নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমানের অমুল্য ভাণ্ডার ইসলামী বই ** নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সাঁ এর মুজেজা ও রহমত।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩


ঈমানের অমুল্য ভাণ্ডার / ইসলামী বই নুর নবী হযরত
মোহাম্মাদ সাঁ এর মুজেজা ও রহমত
এম , জি , আর , মাসুদ রানা । কবি ও সাহিত্যিক ।
আল কোরআন এবং আল হাদিস বিশেষজ্ঞ ।
।। উৎসর্গ ,দাদাহুজুর অলিয়ে কামেল আল্লামা গাজী আকবর আলী রেজভী ছুন্নি আলকাদরি , প্রধান মুফতি ও পীর সাহেব কেবলা
রেজভিয়া দরবার শরীফ । শ্ত্রশ্রি নেত্রকোনা । সাবেক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ফতুয়া বোর্ড ।

বই সর্বষত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত ।।
বই এর স্পন্সর * এডভান্সড এপ্সস বাংলাদেশ লিমিটেড । সফটওয়ার কোম্পানি । ঢাকা মিরপুর ।
।*********************************************
ডঃ আল্লামা মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহী ।
কবি ও সুবক্তা
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
কোরআন , হাদিস এবং তাফছির সহ ব্যখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সহজ বাংলা ভাষায় পাঠকের উপযোগী করে প্রনিত ।
লেখক ।
*********
পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ** ।
********************************************

*********** এক ।।

বিশ্বনিয়ন্তা নিজ ক্ষুত্রতে মহররমের ১০ মঞ্জিলে
আরশে হয়ে সমাসিন সমস্ত কিছুই শ্রিজিলে
মোহাম্মাদি নুর পয়দা করে
আলোকোজ্জ্বল হল ত্রিভুবন জুড়ে
হল সজীব মহাশুন্য সাত আসমান গ্রহ নক্ষত্র
আরও সকল সৃষ্টি বৈচিত্র্য উদয় দিবা রাত্র ।

সুচিপত্র ।
নুর নবীজীর শানে নাতে রাছুল সাঁ ******

দিদারে দয়াল নবীজী ধন্য কর মোর
নামে আছে শান্তির বারী কতই না মধুর ২ বার
ঐ নাম গাহে ফেরেস্তারায়
চাঁদ সুরুজ আর গ্রহ তারায়
তামাম মাখলুখ মহিমা গায়
ফুটে নতুন ভোর ঐ

ঐ নাম গাহে আল্লার অলি
ভ্রমর পাখি ছাড়ে মধু বুলি
ফুটে কত ফুল কলি
মজে সৌরভে অন্তর ঐ

ঐ নাম ভাসে ত্রিভুবনে
মুমিনেরই অন্তর ধ্যানে
মাসুদ কহে গুনিজনে
মোহাম্মদ খোদায়ী নুর ঐ


মধুর বানী শুনি গো দয়াল
মধুর বানী শুনি
আকাশে বাতাসে ভাসে
মোহাম্মাদ নামের ধবনি

ঐ নামেতে ফুল ফুটিল
ভ্রমর অলি ওড়ে
সৌরভে তায় মন মাতিল
বিশ্ব জগত জুড়ে
সেই বারীতে জন্ম নিল
কত মধু পানি ঐ

ঐ নামেতে রবি শশি
ভুবনে ছড়াল হাসি
নুরে নুরে জগত জুড়ে
ফুটল আলোক রাশি
সেই আলোকে মোরা পাই
পথের দিশা জানি ঐ

মাসুদ কহে ও দয়াময়
দাও তোমার দিদার
রিঝিক দানে কেমনে তুমি
করাও মোদের আহার
কর ক্ষমা , দাও জান্নাত
তুমি রহমতেরই খনি ঐ ।

নুর নবীজীর জন্ম বৃত্তান্ত / বেলাদত শরীফ বা ঈদে মিলাদুন্নবি সাঁ
************
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি সা বিশ্ব মুসলিমের জন্য রহমতের অমিয় সুধা ।

১২ই রবিউল আওয়াল , নবীজীর শুভাগমন জগতে
আনন্দ বয়ে যায় তামাম সৃষ্টি মাখলুখাতে ।
জীন ইন্সান আর ফেরেস্তারা
করে আনন্দ প্রকাশ ঝরে রহমতের বারীদ্বারা ।
আর যত বৃক্ষ লতা আকাশ বাতাস
তারি আগমনে করে আনন্দ প্রকাশ ।
সয়ং খোঁদা জানায় তার হাবিবের তরে ছালাম
তিনিই উম্মতের কাণ্ডারি নুর নবী হজরত মোহাম্মদ সা ।

