নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা . . .

পলক শাহরিয়ার

Life is too short to be wasted in finding Answers. Enjoy the Questions!

পলক শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম কাহিনিঃ বাঙালী ক্রেতা বনাম সুন্দরী থাই আম বিক্রেতা!

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৮

একটা স্কলারশিপ নিয়ে একবার থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। আমাদের ইউনিভার্সিটির খুব কাছেই ছিল তালাত থাই মার্কেট । এশিয়ার অন্যতম বড় সবজি,ফল ও ফুলের বাজার। আমের মৌসুমে আমের খোঁজে সেখানে গেলাম একদিন সহপাঠিরা দল বেধে। মার্কেটের বিক্রেতাদের প্রায় সবাই মেয়ে, বেশিরভাগই সুন্দরী তবে ইংরেজি জ্ঞানহীন মূর্খ মানবী একেকজন। তাই তাদের কাছে জানারও উপায় ছিলনা এত বড় বাজারে কোথায় আছে আম। তাই খোঁজ দ্যা সার্চ অভিযান চালাতে হলো নিজেদেরই। রীতিমত গরুখোজা শেষে অবশেষে আমরা পাইলাম, ইহাকে পাইলাম। তবে ইহাকে পাইলেও কিনিতে গিয়া বুঝিলাম যে এখানে বাঘের চোখ পাওয়া সম্ভব হইলেও আম কেনা সহজ হইবে না । জানা গেল পাইকারী বাজার বিধায় এখানে ২০ কেজির কম আম নেয়ার সুযোগ নাই। আম টক না মিষ্টি জানারও উপায় নাই। আমার দেশে না হয় কেটে খেয়ে দেখা যায়। যাই হোক নো রিস্ক নো গেইন। এসেছি যখন আম আজ কিনেই ছাড়ব। আম বিক্রেতা এক বুড়ি। তার কাছে থাই ছাড়া বাকি সব ভাষা হিব্রুভাষা সমতুল্য। যাহা বাংলা তাহাই ইংরেজি।
'কি আম?' হাসান জানতে চাইল শুদ্ধ বাংলায়?
জবাবে বিচিত্র কয়েকটা শব্দ শুনলাম। আমরা নিজেদের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম। আমাদের কাছেও থাইভাষা হিব্রু সমতুল্য।
আমি একটা আম ছুরি দিয়ে কেটে দিতে বললাম তাকে। মুরাদ নিজের আঙুল ছুরি বানিয়ে আমের উপর পোজ দিয়ে বোঝাতে চাইল ব্যাপারটা । এটা দেখে মুরাদের হাত থেকে বুড়ি আম নিয়ে নিলেন। হয়তো ভাবলেন আমরা কোথাকার কোন আবুলের দল যারা ছুরি দিয়ে কেটে খেতে হয় তাই জানেনা।হতাশ হয়ে আমি একটা আম নিয়ে চুষে খাবার ভঙ্গি করতে চাইলাম। পরে এই পদ্ধতি বাদ দিলাম। পিছনে আবার বুড়ির সুন্দরী নাতনী বই নিয়ে বসে আছে। ঈভটিজিং এর ফ্যাকড়ায় পড়লে মহাবিপদ হবে এখানে । সবে মাত্র আমরা তখন থাই ভাষায় 'খাপ কুন খা' অর্থাৎ 'আপনাকে ধন্যবাদ' এই একটা বাক্যই শিখেছিলাম। মাইর খেয়ে থাই ভাষায় তাদেরকে ধন্যবাদটাই শুধু বলতে পারব।
