নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মত আমি

আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা

মাহামুদ রোমেল

মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়

মাহামুদ রোমেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বীপের মৃত্যু এবং আমাদের সুশীল মিডিয়া

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

নামের মতই স্বাআলোয় প্রজ্জলিত ছিলো দ্বীপ রায়হান। প্রায় তিন মাস ধরে নিভু নিভু করে অবশেষে আমাদের অন্ধকারের সাগরে ভাসিয়ে নিভে গেলো বুয়েটের মেধাবী ছাত্র ''দ্বীপ''। সে হেফাজত কর্মী মেজবাহ ও তার সহযোগিদের চাপাতির আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে এতদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলো।



দ্বীপের মৃত্যুতে আমাদের মিডিয়াগুলাতে বড় বড় হেডলাইন হয়নি। টকশোর টকারদের দাঁতকেলানো কথার ফুলজুরিতে মধ্যরাত প্রকম্পিত হয়নি। নেতা নেত্রীদের রাজনৈতিক মানবিকতার চেতনা প্রস্ফুটীত হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলার মানবিক অধিকারের কোন হেরফের হয়নি। গত তিন মাস ধরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করা দ্বীপের কথা কেউ মনে করেনি। তার উপর ফলোআপ স্টোরি হয়নি। টিভি মিডিয়াতে সচিত্র প্রতিবেদন যায় নি। কারন দ্বীপ ''বিশ্বজিত'' ছিলো না। দ্বীপের চাপাতির আঘাত ছাত্রলীগের ছিলো না। ছিলো একটা ধর্ম ব্যাবসায়ী গোষ্ঠির পথভ্রষ্ট কিছু কর্মীর যারা ধর্মের নামে হত্যাকে জায়েজ করে। দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাপাতির আঘাতে বিরুদ্ধবাদীদের কন্ঠরোধ করে।



আমরা ভদ্রসমাজ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না। আমরা দেশপ্রেমিকরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না। আমরা নিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না। আমরা মানবতাবাদীরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না। আমরা রাজনীতিবিদ ধোঁকাবাজরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলি না। আমরা বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারের জন্য গলা ফাটাই, হত্যাকারীদের দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে পাঠাই। আমরা দ্বীপ হত্যাকারীদের বিচার চাইতে লজ্জাবোধ করি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

খাটাস বলেছেন: হত্যার অবশ্যই বিচার চাই, কিন্তু দ্বীপ কোন ধোয়া তুলসি পাতা ছিল না। ধর্ম বেবসায়ি রা মারুক আর চেতনা বেবসায়িরা মারুক, অথবা রাজাকারের সাহায্যকারীরা মারুক- একটা জীবন নেয়ার অধিকার কারও নেই।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

শিক্ষানবিস বলেছেন: আমার একটি প্রশ্ন, দীপ যে একজন ইমামকে মারধোর করেছে, এ অন্যায়ের বিচার কি এই সমাজ, এই প্রশাসন, এই সরকার, এই দল, এই আদালত, এই রাষ্ট্র কি কখনো করতো?
এভাবে অবিচার একটি উগ্র প্রতিবাদের জন্ম নেয়। প্রতিবাদী তখন নিজের প্রাণের ঝুকি নিয়ে বিচার করতে চায়। আমরা তাকে সন্ত্রাস বলি।
অবিচার আর সন্ত্রাসকে আমরা সমানভাবে ঘৃণা করি। আমাদের নিরপেক্ষ সুস্থ বিবেক এই শিক্ষাই আমাদের দেয়।
দীপ মারা গেছে আমরা কাদছি। কাদবোই। বিচার চাইছি। চাইবোই। কিন্তু দীপের আঘাতে সেই ইমাম মারা গেলে আমরা কতটা কাদতাম? কতখানি বিচার দাবী করতাম?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.