুকু তোমার জন্য ডেডিকেট করা হলো।

থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ !!!!!!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ওয়েলকিউ আপুমনি!!!

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: অভিনন্দন প্রিয় পলক শাহরিয়ার ভাইয়া, অনেক শুভকামনা...

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আপনাকেও। এমনি করে তুখোড় কাব্য-কবিতায় রাঙিয়ে দিন ব্লগের উঠোন।

১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে লোভ লাগছিলো! অপূর্ব এক ভ্রমণ।
অভিনন্দন এবং শুভকামনা রইলো :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: লেখালেখির জীবনের অপূর্ব এই ভ্রমনে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। ভাল থাকবেন সবসময়।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

মানবী বলেছেন: আসলেই স্বপ্নের মতো!

বর্ণনা পড়ার সময় ভিন্ন একটা জগতে হারিয়ে যেতে হয়! অসাধারণ অভিজ্ঞতার চমৎকার বর্ণনা!

"বন্ধুর কাছে জানলাম,যাদের নিজেদের নৌকা নেই, তাদের কেউ কেউ আবার সাঁতরেই স্কুলে যায়।"-
- কি ভীষণ অন্যায়। আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠী নিতান্ত নির্লজ্জ বলেই দেশের একদল শিশু কিশোর এভাবে স্কুলে যায় আর এসব শিশুদের পাওনা টাকায় এসব নেতা নেত্রীর নিজেদের কুলাঙ্গার সন্তানেরা কিছুদিন পর পর দেশ বিদেশ ভ্রমন হয়।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ পলক শাহরিয়ার।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: কি ভীষণ অন্যায়! আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জবাব এত দেরিতে দিলাম।
কেউ সাঁতরে স্কুলে যাবে আবার কেউ বিলাসবহুল গাড়িতে যাবে। নির্লজ্জ একশ্রেনীর শাসকগোষ্ঠী নিজেদের জন্য সকল সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠেলে দিয়েছে বঞ্চনার মাঝে আবার কখনো স্বপ্নটাও কেড়ে নেয় আমার আপনার আমাদের।

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট । বর্ণনা অপূর্ব! এই পোস্ট মিস করলাম ক্যামনে? ছবিগুলোও অসাধারণ ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু। আপনার প্রশংসা বানে...... কিঞ্চিত লজ্জা পেলেও খুশি হলাম জেনে।

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

স্ট্রাটাজেম বলেছেন: বাস্তবও কখনও কখনও স্বপ্নের মত হয় কখনো বা তার চেয়ে বেশিই সুন্দর হয়।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বাস্তবও কখনও কখনও স্বপ্নের মত হয় কখনো বা তার চেয়ে বেশিই সুন্দর হয়।....বা তার চেয়ে বেশী খারাপও হতে পারে।

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চমৎকার।
এক কথায় চমৎকার।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে পরিপূর্ণ করে দিন যেন আপনি নিজেকে ১০ এ ১০ দিতে পারেন।

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: চমৎকার বয়ান! আমি চলনবিল থেকে বলছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ রানা ভাই। চলনবিলের কোন অংশে? আপনার বাড়ি চলনবিলে?তাহলে তো দেখা যায় সৌন্দর্যে বসবাস আপনার।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: ভাংগুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে একটি সবুজে ঘেরা সুনিবিড় প্রত্যন্ত গ্রামে। সত্যিই সৌন্দর্যে বসবাস আমার।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার। ভীষণ ভালো লাগলো। অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।অনেক ভাল থাকবেন।

২৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

বিজন রয় বলেছেন: অসাম।
++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যিই অসাম একটা জায়গা। মজার ব্যপার কি জানেন বছরের অর্ধেকটা সময় জায়গাটার অস্তিত্বই থাকে না। প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ ভায়া।

২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

কল্লোল পথিক বলেছেন:






অসাধারন ছবিও বর্ণনা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৪

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক। ভাললাগায় সিক্ত হলাম। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.