নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মত আমি

আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা

মাহামুদ রোমেল

মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়

মাহামুদ রোমেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলানী হত্যার বিচার এবং কিছু কথা

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৪

ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়েছে ভারতের কুচবিহারে। বিচার করছে ভারত সরকার। অভিযোগ আনা হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ থেকে বিজিবি প্রতিনিধির সাথে ফেলানীর বাবা ও আইনজিবী অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সীমান্ত হত্যার বিচার হতে যাচ্ছে এটি।



গত কয়েকদিন যাবৎ এই বিচারকে কেন্দ্র করে অনেকেই সমালোচনা মুখর হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হচ্ছে খবরটি। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অনেকে প্রসংসা করলেও সমালোচকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কেউ কেউ আবার এটাকে বিচারের নামে নাটক বা প্রহসন হিসাবে অখ্যায়িত করেছেন। আবার সরকার বিরোধী অতি কট্টরপন্থিরা এটাকে আওয়ামীলীগের আরেক ভন্ডামী বলে প্রফাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।



সীমান্ত হত্যা আমাদের দেশের জন্য নতুন নয়। এমন নয় যে এটা শুধু এই সরকারের আমলেই হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই সীমান্ত হত্যা হচ্ছে এবং সব সরকারের আমলেই তা অভ্যাহত থেকেছে। দেশের সাধারন মানুষের মত সব সরকারই তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। ব্যাস এটুকুই। কিন্তু পূর্ববর্তী কোন সরকার এসব হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য ভারত সরকারকে রাজি করাতে পেরেছে কি ??? না, পারে নি। এই সরকার পেরেছে । বিচারের রায় কি হবে আমি জানি না। তবে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষির বিচার হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে এই নিশ্চয়তা টুকু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার তৈরি করেছে যা সরকারের অন্যতম একটি সাফল্য হিসাবেই দেখবো আমি।



সীমান্ত হত্যা কারো কাম্য নয়। আমরা কেউই চাই না আমাদের ভাই কিংবা বোনটি লাশ হয়ে সীমান্তে পড়ে থাকুক। ভারত আমাদের উপর সীমান্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে। স্বাধীন জাতি হিসাবে যা আমাদের জন্য মর্যাদা হানিকর। আমরা কেউই তা মানতে পারি না। দেশের কোন নাগরিক যেমন নয়। কোন সরকারও নয়। সমালোচকদের মতো আমিও ফেলানীর ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত। সেই সাথে আশান্বিত এই ভেবে যে, সীমান্ত হত্যার জন্য এখন থেকে ভারতকে জবাবদিহি করতে হবে। হত্যাকারিকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। চাইলেই তারা ইচ্ছেমতো আর আমাদের হত্যা করতে পারবে না। আমি ধরে নেব একটা ট্রেন্ড তৈরি হচ্ছে। যার শুরুটা হয়ত এখান থেকে।



আমরা চাই ফেলানী হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক। হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তীব্র হোক। সীমান্ত হত্যা শতভাগ বন্ধ হোক। এর জন্য সরকারের ভুমিকা আরো জোরালো হোক। আমরা সীমান্তে আর কোন লাশ দেখতে চাই না। জীবনের বিনিময় কখনোই বিচার হইতে পারে না। বিচার তো কর্মফল নির্ধারনের একটা প্রক্রিয়া মাত্র।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৩

াজ বলেছেন: ভাই আমার http://www.only71.com এই সাইটে যান। আপনাদের ভালো লাগবে আশা করি। আপনার চাইলে লিখতেও পারেন।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

মুক্তবন্দী বলেছেন: ভোটের মাঠে আওয়ামীলিগের অসহায়ত্ব ঠেকানোর জন্য নতুন নাটকের ভারতীয় কৌশল....

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বিচারের দরকার নাই ???
সীমাণ্ত হত্যা বন্ধ হওয়ার দরকার নাই ???
যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে থাকবে ???
বিএনপি হত্যা বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে নাই বলে আওয়ামীলীগও নিতে পারবে না ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.