নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা . . .

পলক শাহরিয়ার

Life is too short to be wasted in finding Answers. Enjoy the Questions!

পলক শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরুযাত্রা ২ঃ ড্রিম ইন দ্যা ডেজার্ট

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

পাম আইল্যান্ড, পাখির চোখে দেখা


আগের পর্ব
মরুযাত্রা-১ঃ টু দ্যা ল্যান্ড অব পার্ল

ঢাকা ফেরার পথে বাহরাইন-দুবাই ফ্লাইটে এক ইরানী ভদ্রমহিলার সাথে পরিচয়। ভীষণ সুন্দরী। ফুটফুটে দুইটা জ্যান্ত পুতুল সাথে ছিল তার। যাচ্ছিলেন ডিপ্লোম্যাট হাজব্যান্ড এর কাছে। ভদ্রলোক বাহরাইন থাকেন। এক ফাকে ভদ্রমহিলার স্মার্ট ও চমৎকার ড্রেস সেন্সের প্রশংসা করায় তিনি উত্তর দিলেন “ আসলে পোষাকের চেয়ে তার ভেতরের মানুষটাকে সুন্দর বানানো জরুরী। আরবিতে প্রবাদ আছে আল আলিব গালিব। অর্থাৎ তুমি তোমার পোষাকের চেয়ে বেশি সুন্দর।” তার দার্শনিক মার্কা উত্তর মোটেও আশা করিনি আমি। জানতে চাইলাম, “এমন কোন দর্জি কি আছে যিনি সুন্দর পোষাকের মত করে সুন্দর করে মনও বানাতে পারেন।” ইয়েস, এ গুড বুকস ক্যান ডু” তিনি বললেন। এর পর চমৎকার কিছু বইয়ের নাম বললেন। আমার ইংরেজি বই পড়ার দৌড় চেতন ভগত আর ড্যান ব্রাউন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আর কথা বাড়ালাম না। দুবাই বিমানবন্দরে নামার সময় একটা মজার ঘটনা ঘটল। বিমান থেকে কিছুতেই নামছিল না তার ছোট্ট পুতুলটা। বিমানের পেছনে গিয়ে দৌড়াচ্ছিল সীটে,করিডোরে, নির্বিঘ্নে-মনের আনন্দে। বড় বোনের তাকে রেখে বাড়ি চলে যাবার হুমকি , কেবিন ক্রুদের শত চেষ্টা ইত্যাদি ভয় থোরাই কেয়ার করছিল পিচ্চিটা। অন্যদিকে তার মা ছিল একেবারে নিশ্চিন্ত। লাগেজ গোছানো সেরে বললেন, মারিয়াম, (পিচ্চি পুতুলটার নাম) আই হ্যাভ সাম ক্যান্ডি ফর ইউ। ইফ ইউ ডোন্ট কাম, আই অ্যাম গনা গিভ অল দিস টু ইয়োর সিস্টার। সাথে সাথে পিচ্চিটা দৌড়ে হাজির হলো মায়ের কাছে। এখানে একটা বিষয় শিক্ষণীয় যে, কাউকে ম্যানেজ করতে তার আগ্রহ আর ড্রাইভিং ফোর্সের জায়গাটা খুজে বের করা জরুরী।

আমাদের দেশের মানুষ আরব আমিরাতকেই দুবাই নামেই চেনে। কৈশরে এক নষ্টালজিক বিটিভি নাটক দিয়ে দুবাই চিনেছিলাম। সেখানে এক ভগ্নিপতির কাছে শ্যালকের আবদার ছিল ”ট্যাকা দ্যাও দুবাই যামু”। সেই দুবাইতে পৌঁছে হোটেলের এক গাইড আর বিভিন্ন দেশের চার-পাঁচ জন ট্যুরিস্ট নিয়ে শুরু হলো আমাদের স্বপ্নযাত্রা। প্রথমেই গেলাম দুবাই মল- বিশ্বের বৃহত্তম শপিং সেন্টার।

