নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরেও ফোটে পাথরকুঁচির ফুল- ৭ম পর্ব

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮


দ্বিতীয় জীবন- ১ম পর্ব
পাথরকুঁচির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগের অংশটুকু -২য় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের দিন ও রাত্রীগুলো - তৃয় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের স্বপ্ন ও কান্নারা -৪র্থ পর্ব
পাথর চোখে দেখা পাথরকুঁচি জীবন- ৫ম পর্ব
পাথরকুঁচি ও একটি কুঁড়ি -৬ষ্ঠ পর্ব

আমার এই প্রায় নির্বাসিত জীবনের এরপরের চার মাসে গুনে গুনে চারটা বড় পরিবর্তন এলো। এক, আমার সন্দেহকে অমূলক করে আমাকে সেই সরু নিসঙ্গ গলিটার পাশের রুমটি থেকে অন্য একটি দোতলার রুমে স্থানান্তর করা হলো। দুই, ঐ আত্মীয় স্বজনের খোঁজ না পাওয়া শিশুটিকে আমার জিম্মায় দেওয়া হলো। আমার রুমে আমার সাথেই এখন থাকছে সে। আর তিন, আমার ইংলিশ টিচার আমাকে কিছু অসাধারণ ইংলিশ বই এবং ইংলিশ ম্যুভির সিডি দিলেন। এছাড়াও কম্পিউটিং এর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি ল্যাপটপ দেওয়া হলো আমাকে। এই ল্যাপটপ দেবার ব্যাপারটাকেই আমি চার নম্বর ও বিশাল এক অভাবনীয় পরিবর্তন বলেই ধরে নিচ্ছি।

আসলে এই চার পরিবর্তনের মাঝে কোনটার চাইতেই যে কোনটার অবদান আমার লাইফে কম, সেটাই বুঝতে পারছিনা। যেমন যদি এক নম্বর পরিবর্তনটার কথাটাই বলি মানে আমার একতলার ঐ কোনার ঘরটা বদলে এই দোতলার আলো ঝলমলে রৌদ্রজ্বল বড় রাস্তার পাশের রুমটা দেবার ব্যাপারটা তাহলে সেটাও কি কম হবে? এই রুম থেকে দেখা যায় বিশাল কালো কুচকুচে পিঁচ ঢালা রাজপথ। অসংখ্য যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল। সারাটাদিন যেন চলমান জীবন এই রাস্তাতেই গতীময় হয়ে থাকে। কত রকম গাড়ি। কত রকম মানুষ। হকার, ভিক্ষুক! যদিও বড় রাস্তাটা আগের ঐ সরু একাকী গলিটার মত একদম জানালার পাশেই খুব কাছাকাছি নয়। এটা বাগান পেরিয়ে একটু দূরে তবুও সেই চলমান রাস্তার গতী আমাকে বিমোহিত করে। আমি মুগ্ধ হই এই গতীময় জীবনের চলমান ধারায়। তবুও প্রায়ই বিষন্নতায় মন ভরে ওঠে আমার। বাইরের দুনিয়ার ঔজ্জ্বলতা, গতীময়তা আমাকে উপলদ্ধ করায়, আমি আটকে আছি গতীহীন নিরানন্দ এক বদ্ধ জীবনে। যেখানে পৃথিবীর সব আনন্দ থমকে গেছে কিছু দেওয়ালের গন্ডিরেখায়।

আমার কাউন্সেলর বলেছে Pareidolia নামক এক মানষিক রোগে ভুগছি আমি। তাই ঐ নিসঙ্গ রাস্তা এবং আমার পুরোনো রুমটার আসবাব পত্র দরজা জানালাতে মানুষের মত চোখ দেখতে পাচ্ছিলাম। এটা এক ধরনের মানষিক বা মস্তিস্কের ভ্রান্তি। আসলে আমি কিচ্ছু দেখিনি, আমার ব্রেইন নিজেই তৈরী করেছে ঐ চোখের ছবিগুলি। উনি আমাকে এ কদিন যাবৎ অষ্টপ্রহর এইসব কথায় কান ঝালাপালা করে তুলেছেন। তার এসব কথা শুনে আমার এখন কাউন্সেলরকেই মানষিক রোগী মনে হয়। আমি তার উপর বিরক্ত হতে শুরু করেছি। মনে মনে ক্ষেপেও থাকি তার উপরে।

