নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম একজন অলস ব্লগারের খেরোখাতায়।

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়

ভালবাসি বাংলাদেশকে।

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের দশটি স্বাস্থ ঝুকি ও তার প্রতিরোধ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩







পুরুষের স্বাস্থ্যের যে বড় ঝুঁকি রয়েছে, এগুলোর সবই প্রতিরোধ করা যায়। দীর্ঘ, সুস্থ জীবনের জন্য জানা চাই:

মাত্র ১০টি স্বাস্থ্যঝুঁকি সামলালেই হলো। বিখ্যাত সংস্থা সিডিসি এবং আরও কয়েকটি স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান থেকে জানা গেল।

১. হূদরোগ

পুরুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রধান ঝুঁকি তো বটেই। আর স্বাস্থ্যকর জীবন পছন্দ মানলে হূদস্বাস্থ্য ভালো থাকবে অবশ্যই।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন জীবনযাপনের অংশ হবে শরীরচর্চা। রক্তে যদি থাকে উঁচুমান কোলেস্টেরল, থাকে যদি উচ্চরক্তচাপ তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর শাকসবজি, টাটকা ফল, গোটা শস্যদানা, আঁশ ও মাছ। যেসব খাবারে চর্বি বেশি, নুন বেশি সেসব খাবার বর্জন করা ভালো। ধূমপান করা যাবে না। তামাক, জর্দা, গুল চিবানো চলবে না। কেউ ধূমপান যদি করে, তার পাশে থাকা যাবে না। বারণ করতে ব্যর্থ হলে দূরে সরে যেতে হবে।

ডায়াবেটিস যদি থাকে, তাহলে রক্তের সুগার মান বজায় রাখতে হবে। মদ্যপান করে থাকলে বর্জন করতে হবে।

মানসিক চাপকে মোকাবিলা করতে হবে।

২. ক্যানসার

পুরুষের মধ্যে ক্যানসারের কারণে যাদের মৃত্যু হয়, শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যানসার। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির অভিমত: এর কারণ হলো ধূমপান। এরপর রয়েছে প্রোস্টেট ক্যানসার ও কোলেস্টেরল ক্যানসার।

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে—

ধূমপান করা যাবে না। তামাকপাতা, জর্দা, গুল চিবানো যাবে না।

দৈনন্দিন জীবনে শরীরচর্চা থাকতেই হবে। পাশে কেউ ধূমপান করলে দূরে সরে যেতে হবে।

নিয়মিত ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ও সাহায্য নিতে হবে। মদ্যপান বর্জন করতে হবে। কড়া রোদে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। ছাতা ও মাথাল ব্যবহার, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।ফল ও শাকসবজিসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর আহার। এড়িয়ে যেতে হবে চর্বিবহুল খাবার। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে।

ক্যানসার জনক বস্তু অর্থাৎ কার্সিনোজেন যেমন, রেড়ন, এসবেসটস বিকিরণ ও বায়ুদূষণের মুখোমুখি যাতে না হতে হয়, সে রকম ব্যবস্থা করা।

৩. আঘাত

সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল সিডিসির মত অনুযায়ী পুরুষের মধ্যে মারাত্মক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো, মোটরগাড়ি দুর্ঘটনা। ভয়ানক দুর্ঘটনা এড়াতে হলে—

ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানো ঠিক নয়। মদ বা অন্য কোনো নেশা করে গাড়ি চালানো উচিত নয়। গাড়ি চালানোর সময় গতিসীমা মেনে চলা উচিত। গাড়িতে সিটবেল্ট পরতে হবে।

মারাত্মক দুর্ঘটনার অন্যান্য বড় কারণ হলো, পতন, পিছলে পড়ে যাওয়া, বিষক্রিয়া। বায়ু চলাচল হয় এমন স্থানে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত, স্নানঘরে পিছলে যায় না এমন ম্যাট ব্যবহার করা উচিত।

৪. স্ট্রোক

স্ট্রোকের কিছু ঝুঁক আছে, যা পরিবর্তন করা যায় না যেমন, পারিবারিক ইতিহাস, বয়স ও গোত্র। তবে আরও কিছু ঝুঁকি আছে যেগুলো বেশ বদলানো যায়।

মদ্যপান করে থাকলে বর্জন করা উচিত। ডায়াবেটিস যদি থাকে, তাহলে রক্তের সুগার যেন থাকে নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিনের দিন যাপনে ব্যায়াম অবশ্যই থাকা উচিত। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত। খাবারে যদদূর সম্ভব স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকা ভালো। ট্রান্সফ্যাট একেবারে বাদ দিলেই মঙ্গল। রক্তচাপ বেশি হলে বা রক্তে কোলেস্টেরল মান বেশি থাকলে চিকিৎসকের চিকিৎসা ও পরামর্শ মেনে চলা উচিত। ধূমপান করা ঠিক নয়।

৫. সিওপিডি

শ্বাসযন্ত্রের ক্রনিক রোগ যেমন ব্রংকাইটস এবং এমফাইসেমা-এদের বলে সিওপিডি। পুরো মনে করলে দাঁড়ায় কুনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। এ রোগ ঠেকাতে হলে—

রাসায়নিক বস্তু এবং বায়ু দূষণের মুখোমুখি যত কম হওয়া যায়, ততই মঙ্গল। ধূমপান কখনই নয়। কেউ ধূমপান করলে পাশে, সে ধোঁয়াও গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬. টাইপ ২ ডায়াবেটিস