বুড়ি একটু পর নাতনিকে সামনে ডেকে আনল। এতে আমরা সবাই ব্যাপক খুশি হলাম। মেয়ে যেহেতু পড়াশোনা করে তখন তার একটু আধটু হলেও তো ইংরেজি জানার কথা। এহসান ভাব নিয়ে শুরু করল, 'হাউ সুইট!' আড়চোখে তাকালাম আমরা ওর দিকে। মেয়েটাকে বলল নাকি আম কেমন মিষ্টি জানতে চাইল বোঝা গেল না। হাসান প্রশ্নটা বাংলা ইংরেজির খিচুরি দিয়ে আরেকটু ক্লিয়ার করল, 'ম্যাংগো হাউ সুইট,মানে আম কি মিষ্টি?'
হা করে চেয়ে থাকলো অবুঝ তরুণী।
সুন্দরী বিক্রেতার আবির্ভাবে উদ্দিপনা উপচে পড়ছিল তরুণ বাঙালী ক্রেতাদের। হাত,পা মাথা,মুখ,জিহবা একসাথে ব্যবহার করে আমরা তরুণীকে জানানোর চেষ্টা করলাম আমাদের চাহিদা। আফসোস! আমাদের সব চেষ্টা ব্যথ'। তরুণী অবুঝই রয়ে গেল। আমাদের অসহায়ত্ব ততক্ষনে তরুনীর মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। আমাদেরকে বোঝার প্রাণপন চেষ্টা করছিল। একসময় মেয়ে ম্যাংগো,সুইট শব্দগুলো বুঝতে সক্ষম হলো । হতাশার অন্ধকার ভেদ করে এক চিলতে আশার আলো দৃশ্যমান হলো। হাজার হলেও পড়ুয়া মেয়ে। নানীর মত মূর্খ না।
মেয়েটা হঠাৎ দৌড়ে ক্যালকুলেটর আনতে ছুটল। আমাদের অঙ্ক শেখাবে নাকি! ২০ কেজি আমের দাম ঝুড়িতেই লেখা আছে। ২০ কেজি আমের দাম এত হলে ১ কেজি আমের দাম কত? সুন্দরী বিক্রেতার কাছে ঐকিক নিয়ম শিখে নিলাম।
অঙ্ক শেখা শেষে আমি জানার চেষ্টা করলাম, চিনির মত মিষ্টি হবে কিনা? 'আর দিজ ম্যাংগো লাইক স্যুগার?'
স্যুগার শব্দটা হয়তো বুঝল মেয়ে কিন্তু দোকানে আম ছাড়া যে সুগার টুগার কিছু বিক্রি হয় না জানিয়ে মাথা নাড়ল । বলল, 'নো সুগার হ্যাভ।'
শেষে মেনটস্ খেয়েই কিনা জানিনা মুরাদের দিমাগ কা বাত্তি জ্বলে গেল। আমাদের ইউনিভার্সিটির থাই প্রোগ্রাম অফিসার মিস ক্লুয়ামাইকে ফোন দিয়ে আমাদেরকে এহেন বিপদে সাহায্য চাইল। প্রব্লেম সল্ভড্। দোভাষীর দায়িত্ব নিয়ে আমাদের আম কিনে দিলেন তিনি। অন্যের সহযোগিতা নিয়ে আম কেনার সুকঠিন পরীক্ষায় পাশ করলাম। বাসায় এসেই আমের উপর ঝাপিয়ে পড়লাম সবাই মিলে। বিদেশি আম, না জানি কত রস তার!
প্রিয় পাঠক, আমগুলো কেমন ছিল জানতে চেয়ে বিব্রত করবেন না। যেমনই হোক আমগুলো কিনে আমরা কিন্তু মোটেও হতাশ হইনি সেদিন। আমগুলো যেমনই হোক তবু তা মিষ্টি মেয়ের আম! অনেক সাধের সে আম!!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভাষা না জানলে এমন বিব্রত আর মধুর সমস্যায়ই পড়তে হয়।। আমার হয়েছিল কাজীপেয়ারা কিনতে যেয়ে।। পেয়ারাও যে অতবড় হয়, ব্যাংককেই প্র্রথম দেখেছিলাম।।