নুর নবী পাক সা এর মুজেজা ও হেদায়েত প্রসঙ্গ
** *****
*************
আল্লাহর বানী
আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা দেন , আমি আপনাকে সারা বিশ্বের রহমত হিসাবে প্রেরন করিয়াছি ।। এখন জানা চাই রহমত কি ?
নবীজী বলেন , আল্লাহপাক সর্বপ্রথম আমাকে বানাইয়াছেন এবং আদম আ যখন কাদা মাটি জল মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল ।।
হাদিসে কুদসি ।।
রহমত হল আল্লাহর অদৃশ্য শক্তির এক গোপন রত্ন ভাণ্ডার । যার অভাবে বাতাস চলবেনা । জীব সমষ্টি বাড়বেনা ।।
নবীজী বলেন আল্লাহপাক আমাকে এক মুষ্টি নুর দিয়ে সৃষ্টি করেন ।। নুর মোবারক ১০০ ভাগ করে ১ ভাগ নুর দিয়ে তামাম সৃষ্টি বৈচিত্র বানান ।।
এখন নুর আসলে কি তা জানা চাই ।। ফেরেস্তারা নুরের তৈরি । নুর আল্লাহর এমন একটি গুপ্ত রহস্য যে তাদের চর্ম চোখে দেখা যায়না ।।
অথচ তারা আমাদের দেখতে পায় এবং তাদের নানা কার্যকলাপ আমাদের জীবন এর উপকারের জন্য । আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত ও
বরকত খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি তাও নুরের আংশিক দান ।।
খাদ্য জল ফুল ফসল ১৮ হাজার মাখলুখাত বা সৃষ্টি জীব সবই আল্লাহর নেয়ামত। আল্লাহ বলেন আমি তোমাদের কে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায়
প্রেরন করেছি ।। জীন আর মানুষ এর বিচার হবে , বাদ বাকি ১৭ হাজার ৯ শত ৯৯ টি সৃষ্টি জীব কে আমি মানুষের উপকার এবং তাবেদার হিসাবে বানাইয়াছি ।। নবীজী বলেন ৮০ হাজার আলম , আলম অর্থ জগত ৮০ হাজার জগত আল্লাহ পাক বানাইয়াছেন । এ সমস্ত জগতের মধ্য পৃথিবী
একটি ছোট জগত ।। আর নবীজী সমস্ত জগতের রহমত ।। এখন মুল আলোচ্য বিষয় হল রহমত ছাড়া গাছের পাতা কেন পিপিলিকার পা পর্যন্ত নড়েনা ।।
১৪০০ বছর আগে নবীজী দুনিয়ায় ইসলামের নিশান ওড়ায়ে দুনিয়ায় মানব রঙে মানব বেশে আসেন ।। আসলে কি তিনি মানব রঙের ।।
জগতের সব মানুষ জন্ম নেয় নেংটা হয়ে আর নবীজী জন্ম নেয় বেহেস্তি পোশাক আবৃত হয়ে ।।
নবীজীর দুনিয়ায় শুভআগমনের সাথে সাথে মিশরের রাজ প্রাসাদে হাজার বছরের জলন্ত অগ্নি উপাসক অগ্নিকুণ্ড দপ করে নিভে যায় ।। এবং স্বর্ণ খচিত ১৪ টি রাজ তোরণ হেলে পড়ে ।। মা আমিনা লক্ষ্য করে , আকাশের চাঁদ এর চাইতে নবীজীর চেহারা মোবারক অধিক উজ্জ্বল আর সে উজ্জ্বলতা একেবারে
সপ্ত আকাশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে ।। নবীজীর দাদা দেখে জঙ্গলে বাঘ এবং হরিন এর দল এক হয়ে খুশিতে লাফালাফি করছে ।। তাদের মুখে আওয়াজ মারহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ মারহাবা অর্থ হে জগতের রহমত এস মোদের রহমত দাও ।। রাখাল বালকেরা তাদের উট , ঘোড়া , ও নানা মেস এর দল
এর নিকট গিয়ে অবাক , তাদের মুখ হতে আওয়াজ আসে খুশ আমদেদ ইয়া রাছুলুল্লাহ গাছে গাছে পাখিদের গুঞ্জন , মক্কা বাসী ঘুম থেকে জাগে এক অপরূপ আওয়াজ শুনে ।। ছালাম ইয়া রাছুলুল্লাহ , ছালাম ইয়া হাবিবুল্লাহ ।। যত সৃষ্টি কুলমাখলুক জীন ইন্সান আর ফেরেস্তারা সবাই লুটায়ে পড়ে নবীজীর মোবারক শুভ আগমনে ।। ভেজে তাজিমে লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম ।।
আমাদের বা জগতের সব মানুষের ছায়া পড়ে সূর্যের আলোয় কিন্তু দয়াল নবীজীর মোবারক শরীরের কোন ছায়া ছিলনা ।।
উটের উপর সয়ার হইয়া যেদিন যাইতেন সফরে
মেধের আবর ছায়া দিত পাক নবীজীর উপরে ।।
এবং
দয়াল নবীজীর মোবারক পায়খানা পশ্রাব মোবারক কেহই কোনদিন দেখেনাই ।।
এ বিষয়ে নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা বলেন । তিনি যেখানে মোবারক পায়খানা পশ্রাব করতেন সাথে সাথে জমিন
ফাটিয়া তা গ্রাস করিয়া লইত । এবং আমরা ছুটে দিয়ে ঐ স্থানে মাটির ডিলা কুলুফ পাইতাম , তা হতে এত মধুর ঘ্রান বের হত
যে দুনিয়ার যত আতর লুবান সে ঘ্রানের চাইতে ও ছিল অতি উত্তম ।। মানুষ এর কাপড় এ ময়লা লাগলে সাবান দিয়ে ধৌত করলে
ময়লা পরিস্কার হয় আর নবী পাক সা এর পাগড়ি ওমোবারক হাতের রুমাল আগুনে ফেলে দিলে তা পরিস্কার হয়ে যেত ।।
আরবের কোথাও যদি কারও বিয়ে সাদি হত তখন নবীজীর নিকট আসত শিশি লয়ে , নবীজীর পছিনা বা ঘাম মোবারক
তিনি শিশির মধ্য কয়েক ফুটা রাখতেন তারা জলের সাথে মিশিয়ে উত্তম আতর রূপে ব্যাবহার করতেন । এভাবে সবাইকে বিলিয়ে দিতেন সারা বিবাহ বাড়ি
নবীজীর দেওয়া সুঘ্রানে মন আমোদিত হত এবং সেই সুঘ্রান কয়েক বছর যাবত থাকত ।।
নুর নবীজী পাক সা যার বাড়িতে দাওয়াত গ্রহন করতেন তার বাড়ির যত খেজুর ও অন্যান্য ফল গাছ, নবীজীর রহমতের ছুয়ায় আরও বেশি করে ফলত । নবীজীর উত্তম সাহাবায়ে কেরাম আবু আইয়ুব আন্সারির স্ত্রী নবীজীকে কিছু খেজুর এনেদিলে
তিনি তা ভক্ষন করেন এবং প্রশ্ন করেন আমাকে সব খাবার দিলে কিন্তু তোমরা খাবে কি ? আবু আইয়ুব আন্সারি বলেন কেন আমাদের উত্তম মেহমান যদি
রহমত দেন তাহলে আমাদের খাবারের অভাব হবে না ।। নবীজী অর্ধেক খাবার খেয়ে বাদবাকি বিচি ছাড়া খেজুর সাহাবাকে দিয়ে
বল্লেন বাড়ীর পাশে লাগাও গাছ হবে ফল হবে , বস্তুত তাই হল সেই খেজুর বাগানে বিচি ছাড়া খেজুর হত ।।
এমন অসংখ্য রহমত এর মালিক যিনি তিনি কি করে আমাদের মত মানুষ হবেন ।। মা আয়েশা সিদ্দিকা রা একদিন নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে
পেঁচীয়ে আটকাবার উদ্দেশ্য বলেছিল আপনাকে আর ঘরের বাইরে যাবার দেবনা ।। ওড়না শরীর মোবারক ভেদ করে তার হাতে চলে আসে । মা আয়েশা রা আশ্চান্নিত হয়ে প্রশ্ন করলেন তা কি করে সম্ভব । নবীজী বললেন আমি কি তোমাদের মত মানুষ ।।
কোরআন এবং হাদিস সঙ্কলন থেকে ।।
চলবে ।।

(((((((((কবিতা ))))))))))))
মরু জ্যুতি
রচনা , এম জি, আর মাসুদ রানা



কে এল ঐ মদিনায় আরবের মরু সাহারায়
বিশ্ব জগত জেগেছিল পুলকে তার রউশনায় ।
তার মধু বুলি অমিয় সুধায় মমিনের কানে কানে
শিশু ইসলাম ফুটে মহা জাগিতক আহবানে ।
শিশু নবী ধাত্রি মাতা হালিমার গৃহে এসে
মেষ পাল লয়ে ছুটিত মাটে রাখালের বেশে ।
তার পদ মোবারকের ছোঁয়ায় বনে ঝর্না দ্বারায়
কত ফুল নানা ফল সাজত বর্ণালী সজীবতায় ।
সব রাখালেরা তার পবিত্র বদন পানে তাকিয়ে
ভুলে যেত ক্ষুদ পিপাসা মমতার ডানা বাড়িয়ে ।
যদিও রুদ্র তাপে পুস্কা পড়ত সবার পায়ে
সারাটি দিন তার আদেশ মানিত মন জুগায়ে ।

মেষ মালিকেরা মাঝে মধ্য খুজিত হারানো মেষ
মরু জ্যুতি অবাক চাহিয়া কোথা বলে দিত সবিশেষ ।
আধার কাটিয়া নব ভোরে হইত দেখা প্রকৃতির সনে
যত মেষ পশু অগ্রে ছুটিত তার চরন দর্শনে ।
তার সনে মিতালি গড়িত কত পাখ পাখালির দল
আর রাখালেরা অবাক নয়নে দেখিত অবিরল ।
তার গমন পথে জমিন বিছায়ে দিত সবুজ গালিছা
আকাশের মেঘমালা দিত ছায়া কভু আবছা ।
ঘরে ফেরার এত দেরি দেখে সন্ধানে ছুটে দুধ ভাই
দেখে অচেনা মানুষ তারি বুকচিড়ে নিমিষেই নাই ।
ঘটনা বুঝে বুকেজরায় মা হালিমা নুরের জ্যুতি এক
শত আবেগে শত চুমুয় ভরিয়ে দেয় মুখ

নিশ্চই ক্ষুদ্রতি ব্যপার বক্ষে ফুটে শুধু রেখা
আসমান গগনে ভাসে চিন্য মোহাম্মাদ তাতে লেখা ।
বুঝে গেল ধাত্রি হালিমা পুন্য নয়ন ভরে
এই শিশু সাধারন নয় পবিত্রতা বদন জুড়ে ।
শান্তি র সুবাতাস বহে সেদিন থেকে মদিনায়
আমেনার কুলে কে এল ঐ ছালাম তার রওজায় ।
ইসলাম রবি নুর নবী হজরত এল দুনিয়ায়
শান্তি বয় সেদিন থেকে সব মুমিনের অন্তরায় ।

আরশ সৃষ্টি সমুদয় যত জানায় তারে তাজিমে ছালাম
তিনি আল্লাহর রাছুল হজরত মোহাম্মদ সা আ ছাল্লাম ।