দুবাই মল


এখানে অনেক আরব নারীদের দেখা মিলল। ছোটবেলায় আরবদেশ ঘুরে এসে এক বন্ধু বলে ছিল আরব মেয়েরা নাকি পরীর মত। কোথায় কিসের পরী। তাকে পেলে ধরে জিজ্ঞেস করতাম, ”ঐ ব্যাটা পরীদের কি কখনো এমন মুটকি হইতে দেকছস?”। আমাদের থাই গাইড আপা বললেন, আরব মেয়েদের মধ্যে নাকি শতকরা ৪০ ভাগের মত মেয়ে স্থুলকায়। আরেকটা অবাক ব্যাপার যে, আরব মেয়েদের অর্ধেকেরই নিজের কোন মোবাইল ফোন নাই। এই পরিসংখ্যান একদিকে যেমন নারীর নিজস্বতা/স্বাধীনতা হীনতা বোঝায় অন্যদিকে তাদের বিলাসি জীবনযাপনেরও ইঙ্গিত দেয়। আরব পুরুষদের বিলাসি জীবন ঘর ছাড়িয়ে আসতে পারলেও মেয়েদেরটা ঘরের মাঝে চার দেয়ালেই বন্দি। বলা যায় আরব মোল্লার দৌড় মসজিদ ছাড়িয়ে এখন বহুদুর হলেও তাদের স্ত্রী-কন্যাদের দৌড় শপিং মল পর্যন্তই- এই বিংশ শতকেও। হুমায়ুন আহমেদের মতে মেয়েদের প্রিয় বিশ্রাম হলো শপিং। সেই হিসেবে দুবাই মলকে মেয়েদের জন্য বিশ্বের সেরা বিশ্রামের যায়গা বলাই যায়। আমরা বিশ্বের নানা প্রান্তের কয়েকজন পুরুষ সেই মল মাত্র আধা ঘন্টায় ঘুরে গিনেস বুকে নাম উঠানোর ব্যবস্থা করে ফেললাম। এরপর উপভোগ করলাম মলের পাশেই সাগরের বুকে মনোমুগ্ধকর এক আয়োজন, জলের নাচ- ড্যান্সিং ফাউন্টেন। [আগ্রহীরা চাইলে ইউটিউবে ঢুঁ মেরে দেখে নিতে পারেন।]
মলের এক পাশেই বুর্জ আল খলিফা- আধা মাইলের বেশি উঁচু বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। সামনে প্রতিবন্ধক না থাকলে এটা নাকি ভূ-পৃষ্টের ৯৫ কিলোমিটার দুর থেকেও দেখা যেত। এর ১৫০ তলা বা তার উপরের বাসিন্দাদের নীচের লোকদের চেয়ে ৫ মিনিট বেশি সময় ধরে রোজা রাখতে হয় কারণ তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সময় সূর্য উদিত অবস্থায় দেখতে পান।