তার দেওয়া ঔষধগুলো খেতে চাইনা আমি। আসলে আমি মুক্তি চাইনা। আমার ব্রেইনের উপর আমার পূর্ণ অধিকার থাকবে। পুরোপুরি ১০০% নিয়ন্ত্রন থাকবে আমার নিজের। সে কে যে ঔষধ দিয়ে তা বদলে দিতে চায়! এ ব্যাপারটা আমার মোটেও পছন্দ হয়না। মনে মনে ক্ষুব্ধ হতে থাকি আমি। প্ল্যান করি ঔষধগুলো জানালা দিয়ে ফেলে দেবো অথবা কমোডে ফ্লাশ করে দেবো। কিন্তু আরেক উৎপাত শুরু হয়েছে এই রুমে আসার পর থেকে। আমার মেডিকেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন মোটা মত নার্সকে । তার চেহারাটা সে সারাটাক্ষন এমনই গম্ভীর করে রাখে যে মনে হয় ঔষধ না খেলে আমাকেই খেয়ে ফেলবেন তিনি। রোজ নিয়ম করে তিন বেলা ঔষধগুলো আনেন আর না খাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়েই থাকেন পাশে।

দুই নম্বর পরিবর্তনটাই সবচেয়ে মজার। সেটা ঐ আহত শিশুটিকে আমার জিম্মায় দেওয়া। এ চারমাসে সে বেশ সেরে উঠেছে। হাতে ও গলায় কিছু আঁকিবুকি রেখা ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায়না আর। ডক্টর বলেছেন এটুকুও মিলিয়ে দেবেন তিনি। দরকারে প্লাস্টিক সার্জারী করা হবে তার। শিশুটিকে রাস্তা থেকে এক দল লোক একদিন সকালে এ হসপিটালে রেখে গিয়েছিলো। তারা কেউই তার আপনজন নয়। তার সংবাদ ও ছবি দিয়ে নানা নিউজপেপারে নিখোঁজ সংবাদ ছাপানো হয়েছে। টিভি শো হয়েছে বেশ কয়েকটা। তবুও শিশুটির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আপাতত আমরা দুজন মানে একজন আপনজন থেকেও না থাকা গৃহহীন মানুষ, অপরজন কোথাও আপনজনদের সন্ধান না পাওয়া গৃহহারা মানুষ, আমরা একই ঘরে বাস করছি। দুজন অসম বয়সী বন্ধু আমরা। এবং আমার বন্ধুটি এতই ছোট যে মনের ভাবও ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারেনা। আধো আধো বলে কেবলই কথা বলা শিখছে সে। মাঝে মাঝে সে মা মা করে ডাকে। এদিক ওদিক খোঁজে কাউকে। মাঝে মাঝে তারা বুজি, তারা বুজি বলে কাউকে ডাকে একা একা। আমার কষ্টে বুক ফেটে যায়। ও কাকে খোঁজে বলতে পারেনা। ওর ঠিকানা বলারও ক্ষমতা নেই। একদিন দুপুরে ঘুম ভেঙ্গে উঠে ও মোতালেব মামা মোতালেব মামা বলে কাকে যেন খুঁজছিলো। আমি বললাম কি হয়েছে সোনা? সে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে উঠলো, আধো আধো বোলে বললো, মোতালেব মামা আততিলো।

আমার দুচোখ দিয়ে পানি পড়ে। কি যে কষ্ট লাগে! কোথায় পাবো আমি তার মা, তারাবুজি বা মোতালেব মামাকে? আমি যদি পারতাম ওকে ভুলিয়ে দিতাম ওর সকল পুরোনো স্মৃতিকে। নিজের এত বড় ক্ষতির পরেও আমি কখনও নিজের নিয়তি ছাড়া বিধাতাকে দোষ দেইনি। কিন্তু আজ আমার বিধাতার উপর ক্রোধ জন্মাতে থাকে। এই শিশুটির কষ্ট ভুলিয়ে দিতে তার কি উচিৎ ছিলো না তার সকল স্মৃতি মুছিয়ে দেবার?