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: থাইল্যান্ডে আমরাও প্রচুর পেয়ারা নিতাম। ফলমূলের দাম কমই ছিল। ব্যাংককে প্রচুর বিদেশি যায়। ওখানকার স্থানীয় লোকজন তাও একটু আধটু ইংলিশ জানে। আমাদের জায়গাটা ছিল ব্যাংক থেকে ৪০ কিমি দুরে।
তবে ব্যাংককেও ছোট মার্কেটের বা ফুটপাতের বেশিরভাগ সেলসপারসনদের পেটে বোমা মারলেও ইংলিশ বের হবে না।
হ্যাঁ মধুর সমস্যাই। এখন ভাবলে বেশ মজা পাই।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৭

ওমেরা বলেছেন: বিদেশ আসলে প্রথম প্রথম সবাইকে এরকম সমস্যায় পরতে হয় ।

০৩ রা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপনিও পড়েছিলেন নাকি এমন সমস্যায়? কোন দেশে?
বড়ই জটিল সমস্যা। কোন দেশে দীঘ'দিন থাকা প্রয়োজন হলে সে দেশের ভাষা যতদুর সম্ভব শিখে ফেলা ভাল।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: "মার্কেটের বিক্রেতাদের প্রায় সবাই মেয়ে, বেশিরভাগই সুন্দরী তবে ইংরেজি জ্ঞানহীন মূর্খ মানবী একেকজন।"

এদের মূর্খ না বলে অশিক্ষিত বলাটা উত্তম।

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সত্য ঘটনা রম্য রচনার মত করে লিখেছি, ভাই। ভাষা নিয়ে এত চিন্তা করে রম্যরচনা লেখা মুশকিল।
পড়া এবং সুচিন্তিত কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লাগল আপনার আম কাহিনি।

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল। ভাল থাকবেন নিরন্তর।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য স্কলারশীপ পেয়েছিলেন, মনে হয়!

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার এমনসব পিক্যুলিয়ার আর ইরেলেভ্যান্ট কমেন্ট অন্যদের কেমন লাগে জানি না,তবে আমার মজাই লাগে।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

