নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মত আমি

আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা

মাহামুদ রোমেল

মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়

মাহামুদ রোমেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা পরিবর্তন চাই, আর পরিবর্তন হবেই। তৈরি হও প্রজম্.........

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯

আমি রাজাকার ঘৃনা করি। রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত দলকে ঘৃনা করি। তাদের অনুসারিদেরকে ঘৃনা করি। রাজাকারদের সাথে যারা আঁতাত করে, তাদের দালালি করে তাদেরও ঘৃনা করি। ঘৃনা করি তাদের দ্বারা বিব্রান্ত হওয়া মূর্খদের।



আমি খুব তুচ্ছ। আমি এটুকুই করতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা নাই আমার। আজম্ম এটাই করে যাব আমি। আমার পরবর্তি প্রজম্মকেও সেই শিক্ষা দিয়ে যাব। তারাও তাদের পূর্বসুরিদের চেতনাকে অন্তরের গভীরে ধারন করবে। তারা হাজার বছরের বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক হবে। তারা ভুলে যাবেনা বায়ান্ন, তারা ভুলে যাবে না বাষট্টি, তারা ভুলে যাবে না ঊনসত্তর, তারা কখোনোই ভুলবেনা সমুদ্রসম রক্তের দামে কেনা একাত্তর। তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আমাদের মত তাদেরও ধমনিতে প্রবাহিত হবে। দু-লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনের কান্নার জল জ্বালানী হয়ে তাদের বুকে দাউ দাউ করে জ্বলবে। সেই আগুনে তারা ধবংস করে দিবে দেশবিরোধী সব কুচক্রি দালালদের। ধবংস করে দিবে ধর্ম ব্যাবসায়ী মোনাফেকদের। ধবংস করে দিবে চেতনা ব্যাবসায়ী কথিত দেশপ্রেমিকদের। বানের জলের স্রোতে ভাসিয়ে দেবে দেশ থেকে সকল অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন,দুর্নীতি। মূলউৎপাটন করবে ক্ষমতার অন্যায় দাপট।



আমরা জানি না স্বাধীনতার মানে কি উম্মুক্ত আকাশ। আমরা জানি না স্বধীনতার স্বাধ কেমন। আমরা জানি না স্বাধীনতার রং কি সবুজের বুকে লাল । হয়তো আমরা জানবো না আর কখনো। কিন্তু তারা জানবে। আমাদের পরবর্তি প্রজম্ম জানবে। তারা আমাদের জয় করবে। তারা নিজেদের জয় করবে। নিজেদের ছাড়িয়ে যাবে তারা। তখন হয়তো এদেশে রাজাকার নামের কুলাঙ্গারারা থাকবে না। থাকবে না তাদের দল। থাকবে না তাদের অনুসারি। থাকবে না ক্ষমতার লোভে লালায়িত তাদের কোন দোষর। তখন এদেশে ধর্মের নামে ব্যাবসা করে ভন্ডরা ক্ষমতায় যাবে না। ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কথায় বাঙ্গালী বিব্রান্ত হবে না। বিব্রান্ত হবে না কথিত চেতনা প্রেমিদের মন ভুলানো কথায়।



আমরা জাগতে পারি নি। দেশটাকে জাগাতে পারি নি। পরিবর্তনের বাসনায় রাস্তায় নেমেছিলাম। নির্ঘুম কতো রাত কাটিয়েছি। ফাগুনের প্রকৃতির মত সতেজ লক্ষ লক্ষ প্রান একই সুরে গর্জে উঠেছি হায়নাদের বিরুদ্ধে। চেতনাকে বুকে ধারন করে আদর্শের বজ্রকন্ঠ রাজপথে ঝরিয়েছি। কচ্ছু হয়নি। তবে হবে। আমরা আশাহত নই। যে আগুন জ্বালিয়েছি তা কালের হাত ধরে প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম বহ্নিশিখা হয়ে স্বালোয় প্রজ্জলিত থাকবে। আর আগামী প্রজম্মের হাত ধরে সবকিছু পরিবর্তিত হবে।



আমরা পরিবর্তন চাই, আর পরিবর্তন হবেই। তৈরি হও প্রজম্.........

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ‌'আমি খুব তুচ্ছ। আমি এটুকুই করতে পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা নাই আমার। আজম্ম এটাই করে যাব আমি। আমার পরবর্তি প্রজম্মকেও সেই শিক্ষা দিয়ে যাব। তারাও তাদের পূর্বসুরিদের চেতনাকে অন্তরের গভীরে ধারন করবে।'

ভালো কথা বলেছেন। তবে এভাবে সময় লাগবে বেশি। আপনার প্রয়াস অব্যাহত থাকুক।

ধর্ম ব্যাবসায়ীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের মনে হয় দরিদ্র অশিক্ষিত শ্রেণীকে বোঝাতে হবে। মধ্যবিত্ত তথাকথিত শিক্ষিতদের থেকে এদের বোঝানো যায় সহজে। কারন এরা জানে এরা শোষিত। এই শ্রেনীকে বোঝানো যত সহজ মধ্যবিত্ত সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতদের বোঝানো তত সহজ নয়। কিন্তু এই শ্রেণীর কাছে পৌঁছানো আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের পক্ষে কঠিন। কারন আমরা পরাজিত। আমরা সবাই পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৫

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: ঠিক বলেছেন । আমরা সবাই পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: "মধ্যবিত্ত তথাকথিত শিক্ষিতদের থেকে এদের বোঝানো যায় সহজে। কারন এরা জানে এরা শোষিত। এই শ্রেনীকে বোঝানো যত সহজ মধ্যবিত্ত সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিতদের বোঝানো তত সহজ নয়। কিন্তু এই শ্রেণীর কাছে পৌঁছানো আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের পক্ষে কঠিন। কারন আমরা পরাজিত। আমরা সবাই পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন। "

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১২

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: আমরা জানি আমরা পরাজিত। আমরা শোষিত। আমরা পরিবর্তন চাই। কিন্তু আমাদের কোন মিশন নাই, ভিশন নাই। অথচ আমরা পরিবর্তন চাই। পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন হয়ে থাকতে চাই না। "

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬

আতা2010 বলেছেন: এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.