নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী । ভিনগ্রহে যাত্রা ।।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

সাইন্স ফিকশান ।
ঁঁঁঁঁঁঁঁ
ডঃ নিমুয়েল হকিন্স তার ল্যাবে বসা । আজ তার সামনে তার সবচাইতে প্রিয় চার ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত । সুজানা বলল স্যার হটাৎ আমাদের ডাকলেন যে । ডঃ হকিন্স ভারিক্কি ভাব নিয়ে ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে বলল , ডেকেছি তোমাদের জন্য একটা চমক আছে । আশা করি বরাবরের মত তোমরা একটি গবেষণায় যোগ দেবে এবং এতে আমরা সফলকাম হবই ।
নুমান , সজীব , বেলায়েত এতক্ষন বসা ছিল কৌতূহল চেপে না রাখতে পেরে তিন জনই একসাথে উটে দাঁড়াল এবং বলল স্যার নতুন কিছু ।
ডঃ হকিন্স ল্যাবের ভিতর থেকে একটা পুরনো বাক্স খুললেন । তার হাতে দেখা গেল একটা তেল ছিট ছিটে ম্যাপ । এবার টেবিলের উপর রেখে বললেন এই দেখ সসার ম্যাপ । সবাই ঝুকে ভাল করে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করল কিন্তু কয়েকটি আঁকিবুঁকি ছাড়া কিছুই চোখে পড়লনা ওদের । সুজানা বলল স্যার বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করুন আমরা এখনও অন্ধকারে ।
ডঃ হকিন্স বলল এটা রাশিয়ার একটা বিশেষ অঞ্চলের ম্যাপ । ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চলে
১ম একটি উরন্ত সসার আকাশ থেকে নামে । এক কৃষক সেটা দেখতে পায় এবং খবরটা শহরে ছড়িয়ে দেয় । খবরটা শুনে রাশিয়ার একদল গবেষক উরন্ত সসার উদ্ধার করে তাদের গবেষণাগারে নিয়ে যায় ।
একটা পাতলা কাঁচের বাক্স । অনেক পরিক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এর ভিতর একটা প্রানের অস্তিত্ত আবিস্কার করে । তার দেহটা সরু পাঠ কাটির মত । তার পা তিনটা চোখ একটা । মাথায় অসংখ্য তার পেঁচানো । বাদ বাকি সব মানুষের মতই । উরন্ত সসারের কাঁচের ফানুস ভেঙ্গে দেওয়ার সাথে সাথে অদ্ভুদ ভিনগ্রহ বাসির প্রান ১০ সেকেন্ট স্থায়ী ছিল । তারপর তার ব্রেন আর চালু করা যায়নি । সম্ভবত যে গ্রহে তার বাস সেখানেই তাদের প্রানের দীর্ঘায়ু । আমাদের পৃথিবী তাদের প্রান ধারনের অনুপযোগী । হয়ত আমরা যেমন রকেট আবিস্কার করে ভূমণ্ডলে পাড়ি জমিয়েছি ওরাও এই উরন্ত সসারে চড়ে আমাদের পৃথিবীকে করতে চেয়েছিল জয় ।
সুজানা বলল বুঝলাম এবার বিষয়টা কিন্তু আমাদের কি করনীয় স্যার । এবার ডঃ হকিন্স বলল তোমরা প্রস্তুত হও । আমরা সেই ভিনগ্রহটাই আবিস্কার করে ফেলব ।
****
পাচজন নভোচারী পৃথিবীর মানুষকে অভিবাধন জানিয়ে আজি রওয়ানা হবে ভূমণ্ডলের উদ্দেশ্য । নভোযানটির নাম এলভেরা ৭৮৬ । পাইলট সিটে নুমান । সহকারী সুজানা । দুরবিক্ষন কম্পিউটার সাপোর্টে সার্বক্ষণিক তথ্যআহরনে সজীব । মনিটরিং দায়দায়িত্বে বেলায়েত ।
ডঃ হকিন্সের আদেশ পেয়ে সবাই সিট বেল্ট বেধে নিল । দেখ প্রয়োজনীয় সব কিছু নেওয়া হল কিনা । বেলায়েত বলল জি স্যার সব নেওয়া হয়েছে । অক্সিজেন মাস্ক পড়ে নিল সবাই ।
এলভেরা ৭৮৬ স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু হতেই তার গতি লক্ষ গুনে বেড়ে বায়ুস্তর ভেদ করল ।
১ম দিনের পরই ওরা দেখতে পেল পৃথিবীটা ছুট হয়ে আসছে । একটা বিকট আওয়াজে সবার কানে তালা ব্যাপার কি । আরে এলভেরার ২য় অংশটা বিচ্ছিন্ন হয়ে ওটা পৃথিবীর দিকে ধাবিত হচ্ছে । সুজানা এবার চিৎকার করে বলল স্যার আপনি শুনতে পাচ্ছেন । হা সুজানা আমি শুনতে পাচ্ছি তোমরা ভয় পেয়না আমি সব সময় তোমাদের কাছাকাছি থাকব ।
বেলায়েত বলল নুমান আজব রহস্য যে অংশটায় স্যার বসেছিল শুধু সে অংশটাই স্যার কে নিয়ে উধাও ।