আমাদের দুজনের জন্য দুটি আলাদা বেড রয়েছে রুমে। ওর দেখাশোনার জন্য আলাদা সেবিকাও আছে কিন্তু আমি ওকে আমার সাথে নিয়েই ঘুমোই। ওর সব কাজ আমি নিজেই করে দেই। ওকে খাওয়ানো, গোসল করানো, ঘুম পাড়ানো সব। এতটুকু বাচ্চা কি একা একা ঘুমোতে পারে? ও আমাকে জড়িয়ে ধরে যখন ঘুমিয়ে থাকে আমার মনে হয় এই পৃথিবীর অন্তত একটা মানুষের কাছেও হয়তো এখনও আমার এতটুকুও মূল্য আছে।

আমি ওকে গল্প শুনাই, ছড়া শেখাই। বারান্দার গ্রীলের ফাঁক দিয়ে ওকে আমি চাঁদ দেখাই। গান শুনাই আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা। সে এই ছড়া শুনে সে আবারও মামা মামা করে খুঁজতে থাকে চারপাশে। আমার দুচোখ ফেটে কান্না আসে। আমি আর ওকে চাঁদমামার গান শুনাই না। ওকে বুকে চেপে ধরে আমি ওর সব টুকু কষ্ট নিয়ে নিতে চাই আমার বুকের মধ্যে। ও চুপ করে কি যেন ভাবে। আমার দুচোখের পানি গড়িয়ে পড়লে আমার মুখের দিকে মাথা তুলে ওর ছোট্ট দুহাতে আমার চোখের পানি মুছিয়ে দেয়। ওর ছোট্ট ছোট্ট হাতের চেটো কি যে মোহনীয় সুন্দর। নরম তুলতুলে বিড়ালের মত আঙ্গুলগুলোতে চুমু খাই আমি।

আমি ওর জন্য লাইব্রেরী থেকে রুপকথার গল্প, ফেইরী টেল নিয়ে আসি। রোজ দুপুরে ওকে আমি গল্প শুনাই। ও র‌্যাপুনজেলের গল্পের বন্দিনী রাজকন্যার ছবিটার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে। আমি অবাক হই ওর এত টুকু বয়সে ও কি করে বুঝলো ওর আর আমার মত র‌্যাপুনজেলও বন্দিনী ঐ গল্পের বই এর উঁচু টাওয়ারের ছবিটার মাঝে? আমার সাথে ওর দিন বেশ কাঁটে নানা রকম আনন্দে , গল্পে আর খেলায় । আমার মনের অনেক কথাই আমি ওকে বলি। ও কিছুই বোঝেনা শুধু হাসে। এখন আর সবকিছু খালি খালি লাগেনা আমার। সব সময় মনে হয় আমার একটা কাজ পড়ে আছে। কোথাও আমাকে প্রয়োজন। কারু একজনের জীবনে আমি সবচাইতে মূল্যবান যার আমি ছাড়া এই দুনিয়ায় আপনজন কেউ নেই।

ও আর এখন ঘুমের মধ্যে মা মা করে কেঁদে ওঠে না। তারা বুজি বলে কাউকে খোঁজে না। ও আমার গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকে। যে কোনো প্রয়োজনে বা দুঃখ পেলে বা রাগ হলে সে ঠোঁট ফুলিয়ে আমাকে খোঁজে । ও আমাকে আজকাল মা বলে ডাকছে। এটা নিয়ে আমার যদিও একটু লজ্জা লাগে তবুও আমার প্রানটা ভরে যায়। ও আমাকে যতবার মা বলে ডাকে ততবার আমি ছুটে এসে ওকে চুমু খাই। আমার মনে হয় আমার জীবনে আমি ওর মত করে আর কাউকেই ভালোবাসিনি। রুপকথাকে নিয়ে বেশ কেটে যাচ্ছে আমার জীবন। আমি ওর নাম দিয়েছি রুপকথা। ও তো আমার রুপকথাই । আমার রুপকথার রাজকন্যা।

