নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরকুঁচি জীবনের স্বপ্ন ও কান্নারা

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮


দ্বিতীয় জীবন
পাথরকুঁচির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগের অংশটুকু
পাথরকুঁচি জীবনের দিন ও রাত্রীগুলো
কাল রাতে ওকে স্বপ্নে দেখলাম। ওকে মানে আবিরকে। দেখলাম আবিরদের গ্রামের সেই বিশাল খেলার মাঠটা। ঝকঝকে দিন। ঘুড়ি উড়াচ্ছে আবির। আমাকে হাত ইশারায় ডাকলো ও। কিন্তু আমি তো ঘুড়ি উড়াতে পারিনা। সে বললো শিখিয়ে দেবে। খুব হাসছিলো ও। আপুর বিয়ের পর যেবার আপুর সাথে তার শ্বশুরবাড়ির গ্রামে গেলাম, একদিন ঠিক একইভাবেই আমাকে ওর সাথে ঘুড়ি উড়াতে ডেকেছিলো আবির।

আপুর দেবর হবার সুবাদে আমার সাথে দুষ্টামীর অন্ত ছিলো না তার।বড়শীতে টোপ বেঁধে মাছ ধরা, কিংবা পুকুরে জাল ফেলা, খেঁজুর গাছ, ডাব গাছে তরতর করে বেয়ে ওঠা আবিরকে আমি যত দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম। আসলে সদ্য কৈশোর পেরুনো আমার সে বয়সে আবিরের দুঃসাহসিক সব কাজকর্ম আমাকে আছন্ন করে ফেলছিলো।

আবির খুব ভালো ছাত্র ছিলো, আমার মত যা তা স্টুডেন্ট না। শুনেছিলাম এসএসসিতে সেবার ঢাকা বোর্ডে ৬ষ্ঠ হয়েছিলো নাকি সে। সেই নিয়ে তার গর্বও ছিলো বেশ ভালোই। তার এত ভালো ফলাফলের কথা শুনে যখন আমি একটু অবাক হয়েছিলাম। আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে সে বললো, এবারের এইচএসসিতেও নাকি সে ১ম হবে। যদিও কথাটা মজা করে বলেছিলো কিন্তু আমি তার চেহারায় ফুটে ওঠা আত্মবিশ্বাস দেখে আরও বেশি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আসলে আমি ওর প্রেমে পড়ে যাচ্ছিলাম। আর প্রেমে পড়বার বয়সই তো ছিলো সেটা।

তাছাড়া আবিরের প্রতিটি কাজকর্ম কথাবার্তায় যে টগবগে তারুন্যভাব ফুটে উঠেছিলো মনে হয়েছিলো পুরো পৃথিবীটাকেই হাতের মুঠোয় পুরে রাখবার ক্ষমতা বুঝি আছে তার। ফেরবার সময় যখন ওদের বাড়ি থেকে আমাদেরকে ট্রেনে তুলে দিতে ওদের আরও কয়েকজন আত্মীয় স্বজনের সাথে আবিরও এলো। আমি আর বাবা তখন ট্রেনে উঠে গেছি। জানালার ধারে আবির আমার হাতে গুঁজে দিলো ছোট্ট এক টুকরো চিরকুট। সেই ছিলো আবিরের প্রথম প্রেম পত্র। অবশ্য সেটা প্রেম পত্র বলা যায় কিনা আমি জানিনা। শুধু একটি লাইনই ছিলো সেখানে। আমিও কিছু না বুঝেই সেটা সবার চোখের আড়ালে লুকিয়ে ফেললাম।