২য় দিন । আকাশ পরিস্কার । তারাদের মনে হচ্ছে এক একটা পিংপ্নগ বলের মত । নিজস্ব আঙ্গিকে নিজস্ব বলয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে যেন অশেষ ছায়াপথের অলিতে গলিতে । মাঝে মাঝে হাজারও ফানুশ বুদবুদ আকারে রঙ্গিন লাল নীল দ্যুতি ছড়িয়ে হারিয়ে যায় পলকে । সুজানা বলল নুমান , বেলায়েত ভাইয়ের নিকট স্যারের আঁকা ভিনগ্রহের ম্যাপ সেটা আমাদের ফলু করতে হবে কিন্তু । রাগে গজগজ করে উটল নুমান । স্যার আসলে একটা মিথ্যুক আমাদের ফাঁকি দিয়ে সে নিজেই অভিযান থেকে দূরে । সজীব বলল এই তোরা ঝগড়া থামাবি এখন বল কি করবি ভিনগ্রহের সন্ধানে আমরা যাব না এখান থেকেই আবার পৃথিবীতে ফিরতে হবে ।
বেলায়েত বলল আগে খেয়ে নেই তারপর চিন্তা করা যাবে ।
****
ওরা এখন পৃথিবীর ভূমণ্ডল থেকে লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে । ৭ম দিনে ওরা ডঃ হকিংন্স এর তথ্য সুত্র অনুযায়ী একটা মহাআলোর সংকেত আবিস্কার করে । গ্রহটির আয়াতন প্রায় চাঁদের তিনগুন হবে ।
মাটি পাথুরে লাল । পাহাড় পর্বতে ঘেরা ছাই রঙের একধরণের উদ্ভিদ । পানির রং বরফ হ্লুদ । বাতাস আছে ।
মাটি পরিক্ষা করে বেলায়েত বলল দেখত সজীব এগুলু কি । সজীব কিছুক্ষন দেখল তারপর দিল নুমানের হাতে নুমান কিছু বুঝে উটতে না পেরে ডাকল ,এই সুজানা দেখল এটা আসলে কি ।
সুজানা ডিমের মত জিনিসটা নিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করল তারপর আনন্দে লাফিয়ে উটল। ওয়াও এটা অন্যাকিছু নয় পৃথিবীবাসীদের সবাচাইতে দামি রত্ন হিরা । নুমান বলল এটা যে হিরা সেটা কিভাবে তুমি নিশ্চিত হলে । এই দেখ আমার ঘড়িটার অবস্থা । সবাই দেখল সুজানার ঘড়ির কাঁচ কেটে দুটুঁকরা হয়ে গেল ।
সজীব বলল তাহলে আমরা এখন একটা আস্ত হিরার রাজ্য দারিয়ে । বেলায়েত বলল
চল চল চারপাশটা একটু ঘুরে আসি । সুজানা বল্লল তাই চল । ওরা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ওপাশটা দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে । রশি আর গ্লাফস নিয়ে পাহাড় বেয়ে সুজানাই প্রথমে উটে বসে ।
বাকিরা সবাই ওকে ফলু করছে । দিলে একটু মাত্র ভয় নেই যেন মেয়েটির । আচমকা সুজানার মুখ থেকে আতংকিত চিৎকার বাঁচাও । বাঁচাও ।
নুমান আর বেলায়েত তরিগরি করে পাহাড় ডিঙ্গায় । তারা যা দেখে চক্ষু একেবারে চড়ক গাছ ।
এবার সজীব একটা নীল গাছের ডালে উটে দুরবিক্ষন ফিট করে ।। দেখে কয়েকশ অদ্ভুদ প্রাণী । যাদের প্রত্যকেরই তিনটি করে পা । একটি চোখ । গাঁয়ের রঙ কমলা । সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে হা করে আছে আর সব চাইতে আশ্চর্য বিষয় যা তা হল দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদেরই সবচাইতে প্রিয় স্যার ডঃ মিগুয়েল হকিন্স । সুজানা এবার খেয়াল করল ডঃ হকিঙ্গেরও তিনটি পা , আর একটি চোখ /।

চলবে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফাটাফাটি হৈছে বন্ধু। চালায়া যান।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহমুদ , পাঠ ও কমেন্টে শুভেচ্ছা । সব ধরণের লেখাই কেন জানি লিখতে মঞ্চায় কিন্তু লিখব লিখব করে শেষপর্যন্ত লিখা আর হয় না ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চালিয়ে যান........

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ তনিমা আপু , ভাল থাকুন সব সময় ।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৪

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেছেন: দারুন লিখেছেন!!...পরের অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ , শুভেচ্ছা সতত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.