মেঘের উপর বাড়ি


বুর্জ আল খলিফা বনাম প্রতিযোগিরা


দুবাই ট্যুরিস্ট আর ইমিগ্রান্টদের কাছে অনেকটা স্বর্গের মত । এখানকার শতকরা প্রায় ৮৩ ভাগ মানুষই বিদেশি। ক্রাইম রেট প্রায় শুন্যের কাছাকাছি এখানে। এখানে লোকদের কোন ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘণকারী বা দ্রুতগামী অপরাধী ধরতে ট্রাফিক পুলিশ Lamborghini, Ferrari ’র মত স্পোর্টস কার ব্যবহার করে। অন্যদিকে আমাদের পুলিশ, সরকারি বড়কর্তা বা তাদের বউ-বাচ্চারা পাজেরো ব্যবহার করেন শপিং মলে মূল্যছাড়ের শেষ সুযোগ ধরতে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হোটেল, সবচেয়ে বড় শপিং মল, সর্বোচ্চ আবাসিক ভবনসহ সব ’বড়’ এর সমাহার এখানে। এসব কাজ করতে সারা বিশ্বের চারভাগের একভাগ ক্রেন এখানে নিয়োজিত। এতসব বৃহৎ এর মাঝে নিজেকে বড় ক্ষুদ্র মনে হতে লাগল। মানুষের এত টাকা থাকতে পারে! বিল গেটস এর টাকা বিষয়ে একটা অমর বাণী আছে “গরীব হয়ে জন্মানোর দোষ তোমার না-বরং গরীব থেকে মারা গেলে তার জন্য তুমিই দায়ী।” এটার একটা দেশি ফেসবুক ভার্সন আছে “তোমার বাবা গরীব, সেটা তোমার দোষ নয়, তোমার শ্বশুর যদি গরীব হয় তার জন্য তুমিই দায়ী।”
এরপর গেলাম দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোনার বাজার-দুবাই গোল্ড সুক। সুক অর্থ বাজার। দুবাই গোল্ড সুকে যেতে পকেট ভর্তি টাকা টাকা হলেই চলবে তা না, বুকের পাটাও থাকতে হবে। গাইড আপা আমাদের সাথে একটু রসিকতা করতে চাইলেন,“ নো ওয়ান ব্লিং(ব্রিং) ওয়াইফ, সো ইউ হ্যাভ নো লিস্ক (রিস্ক ) অফ লুজিং মানি।” তাই রিস্ক প্রটেকশন (পর্যাপ্ত মূলধন) না নিয়ে বা সোনার প্রতি দুর্বল মেয়েদের এখানে নিয়ে আসার আগে আপনাকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। ১৯৯৯ সালে দুবাই শপিং ফেস্টিভালে এখানে মোট বাইশ কেজি ওজনের প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটা সোনার চেইন আনা হয়েছিল। সেটা এখন না থাকলেও বর্তমানে এখানে সাড়ে পাঁচ কেজি ওজনের একটা আংটিসহ আরও বেশ কিছু বিশালকায় অলংকার আছে।

সোনার আখড়া


২০১৩ সালে এই বাজারে প্রায় আড়াই হাজার টন (সাড়ে তিনশ আফ্রিকান হাতির সমান ওজন) সোনা কেনাবেচা হয়েছে। আরেকটা মজার ব্যাপার হলো দুবাইয়ে বেশ কিছু ATM আছে যেখানে আপনি নানা দেশের নানা রকম মুদ্রার পাশাপাশি গোল্ড বারও পেতে পারেন। ”টাইম ইজ গোল্ড, সামটাইমস ইট ইজ মোর প্রেশাস দ্যান গোল্ড।” তাই সোনার বাজার অনেকটা অদেখা রেখেই চলে আসতে হলো। শেষ বিকেলের দিকে সাগরতলে তৈরী সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে আমরা পৌছলাম বিশ্বের বিস্ময় পাম আইল্যান্ডে। পাম আইল্যান্ডের আকৃতি ভালভাবে বুঝতে চাইলে একে আকাশ থেকে দেখতে হয়। এই দ্বীপেই বিশ্বের অন্যতম সেরা পাঁচতারা হোটেল আটলান্টিস এর অবস্থান। সমুদ্রের নীচে এদের কয়েকটি বিলাসবহুল স্যুট আছে । এখানে ডলফিন আর মাছেদের সাথে ভেসে ভেসে কাঁচঘেরা জানালার কাছে এসে আপনি আপনার প্রেয়সীকে জানাতে পারেন মনের ভাষা "উইল ইউ ম্যারি মি" অথবা "আই লাভ ইউ"। আর এজন্য আপনাকে অবশ্যই মুসা বিন শমসের বা সাকিব আল হাসান হতে হবে। এখানে এক রাত থাকার জন্য খরচ ২৫ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ টাকা মাত্র।

সমুদ্রবিলাস-১


সবশেষে যখন আল জামেইরা বীচে পৌছলাম তখন রাতের আকাশে একঝাঁক তারা। বীচের পাশেই বিশ্বের একমাত্র ৭ তারকা হোটেল, বুর্জ আল আরব। হাজার হাজার তারা আর প্রবল প্রতিপক্ষ চাঁদকে ম্লান করে নিজের অপূর্ব নীল-কমলা আলোয় জ্বলছিল বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল এ স্থাপনাটি।

সমুদ্রবিলাস-২


সময়ের অভাবে দুবাই মিরাকল গার্ডেন দেখা হলো না। যেটা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলবাগান। হার্ট, পিরামিড, ইগলু, গাড়ি ইত্যাদি আকারের নানান রকম রঙিন ফুলের গাছও দেখা হলো না। তাই এই আনন্দময় মরুযাত্রা শেষে এই ছোট্ট ভ্রমণটাকে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের মত মনে হচ্ছিল আমার, শেষ হইয়াও হইল না শেষ।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

