নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি কানাডা\'র নতুন অভিবাসী হয়ে আসছেন? তাহলে এ লেখাটি আপনারই জন্যে - পর্ব ৭

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৫


কানাডা'র নতুন বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের জন্য তথ্যমূলক ধারাবাহিক লেখার এই পর্বে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি। বিগত পাঁচটি পর্ব প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকে ই-মেইলে আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন।
পর্ব ১ , পর্ব ২ , পর্ব ৩ , পর্ব ৪ , পর্ব ৫
পর্ব ৬
ব্যাক্তিপর্যায়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিনা বলে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু যারা প্রশ্ন করেছেন এবং করছেন, তাদের সেই সব 'Uncensored' প্রশ্নগুলো হুবহু তুলে দিয়ে সেগুলোর সম্ভাব্য উত্তর নিয়েই আজকের আয়োজন। প্রসঙ্গত: আবারও জানিয়ে রাখছি, প্রশ্নসমূহের উত্তরগুলো একান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত মাত্র। কানাডার নতুন ইমিগ্র্যান্ট বিষয়ক কারও যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে ব্লগের এই প্ল্যাটফরমে সেটি ব্যাক্ত করার অনুরোধ রইলো। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করবো সঠিক উত্তরটি রেফারেন্সসহ দেবার। পর্ব ৬ এবং পর্ব ৭ - এই দু'টি পর্ব নিয়মিত আপডেট করার ইচ্ছে রয়েছে। চলুন তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করা যাক:

প্রশ্ন ১: সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার কোন নাম রেজিস্ট্রেশন করা নেই বিধায় আপনার ব্লগে কোন প্রশ্ন/ কমেন্ট করতে পারছিনা। আপনার সাথে যোগাযোগের উপায় কি?
উত্তর: [email protected] এই ঠিকানায় আপনার প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দিন। আর উত্তরের জন্যে সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার পাতায় চোখ রাখুন। অথবা ফেসবুক পেইজেও আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন Facebook page: Click This Link Email: [email protected]

ব্লগে রেজিস্ট্রেশন এবং কমেন্ট বিষয়ক প্রশ্নের জন্যে সম্মানিত মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সময়াভাবে যদি আপনার ইমেইল-এর উত্তর না দিতে পারি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

প্রশ্ন ২: আমি সম্প্রতি স্বপরিবারে কানাডার ইমিগ্রেশন ভিসা পেয়েছি। টরন্টোতে আমার কোন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু নেই যাদের মাধ্যমে আমি বাসাভাড়া অথবা এয়ারপোর্ট পিক-আপ বিষয়ে সাহায্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আপনার সাজেশন কি?
উত্তর:
১. যেভাবেই হোক, কোন না কোন পরিচিত মানুষ খুঁজে বের করুন যিনি আপনাকে শুরুতে বাসা ভাড়া না করে দিক, অন্তত: মাসখানেক থাকার জায়গা যেন করে দেন। নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে টরন্টোর পরিচিত মানুষের সাহায্য ছাড়া শুরুর দিনগুলো আসলেই কঠিন।
২. টরন্টো থেকে প্রতিসপ্তাহে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বাড়িভাড়ার অ্যাডভারটাইজমেন্ট থাকে।
৩. kijiji.ca হাউজ অথবা রুম রেন্টাল-এর জন্যে ভালো একটি ওয়েবসাইট
৪. এয়ারপোর্ট পিক-আপ ট্যাক্সি-এর জন্যে টরন্টোর পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।

প্রশ্ন ৩: World Education Services এর মাধ্যমে আমি নিজের শিক্ষাগত কাগজপত্র Varify করিয়েছি। আমার Spouse-এর গুলোও কি করাবো?
উত্তর: করিয়ে আনাটাই ভালো। বিশেষ করে ভবিষ্যতে কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এখন World Education Services -এর দ্বারা পরীক্ষিত কাগজ প্রদান করতে বলে।
আপডেট: আমার সাজেশন হবে, যদি আপনার কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন ভিসা হয়ে থাকে এবং অদূরভবিষ্যতেই আপনি কানাডায় চলে আসবেন, তাহলে World Education Services থেকে কাগজ প্রসেসের ঝামেলায় না গিয়ে কানাডায় আসার পর ICAS এর মাধ্যমে কাগজ প্রসেস করুন। আর যদি বাংলাদেশে বসেই আপনার উচ্চশিক্ষার জন্যে কাগজ প্রসেস করতে হয়, সেক্ষেত্রে World Education Services থেকে তা করুন।

প্রশ্ন ৪: আমার বাচ্চার চাইল্ড ইমিউনাইজেশন কার্ড/ ভ্যাক্সিনেশন কার্ড বাংলায় লেখা, সেটি ইংরেজি ভার্সন কিভাবে যোগাড় করবো?
উত্তর:
১. যেখান থেকে বাচ্চাকে ভ্যাক্সিন দিয়েছেন সেখানে যোগাযোগ করুন।
২. মহাখালীতে EPI ভবন থেকে Blank Immunization Card যোগাড় করে সেটিতে নিজ দায়িত্বে ইংরেজিতে লিখে নিন।
৩. বাংলায় লেখা ভ্যাক্সিনেশন কার্ডও টরন্টো নিয়ে আসতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবেনা, কারণ বাংলাদেশ থেকে বাংলাভাষায় নিয়ে আসা ভ্যাক্সিনেশন কার্ডের তথ্যবলি আপনি টরন্টোর স্কুল থেকে দেওয়া ফরমে প্রদান করলেই কাজ হবে।

প্রশ্ন ৫: টরন্টোতে বাচ্চাদের ডে'কেয়ার সেন্টার বিষয়ে বলবেন কি?
উত্তর:
১. কর্মজীবি বাবা-মা'রা তাদের ছোটা বাচ্চাদেরকে ডে'কেয়ার সেন্টারে রাখতে পারবে
১.১ টরন্টোতে ডে-কেয়ার বেশ ব্যয়বহুল। সুতরাং 'সাবসিডি' বা খরচ যেন কম হয় এমন ব্যবস্থার ডে-কেয়ারের জন্যে চেষ্টা করতে হবে।
২. কমখরচে অর্থাৎ সাবসিডি ডে'কেয়ার পেতে হলে কত খরচ হতে পারে সেটি জানতে হলে 'সিটি অব টরন্টো'র ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন
৩. আপনার বাচ্চা সাবসিডি ডে'কেয়ার পাবে যদি:
- আপনি এবং আপনার Spouse কম আয়ের মানুষ হন (বাৎসরিক ট্যাক্সেবল আয় ৩০ হাজার ডলারের কম)
- আপনি এবং আপনার Spouse দু'জনেই ট্যাক্সেবল কর্মজীবি/ স্টুডেন্ট হন
৪. আপনার বাসার কাছাকাছি সাবসিডি ডে'কেয়ার পাবার জন্যে সিটি অব টরন্টোর ওয়েবসাইটে খোঁজ নিন

প্রশ্ন ৬: আমি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। টরন্টোতে হালাল মাংসের দোকান এবং মসজিদ কাছাকাছি পাবো কি?
উত্তর: আপনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হলে জেনে রাখুন কানাডাতেই আপনি আপনার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারবেন। মসজিদের লিস্ট জানতে হলে এই লিংক-এ ক্লিক করুন । হালাল মাংসের দোকান এবং মসজিদ আপনি যে এলাকায় থাকবেন, সেখানেও খোঁজ নিতে পারেন। বাংলাদেশি, পাকিস্থানী গ্রোসারী স্টোরগুলোতে হালাল মাংস (মুরগী, গরু ইত্যাদি) পাওয়া যায়। 'ফ্রেশকো'-তেও হালাল মাংস পাবেন, তবে দাম হয়তো একটু বেশি।