ঈমান ও ইসলামের মুল সালতানাতে নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর ।।
**************
কয়েক টি মুজেজা ।।
১ , নবীজী হিজরতের পর মদিনা রাস্ট কে কুরাইশ ও বেদীন দের হাত থেকে রক্ষার জন্য সব মুজাহিদ / আনসার দের নিয়ে , কাল খনন কর্মসুচি গ্রহন করেন । নবীজী হাজার হাজার সাহাবা গন কে নিয়ে দিবারাত্রি পরিশ্রমে ব্যাস্ত ।।
হটাৎ পাহাড় ধ্বসে বিরাট এক পাথর খালে আটকে যায় ।। কোন ক্রমেই সেই পাথর সরানো সম্ভব ছিলনা । সাহাবায়ে কেরাম গন
নবীজীর দরবারে আসলেন এবং বললেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা , বিরাট এক পাথর এর জন্য আমাদের কাজ প্রায় নন্ধ হ্ওয়ার উপক্রম । নবীজী সেই
জায়গায় গেলেন এবং একটি শক্ত খেজুরের ডাল চাইলেন । জইনেক সাহাবা রা ডাল এনে দিলে নবী পাক সা বিসমিল্লাহ্‌ শরীফ পড়ে পাথরে আঘাত করলেন সাথে সাথে পাঁথরটি লক্ষ খণ্ড হয়ে গেল । উল্ল্যখ্য পাথর খণ্ডটির আয়াতন ছিল ১২ হাত লম্বা ।।

২ , নবী পাক সা হুনাইনের যুদ্ধে প্রায় ১২ /১৪ হাজার সাহাবি লয়ে
মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল এগিয়ে হুনাইন নামক পাহাড়ে আস্তানা গাড়েন ,। ২/৩ দিন অপেক্ষা করার পর ধূর্ত আবব্দুল মুগিরা বিন অয়ালিদ এবং ইহুদিদের সমন্বয়ে প্রায় ৪০ হাজার সুসজ্জিত সৈন্য লয়ে মুসলিম বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা
চালায় । নবীজীর নির্দেশিত পন্থায় মুসলিম বাহিনী শত্রু মোকাবেলায় ব্যস্ত । হটাৎ যূদ্ধের ময়দান হতে নবীজীর বিশিষ্ট সাহাবা আব্দুল্লা আল রাজি রা এসে নবীজীর নিকট করজোড় এ দ্বারায় , ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার তরবারি ভেঙ্গে গেছে এখন কি দিয়ে যুদ্ধ করব ।
নবী পাক সা একটি খেজুরের ডাল আনতে বললেন , খেজুরের ডাল উক্ত সাহাবীর নিকট দিয়ে বললেন , যাও এটাই এখন হবে
ইসলামের পক্ষে শানিত নাঙ্গা তলোয়ার । কথার সাথে সাথে খেজুরের ডাল হয়ে গেল তরবারি । আব্দুল্লা আল রাজি রা তা ব্যাবহার করে শত শত কাফের বধ করে মুসলিম বাহিনীকে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বিজয় এর দিকে নিয়ে আসেন ।।

৩ , নবীজী কুফা নামক স্থানে ৪ হাজার সাহাবী কে লয়ে সেথা কাফেলা সহ তাবু ফেলার নির্দেশ দেয় । মরুভূমির উত্তপ্ত লু হাওয়ায় সাহাবা গনের জীব শুষ্ক , অনেকেই পানির অভাবে প্রান ওষ্ঠাগত ।। হটাৎ এক বেদুইন ষোড়শী মহিলা এক দল ভেড়া লয়ে নবীজীর
সামনে উপস্থিত । তার হাতে ছিল একটি সুহারি বা জলপাত্র । নবীজী মহিলার নিকট থেকে পাত্রটি চেয়ে নিলেন ওবং তিনি তার কনিস্ট আঙ্গুল সেই জলে ছুঁয়ে দেন । সাথে সাথে পাত্রটি জল ভরাট হয়ে যায় ।।

সব সাহাবায়ে কেরাম তৃপ্তি মেটায়ে জল পান করে , তবুও পাত্রের
জল এতটুকুও কমেনি । ঘটনাক্রমে বেদুইন মহিলা ও তার স্বামী মুসলমান হয়ে যায় ।।
হাদিস সংকলন থেকে সংগৃহীত ।।

৪ । নুর নবীজীর মুজেজা , কুস্তীগির রোকানাকে পরাস্ত এবং গাছের
হাঁটা ।
****************
হযরত আবু উমামা রা আনহু বর্ণনা করেন যে , রকানা বনী হাসিম
গোত্রের বিখ্যাত কুস্তীগির , কুস্তি যুদ্ধে সে আরবে জীবনে কারও কাছে পরাজিত হয়নি । সে অসংখ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত ছিল এবং নরহত্তাতেই নিয়োজিত থাকত বেশি সময় ।
রোকানা ছিল নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ সা এর গুড় শত্রু । সে দয়াল নবীজীকে খুন করার জন্য সুযোগ খুজত । [ কিন্তু আল্লাহ যার
দুস্ত তার ভয় কি ]
রোকানার ছিল অনেক গুলু ছাগল ,সে অয়াদি আজম নামক জায়গায় চড়াতে নিয়ে যেত ।। একদিন দয়াল নবীজী হাটতে হাটতে সেই জায়গায় চলে গেল ।
নবীজীকে দেখে রকানার চোখে আগুন জ্বলে উটল এবং দূর থেকে
ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করতে লাগল , হে মুহাম্মাদ তুমি আমাদের বাপ দাদার ধর্ম লাত , উজ্জা ছেড়ে নতুন ধর্ম প্রচার করছ । তোমার সাহস তো কম নয় আবার খালি হাতে এসেছ আমার এলাকায় ।
সাহস থাকলে আমার সাথে কুস্তিতে লড় । আমার আছে অনেক
গুলু ছাগল যদি জিততে পার তাহলে সেখান থেকে তোমাকে ১০ টি দিয়ে দেব ।
এতক্ষন নবীজী নিরব ছিল এবার তিনি বললেন হে রোকানা শান্ত
হও আমি রাজি । তবে আমি জিতলে তোমাকে মুসলমান হতে হবে ।
দুজনে কুস্তি আরম্ভ হল , নবীজী আল্লাহর নাম নিয়ে প্রথমেই রোকানা কে পরাস্ত করে তার বুকের উপর চেপে বসল । রোকানা
এবার নবীজীর নিকট ক্ষমা চেয়ে তার প্রতিশ্রুত ছাগল দিতে চাইল । রোকানা নবীজীর সাথে তিনবার কুস্তি লড়লেন এবং তিন
বারই সে পরাস্ত এবং লজ্জিত হল ।
এবার রকানা নবীজীকে তার ছাগল এর পাল থেকে ৩০ টি ছাগল
দিতে চাইল এবং বলল আরবের মধ্য এক আপনি ছাড়া আর কেহই আমাকে পরাস্ত করতে পারেনি ।
আচ্ছা আপনি যদি আল্লাহর সত্য নবী হয়ে থাকেন তাহলে একটা
মুজেজা দেখান আমার মুসলমান হতে আপত্তি থাকবেনা ।
মাঠে ছিল একটা কিকর গাছ , নবীজী গাছটিকে কাছে ডাকলে আদেশ পাওয়া মাত্রই
গাছটি সাথে সাথে নবীজীর সামনে চলে আসে ।
তা দেখে রকানা আশ্চর্য হল এবং বলল হে মুহাম্মাদ সা আপনি
সত্য আল্লাহর নবী ।
নবীজী আবার গাছ টি কে স্বস্থানে ফিরে যেতে ইশারা করতেই গাছটি পূর্বের জায়গায় ফিরে গেল ।।
কিন্তু রকানা লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে তার গন্তব্য চলে গেল ।।
হজরত আলী রা এবং হযরত উমর ফারুক রা আনহ নবীজীকে
খুজতে খুজতে এখানে চলে আসে এবং রকানার জন্য তারা শংকিত হয় । নবীজী সবিস্তার বর্ণনা করে তাদের শংকা মুক্ত করে ।।
আল হাদিস { মুজেজায়ে নুর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম }










৫ । মুজেজায়ে নুর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম ।। ডুবন্ত সূর্যকে
পুনঃ উদয় ।।
****************
হজরত আসমা বিনতে উমাইয়া রা আনহু বর্ণনা করেন যে একদিন নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সা মদিনা ও খায়বরের মধ্যবর্তী সাহারা নামক জায়গায় ছিলেন । তার মাথা মোবারক শেরেখোদা হযরত আলী রা এর কুলে রেখে আরাম করছিলেন । ফলে হযরত আলী রা আসরের নামায পড়তে
পারেননি । ঐ সময়ে নবীজীর নিকট ওহী নাযিল হচ্ছিল ।সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল । হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু যথাসময়ে নামায না পড়তে পাড়ায় অস্থিরতা বোধ করছিলেন । নুর নবী হযরত মোহাম্মাদ মস্তুফা সা হজরত আলী রা আনহুর অস্থিরতা লক্ষ্য করে প্রশ্ন করলেন তুমি কি নামাযের জন্য অস্থিরতা বোধ করছ । আলী বলল ইয়া রাছুলুল্লাহ সূর্য তো ডুবে গেল ।। নবীজী তৎক্ষণাৎ শাহাদাৎ আঙ্গুল মোবারক দ্বারা পশ্চিমের ডুবন্ত
সূর্যকে উদয় হওয়ায় নির্দেশ দিলেন ।।
সূর্য আবার আসরের জায়গায় উদয় হলে হজরত আলী নামায
সেরে নিলেন ।। নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে সূর্য আবার অস্তমিত হল ।।
আল হাদিস ।।




৬ । সালতানাতে নুর নবী পাক সা এর রহমতি মুজেজা
*************
ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিন হযরত আলি কাররামুল্লা রাদিয়ানহু অয়াজহু হইতে বর্ণীত ।।
একদিন নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াচ্ছাল্লাম কানায়ে কাবায় গেলেন এবং সেথা বহু সংখ্যাক কুরাইশ নেতা সহ আবুজাহেল কে দেখতে পেলেন ।।
নবীজী সবার উদ্দেশ্য বয়ান রাখলেন এবং সাক্ষ্য দিলেন , আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং একমাত্র আমি মোহাম্মদ আল্লাহর রাছুল ।।
আবুজাহেল বললেন হে মুহাম্মদ তোমার আল্লাহকে দেখা যায়না বরং আমাদের আদি বাপ দাদার যে ধর্ম উজ্জা এবং লাত দেবতাকে মান , বিনিময়ে তোমাকে দেশের রাজত্ব দান করা হবে ।। নবীজী বললেন নাউযুবিল্লাহ মীন যালেক , শয়তানের নাফরমানী বন্ধ হোক ।। আবুজাহেল প্রস্তাব করলেন তাহলে এস মিলে মিশে ধর্ম পালনে ব্রতি হই সকালে মানব তোমার ধর্ম এবং বিকালে মানবে আমাদের বাপ দাদার ধর্ম ।।
সাথে সাথে জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে ওহী নাযিল হল , আল্লাহ বলেন হে আমার প্রিয় হাবিব , আবুজাহেল কে এক হাতে চাঁদ এবং অন্য হাতে সূর্য এনে দিলেও সে দ্বীনে আসবেনা , তুমি তোমার স্রস্টার পরিত্রতা ঘোষণা কর ।। কাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ছিল , নবীজী মূর্তির সামনে গিয়ে বলল
হে মূর্তি সকল সাক্ষ্য দাও আমি কে ।। মানুষের মত মূর্তির ঝবান খুলে গেল এবং সাক্ষ্য ছিল , লাইলাহা
ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।। সব মূর্তি নবীজীর মোবারক পায় লুটাইল ।। আবুজাহেল বলল এত মুহাম্মাদের প্রকাশ্য যাদু , নাউযুবিল্লাহ
মীন যালেক । আবু জাহেল ব্যাতিত সব মানুষ কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল ।। এবার আবুজাহেল বলল হে মুহাম্মাদ আমার হাতের মুটুয়
কি তা যদি বলতে পার তাহলে সিগ্রই আমি মুসলমান হয়ে যাব ।। নবীজী বললেন আপনার হাতের মুটুয় যে জিনিস আছে সেই জিনিস টা যদি সাক্ষ্য দেয় আমি কে তাহলে ।। আবুজাহেল এর হাতের মধ্য ছিল একটি পাথর খণ্ড , পাথর খণ্ড
সাক্ষি দিল লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।।
আবুজাহেল এবারও বলল মুহাম্মাদ আসলেই শক্ত যাদুঘর ।।
আবুজাহেল নবীজীর নিকট ২৩ বার অঙ্গিকার করেছিল মুসল্মান
হবে কিন্তু সে জাহেল আর হেদায়েত হলনা ।।
আল হাদিস ।।









৭ । সালতানাতে নুর নবী এবং তার রহমতি মুজেজা ।।
****************
আবু হুরাইরা রা কর্তৃক বর্ণীত , একদিন নবীজীর চাচা আবুজাহেল কিছু সংখ্যাক মিষ্টি বরই , একটি কাপড়ের এর মধ্য ভরে মাথায় বহন করে লয়ে যাচ্ছিল তার মেয়ের বাড়ী , তার নাতি নাতনীদের জন্য । পথিমধ্য দয়াল নুর নবী হজরত এর সাথে সাক্ষাৎ , নবীজী প্রশ্ন
করলেন চাচাজান , কি জিনিস মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন ।
মিথ্যাবাদি আবুজাহেল বললেন বাবা এতে কিছু পাথর ,( বরই এর কথা গোপন রাখল যদি নবীজীকে কিছু দিতে হয় )
আবুজাহেল মেয়ের বাড়ী গিয়ে সবাইকে ডেকে তার পুটুলি খুললেন । সবাই দেখল বরই এর বদলে শুধুই পাথর এর টুকরো ।।
মাথার চুল ছিরে মিথ্যাবাদি আবুজাহেল বললেন , মুহাম্মদ আসলেই যাদুঘর ,নাউযুবিল্লাহ ।
নবীজী মিথ্যাবাদি কে পছন্দ করেন না । নবীজী ফরমান
মিথ্যা কথা বলার সাথে সাথে তার দুর্গন্ধে রহমতের ফেরেস্তারা
পর্যন্ত শত মাইল দূরে চলে যায় ।।
সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধংশ করে ।
আল হাদিস
।।


৮ । দয়াল নবী পাক সা এর মুজেজা ঈমানের শক্ত আকিদা ।
*************** নুর নবী পাক সাঁ

আবু খুহার নামক এক বেদীন মদিনায় নিকট বর্তি সুহাফ হেজাজে বাস করতেন । লোকটি তার বিবির নিকট একটা বড় মাছ

এনে তারাতারি রান্নার তাগদা দিলেন । বিবি মাছ কুটতে বসলে লোকটি গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে রওয়ানা হলেন । বিবি বললেন শুনছ গো আচানক খবর মোহাম্মদ সাঁ নাকি সাত আসমান পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা কইরা আইল । বেঈমান লোকটি কটাক্ষ করে বললেন মোহাম্মদের কথা আর
বলনা এসব মিথ্যা ধুকাবাজি । মনে মনে স্ত্রী লোকটি নবীজীর প্রতি বিশ্বাসী ছিল /স্বামীর এহেন
কথায় বড় মর্মাহত হলেন কিন্তু বদ স্বভাবের জন্য কোণ উচ্ছবাক্য করলেন না । নদীতে ডুব দেয় বেঈমান ইহুদি লোকটি /
আল্লাহর ক্ষুত্রতে ডুব দেয়ার সাথে সাথে সে সুন্দরি রমণীতে পরিণত হয়ে গেল ।
মিসরের সওদাগর আজিম বখত এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন । সুন্দরি রমনিকে দেখে জাহাজে তুলে নেয় এবং সাদি করে বাড়ি নিয়ে আসে ।
ক্রমে সাত সন্তান হল তাদের ঔরসে । বহুদিন পর নদীতে গোসল করার উদ্দ্যশ্য সদাগরের স্ত্রী রূপি ইহুদি নদীতে ডুব দেয় । ডুব থেকে ভাসলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে আবার সে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।

