নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মত আমি

আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা

মাহামুদ রোমেল

মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়

মাহামুদ রোমেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই শহর এবং আমি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

সকালে বাসা থেকে বের হয়েই বুঝলাম আজকের ঢাকা অন্য দশটা দিনের মত নয়। রাস্তাঘাট ফাঁকা ফাঁকা। এমনিতেই শনিবার ছুটির দিন। সরকারী অফিসসহ ব্যাংক বীমা সব বন্ধ থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা কিছুটা ফাঁকা থাকে অন্য দিনের তুলনায়। কিন্তু আজকের অবস্থা অস্বাভাবিক।



নারিন্দা থেকে হাঁটা ধরলাম। অনেক মানুষ। ছূটছে কর্মক্ষেত্রে। কেউ স্কুলে, কলেজে। কেউ অফিসে। সবার তাড়া। ক্লান্ত, তবু থামছে না কেউ। যেন প্রতিযোগীতা চলছে। আমার তাড়া নেই খুব। হাঁটছি রিলাক্সে।



গুলিস্থান এসে আওয়ামী লীগ অফিসে ডু মারলাম। যুবলীগের প্রোগ্রাম চলছে। গেটে ব্যাপক কড়াকড়ি। তবে ভেতরে ঢূকতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। সাংবাদিকদের সারিতে গিয়ে বসলাম। আলোচনা চলছে। যুবলীগ নেতাকর্মীরা কে কোথায় কিভাবে ভুমিকা রাখবে তা নিয়ে প্লান পরিকল্পনা। ধুর, আমার কি কাজ এখানে। নিউজ করার মত কিছু নাই। বের হয়ে এলাম।



প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বিরোধী সমাবেশ চলছে। জনা বিশেক লোক হবে। এর মধ্যে শাকিল ভাইকে পেলাম। দাঁড়ালাম কিছুক্ষন উনার পাশে। বক্তারা সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতার নামে সংখ্যালঘুদের উপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন। অনেক ঝাঝালো ভাষা। নির্যাতনের চিত্র ভয়াভহ। আঁতকে উঠার মত ব্যাপার।আমি আঁতকে উঠলাম। নিরবে দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষন। ইদানিং কেন জানি সব প্রগতিশীল আন্দোলনকে নিজের আন্দোলন বলেই মনে হয়। বক্তাদের কথাগুলো মনে হয় এ যেন আমারই কথা। শুনতেই ইচ্ছা করে। কিন্তু বেশিক্ষন আর থাকা হলো না।



অলস দুপুরে ব্যাস্ত রাজপথ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। আমি সোহরাওয়ার্দীতে বসে চা খেলাম, আয়েশ করে সিগারেট ধরালাম। রতন বললো, ভাইজান দ্যাশটা কবে ঠান্ডা হৈব? আমি রতনের দিকে তাকালাম। রতন এই দোকানের মালিক। বয়স চৌদ্দর কাছাকাছি। বাপের হাত ধরে শুরু। বছর পাঁচেক আগে। এখন বাপ নাই।সে নিজেই চালায় দোকান। প্রতিদিন ৩০টাকা চাঁদা দেয়। সেই চাঁদার এক ভাগ যায় পার্টি অফিসে, অন্য ভাগ থানায়। রতন আবার বললো, ঠান্ডা হইবো না ? উত্তরের বাতাশ নামলেই দেশ ঠান্ডা হইবো, বললাম আমি। রতন বিরক্তি মুখে বললো, আরে এই ঠান্ডার কতা কইনাই তো। এই ধরেন মারামারি,হত্তাল, ষ্টাইক এগুলার কতা কইতাছি। আমি রতনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলাম। রতন কি বুঝে মুখ ফিরিয়ে নিল, উত্তরের আশা করলো না আর।



আমি আবার হাঁটা ধরলাম। হাতিরপুল পর্যন্ত পুরো পথ হেঁটেই আসলাম। খারাপ লাগেনি হাঁটতে। ইদানিং বাসে চড়া হয়না খুব একটা। ইচ্ছা করেই উঠিনা। নিতান্তই বাধ্য হয়ে কখনো উঠলেও কেমন জানি অজানা এক আতঙ্কে বূক ধুক ধুক করে। হার্টবিট বেড়ে যায়। অস্থির বোধ করি। তাই হাঁটি। হাঁটতে আমার খারাপ লাগে না। আবার সব সময় যে ভালো লাগে তাও না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

নতুন বলেছেন: রতন বললো, ভাইজান দ্যাশটা কবে ঠান্ডা হৈব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.