এরশাদ বাদশা বলেছেন: দারুন উপভোগ্য ভ্রমন কাহিনী! দুবাই মল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। বুর্জ খলিফা বাইরে থেকেই দেখেছি।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ এরশাদ বাদশা। আমিও বুর্জ খলিফা বাইরে থেকেই দেখেছি। সব কিছুই চোখ ধাঁধানো,অনন্য।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

কালীদাস বলেছেন: দুবাই এয়ারপোর্টের বাইরে যাইনি কখনও কানেক্টিং ফ্লাইট সবসময় কম সময়ে ব্যবধানে নেই। শেষবার ছিল জানুয়ারির কোন এক ভোরে, সুন্দর লাগছিল শহরটা ভোরের আলোয়। দ্বীপটা (গুলোও) আকাশ থেকে দেখা :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সুযোগ পেলে যাবেন আশা করি। ৪-৬ ঘন্টায় মোটামুটি সিটি ট্যুর দেয়া যায়। এমিরেটস এর ফ্লাইটে গেলে স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্টে তারা অনেকসময় অন অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাবস্থা করে দেয়।
বাহরাইন থেকে ঢাকা আাসার পথে দুবাইয়ে কানেকটিং ফ্লাইট মিস করা আমার জন্য শাপেবর হয়েছিল। তারা আমার জন্য ১ দিনের ভিসাসহ থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি সেই আকাশ থেকেই দেখি যতটুকু দেখার।

যতটা সময় থাকে এয়ারপোর্টের ভেতরই ঘুরেফিরে কেনাকাটা করে কাটাই।

ভালো লেগেছে আপনার অল্প সময়ের ভ্রমণ কাহিনী।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: এরপর সুযোগ পেলে মাটিতে গিয়ে দেখবেন আশা করি। মনে হচ্ছে কেনাকাটা পছন্দ আপনার। তবেতো দুবাই মল আর গোল্ড সুক আপনার জন্য হতে পারে মক্কা। ভাল থাকবেন।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৮

আরজু পনি বলেছেন: কাউকে ম্যানেজ করতে তার আগ্রহ আর ড্রাইভিং ফোর্সের জায়গাটা খুজে বের করা জরুরী।

বিল গেটস এর ভাষায় “গরীব হয়ে জন্মানোর দোষ তোমার না-বরং গরীব থেকে মারা গেলে তার জন্য তুমিই দায়ী।” এটার একটা দেশি ফেসবুক ভার্সন আছে “তোমার বাবা গরীব, সেটা তোমার দোষ নয়, তোমার শ্বশুর যদি গরীব হয় তার জন্য তুমিই দায়ী।”

কথাগুলো অনুপ্রেরণাদায়ক...

আহ ছবিগুলো অসাধারণ...
আর আপনার বর্ণনাও দারুণ চমৎকার ।


----------
আপনাকে নিয়ে আর পারা গেলো না /:)
আগের পোস্টে এখনও দুটো মন্তব্যের জবাব পাইনি ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: দেশি ফেসবুক ভার্সন “তোমার বাবা গরীব, সেটা তোমার দোষ নয়, তোমার শ্বশুর যদি গরীব হয় তার জন্য তুমিই দায়ী।-এটাও কি অনুপ্রেরণাদায়ক?
সবাই এ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে যদি বউ খুজতে থাকে তাহলে কি হবে বলেনতো?
আর প্রথম কথাটা খুবই সত্যি আমি মনে করি। বর্তমান কর্পোরেট কালচার থেকে শুরু করে সামাজিক,পারিবারিক সব জায়গায় কথাটা খাটে।
ভীষণ প্রশংসায় দ্রবিভূত হয়ে গেলুম।
সবুরে শুধু মেওয়াই নয়.....কমেন্টও ফলে। প্লিজ চেক।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পলক শাহরিয়ার,