যেহেতু টরন্টোতে পর্ক (শূকরের মাংস) সবজায়গায় পাওয়া যায়, তাই কোনপ্রকার মাংস কেনার আগে জেনে নিন সেই মাংস হালাল কিনা। কোন মাংসে যদি বেকন ক্রাম্বল, বেকন স্ট্রিপস, পেপেরনি, হ্যাম, সসেজ, সালামি ইত্যাদি লেখা থাকে, তাহলে সেটি পর্ক হবার সম্ভাবনা বেশি। আবার অনেক আইসক্রিমে 'পর্ক' -এর তেল থাকে। কাজেই আইসক্রিম কেনার আগেও সতর্ক থাকুন।

আপডেট:
স্কারবরো এলাকায় কম খরচে ভালো মানের হালাল মাংস এবং গ্রোসারীর জন্যে গ্রেট ফুড তুলনাহীন। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ২৪ নম্বর বাসে Valdane Drive -এ নেমে পড়ুন। এখানেই গ্রেট ফুডের সন্ধান পাবেন।

প্রশ্ন ৭: আমি সপরিবারে এপ্রিলের মাঝামাঝি টরন্টো আসবো আশা করি। ডলার কেনা কি এখনই শুরু করে দেবো?
উত্তর:
অবশ্যই। জানুয়ারি/ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ এর তথ্য অনুযায়ী কানাডিয়ান ডলারের অনেক কম দামে কিনতে পারবেন (৬৬ টাকা = ১ কানাডিয়ান ডলার, যেটা একটা সময় ৮৬/৮৭ টাকা পর্যন্ত ছিল)। সুতরাং দাম কম থাকতে থাকতেই ডলার কিনে ফেলুন।

কানাডিয়ান ডলারের প্লাস্টিক নোট সাধারণত জাল হয়না। কাজেই ১০০ ডলারের নোট-ই যে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে এমনটি নয়; যদি কম দামে ৫০, ২০, ১০, ৫ ডলারের নোট পান, সেগুলোও কিনে নিতে পারেন। বাংলাদেশে ১০০ এবং ৫০ ডলারের নোট কিনতে বা বিক্রি করতে গেলে সঠিক দাম পাওয়া যায়, ছোট নোটগুলোতে কম দাম দেয়। কানাডায় ঢুকে গেলে সবধরনের নোটেই আপনি সমান দাম পাবেন।

ঢাকা'র গুলশান এলাকার ভালো নামকরা কোন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে কানাডিয়ান ডলারের সাথে আমেরিকান ডলারও কিনে নিন। কিন্তু আমেরিকান ডলার কেনার সময় সাবধান! টরন্টোতেও আমেরিকান জাল নোটের ছড়াছড়ি। টরন্টো আসার পর ব্যাঙ্ক অথবা মানি এক্সচেঞ্জ ছাড়া আমেরিকান ডলার না ভাঙ্গানোটাই ভালো।

যদি স্থায়ীভাবে কানাডা চলে আসেন, তাহলে বাংলাদেশের সকল ব্যাঙ্কের সবধরণের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আসাটাই ভালো।

প্রশ্ন ৮: আমি একজন ব্যাচেলর। টরন্টোতে আসার পর কম খরচে থাকতে হলে মাসিক কিরকম ভাড়া পড়বে?
উত্তর:
ব্যাচেলর হলে শুরুতে রুম/ বেইজমেন্ট/ অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করে থাকলে খরচ কম পড়বে। আপনার নিজের একরুম (ইন্টারন্টেসহ বা ছাড়া), শেয়ার্ড কিচেন, শেয়ার্ড ওয়াশরুম ব্যবহার করলে এলাকাভেদে মাসিক ৩৫০-৫০০ ডলার পড়বে।

প্রশ্ন ৯: মাত্র কানাডার ইমিগ্র্যান্ট ভিসা পেলাম। আগামী জুন মাসে কানাডায় ঢোকার শেষ সময়। এখন ফেব্রুয়ারি মাসের ঠাণ্ডার সময়। তার ওপর ভাবছি বাংলাদেশ থেকে আরও কিছু টাকা ইনকাম করে তারপর কানাডায় ঢুকবো। তাই বউ-বাচ্চা নিয়ে একটু দেরি করেই আসবো ঠিক করেছি। আপনার পরামর্শ চাইছি।
উত্তর:
১. ঠাণ্ডার দেশ কানাডা'তে সামারের সময়টুকু ছাড়া বাকী সময় ঠাণ্ডা থাকবেই। কাজেই ঠাণ্ডার দেশে ঠাণ্ডার কথা চিন্তা করে দেরিতে আসা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২. যদি স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে ভিসা পাবার পর একটা দিন বাংলাদেশে থাকবেন তো একটা দিন কানাডার জীবন থেকে আপনি পিছিয়ে গেলেন। যত তাড়াতাড়ি এখানে এসে পড়বেন, তত তাড়াতাড়ি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যে মঙ্গল।
৩. বাংলাদেশ থেকে কত টাকা আপনি পরবর্তী কয়মাসে আয় করবেন? পক্ষান্তরে বাংলাদেশে কালক্ষেপন করে কানাডার সুযোগ-সুবিধাগুলো থেকে আপনি নিজে ও পরিবারকে বঞ্চিত করছেন। তাই আবারও বলছি, কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকার মানসিক ইচ্ছা থাকলে ভিসা পাবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ ত্যাগ করে কানাডায় চলে আসুন।

প্রশ্ন ১০: বাংলাদেশ থেকে টরন্টো আসার সময় কিকি ডকুমেন্ট সাথে করে নিয়ে আসবো?
উত্তর:

১. সকল কানাডিয়ান ডকুমেন্ট (পাসপোর্ট, ল্যাণ্ডিং পেপার ইত্যাদি)
২. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল এবং ফটোকপি (মার্কশীট, সার্টিফিকেট, সিলগালা করা খামসহ ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি)
৩. সকল ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স এর মূল এবং ফটোকপি
৪. সকল ভলান্টিয়ার কাজের মূল এবং ফটোকপি
৫. World Education Services থেকে আপনার মার্কশীট, সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি মূল্যায়ন করিয়ে নিন। এ বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলগুলোতে যোগাযোগ করুন
৬. কানাডায় পরবর্তী উচ্চশিক্ষার জন্যে ভ্যালিড IELTS, GRE ইত্যাদি স্কোর সাথে করে নিয়ে আসুন
৭. আপনার এবং পরিবারের সবার বার্থ সার্টিফিকেট, ম্যারেজ সার্টিফিকেট (যদি থাকে), সাথে করে নিয়ে আসুন
৮. বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স (কমপক্ষে ৬ বছরের পুরনো) থাকলে সেটিও আনুন

প্রশ্ন ১১: টরন্টো ডাউনটাউনে খুব কম খরচে সপ্তাহখানেক থাকার জন্যে কোন জায়গা আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, আছে। ডাউনটাউনের অ্যাডেলেইড এবং চার্চ স্ট্রীটের ইন্টারসেকশনে YMCA -তে খোঁজ নিন। মনট্রিয়লেও YMCA পাবেন।

প্রশ্ন ১২: টরন্টোতে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন কানেকশন নেবার জন্যে কোন পরামর্শ আছে কি?
উত্তর:
ইন্টারনেটের জন্যে আমার পছন্দ CIK telecom অথবা,
Teksavvy এর কেবল কানেকশন। নতুন্ ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে Chat-r Prepaid (মাসিক ২০ অথবা ৩৫ ডলারের) আমার মনে হয় ভালো। পরে অবস্থা বুঝে একটু Explore করে ভালো Deal দেখে Wind , Public Mobile , Vergin , Mobilicity - এগুলোর সুযোগ-সুবিধা বুঝে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন একটা কোম্পানীর সাথে ২-৩ বছরের প্ল্যান-এ যেতে পারেন।

প্রশ্ন ১৩: গরম জ্যাকেট, উইন্টার বুট অথবা ওভারকোট কেনার ক্ষেত্রে টরন্টোতে দামী শপিং মলের পরিবর্তে অন্য কোথাও কি একটু কমে ওসব জিনিস পাওয়া যাবে?
উত্তর:

১. Vaughan Mills শপিং মলে চলে যান। এখানকার ফ্যাক্টরী আউটলেটের দোকানগুলোতে সব বিশ্বমানের জিনিসের দাম টরন্টোর শপিং মলগুলোর তুলনায় কম।
২. টরন্টোর 'ইউনিয়ন' সাবওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে Vaughan Mills যাবার এবং ফিরে আসার ফ্রি বাস সার্ভিস রয়েছে।

প্রশ্ন ১৪: টরন্টো'র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?
উত্তর:

১. 'মাল্টিকালচার এবং শান্তির দেশ' কানাডার টরন্টো শহরে আইনশৃঙ্খলা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু এখানেও চুরি/ ডাকাতি/ খুন/ ধর্ষণের মতো ঘটনা যে ঘটেনা, তা নয়। কাজেই নিজে সর্বদা সাবধান থাকা ভালো এবং আপনার বা আপনার পরিবার বা আপনার বাচ্চা বা আপনার পোশা প্রাণী (যেমন কুকুর) দ্বারা অন্য কোন মানুষ কোনভাবেই যেন শারীরিক বা মানসিকভাবে বিরক্ত/ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেটি খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনার।
২. টরন্টো পুলিশ'কে সবাই ভয়ের চোখেই দেখে
৩. ডাউনটাউন টরন্টো-তে আপনি অনেক ভবঘুরে, নেশাখোর, চোর, বাটপার, হোম-লেস মানুষ ইত্যাদি পাবেন। কাজেই ডাউনটাউন টরন্টো-তে সাবধানে চলাচল করাটাই ভালো
৪. রাস্তাঘাটে বিপদ-আপদ হলে নিজ ফোন অথবা আশেপাশের ফোনবুথ থেকে 911-এ কল করে দিলেই মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারব্রিগেড ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হবে।
৫. আপনার ছোট বাচ্চাটিকে সাবধানে রাখুন। কোনভাবেই যেন বাচ্চার কোনপ্রকার ক্ষতি না হয়। আপনার দ্বারা বাচ্চার কোন ক্ষতি হলে আপনি অথবা আপনার পরিবার পুলিশের কাছে জবাবদিহি/ জেল-জরিমানা/ শাস্তি পেতে পারেন
৬. কানাডায় আপনি বা আপনার পরিবার কোনভাবেই কোনপ্রকার ছোট বা বড় অপরাধমূলক কাজে জড়াবেননা।
৭. রাস্তায় কোন অ্যাক্সিডেন্ট দেখলে বাংলাদেশি কায়দায় সাহায্য করার জন্যে দৌড়ে যাবেননা বা দাঁড়িয়ে থেকে তামশা দেখবেননা। ভিক্টিমকে সাহায্যের জন্যে পুলিশ/ অ্যাম্বুলেন্স/ ফায়ারব্রিগেড ঘটনাস্থলে চলে আসবে। আপনি সর্বোচ্চ 911-এ কল করতে পারেন।

প্রশ্ন ১৪: সম্প্রতি কানাডার টরন্টো শহরে এলাম ইমিগ্র্যান্ট হয়ে। এখনও পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড হাতে পাইনি। জরুরী প্রয়োজনে দেশে যেতে হবে। PR Card ছাড়া কানাডা ছাড়লে কোন সমস্য হবে কি?
উত্তর:

১. নতুন ইমিগ্র্যান্টদের ইমিগ্রেশন এর কাজগুলো সাধারণত টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসে হয়। PR Card ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে কানাডায় ঢুকতে দেবেনা।
২. বর্তমান Trend অনুযায়ী একজন নতুন ইমিগ্র্যান্ট টরন্টোতে ল্যাণ্ড করার ঠিক দুই মাসের মাথায় PR Card হাতে পাবেন।
৩. অনেকসময় এই দুই মাসের মধ্যে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বাসার ঠিকানায় PR Card না পাঠিয়ে সরাসরি অফিসে দেখা করে PR Card সংগ্রহ করতে বলে। সুতরাং যদি PR Card ছাড়া কেউ দেশে চলে যান তাহলে বিপদ।
৪. PR Card -এর তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ গোপনীয় বিষয়। সুতরাং PR Card-এর বাহক ছাড়া এই কার্ড অন্য কেউ বহন করা সম্পূর্ণরুপে বে-আইনী কার্যকলাপ

প্রশ্ন ১৫: সম্প্রতি আমার PR Card হারিয়েছে। আমি এখন টরন্টোতে। কিন্তু দেশে যাওয়াটাও খুব জরুরী। এখন করণীয় কি?
উত্তর:

১. দ্রুত গবর্ণমেন্ট অব কানাডা'র ওয়েবসাইটে উল্লেখিত কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন। আপনি কানাডার বাইরে থাকলেও উক্ত ওয়েবসাইটের প্রদত্ত গাইডলাইন অনুসরণ করুন
২. PR Card হারালে এবং তার জন্য পুনরায় অ্যাপ্লাই করলে নতুন PR Card হাতে পেতে অনেক সময় লেগে যায় (ছয় মাস বা তার বেশি)। আপনাকে যদি জরুরী ভিত্তিতে PR Card ছাড়াই বাংলাদেশে যেতে হয় তাহলে উল্লেখিত ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনে যোগাযোগ করুন এবং Application for a Travel Document (Permanent Resident Abroad) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন

প্রশ্ন ১৬: টরন্টোতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধাগুলো কি কি?
উত্তর:

১. টরন্টো শহরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর নাম TTC
২. টরন্টোতে TTC কাভারেজ স্থানগুলোতে TTC বাস, সাবওয়ে ট্রেন এবং স্ট্রীট কারের সুবিধা পাবেন। অন্যকোন শহর যেমন, মিসিসাগাতে TTC সুবিধা পাবেননা। ওই শহরে তাদের নিজস্ব পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, মিসিসাগার জন্যে miway
৩. TTC Cash fares: Adult $3.00, Post-Secondary Student $3.00, Senior (65+) / Student (13-19) $2.00, দুই থেকে ১২ বছর বয়সের বাচ্চার জন্য ৭৫ সেন্ট
৪. TTC অ্যাডাল্ট মেট্রোপাস $133.75/প্রতি মাস এবং Senior (65+) / Student (13-19) $108.00/ প্রতি মাস
৫. TTC মাসিক মেট্রোপাস ব্যবহার করার পর সেগুলো ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখুন, বছর শেষে ট্যাক্স রিটার্নের সময় কাজে আসবে
৬. এছাড়া GO Transit এর বাস এবং ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন যা একটু খরচসাপেক্ষ
৭. এক প্রভিন্স থেকে অন্য প্রভিন্সে ট্রেনে যাতায়াত করতে হলে viarail -এর সার্ভিস চমৎকার
৮. এক প্রভিন্স থেকে অন্য প্রভিন্সে অথবা আমেরিকায় বাসে যাতায়াত করতে হলে মেগাবাস আমার প্রথম পছন্দ। এছাড়াও রয়েছে গ্রে-হাউণ্ড , কোচ কানাডা ইত্যাদি
৯. কমখরচে নর্থ আমেরিকায় হোটেল এবং এয়ারলাইন্স টিকিটের জন্যে প্রাইসলাইন ডট কম আমার কাছে সেরা বলে মনে হয়
১০. গাড়ি ভাড়া করার জন্যে এন্টারপ্রাইজের উপরে কিছু নাই

প্রশ্ন ১৭: টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে প্লেন থেকে নামার পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের ফরমালিটিজ কি? সেখানে কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে?
উত্তর:

১. প্লেন থেকে নামার পর প্রথমবার কানাডা ভিজিটকারী হিসেবে 'ফার্স্ট টাইম ভিজিটর' হিসেবে 'ভিজিটর' লাইনে দাঁড়াবেন। কোন লাইনে দাঁড়াবেন সেটা কনফিউজড থাকলে, কর্তব্যরত কর্মকর্তাগণ আপনাকে সাহায্য করবেন।
২. কাউন্টারে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে আপনার পাসপোর্ট এবং সি.ও.পি.আর. ফরম দেখান এবং তার দেখানো নির্দেশ অনুযায়ী দিক অনুসরণ করুন
৩. ইমিগ্রেশনে ফরমালিটিজ খুবই সহজ এবং ঝামেলাবিহীন
৪. ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার কাছে টরন্টোতে একটা ঠিকানা এবং ফোন নম্বর চাইবে যে ঠিকানায় আপনার পি.আর কার্ড দুই মাস পর পৌঁছে যাবে। সি.ও.পি.আর. ফরমে আপনার স্বাক্ষর -এর প্রয়োজন আছে।
৫. এরপর লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করুন
৬. পোর্টার বা ট্রলি সংগ্রহ করুন
৭. এরপর কাস্টমস-এ চলে আসুন
৮. কাস্টমস-এ আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি বাংলাদেশ থেকে সাথে করে আপনার যা মালামাল এনেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও যদি কোন মালামাল আনেন, সেগুলোর কোন লিস্ট আছে কিনা?