সবচেয়ে সচরাচর ডায়াবেটিস টাইপ ২ ডায়াবেটিস রক্তে বেড়ে যায় সুগার।

একে নিয়ন্ত্রণ না করলে হয় নানা রকমের জটিলতা, হূদরোগ, অন্ধত্ব, স্নায়ু রোগ, কিডনির রোগ।

একে প্রতিরোধ করতে হলে—

শরীরে বেশি ওজন থাকলে বাড়তি ওজন ঝরাতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে থাকবে অবশ্যই ব্যায়াম।ফল, শাকসবজি ও কম চর্বি খাবারে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

৭. ফ্লু

ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো সচরাচর একটি ভাইরাস সংক্রমণ। সুস্থ শরীরের মানুষের জন্য ফ্লু এত গুরুতর নয় বটে, তবে ফ্লুর জটিলতা মারাত্মক হতে পারে, বিশেষ করে যাদের দেহ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা যাদের ক্রনিক রোগ রয়েছে।

ফ্লু থেকে রক্ষা পেতে হলে বছরে একবার ফ্লুর টিকা নিতে হবে।

৮. আত্মহত্যার মতো দুর্ঘটনা

পুরুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বড় একটি হলো আত্মহত্যা। অনেক দেশে, সমাজে পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার কারণ হলো বিষণ্ন্নতা। মন বিষণ্ন মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। চিকিৎসা তো রয়েছেই। নিজের সর্বনাশ করা কেন? যতই প্রতিকূল অবস্থাই হোক, যত বিপদই হোক, একে অতিক্রম করাই তো মানুষের কাজ।

৯. কিডনির রোগ

ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের প্রথম জটিলতা হলো কিডনি বিকল হওয়া। ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে চিকিৎসকের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে হবে।

স্বাস্থ্যকর আহার। নুন কম খেতে হবে।

প্রতিদিন ব্যায়াম

ওজন বেশি থাকলে ওজন ঝরানো।

ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ।

১০. আলঝাইমারস রোগ

এই রোগ প্রতিরোধ করার কোনো প্রমাণিত উপায় নেই। তবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া যায়—

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত। মাথায় যাতে আঘাত না লাগে, দেখা উচিত। মাথায় আঘাত লাগার সঙ্গে ভবিষ্যতে আলঝাইমার রোগ হওয়ার একটি সম্পর্ক আছে, বলেন অনেকে। হূদযন্ত্রের যত্ন নেওয়া ভালো। উচ্চরক্তচাপ থাকলে হূদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস উঁচুমান কোলেস্টেরল থাকলে আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

মদ্যপান বর্জন। ধূমপান বর্জন। প্রতিদিন ব্যায়াম।

সামাজিক মেলামেশা চালিয়ে যান।

মানসিক ফিটনেস বজায় রাখতে হবে। মগজ খেলানোর জন্য চর্চা, ব্যায়াম। নতুন জিনিস শেখার চেষ্টা করা।

শেষ কথা

স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

ঝুঁকিগুলোকে মনে হবে ভয়ের কিছু, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যা কিছু দরকার করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, দৈহিকভাবে সক্রিয় থাকা, ধূমপান করে থাকলে ছেড়ে দেওয়া, নিয়মিত চেকআপ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরায় সতর্ক থাকা, সবই করা ভালো। প্রতিরোধমূলক এসব কাজকর্ম চালিয়ে গেলে দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।





মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভাল পোস্ট।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুমন কর বলেছেন: কাজের পোস্ট।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সত্যিই।
ভাল থাকবেন।
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনায়।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: দরকারি পোস্ট!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: থ্যাংকস । ভাল থাকবেন ।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: বিষণ্ন্নতা'র চিকিৎসা পাবো কোথায় ?
এটা কি ট্যাবলেট খেয়ে ভালো হবার মত রোগ ?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আমিতো আর ডাক্তার না। তবে ভাল কোন ডাক্তার দেখান।

বিষন্নতা দূর করতে হলে সবসময় হাসি-খুশি থাকুন, পর্যাপ্ত ঘুমান, মানসিক চাপ কমান আর কিছুদিন পর পর সম্ভব হলে কোথাও ঘুরে আসবেন।

সবশেষে নিয়ম মেনে চলুন।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট !

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: খুব ভাল লাগল । সুন্দর পোস্ট ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শূভকামনা আপনার জন্য।

৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২২

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: সুন্দর

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: থ্যাংকস।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সোট্রাকের ব্যাপারে কিছু জানার আছে। আপনি বলেছেন ব্যায়াম স্ট্রোকের ঝুকি কমায়। কিন্তু ব্যায়াম টার ধরন বললে আরো সুবিধা হত। শুধু হাটহাটি বা প্রতিদিন দৌরালেই হবে?? নাকি ভারি জিম করতে হবে। জানালে উপকৃত হব।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: হালকা ব্যায়ামই শরীরের জন্য ভাল।
এ ব্যাপারে ভাল কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপমুক্ত থাকা ,পরিমিত খাবার, ঘুম/ বিশ্রাম, নিয়ামানুবর্তিতা ইত্যাদি মেনে চলাই স্বাস্থ্য ভাল থাকার পূর্বশর্ত।

ভাল থাকবেন।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: +++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

চিরতার রস বলেছেন: ভাল পোস্ট। সবার কাজে আসবে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: :) :) :) :)

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

সকাল রয় বলেছেন:

দারুন পোষ্ট!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: B-) B-) B-) B-)

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩০

টয়ম্যান বলেছেন: টয়ম্যান হৈলেও কাজে লাগবে B-) B-)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ;) ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.