মরুযাত্রা আর মরুময় থাকেনি লেখার ষ্টাইলে । ছবি সহ যেন একটুকরো মরুদ্যান হয়ে গেছে ।



২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: প্রশংসায় একরাশ মুগ্ধতা। মরুযাত্রা পোস্টে একরাশ শীতল হাওয়া দিয়ে গেল আপনার কমেন্ট।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আর যাওয়ার দরকার নাই। যে ভাবে লিখছেন তাতে আপনার চেয়ে মনেহয় আমি সব ক্লিয়ার দেখেছি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:০২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হা হা। ধন্যবাদ সাইফুল্লাহ। বেশ যাবার দরকার নেই। তো কি কি ক্লিয়ার দেখলেন?

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: আরবীয় খাবার-দাবারগুলি কেমন?

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আরবীয় খাবার-দাবার ভালই। অন্তত পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে ভাল। অনেক কিছুই আমাদের সাথে মেলে। উটের মাংস সহজলভ্য।অনেক ধরনের ডেজার্ট যাতে খেজুরের বহূল ব্যবহার লক্ষনীয়।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
উপভোগ্য আপনার ভ্রমন কাহিনী।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে. বঙ্গভুমির রঙ্গমেলায়। জীবনের রং,রুপ,রস উপভোগ করুন নিজের মত করে। আর ভাল থাকবেন।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

পুলহ বলেছেন: আমার মতে মিডল ইস্ট এর এই দেশটা তুলনামূলকভাবে বেশি বুদ্ধিমান, শুধু তেলের উপর নির্ভর না করে নিজেদের ইকনোমিকে ডাইভার্স করার কাজে মনযোগ দিয়েছে...
মরুযাত্রা ১, ২ দুইটাই পড়লাম। দু'টোই খুব ভালো লিখেছেন, তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে এটা! সুলিখিত, তথ্যবহুল এবং উইটি একটা পোস্ট !
ইরানি ভদ্রমহিলাকে না দেখেও আমার কাছে মনে হোল- উনি বোধহয় সত্যি ওনার পোশাকের চেয়ে বেশি সুন্দর !
অনেক ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা রইলো !

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, এই দেশটা তুলনামূলকভাবে বেশি বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট। ইন্টেলিজেন্টলি তাদের রিসোর্স ব্যবহার করেছে।
এটা! সুলিখিত, তথ্যবহুল এবং উইটি লেখা।- এই তিনটা শব্দ আমার মত একজন নতুন ভ্রমনলেখকের জন্য ভীষণ দামী।
ইয়েস ইউ আর রাইট! সেই ইরানি ভদ্রমহিলা তার পোষাকের চেয়েও সুন্দরী ছিলেন। আর স্মার্ট আর বুদ্ধিমতি তো বটেই। একসাথে এই গুনগুলো একজন মেয়ের মধ্যেই! ভাবা যায় ;)

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

রিপি বলেছেন:
এত সুন্দর করে বর্ননা করেছেন যে ঘুরে আসতে মন চাচ্ছে। :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ঘুরে আসুন না। এসে আপনার লেখা কাব্যগুলোর মত করে সুন্দর একটা ভ্রমনকাব্য রচনা করে ফেলবেন না হয়।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
অসাম।
++++

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ। মিডল ইস্ট এর এই দেশটা তুলনামূলকভাবে বেশি বুদ্ধিমান, শুধু তেলের উপর নির্ভর না করে নিজেদের ইকনোমিকে ডাইভার্স করার কাজে মনযোগ দিয়েছে...। ভাল থাকবেন।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

সূখীমানব বলেছেন: চমৎকার! রসময় লেখা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ সূখীমানব।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাহ্!!
অসাধারণ ছবিগুলোও ভালো লাগলো।
জীবন্ত পুতুলগুলোর ছবি দেখার ইচ্ছা ছিলো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: থ্যাংক ইউ মিসির আলী। দেখাতে পারলে আমারও ভাল লাগত। দুর্ভাগ্যবশত তাদের কোন ছবি এখন আমার কাছে নেই। ভাল থাকবেন।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: ছবির সবগুলা জায়গাতেই জাইতে মুঞ্চায়। সোনার আখড়ায় যাইতেও মুঞ্চায় :`>

