নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা . . .

পলক শাহরিয়ার

Life is too short to be wasted in finding Answers. Enjoy the Questions!

পলক শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকতালীয় (কাক ও তাল ঘটিত) ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৬



একদা একদিন একটি কাক তাল গাছের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটা পাকা তাল ধুপ্ করে মাটিতে পড়ে গেল। মানুষজন ভাবল ওই ব্যাটা কাকই বুঝি তালটা ফেলেছে। আসলে কাকের মত দুর্বল ছোট পাখির পক্ষে এত বড় আর শক্ত বোঁটার ফল নীচে ফেলা শুধু মুশকিলই নেহি না মুনকিন ভি হ্যায়। তালটা পেকে এমনিতেই পড়ে গেছে। কাক ও তালের কাহিনির এরূপ সম্পর্কহীন অথচ দৃশ্যত সম্পর্কযুক্ত ঘটনা থেকেই 'কাকতালীয়' নামের সূত্রপাত। পৃথিবীর হাজার বছরের ইতিহাসে কাকতালীয় ঘটনার শেষ নেই। আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন ও জন কেনেডির জন্ম-মৃত্যুর কাকতালীয় ঘটনা হয়তো আমরা অনেকেই জানি । এরকম বা এর চেয়েও অদ্ভূত কত যে রহস্যময় কাকতালীয় সত্য ঘটনা আছে যা হয়তো আপনার মনে হবে রটনা।

কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ১
১৮৩৫ সালে হ্যালির ধুমকেতু আবির্ভাবের দিন দুনিয়াতে এসেছিলেন মার্ক টোয়েন। ৭৬ বছর পর ঠিক যেদিন পরবর্তি ধুমকেতুর আবির্ভাব হয় ঠিক সেদিনই ১৯১০ সালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন এই হাসির রাজা। মজার ব্যাপার হলো মৃত্যুর এক বছর আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,আমি হ্যালির ধুমকেতুর সাথে এসেছি, আশা করছি পরের বছর ধুমকেতু আমাকে তার সাথেই নিয়ে যাবে। হ্যালির ধুমকেতু এই মহান লেখককে আশাহত করেনি!

কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ২
১৯৩০ সালে আমেরিকার ডেট্রয়েট অঙ্গরাজ্যে ২ বছরের এক শিশু তিন তলা বাড়ির জানালা দিয়ে পড়ে যায়। ঘটনাক্রমে মিঃ ফিগলক নামে এক ব্যক্তি বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পড়ন্ত বাচ্চাকে দেখে ফেলেন আর দক্ষতার সাথে ক্যাচ ধরে ফেলেন। আহা! পিচ্চিটা কত সৌভাগ্যবান ছিল! জগৎসেরা কেয়ারলেস মায়ের(অথবা বাবার) সেই শিশুটি ঠিক এক বছর পরে একই জানালা দিয়ে আবারও পড়ে যায়। এবং এবারও বেঁচে যায় পিচ্চিটা। কারন এবারও ঐ রাস্তায় হেটে যাচ্ছিলেন সেই মি. জন্টি ফিগলক রোডস্।

কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ৩
১৯৪৪ সাল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের নরম্যান্ডি অভিযানের জন্য মিত্রবাহিনীর শীর্ষনেতারা কয়েকটি শব্দ নিয়ে কিছু সিক্রেট কোড তৈরি করেন। গোপন শব্দগুলো ছিল নেপচুন ,ওভারলর্ড,ইউটাহ,মালবেরি ইত্যাদি। অভিযানের আগের দিন ডেইলি টেলিগ্রাফ এর শব্দজট বা ক্রসওয়ার্ড পাজল সমাধান করতে গিয়ে তো সেই সেনাকর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ! তারা দেখেন তাদের গোপন শব্দগুলো অদ্ভূতভাবে হুবহু মিলে গেছে সেই পাজলের উত্তরের সাথে। গুপ্তচর সন্দেহে ধরে রিমান্ডে নেয়া হলো বেচারা ধাঁধাপ্রণেতাকে। বেচারার ঘাম ছুটে গেল এটা প্রমাণ করতে যে শব্দগুলো তার মাথায় হঠাৎই এসেছিল।

কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ৪
১৯৫০ সাল। ভক্তি গীতির রিহার্সেলের জন্য গির্জায় উপস্থিত হবার কথা ১৫ জন গায়কের। অদ্ভূত ব্যাপার তাদের সবাই বিভিন্ন কারনে সঠিক সময়ে আসতে পারলেন না। কারো গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছিল না,কারো ইস্ত্রী করতে দেরি,একজনের আসার আগে ছোটবেলার বন্ধুর সাথে দেখা আবার হয়তো কারও বাচ্চা শিশি করে দিয়েছিল জামায়। ঠিক সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় সেখানে উপস্থিত হবার কথা ছিল তাদের। ভাগ্যিস আসেননি। ৭ টা ২৫ মিনিটে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধংসস্তুপে পরিণত হয় সেই গির্জা। সম্ভাব্যতার সূত্র দিয়ে এক গবেষক ঘটনাটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তার মতে একই সাথে একই যায়গায় যেতে ১৫ জন মানুষের সবার দেরি হবার মত ঘটনা প্রতি ১০ লক্ষ বারে ১ বার হবার সম্ভাবনা থাকে। এই সূত্র কাউকে খুশী করতে পারেনি তখন। এই ঘটনায় মহাপরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তার হাত আছে এমন বিশ্বাসই ছিল প্রায় সবারই।

কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ৫
আমেরিকার দুই জমজ শিশুর অদ্ভূত কাকতাল ঘটনা বোধহয় উপরের সব ঘটনাকেই ছাড়িয়ে যাবে। বাংলা সিনেমার কাহিনির মত জন্মের সময় সেই জমজ দুই ভাই একে অন্যের থেকে আলাদা হয়ে যায়। ভিন্ন পরিবারে বেড়ে ওঠে দুজন। তাদের বা দুই পরিবারের মধ্যে কোন ধরনের যোগাযোগই ছিল না। অথচ দুজনেরই নাম রাখা হয় জেমস। এখনই অবাক হয়ে গেলেন! থামেন! কাক তো কেবল উড়াল দিল। এখনও তালের কাছে পৌছানো বাকি। বড় হয়ে আইন পেশায় নাম লেখাল দুজনই। একসময় বিয়ে করল তারা। মজার ব্যাপার দু'জনের বউয়ের নাম একই, লিন্ডা। দুজনেরই দু'টি করে ছেলে হলো। মাশাল্লাহ, তাদের নামও এক। জেমস এলেন ও জেমস এলান। প্রায় একই সময় উভয়েরই ডিভোর্স হলো। আবার বিয়ে করলেন দু'জনেই। এখানেও মিল। দুজনের স্ত্রীর নামই বেটি(Betty)! সুবহানাল্লাহ!!! চল্লিশ বছর পর সেই দু'ভায়ের মিলন হয় এবং তারা নিজেদের অদ্ভূত কাকতালীয় ব্যাপারগুলো জানতে পারেন।
উপরের ঘটনাগুলো কি নিছকই কাকতালীয়? গনিতবিদরা এগুলোকে সম্ভাব্যতার সূত্র,পদার্থবিদরা সম্পর্ক-শৃঙ্খলা সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। সত্যিই কি এই সব কাকতালীয় ঘটনাকে কি সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব? সম্পর্ক-শৃঙ্খলা সূত্র বা সম্ভাব্যতার সূত্র সঠিক হবার সম্ভাবিলিটিই বা কতটুক? নাকি এসব অজানা কোন রহস্যময় শক্তির লীলাখেলা?

Source: Mysteries of the Unexplained
Reader Digest, January 1980
রহস্য পত্রিকা মার্চ ১৯৮৯

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫২

কালনী নদী বলেছেন: পাঠান্তে খোজে পেলাম পূরানো দিনের অভজ্ঞতা!

সেবা বই,
প্রিয় বই . . .
অবসরের সঙ্গি।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫২

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতা,স্মৃতি মানুষের অনেক প্রিয়।কিছু স্মৃতি মানুষ বুকের ভেতর যতন করে রাখতে চায় সবসময়।
ভাল থাকবেন সবসময়।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

কালনী নদী বলেছেন: কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ১
১৮৩৫ সালে হ্যালির ধুমকেতু আবির্ভাবের দিন দুনিয়াতে এসেছিলেন মার্ক টোয়েন। ৭৬ বছর পর ঠিক যেদিন পরবর্তি ধুমকেতুর আবির্ভাব ঠিক সেদিনই ১৯১০ সালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো মৃত্যুর এক বছর আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,আমি হ্যালির ধুমকেতুর সাথে এসেছি, আশা করছি পরের বছর ধুমকেতু আমাকে তার সাথেই নিয়ে যাবে। হ্যালির ধুমকেতু এই মহান লেখককে আশাহত করেনি।
আসলেই ব্যাপারগুলা অদ্ভুতভাবে কিভাবে যেন মিলে যায়।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যিই অদ্ভূত...ভাবায় রহস্যজালে বন্দি করে আমাদের মন।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:১১

কালনী নদী বলেছেন: ভাই রহস্যপত্রিকার মাসিক সংখাগুলা নিয়মীত সিলেট শহরে পাচ্ছি না। :(

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:০১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ঢাকায় এলে সেবা প্রকাশনী অথবা নীলক্ষেতে যোগাযোগ করতে পারেন পুরোনো সংখ্যাগুলোর জন্য।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:১২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাচ্চা কেচ ধরার ঘটনার নায়কের নাম আসলেই কি , মি. জন্টি ফিগলক রোডস্? নাকি ফিগলক, শুধু মজা করার জন্য জন্টি রোডস্ শব্দ দুটি লাগিয়েছেন?