বাংলাদেশ থেকে এধরনের লিস্ট করে আনা ভালো, তবে ম্যান্ডেটরী নয়। একটু মনে করে দেখুন, এই মালামাল 'লিস্ট করার কথা' আপনাকে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আগেই চিঠিতে উল্লেখ করেছিল। আপনার লিস্ট-এ যেসব জিনিসপত্রের কথা উল্লেখ থাকবে, সেগুলো 'কানাডিয়ান কাস্টমস্ ডিউটি ফ্রি' হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এখন যেসব মালামাল, টাকা, গহনা নিয়ে কানাডা ঢুকছেন, এবং ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশ থেকে আনেন, তাহলে সবকিছুই কাস্টমস ডিউটি ফ্রি হবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনার কাছে পূর্বে ইস্যু করা চিঠিতে কোথাও উক্ত লিস্টগুলোর মালামাল 'ট্যাক্স ফ্রি' হবে - এই কথাটি লেখা নেই। অর্থাৎ, কানাডায় ঢোকার সময় সেগুলো ডিউটি ফ্রি হবে কিন্তু ঢোকার পর ব্যাঙ্কে ডলার রাখলে সেগুলোর ওপর সরকার কর্তৃক ট্যাক্স ধার্য্য হতে পারে।

কানাডিয়ান কাস্টমসে দেখানোর জন্যে বাংলাদেশ থেকে আসার সময় সাদা কাগজে কানাডিয়ান এবং আমেরিকান ডলারের পরিমাণ, গোল্ড, জামাকাপড়, ইউটেনসিল, ইলেকট্রনিকস (ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা) ইত্যাদির একটা সাধারন লিস্ট করে আনুন। এবং ভবিষ্যতে আরও ডলার, গোল্ড ইত্যাদি আনবেন, সেগুলোও আরেকটি কাগজে লিখে কাস্টমসে জমা দিয়ে দিন। এতে করে ভবিষ্যতে যদি কখনও যদি বাংলাদেশ থেকে ১০,০০০ ডলারের বেশি অর্থ/ সম্পদ কানাডায় আনেন, এবং ইমিগ্রেশনে তা ডিক্লেয়ার করেন, তাহলে সেই অর্থ/ সম্পদ 'ডিউটি ফ্রি' হবে।

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনাকে পূর্বে ইস্যুকৃত চিঠিতে স্পষ্টভাষায় উল্লেখ আছে যদি আপনি কানাডায় কোন চাকুরী 'প্রি-অ্যারেঞ্জ না করে আসেন, তাহলে 'কানাডায় সেটেলমেন্ট বাবদ' আপনাকে নিম্নোক্ত ডলার আনতে হবে:
১. একজনের জন্যে ১১,৮২৪ ডলার
২. দুই জনের জন্যে ১৪,৭২০ ডলার (স্বামী-স্ত্রী)
৩. তিন জনের জন্যে ১৮,০৯৭ ডলার (স্বামী-স্ত্রী এবং ১ টা বাচ্চা)
৪. চার জনের জন্যে ২১,৯৭১ ডলার (স্বামী-স্ত্রী এবং ২ টা বাচ্চা)

উল্লেখিত ডলারের কম পরিমান অর্থ কানাডায় আনলে এবং সেই কম পরিমাণের কথা ডিক্লেয়ার করলে অনেক ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঝামেলা করার ইতিহাস রয়েছে। অর্থাৎ, আপনাকে তখন পৃথকভাবে ইন্টারভিউ-এর সম্মুখীন হতে হবে কেন কম পরিমাণ অর্থ এনেছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে কম অর্থ ডিক্লেয়ার করেও কারও সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশ থেকে যে ডলার নিয়ে আসবেন, সেই ডলার ব্যাঙ্কে রাখলে ব্যাঙ্কে আপনার যতক্ষণ অর্থ থাকবে, ততক্ষণ অন্যকোন সরকারী বেনিফিট (যেমন, স্টুডেন্ট লোন) আপনি কানাডা সরকারের কাছে দাবী করতে পারবেননা অথবা করলেও অন্যদের থেকে কম বেনিফিট পাবেন।

প্রশ্ন ১৮: টরন্টো'তে ট্যাক্স এবং ট্যাক্স রিটার্ন বিষয়ক কিছু বলবেন কি?
উত্তর:

১. প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি তে বিগত বছরের ট্যাক্স রিটার্ন করা বাধ্যতামূলক
২. টরন্টোতে ড্যানফোর্থ এলাকায় পরিচিত অনেক দেশী 'অ্যাকাউনটেন্ট' পাবেন যারা ২৫ ডলারের বিনিময়ে আপনার ট্যাক্স রিটার্নের কাগজপত্র তৈরি করে দিবেন
৩. টরন্টোতে যেকোন জিনিস কিনতে হলে সরকারকে মূল দামের উপরে ১৩% ট্যাক্স দিতে হবে। কাজেই উদাহরণ হিসেবে কোন জিনিসের দাম ৫০ ডলার দেখে কম মনে করার কিছু নেই বা খুশি হবার কিছু নেই। কারণ ট্যাক্সসহ সেই জিনিসের আসল দাম ৫৬.৫০ ডলার। ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের বেলায় (যেমন প্রিন্টার) এখানে মূলদাম এবং ট্যাক্সের সাথে অতিরিক্ত কিছু ডলার Environmental handling fee হিসেবে দিতে হয়
৪. প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেবার পর মাস তিনেকের মধ্যেই কানাডা রেভিনিউ এজেন্সির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা অটোমেটিক পেয়ে যাবেন যা নির্ভর করবে-
ক. আপনি এর আগের বছর ট্যাক্সেবল কত টাকা আয় করেছেন
খ. আপনি স্বল্প আয়ের মানুষ কিনা (বাৎসরিক আয় ৩০ হাজার ডলারের কম)
গ. আপনি বছরে মোট কত টাকা বাড়ি ভাড়া প্রদান করেছেন
ঘ. আপনি TTC মাসিক পাস ব্যবহার করেছেন কিনা ইত্যাদি
৫. আপনি যদি আগের বছর কোন প্রতিষ্ঠানে ট্যাক্সেবল আয় করে থাকেন, অথবা বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজের স্টুডেন্ট হন, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ থেকে আপনার নামে একটি T4 ডকুমেন্ট ইস্যু হবে যেটি আপনার বাসার ঠিকানায় উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে চলে আসার কথা অথবা অনলাইনে সেই প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ-এর ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই কাগজটি আপনি পেতে পারেন। যদি আপনার বাসায় কর্মপ্রতিষ্ঠান থেকে মেইল না আসে, তাহলে ট্যাক্স রিটার্নের আগে সেই প্রতিষ্ঠানে T4-এর জন্য যোগাযোগ করুন।
৬. টরন্টোতে কোন দ্রব্যের দাম ৪ ডলারের কম হলে মূল দামের উপরে ৫% ট্যাক্স দিতে হবে। চার ডলারের উপরে দাম উঠলেই সেই ট্যাক্সের পরিমাণ ১৩% হয়ে যাবে।