পুরোটা পথ চিরকুটটা খুলিনি আমি। বাড়ি ফিরে বাথরুমে গিয়ে খুলেছিলাম সেই চিঠি। নিজের বুকের মধ্যেই শুনতে পাচ্ছিলাম কামারের হাপর। আমার সেদিন হার্ট এ্যাটাক হবে মনে হচ্ছিলো । ভীষন বুক ব্যাথা করছিলো হঠাৎ, নিশ্বাস আটকে আসছিলো আমার। ঐ একটি লাইন বার বার পড়ে পড়ে আমি রক্তিম হয়ে উঠছিলাম। তারপর সারাটা রাত নির্ঘুম কেটে গেলো। এরপর দিন যায়, রাত কাটে আমার শুধু আবিরকেই মনে পড়ে।মা বললেন তুই আজকাল এত মন খারাপ করে থাকিস কেনো? একটু চমকেছিলাম। মায়ের চোখ ফাঁকি দেওয়া আসলেই কঠিন।

আবিরকে আমি যতবার স্বপ্নে দেখি, সেই বিশাল সবুজ মাঠ আর সেই ঘুড়ির নাটাই হাতে হাস্যজ্বল আবিরকেই দেখি। কোথায় যেন পড়েছিলাম, স্বপ্নে নাকি মানুষ রঙ দেখতে পায়না। কিন্তু আমি আবিরকে নিয়ে দেখা প্রতিটি স্বপ্নেই ঝকঝকে সবুজ ভর দুপুরের রৌদ্রজ্ব্যল এই মাঠটাই দেখি। স্বপ্নে আবির সব সময় হাসিমুখে থাকে। অথচ আবির হয়ত এখন আর হাসেই না। আমার এ ঘটনা শোনার পরে নিশ্চয় অনেক কষ্ট পেয়েছে সে। আচ্ছা আবির আমাকে ভুল বোঝেনিতো? হয়তো ভাবতে পারে অনেকেই যেমন ভাবে অকারনে কি কোনো মেয়ে এমন এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়? নিশ্চয় মেয়েটারও কোনো না কোনো দোষ ছিলো। এতটুকু নয় অনেক টুকুই।
জানিনা...
অসাধারণ রেজাল্ট করে অস্ট্রেলিয়া যাবার আগে আবির লুকিয়ে আমাকে ওর হাতের একটা আংটি দিয়ে গিয়েছিলো। সোনার আংটি। আংটিটা ওর নিজের। এস এস সিতে ভালো রেজাল্ট করবার কারণে ওর নানু নাকি ওকে বানিয়ে দিয়েছিলেন। ও যেদিন বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাবার হেতু এক বাক্স মিষ্টি নিয়ে আমাদের বাসায় দেখা করতে এলো। সেদিন দুপুরে সবার অগোচরে আমাকে সে এই আংটিটা দিলো। সেদিনটা ভাবতে আমার খুব লজ্জা লাগে। কারণ সেদিনই ছিলো আমার জীবনের প্রথম চুম্বন। হয়তো বা শেষও।
এই একটি দিন আমার অতীত, আমার প্রথম জীবনের একদম অন্যরকম ভালোলাগার অনুভুতির স্মৃতি বহনকারী অন্যরকম একটি দিন।

মাঝে মাঝে অনেক রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে আমি আমার ছোট্ট টিনের বাক্সটা খুলে বসি। এই বাক্সটা আমি ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়াকে অনুরোধ করে বাড়ি থেকে আনিয়ে নিয়েছি। এখানে আমার ছোটবেলার জলরঙের বাক্স থেকে শুরু করে আমার কচিচাচার জার্মান থেকে এনে দেওয়া চোখ পিটপিটে পুতুলের মাথা পর্যন্ত আছে। এটাই ছিলো আমার সতেরো বছরের জীবনের একমাত্র ব্যাক্তিগত সম্পত্তি। আমি এ বাক্সটা তালা দিয়ে রাখতাম, কাউকে ধরতে দিতাম না।

বাক্সটার একটা মজার ইতিহাস আছে। এটা আমার দাদীর তোরঙ্গ। উনার থেকেই চেয়ে নিয়েছিলাম সেটা আমি ছোটবেলায়। টিনের ছোট্ট একটা নীল রঙের তরঙ্গের ডালায় বেগুনী পদ্মফুল, আমার দারুন ভালো লেগেছিলো। এই বাক্সের সবচেয়ে নীচে আমি লুকিয়ে রেখেছি আবিরের দেওয়া সে আংটিটা। এখানে আবীরের লেখা ১৯৯টা চিঠিও আছে। শেষ চিঠিটা খুব ছোট। সেটাও এক লাইনের। আবির লিখেছিলো "আমার জন্য অপেক্ষা করো"। অথচ আবির জানেনা, এ অপেক্ষার শেষ নেই আছে শুধু শুরু আর নিরন্তন বয়ে যাওয়া- দীর্ঘশ্বাস।