ঘাটে এসে দেখে তার সাবান তুয়ালে সব টিক জায়গায় আছে ।বাড়ি এসে আরও অবাক হয় দেখে তার বউ এখনও মাছ কুটাতে ব্যস্ত ।
লোকটি ধমক লাগাল গিন্নি মাছ কাটতে কি এত বছর সময় লাগে । কেন ? তুমি তো মাত্র ডুব দেয়ার জন্য গেলে এর মধ্য এত বছর
হল কই ।
লোকটি তার বউয়ের নিকট সবিস্তার বর্ণনা করল । ইমানদার পরহেজগার মহিলা জবাব দিল / ওহে ভণ্ড নবীজীর মেরাজের ঘটনা তোমার নিকট মিথ্যা হয়েছিল / সহজে বিশ্বাস করনাই কিন্তু এখন কেমন হল । লোকটি সাথে সাথে নবীজীর নিকট গিয়ে কলমা পড়ে মুসলমান
হয়ে গেল । এবং উক্ত মাজেজা প্রকাশ হলে ঐ গোত্রের ৩/৪ শত বেদীন ইসলাম গ্রহন করেছিল ।
এজন্য সদা সর্বদা আল্লাহ এবং তার রাছুলের উপর আমাদের ঈমানকে মজবুত রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ।
আল হাদিস থেকে সংকলিত ।



৯ । নবীজীর একটি বিশিষ্ট মুজেজা ।
*************
নবীজীকে নাস্তানাবুদ করার উদ্দেশ্য আবুজাহেল একটি পরিকল্পনা আঁটে । যে পথে নবীজী প্রতিদিন গমন করতেন সেই পথে গভীর গর্ত করে ঘাস লতাপাতা ছট ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে দেয় ।
এবং আবুজাহেল লোকমারফত সংবাদ পাঠান তাঁর খুব বেশী অসুখ মোহম্মদ যেন তার চাচাকে এসে দেখে যান । ধূর্ত আবুজাজেলের বাড়ী ঐ পথ দিয়েই যেতে হয় । হযরত মোহাম্মাদ সাঁ জানতেন এ পরিকল্পনার কথা তাই তিনি দুত কে না বলে দিলেন । আবুজাহেল দুতের মুখে মোহাম্মাদ সাঁ এর না আসার খবর শুনে রাগে গজগজ করতে করতে উলটু মোহাম্মাদ সাঁ এর বাড়ীর দিকে সে ছুটলেন এবং
তিনি নিজের বানানো গর্তে নিজেই পড়ে কাতরাতে লাগলেন ।
আবুজাহেলের বহুসংখ্যক সাগ্রেদ রশি ফেলে তাদের নেতা কে তূলতে চেষ্টা করলেন কিন্তু কিছুতেই তাঁকে নড়ানো সম্ভব হচ্ছিলনা ।।
এবার আবুজাহেল হুংকার ছেড়ে বললেল তোমরা সারা আরবের লোক একসাথে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও কাজ হবেনা আমাকে এক মাত্র উদ্ধার করতে পারে আমার ভাতিজা মোহাম্মাদ । যাও তাঁকে এক্ষুনি সংবাদ দাও । নবীজী সংবাদ পেয়ে আসলেন এবং আবুজাহেল কে বললেন আপনি যদি পাক কলমা শরীফ পড়েন তাহলে উদ্ধার করব । আবুজাহেল এক কথায় রাজি হলেন , নবীজী রশি ধরলেন অমনি শুকনো পাতার মত আবুজাহেল গভীর গর্ত হতে উটে এলেন ।।
আবুজাহেল উটেই বললেন হে মুহাম্মাদ তুমি একজন শ্রেষ্ঠ যাদুকর আমি কলমা পড়তে পারবনা । আমার বাপদাদার ধর্ম কক্ষনো ছাড়তে পারবনা । ।
[আল হাদিস ]।।

১০ । নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সা চাঁদ কে ইশারায় দু টুকরা করেছিলেন ।
*************
দার্শনিক সুবক্তা কবি আল্লামা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
***********

ইসলাম প্রাথমিক পর্যায়ে নবীজীর চাচা আবুজাহেল গোড় পুত্তলিক ছিলেন , তার অত্যাচার যুলুম নবীজী ও ইসলামের উপর যেমন দিন দিন বাড়তে লাগল তেমনি নবীজীর অনুসারিও বৃদ্ধি পেতে লাগল ।

আল্লাহ জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন দেশের বাইরেও ইসলামের দাওয়াত যথাযত যেন পৌঁছে দেয়া হয় ।
নবীজী আরও অনেকের মত দুত মারফত মিসরের বাদশা সালামত কে নবীজীর সীলমোহর অংকিত পত্র দাওয়াত দিলেন ।

বাদশা নবীজীর সত্য বানী উপলব্দি করে কয়েক হাজার আমির ওমরা সহ মক্কায় অবস্থান করলেন । কুরাইশ সরদার আবুজাহেল বাদশাকে
আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন এবং মক্কার প্রধান প্রধান নেতৃস্থানীয় লোকদের নিয়ে শাহি বৈঠকে বসেন ।

সংবাদ পেয়ে নবীজী সভাস্থলে উপস্থিত হলে মিশরের বাদশা সম্মান জানিয়ে নবীজীকে তাজিমের সহিত বিশিষ্ট আসনে বসার আমন্ত্রন জানান । বাদশার সাথে সাথে সমস্ত আরব মিসর ও বানিজ্য করতে আসা বহু দেশের জ্ঞানি গুনিজন দাড়িয়ে সম্মান জ্ঞাপন করেন । আবু জাহেল ও বসে থাকেনি ।

নবীজী মধুর সুরে কয়েকটি কোরআনের আয়াত পাঁঠ করেন এবং আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে কথা বলেন । আবুজাহেল রাগে কম্পমান হয়ে প্রস্তাব করে বসে যদি তুমি সত্য নবী হয়ে থাক তাহলে রাতের ঐ চাঁদকে দিনের আকাশে হাজির কর , এবং দুই টুকরা করে দেখাও । কসম করে বলছি আমি আবুজাহেল মুসলমান হয়ে যাব ।

নবীজী আনন্দিত হয়ে আল্লাহর দরবারে শূক্রিয়া আদায় করেন । আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা দেয় । চাদের দিকে শাহাদাত অংগুলি মোবারক দিয়ে ইশারা করেন । সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ দুই ভাগ হয়ে একটি দক্ষিন এবং অন্যটি উত্তরে অবস্থান নেয় । তখন কার সময়ে লক্ষ লক্ষ দুনিয়া বাসি এ আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষি ।
আবুজাহেল বেঈমান লাফ দিয়ে চিৎকার জুড়ে দেয় মুহাম্মদ একজন শক্ত যাদুগর , নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক ।

মিশরের বাদশা সহ শত শত লোক নবীজীর নিকট পবিত্র কলমা পাঠ করলেন । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ । ছুবহান আল্লাহ ।
আল্লাহ পাক বলেন হে আমার প্রিয় হাবিব তার এক হাতে চাঁদ আরেক হাতে সূর্য এনে দিলেও সে দিনে আসবেনা বস্তুত
তার হৃদয় মোহর অংকিত সেথা শয়তানের বাস ইসলামের আলো সেথা পৌঁছ বেনা ।
হাদিস এর সত্য দলিল ।।







শবে মিলাদশরীফ শবে কদরের চাইতেও উত্তম ।
আল কোরআন ও নবী পাক সা এর শানে রহমতি আলোচনা ।।

***************************** আল্লামা কবি কারী মোহাম্মাদ মাসউদ মিয়া

অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।

আপনাকে ( ইয়া রাছুলুল্লাহ ) সাক্ষি , সুসংবাদ দাতা এবং সতর্ক
কারি স্বরূপ প্রেরন করেছি যেন তোমরা ( হে মানুষ ) আল্লাহর উপর
এবং তার রাছুলের উপর ঈমান আনয়ন করতে পার এবং তার রাছুলের উপর তাজিম ও সম্মান করতে পার ।। সুরা ফাতহ আয়াত
৮,৯ ।

নুর নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লামের উপর সর্ব উচ্ছ তাজিমে দরুদ পাঠ ।। আল্লাহরই ছুন্নাত ।।

আল্লাহ কোরআন কারিমে ঘোষণা দেন ,
ইন্নাল্লাহা অয়ামালায়কাতাহু ইউ ছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ু হাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহে অয়াছাল্লিমু তাস্লিম ।।
অর্থ , নিশ্চই আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তাগন দরুদ ভেজে তার হাবিব বা মুহাম্মাদ সা এর উপর , হে ইমানদার গন তোমরাও
দরুদ ও ছালাম পড় ।। সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ ।।