চাইনিজ জাতি বরাবরই বুদ্ধিমান। এক চাইনিজের থেকে শিখলাম কিভাবে ট্যাক্স বাঁচাতে হয়। টিমহর্টনস-এ কফি খেতে গিয়ে দেখলাম সেই চাইনিজ ভদ্রলোক কফি এবং স্ন্যাক্স অর্ডার করলেন। কফিসহ স্ন্যাক্সের মোট দাম ট্যাক্সের আগে ৪ ডলারের বেশি আসলো। সেই ভদ্রলোক তখন ক্যাশিয়ার কে বললেন প্রথমে শুধু কফির ২.১০ ডলার দামটা রাখো। স্ন্যাক্সের টাকাটা ভদ্রলোক আলাদাভাবে ক্রেডিটকার্ড দিয়ে পে করে দিলেন। এতে করে তাকে ১৩% ট্যাক্স প্রদানের পরিবর্তে আলাদাভাবে প্রতি খাবারের জন্যে ৫% হারে ট্যাক্স দিতে হলো। এরপর তিনি আমাকে বললেন, "বুঝলে ভাই, এভাবেই আমি প্রতিদিন সবখানে অতিরিক্ত ট্যাক্সের টাকা বাঁচিয়ে চলি। কানাডা সরকারের অনেক টাকা, আমি কানাডা সরকারকে অতিরিক্ত ১৩% ট্যাক্স কেন দেবো বলো?"

আপডেট:
১. মার্চ ২০১৫ থেকে টি.টি.সি অ্যাডাল্ট মাসিক পাসের দাম ১৪১.৫০ ডলার
২. স্কারবরো এলাকায় কম খরচে ভালো মানের গ্রোসারীর জন্যে গ্রেট ফুড তুলনাহীন। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ২৪ নম্বর বাসে ভালডেন ড্রাইভে নেমে পড়ুন। এখানেই গ্রেট ফুডের সন্ধান পাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
কানাডা'র ইমিগ্রেশন প্রসেসিং খুব কঠিন কিছু কি? এটা সত্যি যে, ইমিগ্রেশন প্রসেসিং সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয়! সামহোয়্যারইন ব্লগের পয়গম্বরের ব্লগ এবং ফেসবুকের পেজটি Facebook page: Click This Link Email: [email protected] আপনার সাথেই আছে ইমিগ্রেশন প্রসেসের প্রতিটি স্টেপে, প্রতিটি সমস্যার আন্তরিক সমাধানে। কানাডা'র ইমিগ্রেশন নিয়ে টেনশন একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দিন মাথা থেকে। ফেসবুকের এই পেজে শেয়ার করুন আপনার কানাডা'র ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন অথবা সমস্যা। ব্লগ এবং ফেসবুকের এই প্ল্যাটফরমে আমি চেষ্টা করবো সঠিক রেফারেন্স নির্ভর তথ্যটি আপনাকে জানানোর।

Facebook page: Click This Link
Email: [email protected]

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

এম এম করিম বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা চোখে পড়লো।

আশা করি ভালো আছেন।

শুভকামনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

পয়গম্বর বলেছেন: এইতো কেটে যাচ্ছে দিন। :) ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ জামান ভাই...... এবারের পোস্টটা ও অসাধারন হয়েছে।

শুধু একটু কথা ১০ নং এ আপনি World Education Services এর কথা বলেছেন.... টরেন্টো ইউনিভার্সিটি ও কিন্তু এ সার্ভিস দেয়। তবে কোনটা ভালো হবে বা মানের কি কোন পার্থক্য আছে?? যথারীতি +++++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে সোহানীকে ধন্যবাদ।

টরন্টোতে নতুন ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে পরিচিত সবাই World Education Services থেকেই কাগজপত্র প্রসেস করেছে। তাই আর টরন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করিনি। যদিও শিক্ষাগতযোগ্যতার কাগজপত্র ভ্যারিফিকেশনের জন্যে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অনেক আগেই আমি শুনেছিলাম।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

অনুমনু বলেছেন: ১। মেয়েদের জন্য কি ধরনের কাজ (অড জব) পাওয়া/ করা সুবিধাজনক?
২। ক্যারিয়ার কলেজ গুলো থেকে ডিপ্লোমা করলে তা কি পরবর্তীতে ভাল কাজ পেতে সাহায্য করবে?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: ১. কানাডার টরন্টো ছাড়াও অন্য দু'-একটা প্রভিন্স ঘুরে অভিজ্ঞতার আলোকে দেখলাম এখানে মেয়েরা সব ধরনের কাজ-ই করছে। ডেলিভারী ড্রাইভার, টিম হর্টনস, ম্যাকডোনাল্ডস, ওয়ালমার্টের এর কাস্টমার সার্ভিস ছাড়াও বারবার শপ, ফ্যাক্টরী এবং গ্রোসারী স্টোরগুলোতেও বাংলাদেশি বোনদেরকে আমি কাজ করতে দেখেছি। কাজেই ভারী মালামাল ওঠানো-নামানো বা নাইট শিফটের কাজগুলো ছাড়া অন্যসব কাজগুলোই সুবিধাজনক বলেই আমার ধারনা।

রেফারেন্স ছাড়া এখানে অড জব পাওয়াটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। অড জবের জন্যে স্টোরগুলোতে 'ম্যানেজারদে'র সাথে স্বশরীরে গিয়ে কথা বলতে হয়, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের থেকেও যা অধিক কার্যকর।

২. কিছু ক্যারিয়ার কলেজ আছে যেগুলো নাম সর্বস্ব। অর্থাৎ, যেগুলো থেকে কোর্স করে বের হলে শুধু টাকা এবং সময়ের অপচয় মাত্র। কাজেই ক্যারিয়ার কলেজ/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্স এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন সেই বিষয়ের জব মার্কেটে চাহিদা থাকে। অর্থাৎ, এমন কোন কোর্স বেছে নেয়া উচিত যেন সেই কোর্স শেষ করে বসে না থেকে পছন্দের বিষয়ে চাকুরী পাওয়া যায়। কাজেই টরন্টো আসা পরে কোন কোর্স শুরু করার আগে যারা এখানে আগে কোর্স/ ডিপ্লোমা করেছেন তাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

জাস্টিস বলেছেন: আমরা যারা কিছুই জানিনা কানাডা ইমিগ্রেশন এর ব্যপারে । কিন্তু যেতে আগ্রহী । আমরা কোথা থেকে সুরু করলে ভালো হয় । আরো জানার আছে । আপনার মেইল আইডি টা পেলে ভালো হতো । আপনার মেইল পেলে খুশি হব । ধন্যবাদ ।
[email protected]

fb- motiurrahman.justice

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১১

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

পর্ব ৭ এর ১ নম্বর প্রশ্নে আমার সাথে যোগাযোগ বিষয়ক ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া আছে।

আমার ব্লগের ১ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত সিরিজগুলো পড়লেই আশাকরি কানাডার নতুন বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের কর্মপন্থা বিষয়ক তথ্যাবলি পাবেন।

আমি কোন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ নই বিধায় কানাডায় ইমিগ্রেশন বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরগুলোর ক্ষেত্রে আমি হয়তোবা সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবোনা।

ব্যস্ততার কারণে ব্যাক্তি পর্যায়ে ইমেইল করা বা ইমেইলের উত্তর প্রদান কারটা আমার জন্যে সময়সাপেক্ষ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২০

সোহান মোল্লা বলেছেন: কানাডায় কোন কোর্স করতে কি যোগ্যতা লাগে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২০

পয়গম্বর বলেছেন: কি ধরনের কোর্স কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করবেন, সেটা ওপর যোগ্যতা নির্ভর করছে। সাধারনভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী এবং সেই বিষয়ক কয়েকবছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যেকোন কোর্সে সুযোগ পাবার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হয়।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

জাস্টিস বলেছেন: আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন । আমি অনেক খুশি হয়েছি । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আমি মেইল করব , আপনি সময় পেলে উত্তর দিয়েন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: জানি ভাই অনেক শ্রম করে এই পোস্ট গুলো সাজিয়েছেন কতজনের যে কত কাজে লাগবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা ।

সোজা প্রিয়তে রাখলাম ভবিষ্যতে হয়ত আমারও কাজে লাগতে পারে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাতে প্রয়োজনে নক করতে পারি।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। এই সিরিজের ছয় এবং সাত নম্বর পোস্ট দু'টি নিয়মিত আপডেট করে চলেছি। যেকোন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্যে উল্লেখিত ঠিকানায় ইমেইল করবেন আশা করি।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

সোহানী বলেছেন: পয়গম্বর ভাই, অসাধারন গাইডলাইনটা ফেইসবুকে শেয়ার না করে পারছি না.... আপনার অনুমতি সাপেক্ষে তা ফেইসবুকে শেয়ার করতে চাই....