জুন বলেছেন: পলক শাহরিয়ার আপনার আম কাহিনী পড়লাম । আমার যতদুর ধারনা আপনি এআইটি থেকে ঐ তালাত থাই বাজারে গিয়েছিলেন । যদি তাই হয় তবে ব্যংকক থেকে অতদুরে পাথুমথানিতে ইংরেজী জানা লোকের সংখ্যা কম হবারই কথা । তারা এক মুহূর্তের জন্য কখোনো কোন দেশের উপনিবেশ ছিলনা । এটা তাদের অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তাই নিজেদের ভাষায় যথেষ্ট শিক্ষিত থাইরা অন্য ভাষা খুব কমই জানে । তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকে থাই ছাড়া আর কোনো দ্বীতিয় ভাষা পড়ানো হয় না । এটাও একটা কারন । পাশের দেশ ক্যম্পুচিয়া ফ্রান্সের কলোনী ছিল । তাদের ফেরীওয়ালারাও খুব ভালো ফ্রেন্চ বলে । যেমন বার্মা সহ একদা আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশের লোকজন
একবার এআইটিসিসি থেকে সুবর্নভুমি যাবার পথে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার ভালোই ইংরাজি বলছিল । তাকে বলেছিলাম থাইরা ইংরাজিতে এত কাচা কেন ? তার উত্তর " তোমরা থাই শিখোনা কেন ? তোমরাতো এখানে এসেছো , আমরাতো তোমাদের দেশে যাইনি ,আমরা যখন ইংরেজদের দেশে যাবো তখন ইংরেজি শিখবো "। আমরা চুপ হয়ে গেলাম ।
অবশ্য ইদানীং পিএম প্রায়ুথ চান ওচা তাদের ইংরাজী শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে ।
আপনি গুগুল ট্রান্সেলেটের সাহায্য নিতে পারতেন ভাই পলক ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ,ঠিক ধরেছেন। থাইল্যান্ডের এআইটিতে অনেক বাংলাদেশি যায় পড়তে।
আর হ্যাঁ থাইল্যান্ডের লোকজন নিজেদের মত থাকতে ভালবাসে। তবে তারা ইদানিং মনে হয় পাশ্চাত্যকে অনেক কিছুতেই কপি করছে তারা। ট্যুরিস্ট এরিয়াগুলোতে অনেকেই ইংরেজি জানে। পাথুমথানি ব্যাংকক থেকে বেশ দুরে। ইংরেজির প্রচলন নাই বললেই চলে।
আপনি কি এখনও ওদিকেই থাকেন নাকি,আপু। আমাদের এআইটিতে এক বাংলাদেশি প্রফেসর ছিলেন। তিনি বলতেন, থাইল্যান্ডের মত কোথাও থেকে এত মজা নাই। এখানে পাশ্চাত্যের ফ্লেভার যেমন আছে তেমনি আছে আমাদের দেশের বিশেষ সুবিধাগুলোও যা ইউরোপ আমেরিকাতে নাই। আবার এখানকার মানুষজন গড়পড়তা অনেক ভাল। নিজের দেশের প্রতি ভীষন শ্রদ্ধাশীল। এদের এশিয়ান ফ্লেভারড কালচার অনেকটাই আমাদের মত।
থাইল্যান্ডে এক বছর থাকার বেশ অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে,দারুন সব অভিজ্ঞতা। সময় করে লিখে ফেলার ইচ্ছা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার হেল্প চাইব।
চার বছর আগের কথা। মোবাইলে ইন্টার নেট তখন বোধহয় এখনকার মত সহজলভ্য ছিলনা। আমাদের ডর্মে ্ওয়াইফাই ছিল। খরচের চিন্তা করে আমরা ডর্মের বাইরে কখনো নেট ইউজ করিনি। তাছাড়া এই গল্পটা থাইল্যান্ডে গিয়ে শুরুর দিককার। পরের দিকে কেনাকাটার কাজ চালানোর মত কিছু শব্দ/বাক্য আর টেকনিক শিখে নিয়েছিলাম। শুরুর দিকে অসহায় ছিলাম অনেকটা। অনেককিছুই চিনতাম না,জানতাম না।
এই পোস্টে আপনার কমেন্ট না পেলে মোটেও তা পূর্ণ হতো না। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা,আপু।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: থাইল্যান্ডের বাজারে আপনার আম কেনার কাহিনী পড়ে মজা পেলাম।


ধন্যবাদ ভাই পলক শাহরিয়ার।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: এরকম অসংখ্যবার এমন পরিস্থিতিতে পরেছি। প্রত্যন্ত কিছু জায়গাতেও গিয়েছি যেখানে মানুষজন বিন্দুমাত্র ইংরেজি জানে না।শুধু হা করে চেয়ে থাকে। উপরে জুন আপু বলেছেন এর কারণ।
ভাল থাকবেন।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অনন্য আম কাহিনী!

থ্যাঙ্কস ব্রাদার।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আপনাকে। আম কাহিনি ভাললাগায় আনন্দিত আমি। এরকম অসংখ্যবার এমন পরিস্থিতিতে পরেছি। থাইল্যান্ডের অনেক মজার ঘটনাই আছে। সময় করে হয়তো লিখব।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়ে মজা পেলাম।
সব দেশের মানুষের একটু ইংলিশ জানা দরকার।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ আপু, একটু তো জানাই দরকার। থাইরা কখনই কারো (ইংরেজ,পর্তুগীজ) উপনিবেশ ছিলনা বিধায় অন্য ভাষার প্রয়োজন একটু দেরিতে বুঝেছে। ট্যুরিস্ট এরিয়ার লোকজনই যা একটু ইংরেজি জানে।
আপনার ভাললাগা কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করলাম।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া

আমকাহিনী পড়ে হাসতে হাসতে মরলাম ! :P

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সর্বনাশ! আপু তুমি মরলে সামুর কি হবে? তুমি যে ব্লগের প্রাণ।
সামুর ল্যাঙ্গুয়েজে হাসতে হাসতে মরে গেলাম, এটা কি হবে। হাহামগে!?
সামুর স্বর্ণযুগের এই ভাষাগুলো প্রাগৈতিহাসিক হয়ে গেছে,তাইনা?