আমার বিদেশে চাকুরীতে যোগ দেবার ব্যাপারটার বেশ অগ্রগতী হয়েছে। ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং মাদাম তেরেসা টিচার আমাকে দারুন ভালোবাসেন। আমি এখন অনায়াসে ইংলিশ নিউজ পেপার বা যে কোনো ইংলিশ বই এর প্যারার পর প্যারা গড় গড় করে পড়ে যেতে পারি। উনি অবাক হন। এত তাড়াতাড়ি এত ইমপ্রুভমেন্ট আশা করেননি তিনি। কিন্তু আমার তো আসলে এসব ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই কাজেই মন দিয়ে ইংলিশ পড়াটা তেমন দুসাধ্য ছিলোনা। কম্পিউটারে চিঠি টাইপ করা বা ওয়ার্ড, এক্সেল টাইপ ছোটখাটো কাজগুলোও বেশ শিখে ফেলেছি আমি। আর ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মজার দুনিয়া আমাকে এক অন্যরকম আলোর পথ দেখায়। কত কিছু যে জানার ছিলো আমার তাই ভাবি বসে বসে।

শুধু মাঝে মাঝে বুকের মধ্যে কাঁটার মত একটা সংশয় ফোটে। আমি চলে গেলে কি হবে আমার রুপকথার? আমাকে না পেলে ও তো বাঁচবেই না। বুক কেঁপে ওঠে আমার। তবে কি ওকে ছেড়েই চলে যেতে হবে আমাকে?

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মমতাময় এক দুঃখ গাঁথা ।
ফুল সিরিজে ভাল লাগা । প্লাস বাটনেও প্রেস করে গেলাম ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস লিটন। আপনাদের ভুয়সী প্রশংসা শুনে লজ্জা পাই। আপনারা পড়ছেন এটা দেখে মাঝে মাঝে মনটা ভরে যায়। দুঃখ এবং মমতা এ দুই বুঝি আঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মমতার সুখ তার চাইতে অনেক দূর্বল। ভালো থাকুন সর্বদা।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আনন্দ ফিরে আসছে আস্তে আস্তে । মনটাও ভাল হতের শুরু করেছে ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: আনন্দ। কান্নার মাঝেও অনেকের আনন্দ থাকে। জগতের সবাই সুখে থাকুক, আনন্দে থাকুক এটাই আামাদের চাওয়া। তবুও এত চাওয়ার মাঝেও কোন ফোকরে যেন বিষাদ ঢুকে পড়ে।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোথাও শান্তি নেই, এতো এতো মায়া থাকলে শান্তি থাকে কি করে?

এই পর্বে এসে এটাকে গল্প মনে হচ্ছে। দেখি কোথায় নিয়ে যান পাথরকুঁচিকে।

শুভকামনা রইলো। :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: সবকিছুই তো গল্প শতদ্রু। জীবনের গল্প কোনো করুণা চায়না বরং গল্পের গল্পই পাঠক ভেবে নিক যে যার মত। পাথরকুঁচি কোনটা বেছে নেবে সে শুধু তার নিজেরই থাকুক।


সব বেদনা সবাইকে জানানো যায়না। দরকারও নেই তো।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি মুলত পাঠক , ভাল লিখা পড়তে পারলে নিজেকেই ধন্য ধন্য মনে হয় ।

( ভিন্নার্থ প্রকাশের শঙ্কায় )
ফুল বলতে আমি পুরো সিরিজ বুঝিয়েছি । :D

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: না ফুল বলতে ফুলের ভিন্নার্থ বুঝবো এতখানি ফুল এখনও হয়ে পড়িনি গিয়াসভাই। আপনার মন্তব্যে মজা পেলাম তাই মজা করেই উত্তর দিলাম। ভালো থাকবেন। আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,



সারাটাদিন যেমন চলমান, জীবনও তেমনি চলমান । সরুগলি থেকে উত্তরন খোঁজে পীচ ঢালা রাজপথে ।

এই গল্পটাও তেমনি , চলমান ....লম্বা একটি পথ চলতে হবে তাকে । গল্পটি হয়তো নিজেও জানে না এই চলা তাকে কোথায় নিয়ে যাবে । কেবলই পরতের পর পরত খুলছে ।
খুলুক ......