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

পয়গম্বর বলেছেন: অবশ্যই। ভালো থাকবেন।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০০

অপরাজিতা..... বলেছেন: কানাডায় যারা পিআর নিয়ে যাবেন তাদের জন্য আপনার এ মূল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ লেখা অনেক অনেক উপকারে আসবে।

আমি আর আমার হাজব্যান্ড এ বছরের মাঝামাঝি পিআর ভিসায় টরন্টো তে যাবো। আমরা দুজনেই বাংলাদেশী ডাক্তার।সবার কাছ থেকে শুনে যেটা মনে হলো, প্রথম ল্যান্ডিং এর জন্য টরন্টো ভাল, কিন্তু ডাক্তারদের জন্য রেসিডেন্সী পাওয়া যেহেতু খুব কঠিন কারন টরেন্টো ইতিমধ্যেই সেচুরেটেড। তাই আপনার জানামতে অন্য কোন প্রভিন্স যেমন, এলবার্টা,ম্যানিটোবা বা সাস্কাচুয়ান এ পাস করার পর রেসিডেন্সী পাওয়ার রেট কেমন??

আমি নিজে ক্লিনিকাল লাইন এ যেতে চাইনা। সেক্ষেত্রে যাওয়ার পর পি আর কার্ড পাওয়ার পরে যদি উপরের অন্য প্রভিন্স এ যেতে চাই এন্ট্রি লেভেল জব এর সুবিধা কেমন?? কোথায় জীবনযাত্রা বেটার?? অনেকে বলেছে টরেন্টোর চেয়ে এলবার্টা,ম্যানিটোবার জীবনযাত্রা অনেক ইজি।
আপনার পরিচিত কোন ডাক্তার কেউ যদি অন্যান্য প্রভিন্স-এ রেসিডেন্সী পেয়েছেন বা অন্য লাইন যেমন ক্লিনিকাল রিসার্চ/ পাব্লিক হেলথ এ পড়াশোনা করেছেন তাদের কাজের সুবিধা কেমন জানলে খুব উপকৃত হতাম।

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৮

পয়গম্বর বলেছেন: আপনার প্রশ্ন এবং মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

ওন্টারিও সহ অন্যান্য প্রভিন্সগুলোতে বাংলাদেশী IMG (International Medical Graduate) দের সাফল্যের হার সামান্যই বলা চলে। আমার পরিচিত ডাক্তারদের দেখেছি তারা অনেকেই কানাডিয়ান মেডিকেল লাইসেন্স -এর পরীক্ষাগুলো কৃতিত্বের সাথে পাশ করেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করছে রেসিডেন্সি ইন্টারভিউ-এর জন্যে।

বরং অনেক ডাক্তার USMLE -এর জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করছেন। কারণ, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কানাডায় ৩ বছর থাকার পর আপনি পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন এবং কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাবার পর যে কেউ বিনা ভিসায় আমেরিকা গিয়ে USMLE CK, Step 2, step 3 ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো দিতে পারবে। আমার ধারণা কানাডিয়ান এবং আমেরিকান মেডিকেল লাইসেন্সিং পরীক্ষা - দু'টোই কঠিন হলেও রেসিডেন্সি'তে সুযোগ পাবার ক্ষেত্রে আমেরিকাতে ভাগ্য ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি।

অনেকের মুখেই শুনেছি অ্যালবার্টা প্রভিন্সে বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরীর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কিছু বাংলাদেশী IMG -এর কথা শুনেছি যারা আলট্রাসাউণ্ড অথবা পাবলিক হেল্থ ফিল্ডে অ্যালবার্টায় জব করছেন। যদিও তাদের কাউকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা। তবে টরন্টোর তুলনায় ঠাণ্ডা বেশি হলেও অনেক বাংলাদেশি এখন অ্যালবার্টায় যাবার কথা ভাবছেন।

পাবলিক হেল্থ ফিল্ডে টরন্টো স্যাচুরেটেড হয়ে গেলেও ওন্টারিও-এর Periphery এলাকাগুলোতে জব পাওয়া সম্ভব। আমার পরিচিত এক ডাক্তার ভাই সম্প্রতি ওয়াটারলু পাবলিক হেল্থ -এ সরকারী জব করেছেন।

কানাডায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছাড়া জীবনযাত্রার মান সব জায়গাতেই ভালো। সুতরাং আমার মনে হয় আপনি আপনার পছন্দের ফিল্ডে যে প্রভিন্সেই প্রফেশনাল জব পাবেন, সেখানেই মুভ করে চলে যাওয়াটাই সমীচিন।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

অপরাজিতা..... বলেছেন: ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো অল্প সময়েরর মাঝে আমার প্রশ্নের এতো গুছিয়ে উত্তর দেয়ার জন্য।
আমার আরো কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হবো।
১।এলবার্টা তে টরন্টোর তুলনায় কত বেশি শীত পড়ে?? ওয়াটারলু কি টরন্টো তে নাকি এলবার্টায়??

২। জীবনযাপনের খরচ কি টরন্টোর মতোই এক নাকি আপনি যে ১৩% ট্যাক্স এর কথা লিখেছিলেন সেটায় পার্থক্য আছে??

৩।আপনার পরিচিত যে ডাক্তার ভাই ওয়াটারলু তে পাব্লিক হেলথ এ কাজ করছেন, উনার মেইল এড্রেস কি দেয়া যাবে, অবশ্যই উনার অনুমতি নিয়ে।তাহলে আমি জানতে পারতাম তার আগে উনার কি ধরনের কোর্স করতে হয়েছিল???আপনাকে এতো প্রশ্ন করতে খারাপ লাগছে কিন্তু আমি এমন কাউকে খুজে পাচ্ছিনা যিনি পাব্লিক হেলথ বা ক্লিনিকাল রিসার্চ এ কাজ করছে।


ভালো থাকবেন.