সারাটা দিন যাও বা কাটে, যখন রাত্রী নামে চারিদিক শুনশান তখন যেন রাতের আঁধার গ্রাস করে আমাকে। আঁধারের মনে হয় এক ধরনের শূন্যতা আছে। তখন আমার আবিরের জন্য খুব কষ্ট হয়। আমি ওর দেওয়া আংটিটা চুপি চুপি বের করে বসে থাকি হাতে নিয়ে। মনে হয় আবির আমার হাত ধরে আছে। আমার চোখ থেকে পানি ঝরে। কত কত চোখের পানি যে শুকিয়ে আছে এই আংটির গায়ে! আমি একদিন এই আংটিটা আবিরকে ফিরিয়ে দেবো। সে যদি আমার মৃত্যুর পরেও হয়ে থাকে তবুও আমি বলে যাবো এই আংটিটা যেন কোনো না কোনো একদিন আবিরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আংটিটা পেয়ে হয়তো আবির খুব অবাক হবে। কিন্তু ও কোনোদিন জানবেনা কত রাত্রীর কান্নার জল শুকিয়ে আছে ঐ আংটিটার গায়ে.....

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জাস্ট অসাম। লেখাটার ভাবের গভীরতা যে কাউকে অতলে নিয়ে যাবে সন্দেহ নাই। স্পর্শিয়ার জন্য ভালবাসা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। শুরু থেকেই লেখাগুলো পড়ছেন। কৃতজ্ঞতা।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

খোরশেদ আলম সৈকত বলেছেন: Waiting for the next part. Awsome

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য খোরশেদভাই।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

জেন রসি বলেছেন: মানুষ যখন একা হয়ে যায় তখন স্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে সে জীবনের অর্থ খুঁজে ফিরে! সেই একাকীত্বময় জীবনের যন্ত্রণা এই গল্পে খুব চমৎকার ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

চমৎকার।পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রতিটা মানুষ কি একা নয়? তবুও নিসঙ্গ মানুষ সঙ্গ খুঁজে ফেরে। হাহাকার করে।

মানুষ মরে গেলে আরেক জীবনে চলে যায়-ঐ পারে নাকি আছে এক অপার্থীব জগৎ যেখানে সুখ দুঃখের উর্ধে কিছু আছে বলে ধারণা করা হয়। সুষ্পষ্ট ধারণা নেই সে সম্পর্কে। তবে সে দ্বিতীয় জীবন আর যদি তার স্বাদ আস্বাদন হয়ে যায় এই পার্থীব জগতেই তবে তা বড় বেদনাদায়ক।

আর কেউ কেউ দ্বিতীয় জীবনের স্বাদ এই পৃথিবীতেই ভোগ করে ও অপেক্ষা করে আর একটি তৃতীয় জীবনের যা তখনও তার অজানা।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

আজিজার বলেছেন: দারুন লাগল।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজার। শুভকামনা।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: এগিয়ে যাও, অপেক্ষায় আছি

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মিমমা আপা।শুভকামনা।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার গল্পগুলো পড়ার পর একটা পরিচিত উক্তি মুখে চলে আসে! "যখন কাউকে খুব বেশি পরিমাণে মিস করি তখন ঐ দূর আকাশের পানে তাকিয়ে থাকি। জানি সেখানে তাকে দেখতে পাবো না! কিন্তু এই ভেবে শান্তনা পাই যে, দু'জন তো একই আকাশের নিচে আছি!"

