নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিলাদ শরিফ কি এবং কেন? মুমিনদের জন্য গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৪

শবে মিলাদশরীফ শবে কদরের চাইতেও উত্তম ।
আল কোরআন ও নবী পাক সা এর শানে রহমতি আলোচনা ।।

***************************** আল্লামা কবি কারী মোহাম্মাদ মাসউদ মিয়া

অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।

আপনাকে ( ইয়া রাছুলুল্লাহ ) সাক্ষি , সুসংবাদ দাতা এবং সতর্ক
কারি স্বরূপ প্রেরন করেছি যেন তোমরা ( হে মানুষ ) আল্লাহর উপর
এবং তার রাছুলের উপর ঈমান আনয়ন করতে পার এবং তার রাছুলের উপর তাজিম ও সম্মান করতে পার ।। সুরা ফাতহ আয়াত
৮,৯ ।

নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লামের উপর সর্ব উচ্ছ তাজিমে দরুদ পাঠ ।। আল্লাহরই ছুন্নাত ।।

আল্লাহ কোরআন কারিমে ঘোষণা দেন ,
ইন্নাল্লাহা অয়ামালায়কাতাহু ইউ ছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ু হাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহে অয়াছাল্লিমু তাস্লিম ।।
অর্থ , নিশ্চই আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তাগন দরুদ ভেজে তার হাবিব বা মুহাম্মাদ সা এর উপর , হে ইমানদার গন তোমরাও
দরুদ ও ছালাম পড় ।। সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ ।।

মিলাদ শরিফ
********
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত ।। বর্ণনা করা সয়ং আল্লাহরই ছুন্নাত ।।
এবং স্মরণ করুণ , যখন আল্লাহ নবীগণের নিকট তাদের অঙ্গিকার নিয়েছিলেন । আমি তোমাদের কে যে কিতাব এবং হিক্মত প্রদান করব অতঃপর তাশ্রিফ আনবেন তোমাদের রাছুল তখন নিশ্চই নিশ্চই ঈমান আনবে এবং নিশ্চই নিশ্চই তাকে সাহায্য করবে(মানে তার আদর্শ অনুসরন ) সুরা আল ইমরান
৮১ / ৮২ আয়াত ।।
মিলাদ আম্বিয়া আ এর ছুন্নাত
****************
অন্যান্য নবীগণ এই আয়াত বা দরুদ পাঠ করতেন ,
হে প্রতিপালক আমাদের , এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য (আখেরি যামানার উম্মত ) একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে , যিনি তোমার আয়াত সমূহ তাদের মধ্য পাঠ করবেন এবং তাদের মধ্য তিনি কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান শিক্ষা দিবেন এবং তাদের কে অতি পবিত্র করবেন , নিশ্চই তুমি পরাক্রম শালি প্রজ্ঞাময় ।।
সূরা বাকারা ১২৯ আয়াত ।।

মিলাদ ও কিয়াম ফেরেস্তাগনের ছুন্নাত
*************
নুবায়হা ইবনে অহাব রা বলেন , একদা হযরত কাব রা হযরত আয়েশা রা এর নিকট গেলেন , সেথা রাছুল সা সম্পর্কে আলোচনা হতে থাকলে হজরত কাব রা বলেন ,এমন কোন দিন অতিবাহিত হয়না , যেদিন ভোরে ৭০ হাজার ফেরেস্তা আসমান হতে অবতরন করেন না । এমন কি তারা নবী পাক সা
এর রওজা মোবারক বেষ্টন করে তাদের নুরের পাখা দিয়ে অতি তাজিমের সহিত দরুদ ও ছালাম ভেজেন অতঃপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তারা উদ্ধে গমন করেন , আবার পরেরদিন ৭০ হাজার ফেরেস্তা আসে আবার চলে যায় । এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে বস্তুত একজন ফেরেস্তা একবারই নবীজীর রওজা মোবারকে তাজিম ও সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ পায় । এবং কিয়ামত এর পর ৭০ হাজার ফেরেস্তা বেষ্টিত হয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবেন ।।
দারেমি ।।
মিলাদ শরিফ সাহাবায়ে কেরামের ছুন্নত
*****************
হযরত আবু দারদা রা এর বর্ণিত হাদিস
তিনি বলেন আমি রাছুল সা এর সাথে হযরত আবু আমের আনসারই রা এর বাড়িতে অবস্থান নেই , তখন আমের আন্সারি রা তার পরিবার পরিজন কে নবীজীর উত্তম আদর্শিক মোবারক জন্ম বিবরনি শুনাচ্ছেন ,
এবং বলছেন আজই সেই দিন ( , ঈদে মিলাদুন্নবি )যে দিন নবীজীর জগতে শোভাগমন করেন , এতদরশনে রাছুল পাক
সা আমের আন্সারি রা কে বললেন নিশ্চই আল্লাতায়ালা তার রহমতের দ্বার তোমার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন । এবং সমস্ত ফেরেস্তাগন তোমার জন্য ক্ষমা প্রাথনা করছেন ।
বুখারি ও মুসলিম ।।

