নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্তব্ধ বাউল

স্তব্ধ বাউল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাকিং কি? let's Hack The Hacking.......

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩২

হ্যাকিং নিয়ে আজ কথা বলব অনেকটা বিস্তারিত ভাবে। আসলে যেই শব্দটি দিয়ে শুরু করলাম হ্যাকিং- এই হ্যাকিং আসলে কি? নিজের জীবনের কিছু কথা দিয়েই শুরু করি- তখন নবম অথবা দশম শ্রেনীতে পড়ি। এই হ্যাকিং শব্দটি পুরোপুরি নতুন আমার কাছে বলতে গেলে । ওহ, হ্যা আর একটা কথা- আমরা কিন্তু আসলে হ্যাকিং বলতে মুলত কম্পিউটার হ্যাকিং বা ওয়েব হ্যাকিং ই বুঝি।এবার আমার কথায় আসা যাক, স্কুল জীবনে থেকেই হ্যাকিং এর প্রতি এক ধরনের উগ্র নেশা জন্মাতে থাকে।সব সময়ই মনে হত যারা হ্যাকিং এর সাথে জড়িত এরা অনেক কুল, ইয়ো ইয়ো টাইপ লোক জন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি , অনেক কিছুর জন্যই সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্তত এইচ.এস.সি এর দুই বছর তো শুধু দৌড়াতে দৌড়াতে গেল। আসল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। কেন জানি ভিতরে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো হ্যাকিং নামক পোকা। অনেক দৌড়,অনেক কিছু অতিক্রম করার পর কিছু বিষয় আয়ত্তে এল। আমি তো মহা খুশি, এই বুঝি হয়ে গেলাম হ্যাকিং রাজ্যের রাজা। তখন দেখা মাত্রই প্রতিটা ওয়েবসাইট নিয়েই ভাবতাম। কি কি আছে এর মধ্যে। আর একটা কথা বলে নেই, তখন আমার শিখার লেভেল ওই ওয়েবসাইট ডিফেসিংই ছিল মুলত :P ।  আমার ব্যাপার নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু লিখব না। এবার আসি আসলেই হ্যাকিং শব্দটি দিয়ে কি বোঝায়! .........

শুধু কম্পিউটার নিয়ে বসে একটার পর একটা ওয়েবসাইট ডিফেসিংকেই যদি হ্যাকিং বলা হত তাহলে এই পৃথিবীতে অনেক আগেই হ্যাকিং জিনিষটা হয়তো মরে যেত। কোন কিছু হ্যাক করা বলতে মুলত বোঝানো হয় এর উপর নিজের আয়ত্ত নিয়ে আসা। উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টা আর একটু পরিষ্কার করা যাক

ধরুন আপনি একজন লোককে অনেক দিন যাবৎ অনুসরন করছেন সে কি কি করছে দৈনন্দিন তা পর্যবেক্ষন এর জন্য। আপনার সময় সীমা হল ৭ দিন। এখন এই ৭ দিনের আগেই যদি সে কোনভাবে নিশ্চিত হয়ে যায় যে আপনি তাকে অনুসরন করছেন, তার পিছ পিছ ঘুরছেন, তাহলে পন্ডশ্রম । যা হয়তো খুজছিলেন তার দেখা আর পাবেন না।

হ্যাকিং এর থিওরি আর কার্যক্রম ও তা। আসলে আমরা যে শুধু হ্যাকিং বলতে কম্পিউটার দিয়ে ওয়েবসাইট হ্যাকিং বুঝি, আসলে তা না। উপরের লোকের কার্যক্রমও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। আমি আজকে হ্যাকিং নিয়ে যা আলোচনা করব তা সম্পুর্নই মনস্তাত্ত্বিক আর মানুষের নিউরন সম্পর্কিত। আমরা সবাই প্রায় উইকিলিক্স এর নাম শুনেছি হয়তো যারা বেশ কিছু রাষ্ট্রের সরকারী নথিপত্র ফাস করে দিয়েছিল। উপরের লাইনটি খুব মনযোগ দিয়ে আর একবার পড়ুন.........