মিলাদ শরিফ
********
নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত ।। বর্ণনা করা সয়ং আল্লাহরই ছুন্নাত ।।
এবং স্মরণ করুণ , যখন আল্লাহ নবীগণের নিকট তাদের অঙ্গিকার নিয়েছিলেন । আমি তোমাদের কে যে কিতাব এবং হিক্মত প্রদান করব অতঃপর তাশ্রিফ আনবেন তোমাদের রাছুল তখন নিশ্চই নিশ্চই ঈমান আনবে এবং নিশ্চই নিশ্চই তাকে সাহায্য করবে(মানে তার আদর্শ অনুসরন ) সুরা আল ইমরান
৮১ / ৮২ আয়াত ।।
মিলাদ আম্বিয়া আ এর ছুন্নাত
****************
অন্যান্য নবীগণ এই আয়াত বা দরুদ পাঠ করতেন ,
হে প্রতিপালক আমাদের , এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য (আখেরি যামানার উম্মত ) একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে , যিনি তোমার আয়াত সমূহ তাদের মধ্য পাঠ করবেন এবং তাদের মধ্য তিনি কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান শিক্ষা দিবেন এবং তাদের কে অতি পবিত্র করবেন , নিশ্চই তুমি পরাক্রম শালি প্রজ্ঞাময় ।।
সূরা বাকারা ১২৯ আয়াত ।।

মিলাদ ও কিয়াম ফেরেস্তাগনের ছুন্নাত
*************
নুবায়হা ইবনে অহাব রা বলেন , একদা হযরত কাব রা হযরত আয়েশা রা এর নিকট গেলেন , সেথা রাছুল সা সম্পর্কে আলোচনা হতে থাকলে হজরত কাব রা বলেন ,এমন কোন দিন অতিবাহিত হয়না , যেদিন ভোরে ৭০ হাজার ফেরেস্তা আসমান হতে অবতরন করেন না । এমন কি তারা নবী পাক সা
এর রওজা মোবারক বেষ্টন করে তাদের নুরের পাখা দিয়ে অতি তাজিমের সহিত দরুদ ও ছালাম ভেজেন অতঃপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তারা উদ্ধে গমন করেন , আবার পরেরদিন ৭০ হাজার ফেরেস্তা আসে আবার চলে যায় । এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে বস্তুত একজন ফেরেস্তা একবারই নবীজীর রওজা মোবারকে তাজিম ও সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ পায় । এবং কিয়ামত এর পর ৭০ হাজার ফেরেস্তা বেষ্টিত হয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবেন ।।
দারেমি ।।
মিলাদ শরিফ সাহাবায়ে কেরামের ছুন্নত
*****************
হযরত আবু দারদা রা এর বর্ণিত হাদিস
তিনি বলেন আমি রাছুল সা এর সাথে হযরত আবু আমের আনসারই রা এর বাড়িতে অবস্থান নেই , তখন আমের আন্সারি রা তার পরিবার পরিজন কে নবীজীর উত্তম আদর্শিক মোবারক জন্ম বিবরনি শুনাচ্ছেন ,
এবং বলছেন আজই সেই দিন ( , ঈদে মিলাদুন্নবি )যে দিন নবীজীর জগতে শোভাগমন করেন , এতদরশনে রাছুল পাক
সা আমের আন্সারি রা কে বললেন নিশ্চই আল্লাতায়ালা তার রহমতের দ্বার তোমার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন । এবং সমস্ত ফেরেস্তাগন তোমার জন্য ক্ষমা প্রাথনা করছেন ।
বুখারি ও মুসলিম ।।

মিলাদ শরিফ , দরূদ এবং দাড়ায়ে অতি উচ্ছ মর্যাদায় তাজিম করা প্রত্যক মুসলমানদের জন্য ফরজের চাইতে ও বেশি মূল্যায়ন এবং নেকি ।।

এ সম্পর্কে খুলাফায়ে রাশেদিন বলেন ,
হযরত আবুবকর ছিদ্দিক রা বলেন , যারা দয়াল নবীজীর উপর তাজিমের সাথে দরুদ ছালাম ভেজে থাকে তারা নিশ্চই আমি আবুবকর রা এর সাথে বেহেস্ত বাসী ।
হজরত উমর ফারুক রা বলেন, নবীজীর উপর দরুদ ব্যথিত যে কোন এবাদত ৪থ আকাশে ঝুলে থাকে । যে এবাদতের সহিত দরুদ থাকে তা আল্লাহর নিকট অতি বিজলির ন্যায় পৌঁছানো হয় ।।
হজরত উসমান গনি যিন্নুরাইন রা বলেন , যারা ৪ আনা পরিমান মিলাদ আয়োজনে খরছ করবে তারা আমি উসমান গনি রা এর সাথে বেহেস্তি ।।

হযরত আলী কাররামুল্লাহ অয়াজহু রা বলেন যারা একত্রিত হয়ে মিলাদ পড়ে অতঃপর তাজিমে দরুদ ছালাম জ্ঞাপন করে , ঐ স্থানটা বেহেস্তের
বাগানে পরিনত হয় , এবং ৭০ হাজার ফেরেস্তা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করতে থাকে , এবং নবীজীর দরবারে তাদের এবাদত জান্নাতের বালাখানা হয় ।
এবং মিলাদ স্থলের মধ্য এক জনকে অলি কবুল হয়ে সে দোয়া আল্লাহ দরবারে পৌঁছে যায় ।।
আল হাদিস ।।
আবু হুরাইরা রা থেকে বর্ণিত , নুর নবী পাক সা এর উপর দরুদ ছালাম জ্ঞাপন
করলে সাথে সাথে ১০ টি নেকি মিলে ১০ টি গুনাহ ঝরে পড়ে যায় এবং তার আমলনামায় ১০ টি সম্মান বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় ।
মেশকাত শরিফ
বড়পির শাহ ছৈয়দ সুলতান মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রা বলেন শোকনো গাছের পাতা যেভাবে ঝড়ে যায় , দরুদ ও মিলাদ কিয়ামের মাধ্যমে বান্ধার গুনাহ গুলি তেমনি সব ঝরে পড়ে ।।

আউলিয়ার শিরোমণি শাহ জালাল ইয়েমেনি রা বলেন
মুহাম্মাদ মস্তুফা নুরুল আলা নুর
হাবিবে কিবরিয়া নুরুল আলা নুর

আল্লাহর নুর হইতে নবীজী পয়দা
আর নবীজীর নুর হইতে সারা জাহানের সকল মাখলুখ পয়দা ।
আল্লাহ পাক বলেন , আওয়ালো খালাকাল্লাহু নুরি । আলা কুল্লি শাইয়িন নুরি । লাওলাকা মা খালাকতুল আফলাক । হাদিসে কুদসি
অর্থ , সর্বপ্রথম আমি আপনার নুর সৃষ্টি করি এবং সেই নুর দ্বারা সকল সৃষ্টি তৈয়ার করি । যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না । নবীজীর মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় , সৃষ্টি বৈচিত্রের প্রকাশ । আল্লাহ্‌ যার প্রশংসায় সদা সর্বদা বিভোর । যার নামই মুহাম্মাদ বা প্রশংসিত । তার শানে তাজিমের সহিত দরুদ মিলাদ কিয়াম করা শবে কদরের চাইতেও উত্তম এবাদত । কারন তিনি পয়দা না হলে শবে কদর দুরের কথা কোন কিছুই হইতনা ।

মাওলানা রুম বলেন
খোদ খোদানে খোঁদা ভি হায় মুহাম্মাদ
খোঁদা মিলতা হায় দরবারে মুহাম্মাদ

কোথাও খোদার সন্ধান ও মুক্তি পাবেনা
যতক্ষন না দয়াল নবীজীর দরবারে না আস

কবি নজরুল বলেন
তাওহিদেরই মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম
যে নাম হয় সয়ং মাবুদের , খোদায়ী কালাম ।।
।।

হে মুমিন গন আস আমরা সেই দয়ার সাগর উম্মতের কাণ্ডার
আল্লাহর হাবিব ছরকারে দু আলম দুজাহান কা সুলতান
উম্মতের ত্রানতরি হুজুর পাক নুর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছল্লামের উপর প্রান ভরে প্রাঞ্জল ভাষায় মধুর
সুরে দরুদ ছালাম জ্ঞাপন করি রওজা পাকে ।।