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯

পয়গম্বর বলেছেন: ১. আমার বন্ধুরা যারা থাকে, তারাতো বলে টরন্টোর তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা পড়ে। কিন্তু আমার কাছে সেই ঠাণ্ডা টরন্টোর মতোই লাগে। আপনি Click This Link গিয়ে এডমন্টন, অ্যালবার্টার রিয়েল টাইম ওয়েদার কণ্ডিশন জানতে পারবেন।
২. ওয়টারলু হলো সাউদার্ন ওণ্টাওরিও প্রভিন্সের একটি সিটি।
৩. টরন্টো হলো জমজমাট শহর। ওয়টারলু'তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে মফস্বলে এসেছি (ওয়টারলু-এর জনসাধারণের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক কথাটা বললাম)। টরন্টো থেকে ড্রাইভ করে ওয়াটারলু যেতে ৪-৪,৩০ ঘন্টা লাগে। যদিও GO train -এ যেতেই বেশি আনন্দ। জীবনযাপনের খরচ টরন্টোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। তবে ১৩% ট্যাক্স অবশ্যই দিতে হবে। কোন ছাড়াছাড়ি নাই।
৪.যে ডাক্তার ভাই ওয়াটারলু-তে কাজ করেছেন, তিনি কানাডার নামকরা একটি ইউনিভার্সিটি থেকে Occupational and Public Health Safety -তে পড়াশুনা করেছেন। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিন্সের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ডাউনটাউন টরন্টোর Ryerson University সহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্সটি করে 'পাবলিক হেল্থ অথবা অকুপেশনাল হেলথের 'ইন্সপেক্টর জব' পাওয়া যাবে। অন্য কথায় আপনি যদি পাবলিক হেলথ সেফটি প্রোগ্রামটি কানাডার কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেন, তাহলে ভবিষ্যতে 'পাবলিক হেল্থ ইন্সপেক্টর'-এর জব পেতে পারেন; অকুপেশনাল হেলথের ওপর ডিগ্রী নিলে অকুপেশনাল হেলথ ইন্সপেক্টরের জব পেতে পারেন।
৪.১ Occupational and Public Health Safety/ Environmental Science প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে বাংলাদেশে আপনার ব্যাচেলর ডিগ্রী, পাবলিক হেল্থ-এর ওপর কোন ডিগ্রী (যদি থাকে), পাবলিক হেলথ বিষয়ক কাজের অভিজ্ঞতা (যদি থাকে), IELTS score -এসব গুরুত্বপূর্ণ। আবার আমি এমন বাংলাদেশি ডাক্তারকেও চিনি যার বাংলাদেশি এম.বি.বি.এস ব্যাচেলর ডিগ্রী ছাড়া পাবলিক হেল্থ-এ অন্য কোন ডিগ্রী বা অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু এই প্রোগ্রামে চান্স পেয়েছেন।
৫. বাংলাদেশ থেকে কানাডায় আসার আগে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক টেনশন কাজ করে এটা আমি জানি। কানাডায় পরিচিত মানুষজনের সাথে কথা বলতে পারলে মানসিক শান্তি এবং সঠিক সিদ্ধান্তগ্রহণ নেয়া সম্ভব হয়। তবে আমি এটাও বলতে চাই, কানাডা চলে আসার পর আপনার নিজের অবস্থা এবং পরিস্থিতি বুঝে কোন কোর্স বা ডিগ্রী প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়াটাই সমীচিন।
৬. পাবলিক হেল্থ বা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সংক্রান্ত আরও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাকে জানাতে পারেন, আমি চেষ্টা করবো সঠিক উত্তরটি দেবার।
৭. আমার এই ব্লগ সিরিজের আগের পর্বগুলো অনুগ্রহ করে পরবেন, সেখানে জব/ ক্যারিয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া আছে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১২

পয়গম্বর বলেছেন: পাবলিক হেল্থ ইন্সপেক্টর/ Environmental Officer/ Environmental Public Health Professionals -এর বিস্তারিত জানার জন্যে এখানে ক্লিক করুন।

PHYSICIAN ASSISTANT EDUCATION PROGRAM
১. টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়
২. ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

পয়গম্বর বলেছেন: Optometry and Vision Science
১. ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়

ক্লিনিক্যাল রিসার্চ
১. ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
২. মিশিনার
৩. টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

উলাম বলেছেন: আজই আবেদন করলাম নোভা স্কশিয়াতে, ভিসা পাইলেই উড়াল, একদিনও থাকতে চাই না বাংলাদেশে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৩

পয়গম্বর বলেছেন: অভিনন্দন আপনাকে। ও'দিকটায় এখনও যাওয়া হয়নি। তবে আপনি চলে আসলে আশাকরি বেড়াতে যাবো ওখানে। কি বলেন? :)

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

Nurul Alam Polash বলেছেন: Amazing Brother. Got my reply in series-৭. Your writing is just a bible for the new comer like us.

My next questions are :

০১. I dont know driving. Should i learn it now or learn in Canada when i shift there end of this year?

০২. A family with four members will have to carry CAD$ ২২০০০. But BD custom will not allow. What to do?

Heartily thanks for your initiative

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৮

পয়গম্বর বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জন্যে ধন্যবাদ। উত্তরগুলো যথাক্রমে:
১. ড্রাইভিং-এর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে পারলে ভালো। সময়াভাবে যদি সেটা না পারেন, তাহলেও সমস্যা নেই। টরন্টোতে এসে 'ইন্সট্রাক্টর' এর মাধ্যমে লেসন নিয়ে শিখে নিতে পারবেন। তবে 'ইন্সট্রাক্টর' প্রতি লেসন (১ ঘন্টা) ২৫-৩০ ডলার চার্জ করবেন। আর পরীক্ষার ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচ (পরীক্ষা দিতে যাবার সময় 'ইন্সট্রাক্টর' যে টাকা নিবেন) আলাদা।

২. এর উত্তর দেওয়াটা আমার জন্যে কঠিন। এই সিরিজের পর্ব-১ এ আমি এর উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি। কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আসলে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত টাকা একদিকে অবশ্যই যেমন নিয়ে আসা উচিত, অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের নিয়মের বাইরে গেলে বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন-কাস্টমস আপনার কষ্টার্জিত টাকা লুট করে নেবে। সুতরাং বিষয়টা আপনার উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি কিভাবে আপনি কানাডায় আপনার কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে আসবেন।

মজার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আমলা আর মিলিয়নিয়াররা কোটি টাকা বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করে দিচ্ছে, বিদেশের মাটিতে তাদের সন্তানদের দেশের অবৈধ উৎসের টাকা দিয়ে পড়াশুনা করাচ্ছেন। অথচ আপনার আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষ তার কষ্টে উপার্জিত হালাল টাকা আনলেই সেটাতে সবার আপত্তি।

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

পরিবেশক বলেছেন: ভাই.. আপনাকে ধন্যবাদ এই অসাধারন সিরিজটা লেখার জন্য। আমি গত অক্টোবর এ অ্যাপ্লাই করেছি। এই জানুয়ারী তে First Letter পাইসি.........তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কোন খবর নাই............হালকা টেনসিত......Wish me luck.........

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

পয়গম্বর বলেছেন: আমার পরামর্শ হলো:

১. ধৈর্য্য ছেড়ে দেবেননা। টেনশন কেন করছেন পরিবেশক ভাই? বলেনতো? মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন এই ভেবে যে, আপনারতো হারানোর কিছু নেই। হলে ভালো, না হলেও দেশে আপনার সবই আছে।
২. কোন অবস্থাতেই ইমিগ্রেশনের জন্যে ব্যাংকে যে টাকা জমা রেখেছেন, সেটাতে হাত দেবেননা।
৩. সময়মতো সঠিক কাগজপত্রগুলো ইমিগ্রেশনে জমা দিন। আপনি যেহেতু প্রথম লেটারটি পেয়ে গিয়েছেন, আশা করা যায় আপনি ইনশাল্লাহ কানাডিয়ান ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে ভিসা পাবেন। তবে যেহেতু বিষয়টা একটু সময়সাপেক্ষ, তাই ধৈর্য্য রাখাটা অত্যাবশ্যক।

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

Nurul Alam Polash বলেছেন: জামান ভাই, অসাধারন লেখাটি চালিয়ে যান। আমরাই আপনার ব্লগের প্রানশক্তি। কারন আমরা আপনার লেখা ভালবাসি।

১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪১

পয়গম্বর বলেছেন: সম্প্রতি জনৈক পরিচিত ব্যাক্তি আমাকে প্রশ্ন করেছেন, ব্লগে এই সিরিজটি লিখে আমার কি লাভ হচ্ছে? উত্তরে তাকে বললাম, শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হলেই যে 'লাভ' হয়, তা কিন্তু নয়। বরং অন্যকে সহযোগীতা করার মাঝে মানসিকভাবে যে প্রশান্তিলাভ হয়, সেটা আমার কাছে অনেক বেশি প্রাপ্তি। এই ব্লগের প্ল্যাটফরমেই অনেক বাংলাদেশি ভাই-বোনের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে যারা আমার এখন অত্যন্ত ভালো বন্ধু আর শুভাকাঙ্খী।

আপনার প্রাণবন্ত মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

Nurul Alam Polash বলেছেন: আপনার লেখা "বাইবেল ফর ইমিগ্রান্ত" সিরিজের ৮ম লেখনির জন্নে অধির হয়ে বসে রইলাম

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২১

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

অপরাজিতা..... বলেছেন: ভাইয়া, আপনার মূল্যবান তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি আপনার ব্লগ পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম যে ডাক্তারদের জন্য রেসিডেন্সী পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। তাই ক্লিনিকাল রিসার্চ বা পাব্লিক হেলথ সেফটি বা অকুপেশনাল সেফটি চেষ্টার নতুন ক্ষেত্র হতে পারে।
প্রথমে গিয়ে তাই এন্ট্রি লেভেল জব পেতে হলে কিভাবে চেষ্টা করলে ভালো হয়। কোন ধরনের জব মেয়েদের জন্য চেষ্টা করা যায়? এজেন্সী তে এন্ট্রি করতে হয় ?
ভাইয়া, ল্যাব বেসড জব এ কি সবসময় এক্সপেরিয়েন্স লাগে? নতুনদের পাওয়ার চান্স আছে কি?

