নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

CN Tower -এর দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫


২৪ জুলাই, ২০১৪
কথায় বলে, 'মক্কার মানুষ হজ্জ্ব পায়না।" আমার দশাও হয়েছে অনেকটা সেই রকম। আমার বাসার কাছেই হাঁটা পথেই পড়ে CN Tower . অথচ কানাডার টরন্টো শহরে আসার পর পৃথিবীখ্যাত এই CN Tower -এই যাওয়া হলোনা। এই দু:খ রাখি কোথায়?

তাই ঠিক করলাম, যত ব্যস্ততাই থাকুক, CN Tower -টা ঘুরে আসতেই হবে। কোথাও ঘুরতে যাবার আগে অবশ্য আমি আমার প্রিয় এক বড়ভাই, যার নাম 'মামুন ভাই', তাঁর থেকে পরামর্শ এবং তথ্য নিয়ে যাই ওই জায়গাটা সম্পর্কে। এবারও তার ব্যতিক্রম হলোনা। মামুন ভাই জানালেন, ডাউনটাউনের ইউনিয়ন সাবওয়ে স্টেশনে নেমে মিনিট দশেক হাঁটলেই ফ্রন্ট স্ট্রিট-এর ওপরেই Tower. আর ওখানটায় যাবার সবচাইতে ভালো সময় হলো বিকাল বা সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে। তাহলে সূর্য্যাস্তটা উপভোগ করা যাবে সুন্দরভাবে।

খুব কাছ থেকে তোলা CN Tower-এর ছবি


যাবার সময় দেখি টরন্টো ঘুরে দেখার জন্যে এই টুরিস্টবাসগুলোতে টুরিস্টদের সমাগম

যাবার পথে আইসক্রিমের গাড়ি থেকে আইসক্রিম কিনে নিলাম

CN Tower-এর খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি

ওই গেইট দিয়ে ঢুকে পড়বো

CN Tower -এ ওঠার জন্যে আরও কিছুদূর যেতে হবে

টিকিট কাউন্টার

এই স্ক্যানার মেশিন দিয়ে সবাইকে চেক করে তারপর CN Tower -এ ঢোকানো হয়

এটা গিফ্ট শপ

এসকেলেটর দিয়ে CN Tower-এর উপরে উঠে গিয়েছি

CN Tower-এর ওপর থেকে দেখা টরন্টো শহর

CN Tower-এর ভেতরে

ছবির বাম দিকে 'বিলি বিশপ' এয়ারপোর্ট দেখা যাচ্ছে। আর নীল পানিটা কিন্তু লেক ওন্টারিও!

CN Tower-এর ওপর থেকে দেখা টরন্টো শহর

CN Tower-এর ওপর থেকে দেখা টরন্টো শহর

CN Tower-এর ভেতরে

CN Tower-এর ভেতরে

এইখানে এ্যাত ভীড় কেন জানেন? সবাই গ্লাস ফ্লোরের উপরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, এজন্যে।

গ্লাস ফ্লোরের উপরে

এই বালিকারা গ্লাস ফ্লোরের উপরে শুয়ে ছবি তুলছে

গ্লাস ফ্লোরের উপরে

গ্লাস ফ্লোরের উপরে

CN Tower-এর ভেতরে

CN Tower-এর ভেতরে দেওয়ালের গায়ে এর ইতিহাস লেখা আছে

স্কাইপড-এ যাবার পথ

CN Tower-এর ভেতরে ঢোকার সময় আপনি চাইলে CN Tower ব্যাকগ্রাউণ্ডে রেখে ছবি তুলতে পারেন। টাওয়ার ভ্রমণ শেষ হলে যখন আবার এসকেলেটর দিয়ে নিচে নামবেন, তখন সেই ফটো আপনি এই দোকান থেকে ডলারের বিনিময়ে সংগ্রহ করতে পারেন।