পোষ্ট খুব ভালো লেগেছে। এমন গবেষণাধর্মী লেখা আরও পড়তে চাই সামুতে। শুভকামনা রইল।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:২১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন।মজা করার জন্য সর্বকালের সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডসের নাম মিঃ ফিগলক এর সাথে জুড়ে দিয়েছি। একই ব্যাক্তি উভয়ক্ষেত্রে একই শিশুকে ক্যাচ ধরেছেন।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অবিশ্বাস্য! অদ্ভুত! তালকাকীয়!

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হা হা তালকাকীয় ও বলতে পারেন। মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার মত ব্যাপার স্যাপার।

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

পুলহ বলেছেন: ২,৩,৪ বেশি জোস।
আপনার লেখা যথারীতি সাবলীল।
ভালো থাকা হোক।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ আমার কাছেও। ৫ নং টা একটু কেমন জানি লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪২

অশ্রুকারিগর বলেছেন: বাহ, কালকে ফেসবুকে পড়েছিলাম আর আজকে ব্লগে।

ওখানে যেটা বলা হয়নি এখানে বলে যাই 'সাথে দেওয়া ছবিটা পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে যায়না বলেই আমার মনে হয়েছে।'

বদলানো যায় কি ?

পোস্টে প্লাস দিয়ে গেলাম। আরো কিছু অজানা ব্যাপার নিয়ে লেখার আমন্ত্রণ রইলো।

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রুকারিগর। আপনি খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা, ফুলের পাপড়ি মেয়েটির কাকতালীয়ভাবে স্কার্ট হিসেবে মিলে গেছে।
এটা আমি গুগল থেকে কো-ইনসিডেন্ট ঘটনার ছবি হিসেবে সংগ্রহ করেছিলাম। অবশ্য এরচেয়ে অদ্ভূত কাকতালীয় ছবি ছিল হয়তো কিন্তু কি মনে করে এটাই পছন্দ হলো। আপনি একটা ছবি সাজেস্ট করতে পারেন।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৩

শায়মা বলেছেন: কাকতাল ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা ২
১৯৩০ সালে আমেরিকার ডেট্রয়েট অঙ্গরাজ্যে ২ বছরের এক শিশু তিন তলা বাড়ির জানালা দিয়ে পড়ে যায়। ঘটনাক্রমে মিঃ ফিগলক নামে এক ব্যক্তি বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পড়ন্ত বাচ্চাকে দেখে ফেলেন আর দক্ষতার সাথে ক্যাচ ধরে ফেলেন। আহা! পিচ্চিটা কত সৌভাগ্যবান ছিল! জগৎসেরা কেয়ারলেস মায়ের(অথবা বাবার) সেই শিশুটি ঠিক এক বছর পরে একই জানালা দিয়ে আবারও পড়ে যায়। এবং এবারও বেঁচে যায় পিচ্চিটা। কারন এবারও ঐ রাস্তায় হেটে যাচ্ছিলেন সেই মি. জন্টি ফিগলক রোডস্।


এটা কি করে সম্ভব ভাইয়া!!!!!!!!!

এটা কাকতালীয় না হয়ে অসম্ভব্তালীয় হওয়া উচিৎ!:)

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপু, এখন তোমার চক্ষু,কর্ণ,মস্তিষ্কের অবিশ্বাস কিভাবে যে ভাঙাই। আচ্ছা যাও। এই ঘটনা মোটেও কাকতালীয় না বরং মোর দ্যান কাকতালীয়। অসম্ভবতালীয়। :)

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

শায়মা বলেছেন: :P

মানতেই হবে .....

আগেই জানতাম......

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: না মেনে উপায় কি? নারীদের সাথে বাকযুদ্ধে জয়লাভ করা শুধু মুশকিলই নেহি না মুমকিন ভি হ্যায়। অর ইয়ে বাত ম্যায় আচ্ছি তারা সামাঝতা হু। ;)

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০২

শায়মা বলেছেন: :P

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিস্ময়ের শেষ নেই! তবে অবিশ্বাস্য হলেও এসব ঘটনাগুলো সত্য বলেই ইতিহাসে স্থান পেয়েছে মনে হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সত্যিই অবিশ্বাস্য! এবং অবিশ্বাস্য সত্য!! দুনিয়ায় আরো কত বিস্ময় এখনও জানিনা আমরা,ভবিষ্যতে হয়তো জানবো। আবার এমন অনেক প্রাচীন অবিশ্বাস্য আর রহস্যময় ব্যাপার স্যাপার হয়তো আছে যা ডকুমেন্টেড না থাকায় কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.