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১০

অপ্‌সরা বলেছেন: হুম জীবন পরিবর্তনশীল আর ভাষারাও !!!!!!

মানুষগুলোও বদলে গেছে ভাষারা কি না বদলে পারে !!!!!!!!!

না না আমি অত সহজে মরছি না!!!!!!!!!!

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৯

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: কঠিন কথাবার্তা!!!
যাই হোক মানুষগুলো সত্যিই বদলে গেছে। সেই বদলানো মানুষগুলো ব্লগটাকেও বদলে দিয়ে গেছে। অচেনা করে দিয়ে গেছে।
রোজাদার মানুষ, দোয়া করে গেলাম, ১০০ বছর বাঁচো! আনন্দে, সুস্থতা নিয়ে মন ও শরীরের!

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: প্রায় এক বছর পর পোস্ট দিলেন!!!!

লিখুন না এমন মজার কথা নিয়মিত।

শুভকামনা রইল।

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। বেজায় আলসেমিতে ধরেছে আমাকে। খুব ইচ্ছে হয় নিয়মিত হই।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

শায়মা বলেছেন: হা হা ১০০ বছর বাঁচবো??

তাহলেই হয়েছে। :P

বাংলাদেশের আম খাচ্ছো না এখন ভাইয়া? সেটা নিয়েও লেখো কিছুমিছু।

১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: সমস্যা কি? তোমার আবালবৃদ্ধবনিতা কত ভক্ত অনুরাগী,শিশুদের দল তো আছেই। তাদের ভালবাসা নিয়ে দিব্যি কেটে যাবে ১০০ বছর!
জ্বি আপুমনি, বাংলাদেশের আমও বেশ খাচ্ছি। আমার বাড়ি কিন্তু রাজশাহীতেই। সুতরাং আম নিয়ে তো গল্প আছেই। আচ্ছা যাও রাজশাহীর আম নিয়ে কিছুমিছু লিখে দিবোনে।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

শায়মা বলেছেন: রাজশাহীর আম আমাদের বাসাতেও এসেছে!

তবে আবাল বৃদ্ধ বনিতার মাঝে কিছু কিছু কেমন কেমন অন্যরকম দেখা যাচ্ছে ইদানিং তাই মরিতে চাহি আমি এই অসুন্দর ভূবনে ! :(
:P


১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: বৃদ্ধবনিতা-তে সমস্যা থাকার কথা না, 'আবালদের' নিয়েই যত সমস্যা। "কিছু কিছু কেমন কেমন অন্যরকম" এইসব আবালদের ইগনোর কর? যদিও সবসময় ইগনোর করা যায় না, করা উচিৎও নয়। তবুও আমাদের এটা মনে রাখা দরকার এইসব আবাল,মূর্খদের সাথে ঝামেলায় জড়ালে নিজেকে তাদের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয় অনেকসময়।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

শায়মা বলেছেন: :P
কমেন্ট রিপলাই পড়ে হাসবো নাকি ভাবছি!

অনেক হাসি পাচ্ছে ভাইয়া!!!!!


