নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্তব্ধ বাউল

স্তব্ধ বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেশার ঘোরে কোথায় যাচ্ছে মনুষ্যত্ব???

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

চার পা, দুই হাত, দুই চোখ, দুই কান নিয়ে মানুষ পৃথিবীতে আসে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যা আমাদের আশীর্বাদ হিসেবে দিয়েছেন তা হল আমাদের বিবেক,আমাদের বুদ্ধিমত্তা,আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা। কিন্তু আমরা কি? মানুষ নাকি অন্য কোন জাতের প্রানী? কেন মাঝে মাঝে আমরা নিজেরাই নিজেদের খেয়ে ফেলতে একটুও কুন্ঠাবোধ করি না? হ্যা, আজ অমানুষিকতা, বর্বরতা, পৈশাচিকতা নিয়ে লিখব। না, আজ হাত একটুও কাঁপবে না, লেখার সময় মন হয়তো কাঁদবে কিন্তু অশ্রুসিক্ত মনকে হার মানতে আজ দেব না।  আজ লিখবই- অন্তত সত্যের অনুসন্ধানে আজ আমি লিখবই……… মনুষ্যত্ব কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? আচ্ছা , মনুষ্যত্ব কি জিনিষ?- কাল যদি কেউ আমাকে হটাৎ এই প্রশ্ন করে তাহলে আমি মোটেও অবাক হব না, কারন আমি নিজেই তো আজ ভুলতে বসেছি কি এই মনুষ্যত্ব??????  

  ১৯৭১ সালে আমি যুদ্ধ করি নি, আমার বাবার বয়সও তখন ১৮/১৯ বছর। উনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন যুদ্ধ কি। আজো সময় পেলেই বাবার কাছে যুদ্ধের ইতিহাস শুনি, এটাকে গল্প আমি বলব না কারন এটা আমাদের গর্ব করে বলার মত একটা ইতিহাস। বাবা এখনও বলেন-“ একদিন যদি এক মসজিদের ইমাম সাহেব আমাকে রক্ষা না করতেন হয়তো তোমরা ৩ ভাই-বোন আজ পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে না ”। এখনো ভাবি মানুষ মানুষের জন্য কত কিই না করেছে তখন ???!!! স্কুল জীবন থেকেই আমার জাতীয় সঙ্গীত শুনলেই শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। স্কুল জীবনের কথা বলার পিছনে কারন হল স্কুলে প্রতিদিন এসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হত, এখনো  হয়। কিন্তু কি শেখানোর জন্য করা হয় এসব? আজ ২০১৫ সাল, যুদ্ধের পর স্বাধীনতার ৪৪ বছরে এ দেশ। কিন্তু বদলে গেছে স্বাধীনতার অর্থ- মানুষ মানুষকে খুবলে খাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে বিবেক- আত্মিক বোধশক্তি। কি যেন এক নেশা ভর করেছে মানুষের মনে, এ নেশা খুব ভয়ংকর,খুব বিদঘুটে- এ নেশা মানুষের রক্তের নেশা।

মৃত্য……… শব্দটা খুবই ছোট,সাবলীলভাবেই লিখে ফেলা যায়- কিন্তু এর মর্ম এতোটাই ব্যাপক যে কি এই মৃত্যু তা আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারে নি অথবা জানতে গিয়ে মৃত্যুবরন করেও তো আর কাওকে জানাতে পারে নি। সাম্প্রদায়িক ক্ষেত্র থেকে বিষয়টি চিন্তা করতে গেলে দেখা যায় আমাদের এ সমাজ-ব্যবস্থায় অনেক ধারা প্রচলিত আছে । কেউবলে মৃত্যর পর কোন জীবন নেই,কেউ বলে মৃত্যুই আসল জীবনে পদার্পনের দরজা।  আমাদের মত প্রকাশের পুর্ন স্বাধীনতা আছে। কাল যদি কেউ এসে বলে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নেই এবং কেউ যদি এর পক্ষে যুক্তিও দেখাতে সক্ষম হয়,তবুও হয়তো আমার চিন্তা ধারার সাথে তার চিন্তাধারার আমই কোন মিল খুজে পাব না কারণ সবার চিন্তা ধারা যে একই মাঠে আবাদ করে উঠানো ফসল হবে এমনতো না। কিন্তু আমার চিন্তার সাথে তার চিন্তা মিলছেনা, সে তার চিন্তা ধারাকে লিখে জনসম্মুখে প্রকাশ করছে- তাই বলে তাকে মেরে ফেলতে হবে???????  কিছু চিন্তাধারার আর ভাবনার পার্থক্যের ফলাফল কি মৃত্যু???????

এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজি, পাই না……… মাঝে মাঝে নিজের উপর খুব ঘেন্না হয়,খুব ঘেন্না।  এ কেমন জাতি আমরা??? যাদের মনে একজনের প্রতি আর একজনের এতো ক্ষোভ??? আসলে কে আমরা??? আমরা কি সেই একাত্তর  এর প্রজন্মের উত্তরাধিকারী যারা ভালোবেসেছিল দেশকে ,দেশের মানুষকে?- নাকি আমরা…………… আসলে কি আমরা??? এখনো উত্তর খুঁজি……… মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর একটি বইয়ে পড়েছিলাম- “বাংলাদেশ নামটি উচ্চারন করলে গা শিরশিরিয়ে উঠে”। এখন আর সেই অনুভুতি হয় না। কি কারন?- ঘেন্না নাকি সেই নরপশুদের নৃশংসতা দেখে?????------ নাকি দুটোই-কে জানে???



  ২৬শে ফেব্রুয়ারী,২০১৫ ইং অভিজিত রায়কে হত্যার এবং মানবতাবিরোধী সকল অপকর্মের প্রতিবাদে…………

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.