১নং দরূদ
*************

ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুনিয়া হাবিব আল্লাহ আলাইকুম
* মুহাম্মদ মস্তুফা জানে খুদা কো
খোঁদা জানে মুহাম্মাদ মস্তুফা কো
* আসলে ঈমান রূহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রারমাতুল্লিল আলামিন
* দেখা দাও ইয়া রাছুলুল্লাহ দেখা দাও
মেরে আঁকা মেরে মাওলা দেখা দাও
* এক যামানা ছহবত বা আউলিয়া
বেহতরে বে ছাল ছালেতাত বেরিয়া ।।

২ নং
ছাল্লাল্লাহু ওয়ালান্নাবি উম্মিওয়ালিহি ছাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লামা ছালাতা অয়া ছালামান আলাইয়েকা
ইয়া রাছুলুল্লাহ ১০ বার ।।

আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহু
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ২ বার
* আল্লাহর নুর হইতে সৃষ্টি করলেন নবিজির নুর বধন
তারি নুরে হইল গড়া তামাম মাখলুক ত্রিভুবন নবীজী
* ছায়েদে মক্কি সাহে মদিনা পেয়ারা নবিজি আয়ে
চিনলি আদেল মন মোহানে ছাদ ছামুক্রা দেখায়ে নবীজী
* শান্তি দাতা মুক্তিদাতা এলেন দুনিয়ায়
আসুন সবাই রওজা মোবারকে তাজিমে ছালাম জানাই নবীজী
৩ নং

মস্তুফা জানে রহমত পে লাখ ছালাম
সময়ে বজমে হেদায়েত লাখ ছালাম ২ বার

মোহরে ছরকে নবুয়ত পে রৌশন দরূদ
গোলে বাগে রেছালাত পে লাখ ছালাম ।।

আরশে ছে জেয়াদা মরতবা ওয়ালা ,
রওজায়ে রাছুলুল্লাহ কাহ
উছি রওজায়ে আনোয়ার মে লাখ ছালাম ।।

৪ নং

ইয়া নবী ছালামু আলায়েকা
ইয়া রাছুল ছালামু আলায়েকা
ইয়া হাবিব ছালামু আলায়েকা
ছালাওয়া তুল্লাহ আলায়েকা

আরশের কাবা মদিনা
জমিনের কাবা মদিনা
ক্বাবারও কাবা মদিনা
জান্নাতের বাগান মদিনা ইয়া নবী

যত রয় নবী আউলিয়া সাধু
লভিল; নামের সে মধু
নামে ভঁরা রহমতি যাদু
ভেজে ছালাম সয়ং ও প্রভু ইয়া নবী

এ বিশ্ব ভুবন মাঝারে
দেখিছ নবীজী আপন নজরে
তরাইও কঠিন বিচারে
শান্তি দাও আপনার দিদারে ইয়া নবী

দোয়া বা মুনাজাত আল্লাহর নিকট নাজাত চাওয়ার প্রদান মাধ্যম
হে আল্লাহ হে মহান হে দয়াময়
আমরা যা চাইব যা ফরিয়াদ জানাব
চাওয়া এবং বলার আগেই
জান তুমি
ক্ষমা দাও ক্ষমা কর দয়াল তুমি অন্তর্যামী ।

হাত তুলিলাম ওগো দাতা তোমার দরবারে
সবার গুনাহ মাফ কর দয়াল নবীজীর খাতিরে ।।

যে পথে চলিয়া গেল তোমার প্রিয় জন
সেই পথে চালাও গো দাতা রহিম ও রহমান ।।

যত দয়া তোমার ভাণ্ডারে মাওলা কর কিছু দান
পাপ ও তাপ রুগ শোক হইতে কর মুসকিলে আহছান ।।

শায়তানের কুমন্ত্রনা হইতে পানাহ চাহি বারেবার
ঈমান ও কলমা নছিব করিও যখন হইবে শেষ বিচার ।।

যত রয় নবী অলি আসহাব গন পবিত্র আত্মায়
সেই জিন্দেগী দান কর মাওলা এই জীবনের বেলায় ।।

আর যত সব মুর্দা রহে অন্ধকার কবরে
মাফ কর দয়াল মাবুদ নবীজীর খাতিরে ।।

শেষ বেলাতে ও গো খোঁদা আরজ তোমার দরবারে
নবীজীকে দেখাইয়া নিও কবরে ।।
মনে মুখে সদায় যেন কলমা জারী রয়
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ।।


শবে মেরাজ
************
মেরাজ আরবি শব্দ বাংলা অর্থ দিদার । আল্লাহ পাক এই মাসে তার
প্রিয় হাবিব নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াছাল্লাম
কে উদ্ধাকাশ ভ্রমন করাইয়াছিলেন ।
মহান আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎ লাভে দয়াল নবীজী উম্মতের জন্য উপহার হিসাবে রহমত নিয়ে এসেছিলেন । আর সেই রহমত হল ৫ অয়াক্ত নামায , ১ মাস রোযা ।
কিভাবে গেলেন
***********
নবীজী প্রথমে বায়তুল আঁকশা মসজিদে পৌছলে , সেখানে আদম আঃ থেকে হজরত ইশা আঃ পর্যন্ত ১লক্ষ বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী , রাছুল অলি গন তাকে হারহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ বলে সংবর্ধনা দেন ।
দয়াল নবীজী সবাইকে নিয়ে ২ রাকাত শোকরিয়া নামায আদায়
করেন । নবীদের সর্দার সেথা সয়ং ইমামতি করেন ।।
বোরাকে আরোহণ ঃ বেহেস্তের দ্রুতগামী আরোহণ হল বোরাক । বোরাক পাখাঅয়ালা । একটা পাখার গতি মুহূর্তে ৩০০০০ হাজার বছরের রাস্তা ।। সফর সঙ্গি ছিলেন আল্লাহর প্রধান ফেরেস্তা জিব্রাইল আঃ ।
বোরাক ১ম আকাশে গিয়ে পৌঁছে ।।
জিব্রাইল ডাকে বারেবারে
খুলে দাও আসমানের দোয়ায়
এসেছে নবীদের সর্দার
করিতে আল্লাহর দিদার ।।
আসমানের অসংখ্য ফেরেস্তারা নবীজীকে জশনে জউশ বা আনন্দ মিছিল সহকারে পড়তে থাকে
মারাহাবা ইয়া রাছুলুল্লাহ মারহাবা
রাহমাতাল্লিল আলামিনে এ মারহাবা ।।
নুর নবীজী ১ম আকাশে আদিপিতা আদম আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ
লাভ করেন এবং আলিঙ্গন করেন ।
২য় আকাশে ইশা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৩য় আকাশে ইয়াকুব এবং হারুন আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৪থ আকাশে মুশা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৫ম আকাশে নুহ আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৬ সট আকাশে দাউদ ও সুলাইমান আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
৭ম আকাশে ইব্রাহিম আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন ।
নবীজী ৭ম আকাশ ভেদ করে সিদ্রাতুল মুন্তাহা আল্লাহর বিশেষ
রহমতি স্থানে গিয়ে পৌঁছান ।।
জিব্রাইল আঃ এবার বিদায় চাইলেন , ইয়া রাছুলুল্লাহ সা মাফ করবেন আমার আর যাওয়ার মত সাধ্য নাই , যদি ১ মুহূর্ত পরিমান সামনে এগুনোর চেষ্টা করি তাহলে আমার সারে ৬ শত
নুরের পাখা জ্বলে ভন্ম হয়ে যাবে ।।