মিলাদ শরিফ , দরূদ এবং দাড়ায়ে অতি উচ্ছ মর্যাদায় তাজিম করা প্রত্যক মুসলমানদের জন্য ফরজের চাইতে ও বেশি মূল্যায়ন এবং নেকি ।।

এ সম্পর্কে খুলাফায়ে রাশেদিন বলেন ,
হযরত আবুবকর ছিদ্দিক রা বলেন , যারা দয়াল নবীজীর উপর তাজিমের সাথে দরুদ ছালাম ভেজে থাকে তারা নিশ্চই আমি আবুবকর রা এর সাথে বেহেস্ত বাসী ।
হজরত উমর ফারুক রা বলেন, নবীজীর উপর দরুদ ব্যথিত যে কোন এবাদত ৪থ আকাশে ঝুলে থাকে । যে এবাদতের সহিত দরুদ থাকে তা আল্লাহর নিকট অতি বিজলির ন্যায় পৌঁছানো হয় ।।
হজরত উসমান গনি যিন্নুরাইন রা বলেন , যারা ৪ আনা পরিমান মিলাদ আয়োজনে খরছ করবে তারা আমি উসমান গনি রা এর সাথে বেহেস্তি ।।

হযরত আলী কাররামুল্লাহ অয়াজহু রা বলেন যারা একত্রিত হয়ে মিলাদ পড়ে অতঃপর তাজিমে দরুদ ছালাম জ্ঞাপন করে , ঐ স্থানটা বেহেস্তের
বাগানে পরিনত হয় , এবং ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে , এবং নবীজীর দরবারে তাদের এবাদত জান্নাতের বালাখানা হয় ।
এবং মিলাদ স্থলের মধ্য এক জনকে অলি কবুল হয়ে সে দোয়া আল্লাহ দরবারে পৌঁছে যায় ।।
আল হাদিস ।।
আবু হুরাইরা রা থেকে বর্ণিত , নুর নবী পাক সা এর উপর দরুদ ছালাম জ্ঞাপন
করলে সাথে সাথে ১০ টি নেকি মিলে ১০ টি গুনাহ ঝরে পড়ে যায় এবং তার আমলনামায় ১০ টি সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় ।
মেশকাত শরিফ
বড়পির শাহ ছৈয়দ সুলতান মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রা বলেন শোকনো গাছের পাতা যেভাবে ঝড়ে যায় , দরুদ ও মিলাদ কিয়ামের মাধ্যমে বান্ধার গুনাহ গুলি তেমনি সব ঝরে পড়ে ।।

আউলিয়ার শিরোমণি শাহ জালাল ইয়েমেনি রা বলেন
মুহাম্মাদ মস্তুফা নুরুল আলা নুর
হাবিবে কিবরিয়া নুরুল আলা নুর

আল্লাহর নুর হইতে নবীজী পয়দা
আর নবীজীর নুর হইতে সারা জাহানের সকল মাখলুখ পয়দা ।
আল্লাহ পাক বলেন , আওয়ালো খালাকাল্লাহু নুরি । আলা কুল্লি শাইয়িন নুরি । লাওলাকা মা খালাকতুল আফলাক । হাদিসে কুদসি
অর্থ , সর্বপ্রথম আমি আপনার নুর সৃষ্টি করি এবং সেই নুর দ্বারা সকল সৃষ্টি তৈয়ার করি । যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না । নবীজীর মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় , সৃষ্টি বৈচিত্রের প্রকাশ । আল্লাহ্‌ যার প্রশংসায় সদা সর্বদা বিভোর । যার নামই মুহাম্মাদ বা প্রশংসিত । তার শানে তাজিমের সহিত দরুদ মিলাদ কিয়াম করা শবে কদরের চাইতেও উত্তম এবাদত । কারন তিনি পয়দা না হলে শবে কদর দুরের কথা কোন কিছুই হইতনা ।

আল্লামা কবি মাওলানা রুম রা বলেন
খোদ খোদানে খোঁদা ভি হায় মুহাম্মাদ
খোঁদা মিলতা হায় দরবারে মুহাম্মাদ

কোথাও খোদার সন্ধান ও মুক্তি পাবেনা
যতক্ষন না দয়াল নবীজীর দরবারে না আস

কবি নজরুল বলেন
তাওহিদেরই মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম
যে নাম হয় সয়ং মাবুদের , খোদায়ী কালাম ।।
।।