এবার আসি কেন বললাম আবার পড়তে। যাই করা হোক না কেন কোন কাজে যদি সবার মধ্যে একতা না থাকে তাহলে সেই কাজে সবার পক্ষ্যে টিকে থাকা ভার। আমি উপরের লাইনে বলেছি ‘উইকিলিক্স,যারা’- এর মানে হল এরা একতাবদ্ধভাবে একটি টিম হিসেবে কাজ করে গেছে । এদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একটি টিম বা দল হয়ে কাজ করে কিছু গুরুত্বপুর্ন কাগজ-পত্র বের করে নিয়ে এসে গোপন খবর প্রকাশ করা- তারা পেরেছে। শুধু কম্পিউটিং হ্যাকিং জগতে না , আপনি যে ধরনের হ্যাকিং এর সাথেই যুক্ত থাকুন না কেন, আপনাকে কোন বড় কাজ করতে হলে একতাবদ্ধ হয়েই কাজে নামতে হবে। এখনো হ্যাকিং বলতে সবাই চুরি জিনিষটাই আগে মাথায় এনে চিন্তা করা শুরু করে, এই ধারনা ভুল। হ্যাকিং চুরি না, আমি আবার বলছি হ্যাকিং চুরি না। আবার হ্যা হ্যাকিং চুরি, অবশ্যই হ্যাকিং চুরি। কিভাবে চুরি না এবং কিভাবে চুরি আসুন একটু দেখে নেই।

ধরুন আপনি একটি অনলাইন শপিং সাইট এর মালিক ( কম্পিউটার হ্যাকিং বিষয়টি দিয়ে বোঝানই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে )। আপনি মাসে মাসে সাইট থেকে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন । আর প্রতিদিন আপনার সাইটে ট্রান্সেকশানের পরিমান ও অনেক। এখন আপনার সাইট থেকে সবাই কার্ড এর মাধ্যমে পে করে জিনিষ নিচ্ছে। স্বভাবতই তাদের সবাইকে নিজেদের কার্ড এর নাম্বার আপনার সাইটে দিতে হচ্ছে ইনফর্মেশন হিসেবে। এখন আপনি আরও বেশি টাকার লোভে মানুষকে ধোকা দেয়া শুরু করলেন যাকে বলে দুই নাম্বারি, এক্ষেত্রে আমি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর পেমেন্ট এর মেথড বদলে দিয়ে একদিনের লোকশান করে দেই আপনার, এটা নিশ্চই চুরির পর্যায়ে পড়ে না, এটা পড়ে আপনার শিক্ষার আওতায়। যদিও আইনত ইহা অপরাধ, কিন্তু আমরা এখনও অতোটাও ভাল অবস্থানে পৌছাইনি যে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেই লোককে এর জন্য দু মাস জেল হাজতে পুরে রাখবে। কষ্টকর হলেও এটাই সত্যি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই হ্যাকিং এর জন্য আমাকে জরিমানা করা হতে পারে অথবা জেলেও যেতে হতে পারে। :P

এখন আসি তা কিভাবে চুরি। এটা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। লোভ , হিংসা ইত্যাদি মানুষকে অনেকভাবেই প্রলোভিত করে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়, যার ফলে হয়তো অনেকটা প্রভাবিত হয়েই মানুষ অন্যায় করে। হ্যাকিং এও এর ব্যাতিক্রম নেই। আর এই দিক থেকেই হয়তো হ্যাকিং মানে চুরি যা আসলেই নির্মম অপরাধ।

হ্যাকিং এর প্রধান অস্ত্র হল মানুষের মাথা আর আর তার মনঃশক্তি। পৃথিবীর সব থেকে বড় হ্যাকিং কি বলতে পারেন? পৃথিবীর সব থেকে বড় হ্যাকিং হল মানুষকে বোঝা। মানুষের মন ও বুদ্ধিকে এক নিমিষে পড়ে নেয়াই হল আসল হ্যাকিং। সব থেকে বড় হ্যাকিং হল মানুষ কি করতে চাচ্ছে তা করার আগেই তাকে বুঝে নেয়া , অর্থ্যাৎ তার এক কদম আগে চলা। প্রত্যেক মানুষেরই কিছু সহজাত প্রবৃত্তি থাকে যা সঠিক সময়ে ধরে নেয়ার নামই হল হ্যাকিং।

কম্পিউটার হ্যাকিং এর ক্ষেত্রেও মানুষের পাসওয়ার্ড লকিং এর জন্য প্রথমত এই ধাপেই অগ্রসর হওয়া হয়। আশা করি এই আলোচনা থেকে হ্যাকিং এর কিছুটা বিষয় ধরতে পেরেছেন। সামনে এ নিয়ে আরও লিখব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। J

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

অন্য এক আমি বলেছেন: ++

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

সাদিকনাফ বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.