আর বেশি কিছু বলবো না। তবে শুধু এইটুকুই বলবো যে, আপনার নামের মত গল্প গুলোও নিজের অজান্তেই হৃদয়ে স্পর্শ করে যায়!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাহসী সন্তান। সত্যিকারে যা অনুভব করা যায় তা ভাষায় প্রকাশ প্রায় অসম্ভব।আমি পারিনা কষ্টগুলোকে শব্দে বা বাক্যে বন্দী করতে।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: জীবনের গল্পগুলো এতো হাহাকার ভরা হয় কেন জানিনা। পড়তে খুব খুব কষ্ট লাগছিলো, যদিও পর্বটা বেশি বড় না। ভাবতে চাই এর সাথে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমি জানি এটা কেবল গল্প না।

জানিনা শুভকামনায় কোন লাভ হয় নাকি, তবু অনেক শুভকামনা রইলো।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

স্পর্শিয়া বলেছেন: একেকটা মানুষের জীবন একেকটা গল্প। গল্পকার বানিয়ে গল্প লেখে। আমি তো গল্পকার নই তাই জীবনের গল্পগুলোই লিখছি।
জীবনের কিছু গল্প বাস্তব বলে মানতে খুব কষ্ট হয়। তবুও বলবো কষ্ট পাবেন না শতদ্রু একটি নদী... জীবন একটি নদীর মতই। বয়ে যায় । কোথায় যায় কেউ জানেনা।

তবুও বলবো, জীবন আসলে হেরে যাবার জন্য নয়। হয়তো বা জীবনের মসৃন চলার পথটা কখনও কখনও বাঁক নেয় আচমকা । সে বাঁক নেওয়া আচমকা বন্ধুর পথে চলতে থমকে দাঁড়াতে হয় কিছুটা সময়। তবুও চলতে হয়, ফের চলতে হবে।

শুভকামনায় হয়তো কিছু হয়। হয়তো হয়না। ঠিক জানিনা তবুও আমরা মন থেকে শুভ চাই কারো জন্য। শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।ভালো থাকবেন।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

রিকি বলেছেন: কষ্টগুলো অনুভব করাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চলতে থাকুক গল্প, সাথে আছি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: সাথে আছেন শুরু থেকে। আন্তরিক ধন্যবাদ রিকি। কষ্ট পাবেন না, গল্প মনে করে পড়ে যাবেন। শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
যদি একটা রবার পেতাম
দু:খ মোছা যায়;
হৃদয় খাতার দু:খগুলো...
এক পলকে মুছে দিতাম!

মনে হয় বেদনার এক মহাকাব্য হতে চলেছে এই সিরিজ! :((

সুলেখনি এবং অনুভবের গভীরতা ছুয়ে যায়-

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: বেদনার মহাকাব্য। নামটা খুব সুন্দর।জীবনের মহাকাব্য অনেক জটিল বিদ্রোহী ভৃগু। ধন্যবাদ লেখাগুলিতে শুরু থেকে থাকবার জন্য।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

রোড সাইড হিরো বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।

এখন আমার আপসোস হয় কেন যে কিশোর বয়সে আমার প্রেম হলো না! সেই প্রেমের বলে এক অন্যরকম ফিলিংস আছে?! মন চায় আবার যদি আমি সেই আমার কৈশোর বয়সে ফিরে যেতে পারতেম !!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: মানুষের জীবনের শৈশব আর কৈশোর বড় সুন্দর। তারপরের জীবনটাও হয়তো অনেক সুন্দর হতে পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ...

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা পোস্ট এবং মন্তব্যের উত্তর গুলো দেখে আবারও আমাকে মন্তব্য করতে হলো! আপনাকে সান্তনা দেওয়ার জন্য নয়, শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত তাড়না থেকেই মন্তব্য করা!