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সব সময় অনুপ্রেরনা খুঁজে পাই। আন্তরিক ধন্যবাদ আহমেদভাই।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: স্পর্শিয়া, প্রথমে সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি! আজকের পর্বটা পড়ে মনে হচ্ছে পাথরকুচির জীবনের মোড় পরিবর্তন হতে শুরু করেছে! জানিনা এটি কোথায় গিয়ে থামবে! তবে প্রথম থেকেই আপনার পাথরকুচির থাকে আছি, এবং শেষ অবধি থাকবো বলে আশা রাখি!

শুভ কামনা জানবেন!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ অবধি যারা পড়ছেন এবং পড়বেন। আপনাকে ও তাদেরকে। ভালো থাকুন আপনি।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এই পর্বে এসে একটি দারুন আনন্দময় অনুভূতি।পাথরকুঁচির জীবনে দারুন সুখ বয়ে গেল এখানে।অনবদ্য বর্ণনায় এগিয়ে যাচ্ছে...চলতে থাকুক

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: পাথরকুঁচিদের জীবনে আশার আলো বয়ে আনুক সুখ ও আনন্দ। ধন্যবাদ রুদ্র।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অন্ধকারের পর ভোরের আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে!!!!

আবার ভোর হতে না হতেই ভোরেই যেন আরেক ঝড়ের শংকা!!! রুপকথার বিচ্ছেদ!

অপেক্ষায় রইলাম... কিভাবে সমাপ্তি আসে!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: পাথরকুঁচিদের জীবনে অন্ধকার কাটাতেই হবে। ঝড়ঝঞ্ঝা বা বিভেদ বিচ্ছের সকল শংকা কাটাতেই হবে তাদেরকে। আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো বিদ্রোহী ভৃগু। সর্বদা সাথে থাকার জন্য।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

কাবিল বলেছেন: আগে সবগুলো পড়ে নি তার পর মন্তব্য করব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

সুমন কর বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল। ভালো লাগা রইলো।

ভালো থাকুন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। শুভকামনা সর্বদা।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জেন রসি বলেছেন: গল্পের এই পর্বে এসে একটা বাঁক পরিবর্তনের আভাস পাচ্ছি। তবে জীবনে যাইহোক না কেন মানুষ আসলে ইচ্ছা করলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে। "But man is not made for defeat. A man can be destroyed but not defeated." - Ernest Hemingway।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।শুভকামনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: সেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাশক্তিটাকে মাঝে মাঝে জাগিয়ে তুলতে হয়। কখনও কখনও উদ্দিপক প্রয়োজন। চরম হতাশা বা কনফিডেন্স ল্যাকিংসটাও উদ্দিপকের সাহচর্য্যে পুনরোজ্জীবিত করা যেতে পারে। ধন্যবাদ জেন রসি।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পাথরকুঁচির ওপর দিয়ে অগ্নি নিঃসারক যদি অগ্নিগোলকও নিক্ষেপ করে তবেও তাঁর কিছুই হবে না। পাথরকুঁচিকে থামাবে এমন সাধ্য প্রকৃতির নেই। আগে ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত- যতক্ষণ পাথরকুঁচির অনিন্দ্য অবয়বে কোন এসিড ছুঁড়ে মারা হয়নি।

আমাদের পাথরকুঁচিকে শিল্প ও মননেই থাকতে দেখতে চাই। কর্পোরেট জগতে কর্পুরের মতই সব মায়া উবে যায়। তাই চাই না সে কর্পোরেট জগতের স্বপ্ন দেখুক। পাথরকুঁচির আত্মনির্ভরশীল হবার অনেক রাস্তাই খোলা আছে কিন্তু।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০০

স্পর্শিয়া বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। ভালো থাকুন।

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি মাহি বলেছেন: ওপারের পথে আপ্নাকে এজা একাই হেড়ে যেতে হবে,,কেউ সংগী হবে না,,,,,,আসাধারন লেখনী, ,,,,,