২০ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭

পয়গম্বর বলেছেন: আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শুরু করছি:
১. Lab based job অথবা অন্য যে কোন প্রফেশনাল জবের জন্যে এখানে নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রে কাজ করার যোগ্যতা অর্জনের জন্যে লাইসেন্স পেতে হয়। অভিজ্ঞতাতো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। নতুনদের জন্যে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন হলেও পরিচিত যদি থাকে, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা সহজ হতে পারে। অনেক বাংলাদেশি দু:খ করে বলেন,"এখানে বাংলাদেশিদের জন্যে প্রফেশনাল জব পাওয়াতো অনেক দূরের কথা, জবের জন্যে ইন্টারভিউতেই ডাকেনা।"
২. ছেলে-মেয়েদে'র জবের মাঝে পার্থক্য করতে আমি নারাজ। বরং বলতে চাই, সব কাজ সবার জন্যেই কম-বেশি যেমন কঠিন, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। এন্ট্রি লেভেল-এর জব অথবা যেকোন প্রফেশনাল জব পেতে হলে আগেও বলেছি, আবারও পুনরাবৃত্তি করছি, কানাডিয়ান সিস্টেমের পড়াশুনা, কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা এবং পরিচিত লোক থাকা খুব জরুরী।
৩. ডাক্তারদের জন্যে ক্লিনিক্যাল লাইন ছাড়া অন্যান্য Alternative পড়াশুনা/ প্রফেশন-এর কথা এই পর্বে উল্লেখ করেছি। এই মুহূর্তে আরও কয়েকটি সম্ভাব্য পড়াশুনা/ প্রফেশন-এর ক্ষেত্রের কথা বলতে চাই। বাংলাদেশ থেকে টরন্টো আসার আগে আল্ট্রাসাউণ্ডে সার্টিফিকেশন কোর্স এবং সময় থাকলে ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করে আসলে টরন্টোতে এসে প্রস্তুতি নিয়ে ARDMS পরীক্ষা দিয়ে দিলে ওন্টারিও প্রভিন্স ছাড়াও অন্যান্য প্রভিন্স যেমন আলবার্টাতে ভালো বেতনে কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে ARDMS পরীক্ষা দেবার আগে ICAS থেকে অবশ্যই সার্টিফিকেট ইভালুয়েশন করিয়ে নিন। একইভাবে ইকোকার্ডিওলজিতেও যদি বাংলাদেশ থেকে ডিপ্লোমা/ সার্টিফিকেট কোর্স করে হাত পাকিয়ে আনা যায় তাহলে টরন্টো এসে লাইসেন্সিং পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তীতে ভালো জব পেতে পারেন। তবে আলট্রাসাউণ্ডে যদি বাংলাদেশি কোন ডাক্তার মিশিনার ইন্সটিটিউট -এ ভর্তি হয়ে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেন, তার উদ্দেশ্যে বলতে পারি, সেটা অনেকটা সোনার হরিণের মতোই অবস্থা।
৪. 'ফ্যাক্টরীতে কাজ' জাতীয় 'কামলা জবে'র জন্যে এজেন্সীতে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি নিজে কখনও যাইনি, কিন্তু শুনেছি, স্কারবরো সিটির ড্যানফোর্থ বাংলাদেশি পাড়ার ১০ টিসডেল -এ SOROW নামক একটি এন.জি.ও রয়েছে, যেখানে যোগাযোগ করলে তারা সারভাইভাল কামলা জব ম্যানেজের জন্যে যথেষ্ট সাহায্য করে।

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

পাভেলহক বলেছেন: উলাম ভাই, নোভা স্কশিয়াতে কিভাবে আবেদন করলেন জানাবেন প্লিজ? আমিও কানাডায় ইমিগ্রেশন এর ব্যাপারে আগ্রহী। আমার মেঝ ভাই ক্যুইবেক এ ২০০৮ থেকেই আছে। ও গিয়েছিল স্টুডেন্ট ভিসায়। পরে পি আর পায়; আর ক'দিন আগে সিটিজেন হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হল,ফেডারেল স্কিল্ড ওয়ার্কার ভিসা যেতে চাইলে কি জব অফার লাগবে?
উল্লেখ্য, আমার এম বি এ ডিগ্রি আছে একাউন্টিং এ সাথে ৭+ বছর ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স, আমার ওয়াইফ এর ইকোনোমিক্স এ মাস্টার্স ও আমার একটি ২ বছরের বাচ্চা আছে।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৮

নুরুল পলাশ বলেছেন: @ Pavel Hoq . . . .you can try for Express Entry or PNP program. IELTS 6 in every band must. Yes you need a job offer for which you have open your job profile. Visit Canada website for details

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

পয়গম্বর বলেছেন: পলাশভাই, ব্লগে আপনার সুচিন্তিত মতামত আসলেই প্রশংসনীয়। কেমন আছেন? কবে আসছেন?

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

পয়গম্বর বলেছেন: পর্ব ৮ view this link

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

সুমন্ত বলেছেন: ২ জনের কানাডায় সেটেলমেন্ট বাবদ লাগে প্রায় ১৪৭০০ডলার, বাংলাদেশ হতে সর্বোচ্চ ২০০০ ডলার নেওয়া যায়। বাকী টা কিভাবে?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

পয়গম্বর বলেছেন: এই উত্তর প্রথম পর্বে দেয়া হয়েছে।

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

সুমন্ত বলেছেন: "সেটেলমেন্ট বাবদ অর্থ ব্যাংকে রাখলে তো ব্যাঙ্কে আপনার যতক্ষণ অর্থ থাকবে, ততক্ষণ অন্যকোন সরকারী বেনিফিট (যেমন, স্টুডেন্ট লোন) দাবী করতে পারবেননা অথবা করলেও অন্যদের থেকে কম বেনিফিট পাবেন।" তাহলে কি এ টাকা নিজের কাছে রাখা যায়..

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

পয়গম্বর বলেছেন: নিজের টাকা নিজের কাছে রাখলেতো কোন সমস্যা হবার কথা না, তাইনা?

২২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

জে আর সিকদার বলেছেন: পয়গম্বর ভাই , আপনার ফেসবুক আইডির নামটা পেতে পারি কি???

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৮

পয়গম্বর বলেছেন:

http://www.immigrationandsettlement.org/

https://www.facebook.com/immigrationandsettlement/

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি অসাধারণ একটি কাজ করেছেন। এই পোস্টটি আরো আগে পেলে আমার আরে বেশী উপকার হত। আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। কৃষিতে মাস্টারস করেছেনে এমন ব্যক্তির জন্য কানাডায় কোন সম্ভাবনা আছে কিনা? ওখানে কি ধরনের কোর্স করলে কৃষি বিভাগে কাজ করা যেতে পারে। আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন। বিরক্ত করার জন্য খুবই দুঃখিত । ভালো থাকবেন।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:১২

পয়গম্বর বলেছেন: আপনার যেকোন ধরণের প্রশ্নের জন্যে প্রথমে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। পরবর্তীতে প্রশ্নগুলো আমাদের ফেসবুক গ্রুপেও করতে পারেন। ধন্যবাদ। ওয়েবসাইট: Click This Link

ফেসবুক গ্রুপ: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.