হে মুমিন গন আস আমরা সেই দয়ার সাগর উম্মতের কাণ্ডার
আল্লাহর হাবিব ছরকারে দু আলম দুজাহান কা সুলতান
উম্মতের ত্রানতরি হুজুর পাক নুর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছল্লামের উপর প্রান ভরে প্রাঞ্জল ভাষায় মধুর
সুরে দরুদ ছালাম জ্ঞাপন করি রওজা পাকে ।।

১নং দরূদ
*************

ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুনিয়া হাবিব আল্লাহ আলাইকুম
* মুহাম্মদ মস্তুফা জানে খুদা কো
খোঁদা জানে মুহাম্মাদ মস্তুফা কো
* আসলে ঈমান রূহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রারমাতুল্লিল আলামিন
* দেখা দাও ইয়া রাছুলুল্লাহ দেখা দাও
মেরে আঁকা মেরে মাওলা দেখা দাও
* এক যামানা ছহবত বা আউলিয়া
বেহতরে বে ছাল ছালেতাত বেরিয়া ।।

২ নং
ছাল্লাল্লাহু ওয়ালান্নাবি উম্মিওয়ালিহি ছাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লামা ছালাতা অয়া ছালামান আলাইয়েকা
ইয়া রাছুলুল্লাহ ১০ বার ।।

আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহু
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ২ বার
* আল্লাহর নুর হইতে সৃষ্টি করলেন নবিজির নুর বধন
তারি নুরে হইল গড়া তামাম মাখলুক ত্রিভুবন নবীজী
* ছায়েদে মক্কি সাহে মদিনা পেয়ারা নবিজি আয়ে
চিনলি আদেল মন মোহানে ছাদ ছামুক্রা দেখায়ে নবীজী
* শান্তি দাতা মুক্তিদাতা এলেন দুনিয়ায়
আসুন সবাই রওজা মোবারকে তাজিমে ছালাম জানাই নবীজী
৩ নং

মস্তুফা জানে রহমত পে লাখ ছালাম
সময়ে বজমে হেদায়েত লাখ ছালাম ২ বার

মোহরে ছরকে নবুয়ত পে রৌশন দরূদ
গোলে বাগে রেছালাত পে লাখ ছালাম ।।

আরশে ছে জেয়াদা মরতবা ওয়ালা ,
রওজায়ে রাছুলুল্লাহ কাহ
উছি রওজায়ে আনোয়ার মে লাখ ছালাম ।।

৪ নং

ইয়া নবী ছালামু আলায়েকা
ইয়া রাছুল ছালামু আলায়েকা
ইয়া হাবিব ছালামু আলায়েকা
ছালাওয়া তুল্লাহ আলায়েকা

আরশের কাবা মদিনা
জমিনের কাবা মদিনা
ক্বাবারও কাবা মদিনা
জান্নাতের বাগান মদিনা ইয়া নবী

যত রয় নবী আউলিয়া সাধু
লভিল; নামের সে মধু
নামে ভঁরা রহমতি যাদু
ভেজে ছালাম সয়ং ও প্রভু ইয়া নবী

এ বিশ্ব ভুবন মাঝারে
দেখিছ নবীজী আপন নজরে
তরাইও কঠিন বিচারে
শান্তি দাও আপনার দিদারে ইয়া নবী

দোয়া বা মুনাজাত আল্লাহর নিকট নাজাত চাওয়ার প্রদান মাধ্যম
হে আল্লাহ হে মহান হে দয়াময়
আমরা যা চাইব যা ফরিয়াদ জানাব
চাওয়া এবং বলার আগেই
জান তুমি
ক্ষমা দাও ক্ষমা কর দয়াল তুমি অন্তর্যামী ।

হাত তুলিলাম ওগো দাতা তোমার দরবারে
সবার গুনাহ মাফ কর দয়াল নবীজীর খাতিরে ।।

যে পথে চলিয়া গেল তোমার প্রিয় জন
সেই পথে চালাও গো দাতা রহিম ও রহমান ।।

যত দয়া তোমার ভাণ্ডারে মাওলা কর কিছু দান
পাপ ও তাপ রুগ শোক হইতে কর মুসকিলে আহছান ।।

শায়তানের কুমন্ত্রনা হইতে পানাহ চাহি বারেবার
ঈমান ও কলমা নছিব করিও যখন হইবে শেষ বিচার ।।

যত রয় নবী অলি আসহাব গন পবিত্র আত্মায়
সেই জিন্দেগী দান কর মাওলা এই জীবনের বেলায় ।।

আর যত সব মুর্দা রহে অন্ধকার কবরে
মাফ কর দয়াল মাবুদ নবীজীর খাতিরে ।।

শেষ বেলাতে ও গো খোঁদা আরজ তোমার দরবারে
নবীজীকে দেখাইয়া নিও কবরে ।।
মনে মুখে সদায় যেন কলমা জারী রয়
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.