নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়
বয়স আশির কাছাকাছি। দাঁড়িয়ে থাকার শেষ শক্তিটুকু নিয়ে ভীড় ঠেলে কোনোরকম সামনে এসে দাঁড়ালেন।চত্বরে তখন ভরা যৌবন জোয়ার।রাজাকারের ফাঁসি চাই-ধ্বনিতে প্রকম্পিত লাখো তরুনের কন্ঠ। বৃদ্দ্বের সামনে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা ঠেকাতে এগিয়ে যেতেই অনুরোধ করলেন কিছু বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয় তা বুঝিয়ে বলতেই জানালেন, বাবা আমার ছেলে একাত্তরে যুদ্দ্ব করতে গিয়ে আর ফিরে আসে নাই। আমি জানি না সে বেঁচে আছে না শহীদ হয়েছে। আমি প্রতিদিন আমার ছেলের অপেক্ষায় দিন কাটাইতাম। কিন্তু আজ থেকে আমি আর অপেক্ষা করব না। কারন আমার লক্ষ লক্ষ সন্তান আজ এখানে যুদ্দ্বরত। এক সন্তানকে হারিয়েছি তার জন্য এখন আর আমার দুঃখ নাই। তোমরাই আমার সন্তান। বলতে বলতে গলাটা কেমন ভারী হয়ে এলো। চোখ থেকে কয়েক ফোটা অস্রু ঝরে পড়ল। শেষে বললেন, বাবা আমরা পারি নাই। কিন্তু তোমরা এই প্রজম্ম পারবে। তোমাদের চোখে সে আগুন আমি দেখতে পাচ্ছি। যুদ্দ্বাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তোমরা রাজপথ ছাড়বা না। অস্রু সিক্ত নয়নে বৃদ্দ্বকে কথা দিয়েছিলাম বাংলার বুক থেকে সকল যুদ্দ্বাপরাধীকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রন্জিত পবিত্র এই মাটিকে আমরা রাজাকার মুক্ত না করে ঘরে ফিরব না।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
রাফা বলেছেন: এরকম লক্ষ লক্ষ বাবা-রাই আজকের বাংলাদেশের প্রকৃত দাবিদার।
সব ছেলে হারানো বাবাদেরকে সালাম।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: দামাল ছেলেদের জন্য শুভকামনা বিজয়ের পতাকা হাতে ঘরে ফিরুক
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঐ বাবাকেও আমাদের সালাম জানাবেন। রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ আমাদের গড়তেই হবে, তাতে যদি আবারো যুদ্ধে যেতে হয়, তবে জেনে রাখুন বাংলার কোটি কোটি সন্তান তাদে প্রাণ নিয়েই হাজির আছে। এবার রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠলো নিউ ইয়র্ক (ফটো ব্লগ), ধন্যবাদ।