এক নজরে CN Tower সম্পর্কিত কিছু তথ্য:
১. CN Tower-এর ওপর থেকে টরন্টো শহর এবং লেক ওন্টারিওর ১৬০ কি.মি. পর্যন্ত চমৎকার দৃশ্য দেখা যায়।
২. ১৯৭৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ার হিসেবে পরিচিত ছিল।
৩. ১৯৭৩ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯৭৬ সালে।
৪. পহেলা অক্টোবর, ১৯৭৬ সালে এটি দর্শকদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
৫. এন্টেনার উচ্চতা 1,815.4 ft, ছাদের উচ্চতা 1,500.0 ft এবং সর্বোচ্চ ফ্লোরের উচ্চতা 1,464.9 ft.
৬. পৃথিবীর প্রথম গ্লাস ফ্লোর CN Tower-এ উন্মুক্ত করা হয় যা ১১২২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। এই গ্লাস ফ্লোর ১৪ টি জলহস্তির সমান ওজন বহন করতে সক্ষম।

৭. ২০১১ সালে ভুমি থেকে ১১৬৮ ফুট উচ্চতায় 'এজ ওয়াক' এর ব্যবস্থা করা হয় CN Tower-এ।

৮. আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সগণ ১৯৯৫ সালে CN Tower-কে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
৯. তখনকার সময়ে CN Tower বানাতে ৬৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়েছিল। (বর্তমানে সেটি ২৪৯ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার)।


CN Tower ভ্রমণ শেষে বাইরে বের হয়ে তোলা ছবি

বাসায় যাবার সময় হয়ে এলো

ওই যে দেখেন, স্পাইডার ম্যান!

ডাউন টাউন টরন্টো

ডাউন টাউন টরন্টো

রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমাণ খাবার গাড়ি থেকে বার্গার আর কোক কিনে খেতে খেতে রওনা দিলাম বাসার পথে।

তথ্যসূত্র: CN Tower -এর ভেতরের তথ্যচিত্র এবং উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: অসাধারণ

ভালই অভিজ্ঞতা হল আপনার।

তা, রান্নাবারা শিখেছেন কেমন? :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

পয়গম্বর বলেছেন: আমি কিন্তু এখন একজন পাকা রাঁধুনি B-)

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

মাহবু১৫৪ বলেছেন: সাবাস ভাই! এটাই তো চাই।

প্রথম প্রথম একটু প্রব্লেম হবে, পরে এসব কোন ব্যপার না। B-)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

পয়গম্বর বলেছেন: ইদানিং নতুন নতুন ডিশ, নতুন খাবার রান্না করাটা যেন একটা নেশায় পরিণত হয়েছে :#)

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই :D

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার সব ছবি নিয়ে অপুর্ব পোস্ট!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট :)

ভালো থাকবেন :)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: অসাধারণ , চমৎকার সব ছবি ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫২

পয়গম্বর বলেছেন:

CN Tower -এর ভেতরের '360 ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট' -এ খেতে বসার সবচাইতে বড় আনন্দ হলো, এখানে ভূমি থেকে ১১৫১ ফুট উচ্চতায় বসে আপনি খাওয়ার সাথে সাথে টরন্টো শহরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

তূর্য হাসান বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

ভিটামিন সি বলেছেন: সিএন টাওয়ার তো দেখেই ফেল্লাম। আরো দেখলাম কানাডাতেও হাফপ্যান্ট পরা মেয়ে, আমাদের এখানেও হাফপ্যান্ট পরা মেয়ে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

পয়গম্বর বলেছেন: আমার আবার হাইট ফোবিয়া আছে। এত উঁচুতে উঠে মাথা এমনিতেই চক্কর দিচ্ছিল :(

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । আপনার সাথে সাথে আমাদেরও সি এন টাওয়ার দেখা হয়ে গেল ।

৭. ২০১১ সালে ভুমি থেকে ১১৬৮ ফুট উচ্চতায় 'এজ ওয়াক' এর ব্যবস্থা করা হয় CN Tower-এ।

'এজ ওয়াক' কি ?