মনের কথাটা বলে দেবার জন্য অনেক অনেক থ্যাংকস!
আমাদের রাজশাহীর আম এসেছে লিচুও। ছবি তুলে দেখাবো ভাবছিলাম :)

১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: রসালো ফলে রসালো একটা পোস্ট হয়ে যাক। গোটা একটা পোস্ট না দিলেও আমার কমেন্ট বক্সেই ছবিগুলো দাও, দেখি।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

আমি ইহতিব বলেছেন: আম কাহিনী পড়ে মজা পেলাম।
আমাদের অফিস থেকে আগে প্রতি বছরে দেশের বাইরে ট্যুর হত, বার্ষিক পিকনিক আর কি। তখন পিকনিক কমিটির একজন কিছু কমন কথা যে দেশে আমরা যাবো সেই দেশের ভাষার অনুবাদ সহ মেইলে পাঠিয়ে রাখতেন। এটা খুব উপকারী ছিলো। নেক্সট টাইম ইংরেজি কম জানে এমন কোন দেশে গেলে এটা ভেবে দেখতে পারেন।

১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: হা এ্ই বুদ্ধি পরে কাজে লেগেছিল। এটা বিদেশে থাকার শুরুর দিককার কথা। তখন ঠেকে ঠেকে শিখেছি। তবে এইসব অভিজ্ঞতা জীবনের অমুল্য স্মৃতি।
তবে আপনার এমন শটকাট বুদ্ধি এপ্লাই করতে গিয়ে হাস্যকর সব ঘটনাও ঘটত।পরে কখনও হয়তো বলা যাবে তা।
বেশ মজার অফিস তো আপনার, আপু। প্রতিবছর দেশের বাইরে পিকনিকে যান।

১৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

আমি ইহতিব বলেছেন: এখন আর মজা নেই ভাই, দু'একবার ট্যুর অপারেটরের কাছে ধরা খেয়ে এখন আর দেশের বাইরে পিকনিক এ্যারেন্জ করার কথা ভাবেনা অফিস :(

আপনার আরো মজার মজার অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫১

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আহারে! কি আর করা! নিজেরাই অ্যারেঞ্জ করে চালিয়ে যান আনন্দ আয়োজন অথবা অন্য কোন দায়িত্বশীল অপারেটরকে বলুন।সবাই তো একরকম না।
পাঠকের অপেক্ষায় থাকা লেখকের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবে মাত্র আমরা তখন থাই ভাষায় 'খাপ কুন খা' অর্থাৎ 'আপনাকে ধন্যবাদ' এই একটা বাক্যই শিখেছিলাম। মাইর খেয়ে থাই ভাষায় তাদেরকে ধন্যবাদটাই শুধু বলতে পারব। =p~

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: খাপ কুন খাপ।
"সাওয়াই দি রু খাপ ? (কেমন আছেন)

নোট: খাপ কুন খাপ (পুরুষের ক্ষেত্রে), মেয়েদের ক্ষেত্রে 'খাপ কুন খা'

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনি তো রম্যও লিখতে পারেন চমৎকার দেখছি। রম্যের আদলে লেখা এ পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
১৯৮৬ সালে আমার জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয়েছিল থাইল্যাণ্ড দেশটি দিয়ে। এর পর থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আরও বহুবার গিয়েছি, কিন্তু থাইল্যাণ্ডের প্রতি আমার ভালবাসা একটুও কমে নি। প্রতিবারই দেশটির নিত্য নতুন সৌন্দর্য চোখ ও মন, দুটোই কেড়ে নিয়েছে।
পোস্টে পঞ্চম ভাললাগা। + +

২০| ১৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:৫০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। কেমন আছেন?
ব্লগে কম আসা হয় তাই চেনাজানা ব্লগারদের খোঁজখবর নিতে পারিনা।
আমার বিদেশ যাত্রাও থাইল্যান্ড দিয়েই। পরে আরোও অনেক দেশে যাওয়া হয়েছে তবে সবচেয়ে বেশি থাকা হয়েছে এখানেই। তাই এই দেশটি নিয়ে দুর্বলতাও বেশি। সবমিলিয়ে দারুণ একটা দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.