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: মানুষ তো সব সময় একা। আসবার এবং যাবার সময়। উভয় সময়েই। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমি অবাক হই ওর এত টুকু বয়সে ও কি করে বুঝলো ওর আর আমার মত র‌্যাপুনজেলও বন্দিনী ঐ গল্পের বই এর উঁচু টাওয়ারের ছবিটার মাঝে?
ছোট্ট ছত্রে বলা হয়ে গেছে অনেক কথা..........
হৃদয় ছোঁয়া,
ভেবেছিলুম ছড়ায় মন্তব্য করবো,কেনো জানি মাথা কাজ করছেনা।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলুম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: স্পর্শিয়া
আপনার প্রতিটা পর্বই পড়লাম এক এক করে। আপনার লেখনীশক্তি জীবন্ত এবং অসাধারণ। আপনার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকুন সর্বদা। আপনার জন্য মন থেকে প্রার্থনা রইলো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা ময়ুরাক্ষী।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাচ্চাটার জন্যে আমার খুব খারাপ লাগছিলো। সে নতুন মা পেয়েছে দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা আপনাদের জন্যে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা হাসান মাহবুব।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

দর্পণ বলেছেন: রুপকথা মা পেয়েছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। দুজনের জন্যই শুভকামনা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা দর্পন।

১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

ক্যাটালিয়া বলেছেন: "এই শিশুটির কষ্ট ভুলিয়ে দিতে তার কি উচিৎ ছিলো না তার সকল স্মৃতি মুছিয়ে দেবার? "

বুকটা হু হু করে উঠলো এই লাইনটাতে!
আপনার মত আমারও যদি একটা রুপকথা থাকতো! আমার আর কিছুই নেই , শুধু এক বুক মমতা ছাড়া!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: রুপকথার মত একজন কেউ আসুক। মমতা আর ভালোবাসায় ভরে উঠুক আপনার জীবন।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে মনভালো হল অনেকটা। আসলে অনেক খারাপের মাঝেও সুখ খুঁজে পেতে হয়। আমার পছন্দের দুটো গজলের দুটি লাইন,

"পাত্থার বানা দিয়া মুঝে রোনে নাহি দিয়া" কিন্তু তারপর যখন শুনি,

"দুনিয়া মে লোগোকি কিতনা গাম হ্যায়,
মেরা গাম কিতনা কাম হ্যায়"

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক ভালো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর গান নিশ্চয়। মনে হয় শোনা হয়নি।

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০

বাংলার ফেসবুক বলেছেন:

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসাধরণ এই ছবিটি দেখে মন ভরে গেলো। আপনাকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ বাংলার ফেসবুক।

২২| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলমান রাস্তার গতি আমাকে বিমোহিত করে - আমাকেও করে।
"গতির পিছু ধাওয়া করার সাধ্য আমার নেই।
মনটা পিছু নেয়, তাই গতিময় কিছু দেখলেই
!" (আমারই একটা কবিতা থেকে)
রূপকথা! - এ নামটি কারো একটি পোস্টে আপনার কোন মন্তব্যে আমি দেখেছিলাম বলে মনে পড়ছে।
এই পোস্টে রূপকথাকে নিয়ে বলা আপনার কথা/অনুভূতিগুলো খুবই কোমল, মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
গল্পে ভাললাগা + +।

২৩| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৩০

শায়মা বলেছেন: ২২. ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলমান রাস্তার গতি আমাকে বিমোহিত করে - আমাকেও করে।
"গতির পিছু ধাওয়া করার সাধ্য আমার নেই।
মনটা পিছু নেয়, তাই গতিময় কিছু দেখলেই!" (আমারই একটা কবিতা থেকে)
রূপকথা! - এ নামটি কারো একটি পোস্টে আপনার কোন মন্তব্যে আমি দেখেছিলাম বলে মনে পড়ছে।
এই পোস্টে রূপকথাকে নিয়ে বলা আপনার কথা/অনুভূতিগুলো খুবই কোমল, মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
গল্পে ভাললাগা + +।

আজ এতদিন পর দেখলাম হঠাৎ কমেন্টটা ভাইয়া। মাঝে মাঝে ভাবি আমি এসব লিখেছিলাম!!

কেমনে জানিনা!!! :P

আমার মেয়ে হলে এই নামই রাখতাম আমি।

২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও প্রায় চার বছর পর আজ আপনার এই প্রতিমন্তব্যটি দেখলাম।
স্পর্শিয়াকে আবার ফিরিয়ে আনুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.