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

পয়গম্বর বলেছেন: CN Tower -এর ছাদে হেঁটে বেড়ানোকে খুব সংক্ষেপে Edge Walk বলা যায়। সেক্ষেত্রে যিনি Edge Walk করবেন, তার কটিদেশের সাথে একটি শক্ত বেল্ট দিয়ে CN Tower -এর ছাদের সাথে আটকানো থাকে। Edge Walk করতে হলে যথেষ্ট মানসিক শক্তির প্রয়োজন।

দেড়ঘন্টার এই অভিজ্ঞতায় ২০-৩০ মিনিট ছাদের বাইরে ইন্সট্রাকটরের সাথে কোমরে বেল্ট লাগিয়ে হাত ছেড়ে হাঁটার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে Edge Walk এর জন্যে আগে থেকে বুকিং দিতে হয় এবং এ জন্যে ১৭৫ কানাডিয়ান ডলার+ ১৩% ট্যাক্স খরচ হয়।

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগলো ভ্রমন ব্লগ । :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৫

পয়গম্বর বলেছেন: কলমের কালি শেষ ভাইকে ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আমার তো দেখেই ভয় লাগছে, যদি সিএন টাওয়ারে কখন যাইও গ্লাস ফ্লোরের উপরে দাঁড়াতে আমার সাহস কখনই হবে না :P



দারুন পোষ্ট +++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

পয়গম্বর বলেছেন: শুরুতে গ্লাস ফ্লোরের উপর দাঁড়াতে আমারও ভয় লাগছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ভয়টা কেটে গেল। আমিনুর রহমানকে ধন্যবাদ ব্লগে সাথে থাকার জন্যে। :)

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০১

ধানের চাষী বলেছেন: ছবিগুলো দেখে পুরো টাওয়ারই ভ্রমণ করলাম B-)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: এসকেলেটরে যখন টাওয়ারের ওপরে উঠছিলাম, তখনকার ছবি দিতে পারলামনা। কারণ, ওঠার ওই সময়টা সাংঘাতিক ভয় পেয়েছিলাম :( তবে ওঠা এবং নামা - এই দুই সময়-ই দর্শকদের প্রচণ্ড ভীড় এবং এসকেলেটরের সামনে দীর্ঘ লাইন থাকে।

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: এভাবে লোভ দেখানের কোন মানে হয় !!!!!!!.... X( X( X( X( X( X(

নাহ্ এবার দেখি যেতেই হবে...... আসছি... রেডি থাকেন সি এন টাওয়ারে যাবো ইনশাল্লাহ্ ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০২

পয়গম্বর বলেছেন: এখনতো খুব বলছেন, ঘুরতে যাবেন। আসেন আগে, তারপর দেখা যাবে। :P কাজ, ব্যস্ততা -এসব কারণে সোহানীকে তখন আর খুঁজেই পাওয়া যাবেনা। :P

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার।

হিংসা জাগছে খুব :) কিন্তু অনেক ধন্যবাদ এই দারুন পোস্টের জন্য।

এরকম আরো পোস্ট চাইছি আপনার কাছে।।

গ্লাস ফ্লোরের ছবি দেখে ভয় করছিল না জানি ভেঙে পড়ে, এমন যেন আমি নিজেই উঠছি :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২২

পয়গম্বর বলেছেন: বেশ কিছু ভ্রমণ পোস্ট ড্রাফট করা আছে যেগুলো আশাকরছি খুব শীঘ্রই পোস্ট করতে পারবো। আপনাকেও ধন্যবাদ ব্লগে সাথে থাকার জন্যে। :)

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৫

টুম্পা মনি বলেছেন: বাহ সুন্দর!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২২

পয়গম্বর বলেছেন: টুম্পা মনি কে ধন্যবাদ।

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

পেজা তুলো বলেছেন: 'এজ ওয়াক' ব্যাপারটা তো বেশ আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে !!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

পয়গম্বর বলেছেন: এজ ওয়াক বিষয়টি আমার কাছে ভয়ঙ্কর বলেই মনে হয়েছে। অন্ত:ত আমার দ্বারা এই এজ ওয়াক কোনদিন সম্ভব নয়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.