প্রায় প্রথম থেকেই আমি আপনার লেখা গুলো পড়ে আসছি। আর এই প্রত্যেকটা লেখা দেখে বুঝেছি, ঠিক কি পরিমাণ চাপা দুঃখ নিয়ে আপনি লেখা গুলো লেখেন? দুঃখ কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই আছে? হয়তো কারো একটু কম, কারো বা একটু বেশি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সেই দুঃখটাকে মনে ধারন করে সারাজীবন বুকে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে? অন্যদের থেকে হয়তো আপনার আবেগটা একটু বেশি? কিন্তু একটা কথা কি জানেন? আবেগ দিয়ে কিন্তু জীবন চলে না? আপনি পৃথিবীতে এমন একজনও মানুষ খুঁজে পাবেন, যার কোন দুঃখ নেই?

পরিশেষে আপনি সেই দুঃখের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসুন, এটাই আমার প্রার্থণা! দুঃখ কে দূরে ঠেলে দিয়ে একবার সম্মুখপানে তাকিয়ে দেখুন, কত সুন্দর পৃথিবী আপনার জন্য অপেক্ষা করছে.....!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২২

স্পর্শিয়া বলেছেন: দুঃখ ছাড়া মানুষ হয় না। আমি দুঃখকে বুকে ধারণ করেও সারাজীবন চলতে চাইনা। আমি দুঃখের গন্ডিকে ভেঙ্গে ফেলতে চাই।
আপনি ঠিক বলেছেন আমার আবেগ হয় তো বেশি। আমি সেটা জয় করতে চাই।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: দারুন লিখতেছেন।অসাধারন। আগের পর্বগুলোর মতো এটা খুব সুন্দর হয়েছে।মানুষের জীবনে দুঃখ থাকে।আবার কিশোর জীবনে প্রেমও একটু আধটু হয়, কারওটা খুব গভীর আর কারওটা হয় সামান্যই এগোয় যা একটুখানি স্মৃতি হয়ে ধরা দেয় আমাদের চিন্তায়।আর কৈশোরিক গভীর প্রেমটা জীবনে দারুনভাবে আমাদের মন-মননে আঁচড় দেয়, যা কখনো ভুলার নয়।আর এ স্মৃতি কখনো সুখের আবার কখনোবা হয়ত দুঃখের হয়।
আপনার লেখাগুলো প্রথম থেকেই পড়া হচ্ছে।দারুন লিখতেছেন।স্পর্শিয়ার লেখা বরাবরের মতোই হৃদয়ের গভীরে স্পর্শ করলো।চলতে থাকুক দারুন সব।স্পর্শিয়া আপুনির জন্য ভালোবাসা...

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

স্পর্শিয়া বলেছেন: এত অসাধারণ প্রশংসা আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রথম থেকেই লেখাগুলো পড়ছেন, কৃতজ্ঞতা রুদ্র জাহেদ।

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''পাথরকুঁচি'' লিখা দেখে, আগে পড়া ভেবে স্ক্রল করে নিচে চলে যাচ্ছিলাম ।
পাথরকুঁচির সিকুয়াল ১/২/৩ দিয়ে লিখা যায় কিনা দেখবেন ।
অল্পের জন্য চমৎকার লিখাটা মিস করিনি ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই। লেখাগুলোতে ক্রমিক নাম্বার যোগ করে দেবো।

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একটি আবেগীয় জীবন ছুঁয়ে যাওয়া দুঃখগাথা। কিন্তু আবেগ দিয়ে কি জীবন চলে? তবে পড়ে ভালো লেগেছে। সুন্দর উপস্থাপনা ও লেখার ভঙ্গি। ধন্যবাদ।







ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: আবেগ দিয়ে জীবন চলেনা। তবুও আবেগকে জীবন থেকে এড়ানো যায়না।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গাঁথুনি। বর্ণনায় মন ছুঁয়ে গেল।

ভালো লাগা রইলো।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

এস কাজী বলেছেন: খুবই চমৎকার লেখা। খুব সুন্দর গুছানো। ডুকে গিয়েছি একবারে গল্পে। চালাতে থাকুন। পড়বার জন্য তৈরি আছি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা এস কাজী

১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

হাসিব ইকবাল বলেছেন: অনেক ভালো লিখেন আপনি :-) :D

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হাসিব। ভালো থাকবেন।

২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

দর্পণ বলেছেন: আংটিটা পেয়ে হয়তো আবির খুব অবাক হবে। কিন্তু ও কোনোদিন জানবেনা কত রাত্রীর কান্নার জল শুকিয়ে আছে ঐ আংটিটার গায়ে.....