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: মার্ক টোয়েন সাহেব কি কইছেন জানেন তো, বিশ বছর পর আপনি যা করছেন তা নিয়ে যতটা পস্তাইবেন, যা করেন নাই তা নিয়া হের চেও বেশি পস্তাইবেন।
নাম না জানা আরেক সাহেব কইছেন, দুনিয়াডা একখান বইয়ের লাহান। যে দুনিয়াডা দেখলোনা, ঘরে বইসা রইল, হে বইডার প্রথম পাতাই পড়ছে কেবল।
মুন চাইলে যান। তাড়াতাড়ি যান। বইডার চকমকা পাতাগুলান পইড়া আসেন।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

শায়মা বলেছেন: লাগেজ গোছানো সেরে বললেন, মারিয়াম, (পিচ্চি পুতুলটার নাম) আই হ্যাভ সাম ক্যান্ডি ফর ইউ। ইফ ইউ ডোন্ট কাম, আই অ্যাম গনা গিভ অল দিস টু ইয়োর সিস্টার। সাথে সাথে পিচ্চিটা দৌড়ে হাজির হলো মায়ের কাছে। এখানে একটা বিষয় শিক্ষণীয় যে, কাউকে ম্যানেজ করতে তার আগ্রহ আর ড্রাইভিং ফোর্সের জায়গাটা খুজে বের করা জরুরী।

হা হা ভাইয়া এই বুদ্ধি আমাকেও প্রায়ই কাজে লাগাতে হয়!

আর আরবের পরী মেয়েদের শপিং এর পার্ট পড়ে অনেক হাসলাম। মেঘের উপরে বাড়ি দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম আবার পাতাল পুরীর জলের দেশ! এ দেখছি পুরাই রুপকথা জগৎ!

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: মার্ট তো হতে হয়ই, এ যুগের পিচ্চিদের সামলাতে স্পেশাল কিছু লাগে। হ্যাঁ বেশ আগে আপনার পিচ্চিদের নিয়ে একটা পোস্ট দেখেছিলাম। এটা থেকেই বোঝা যায়......। আপনি বোধহয় টিচার, না? সেক্ষেত্রে নিজের ছাড়াও আরও অনেক পিচ্চি সামলাতে হয়।

আসলেই দুবাই গেলে সবকিছু স্বপ্নের মত বা রুপকথার মতই মনে হবে। তারা আপনার রুপকথার দেশ ব্যপারটার পরিপূর্নতা আনতে আরেকটা জিনিস বানাচ্ছে, "আলাদিন সিটি"-যেখানে আলাদিনের চেরাগের মত বিশাল বিশাল ছয়টি টাওয়ার থাকবে আর ম্যাজিক কার্পেট নির্মিত পথে যাওয়া আসা করা যাবে এক টাওয়ার থেকে আরেক টাওয়ারে।

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০০

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!!!!!!!!

আলাদিন সিটি বানালে সেই সিটি নিয়ে আর একটা পোস্ট দিতে ভুলো না ভাইয়া!:)

বিশাল বিশাল টাওয়ার, ম্যাজিক কার্পেট সবই যেন ভুল না হয়।:)

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আচ্ছা ঠিকাছে। ঠিকাছে।

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৯

প্রামানিক বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পুরোটাই পড়লাম। দুবাই যেতে না পারলেও দুবাইয়ের স্বাদ পেলাম। ধন্যবাদ

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ, স্বাদে,বর্নে,গন্ধে অতুলনীয় এই দুবাই। প্রথমটাও(বাহরাইন পর্ব) পড়ে ফেলতে পারেন।

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

মো: শাহাদত হোসেন সাগোর বলেছেন: কবে যে যাবো?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বড়লোক শ্বশুর বিয়া করেন। বউ নিয়া হানিমুন যান।

১৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: আপনার লিখার হাত ( কম্পিউটারের কি-বোর্ড হতে পারে :P ) চমৎকার

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ বাকিবিল্লাহ। হ্যাঁ, কি বোর্ডই। আমার কম্পিউটার এর কি বোর্ডটা মোটেও চমৎকার না। কম দামী,পুরাতন আর প্রায় অচল এখন..... :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.