কিছু বলার নেই। জাস্ট অসাধারণ অনুভুতির প্রকাশ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৬

পাবনার তাঁরছেড়া বালক বলেছেন: খুব ভাল লাগছে। লেখার মধ্যে একটা ভাব ফুটে উঠেছে।
এত ভাল লেখা পড়লে নিজেকে লেখক ভাবার দুঃসাহস হয় না

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য।

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিস্বাদ ঘনিভূত হচ্ছে বেশ ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: সবগুলো লেখা একসাথে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ছাড়া কিছু দেবার নেই কথাকথিকেথিকথন।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: জমিয়ে পড়ছি কারণ আমার কাছে অপেক্ষা তেমন একটা ভাল লাগে না !! অস্থির মনসংযোগ বলতে পারেন !!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা করতে হয়। অশেষ ধন্যবাদ।

২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আংটিটা পেয়ে হয়তো আবির খুব অবাক হবে। কিন্তু ও কোনোদিন জানবেনা কত রাত্রীর কান্নার জল শুকিয়ে আছে ঐ আংটিটার গায়ে....
ভীষন কষ্টের

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ুরাক্ষী। ভালো থাকুন।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি বলব? ভেবে পাচ্ছিনা। পাথরকুঁচির কষ্টের অশ্রুজল নিজের চোখের কোনে জমতে দেখে অবাক হলাম। আপনার লেখনীকে স্যালুট। +++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

স্পর্শিয়া বলেছেন: লেখার সময় আমিও অনেক কেঁদেছিলাম। ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য।

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্পর্শিয়ার এ গল্পটা আমাকে স্পর্শ করে গেলো। নিতান্ত সহজ সরল, কিন্তু আবেগ সুগভীর।
আংটির সাথে সাথে ১৯৯টা চিঠিও অমূল্য রতন। প্রথম চুম্বনের মতই নিবিড় আবেশে জড়িয়ে রাখার জন্য সারাটি জীবন।
গল্পের শেষটুকু বুক ভারী করে আনে, তবে আংটি ফেরৎ প্রদানের ধারণাটা আমার পছন্দ হয় নি।
প্রতিটা মানুষ কি একা নয়? তবুও নিসঙ্গ মানুষ সঙ্গ খুঁজে ফেরে (৩ নং মন্তব্যের উত্তরে) -- আমি মনে করি, হ্যাঁ, প্রতিটা মানুষই মনের নিভৃতে একা।
শতদ্রু একটি নদী... এর মতই বলছি, জানিনা শুভকামনায় কোন লাভ হয় নাকি, তবু অনেক শুভকামনা রইলো।
পাথরকুঁচির জন্য তো কষ্ট হয়ই, আবিরের জন্যও হয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: এই গল্পের পিছে আরও একটি গল্প রয়েছে খায়রুলভাই। হয়তো সব গল্পের পিছেই থাকে। এই আংটি, চিঠি বা প্রথম চুম্বন এই নিয়েও সারাটাজীবন হয়তোবা কেটে যায় কারো। কাটাতেই হয়।

আংটি ফেরৎ প্রদানের ধারণাটা আমার। এক ধরনের সুক্ষ্ণ প্রতিশোধ। কার সাথে? জানা নেই। হয়তো ভাগ্যবিধাতা বা নিয়তির সাথেই।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেরীতে হলেও আমার মন্তব্যটা পড়েছেন, উত্তরও করেছেন, খুশী হ'লাম। আপাততঃ বইমেলা নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। আর ক'দিন পরে তা শেষ হলে আবার আপনার লেখায় ফিরে আসার আশা রাখছি।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: আচ্ছা।

২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সায়ান তানভি বলেছেন: দারুন লিখেন আপনি ।শুভ কামনা । :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: থ্যাংক ইউ সায়ান তানভি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.