নবীজী এবার রবরবে আরোহণ করলেন ।। বোরাকের চাইতেও ত্রুতগামি ।।
নবীজী আল্লাহর দরবারে গিয়ে পৌঁছলেন ।।
আল্লাহ তার হাবিব কে ছালাম দিলেন , নবীজী ছালামের উত্তর দিলেন এবং কুশল বিনিময় করলেন ।।
আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি অয়াসসালাওউয়াতু অয়াত্তায়িবাত >>>>>>>>>>> ।।
নবীজী ঘুরে ঘুরে বেহেস্ত দেখলেন , দেখলেন ভয়ংকর দুযখ , দেখলেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আল্লাহর গুপ্ত রহস্য[ যা একমাত্র আল্লাহ
এবং তার হাবিব সা ভাল জানেন ]
নবীজী আল্লাহর সাথে কথোপকথন চলাকালে আল্লাহ প্রশ্ন করলেন হে আমার প্রিয় হাবিব আপনার উম্মতের জন্য কি নিয়ে যাবেন । নবীজী উত্তর দিলেন আল্লাহর হুকুম এবং তার দয়া । তাহলে এই নাও ৫০ অয়াক্ত নামায এবং ১ বছর রোযা ।। নবীজী
সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসছিলেন , পথে মুসা আঃ এর সাথে সাক্ষাৎ । ইয়া নবীদের সর্দার আল্লাহর এজাজত কি ।। আমার উম্মতের
উপর ৫০ অয়াক্ত নামায এবং সারাবছর রোযা রাখার নির্দেশ ।।
হে দয়াল নবী আপনার উম্মত হবে জয়িফ এবং কম আয়ু সম্পন্ন
আপনি আল্লাহর নিকট ৫ অয়াক্ত নামায এবং ১মাস রোযা কমিয়ে আনুন ।।
নবীজী আল্লাহর দরবারে গিয়ে কমিয়ে আনলেন ।। মুসা আঃ আবার পাঠালেন , আবার পাঠালেন ৯য় বারে নামায কমিয়ে ৫ অয়াক্ত নিয়ে আসলেন এবং রোযা এক মাস ।। আল্লাহ খুশি হয়ে
নবীজীকে বললেন হে হাবিব নিশ্চই জানিও যারা ৫ অয়াক্ত নামায পড়বে তারা ৫০ অয়াক্ত নামাযের ছয়াব এবং ১মাস রোযা রাখবে
তারা সারা বছরের রোযা রাখার ছয়াব পাবে ।।
আমিরুল মুমিনিন হজরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু
বর্ণনা করেন । নবীজী মেরাজ গমন ছিল তার একটি শ্রেষ্ঠ মুজেজা ।।
মেরাজ গমন করে ফিরে আসা নবীজীর জন্য এতটুকু সময় ছিল যে তিনি অজু করছিলেন এসে দেখেন অযুর পানি গড়াচ্ছে ।।
এই রজব চাদের ২৭ শে রজনী তে তিনি মেরাজ গমন করেছিলেন ।।
তাই রাত টি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের জন্য শান্তি ও রহমতের ।।
আল্লাহ আমাদের উক্ত রাত্রে এবাদত করার তৌফিক দান করুন ।। আমিন ।।


বেহেস্তিও দুযকি দলের পরিচয় ।
**************

কোরআন কারিমে আল্লাহ পাক বলেন
আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

কুরআন বুঝতে হলে হাদিস পড়তে হবে ।। কোরআনে রহস্য আর হাদিস তার ব্যক্ষা ।।
* এবং ইহাই আমার সহজ সরল পথ (ইসলাম ) , এতএব ইহারই অনুসরন কর ।। আর অন্যসব পথে চলিওনা তাহা হইলে তোমরা আল্লাহর
রাস্তা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে ।এই সব ব্যাপারে তোমাদিগকে তিনি বারবার তাগিদ করিতেছেন যেন তোমরা পরহেজগার হইতে পার । সুরা আনআম ১৫৪ আয়াত ।।

বেহেস্তি ও দুযখি দলের পরিচয় ,
*********
বেহেস্তি ঐ দল যাহারা আহলে ছুন্নাতওয়াল জামাতের আকায়েদ
ততা মত ও পথের উপর দৃঢ়ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকিবে ।।মানে
ছাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম , তাবেয়িন , তাবেতাবেয়িন ,এবং ছালফে ছালেহিন রা আলাইহিওয়াচ্ছাল্লামের মতাদর্শের
হুবুহু অনুসরন করিবে ।।

বর্ণিত রয় যে হুজুর নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম কে বেহেস্তি দল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে হুজুর পাক বলিয়াছেন
যারা আহলে ছুন্নাতয়াল জামাতের উপর প্রতিষ্ঠিত তারাই বেহেস্তি ।।
হজরত ইবনে আব্বাস রা আনহুম হইতে বর্ণিত
হজরত আবুবকর রা আনহু এবং হযরত ওমর রা আনহুমকে
সমস্ত সাহাবিদের মধ্য আফজল বা সর্বশ্রেষ্ঠ যাহারা জানিবে তাহারা বেহেস্তি দলের অন্তর্ভুক্ত ।।

যাহারা হজরত ওসমান রা আনহুম এবং হজরত আলী কাররামুল্লাহু ওয়াঝাহুকে তাজিম এবং সম্মান প্রদর্শন করিবে
তারা তাহারা বেহেস্তি দলের অন্তর্ভুক্ত ।।

যাহারা বায়তুল্লাহ শরিফ এবং বায়তুল মুকাদ্দাস কে তাজিম ও সম্মান প্রদর্শন করিবে তাহারা বেহেস্তি ।।

যাহারা বদকার / নেক্কার বা ভাল/মন্দ নির্বিশেষে সকল মুসলমানের জানাযার নামাজে শরীক হয় তাহারা বেহেস্তি দলভুক্ত । ।

নেক /বদ বা ভাল মন্দ উভয় শ্রেনির ইমামের পেছনে ইক্তেদাহ করতঃ নামাজ আদায় করে তাহারা বেহেস্তি দলভুক্ত ।।

নেক্কার /বদকার রাস্ট প্রধানের বিরুদ্ধাচরন যাহারা না করিবে
তাহারা বেহেস্তি দলভুক্ত ।।

যাহারা ছফরে কিংবা নিজ বাসস্থানে চামড়ার গালিছা বা পা পোশে
পা মুছা বা সমর্থন করিবে তারা বেহেস্তি দলের অন্তর্ভুক্ত ।।

যাহারা তকদিরের ভাল মন্দ উভয়েই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হইতে হয় বলিয়া দৃঢ় বিশ্বাস রাখে তাহারা বেহেস্তি দলের অন্তর্ভুক্ত ।।

যে সকল সাহাবাগন কে বেহেস্তি সু সংবাদ দেওয়া হইয়াছে তাহা
বিশ্বাস এবং আল্লাহর অধিক নৈকট্য লাভ করার দৃঢ় ঈমান মজবুত কারি রাও বেহেস্তি দলের অন্তর্ভুক্ত ।।

যাহারা নামায ও যাকাত আদায় করিবে তাহারা বেহেস্তি দলের
অন্তর্ভুক্ত ।।
****************
আল কোরআন এবং হাদিস ব্যতিরেকে , আর যারা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করে তারাই দুযকি ।।
আল হাদিস ।।









ইসলামে কবিগনের ভুমিকা
*************

কোরআনের ১১৪ টি ছুরার একটি ছুরার নাম কবিগন ।
নবীজীর দুনিয়ায় আগমনের ১০০ বছর পূর্বে এক কবি তার আগমন
সংবাদ পৃথিবী বাসীকে জানিয়ে ছিলেন । নাম তার যুবায়ের তালহা
প্রথম কাব্য কথা
হে জগত বাসী জান
কেটে যাবে তমাসাব্রিথা অন্ধকার তার আগমনে ,
আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের চাইতে নুরের ঝলক ছড়াবে তার রৌশনে ।
যদি দেখা মিলে সেই মহামহতির
লভিও শান্তির বারী তার চরন মোবারক দর্শনে
নিজেকে ধন্য করিও লুটায়ে রহমতের ঐ বাগানে ।

কবির কবিতা নবীজীর দাদা আব্দুল মুতালেব এর দৃষ্টি কেড়েছিল । তাই নবীজীর দুনিয়ায় আগমনের সময় আল্লাহর ক্ষুত্রতে এক
নুরের রউশনায় সমগ্র জাহান আলোকিত হয়েছিল । মিশরের মনি মুক্তা খচিত ১৪ টি রাজ তোরণ ভেঙ্গে পড়েছিল । হাজার বছরের জলন্ত অগ্নিশিখা মুহূর্তেই নিস্প্রভ হয়ে গিয়েছিল । মা আমেনার কুলে বেহেস্তি চাঁদ লুটাইল । সারা আরব গগনে আকাশ বাতাস বৃক্ষ তরু মানব দানব জীন ,
ফেরেস্তা সকল মারহাবা , মারহাবা বলিয়া আনন্দ মিছিল সহকারে অনাবিল শান্তি ও মুক্তির বার্তা জ্ঞাপন করিল ।
দাদা আব্দুল মূতালেব দাসির নিকট হইতে এ আনন্দ সংবাদ পাইয়া ,সাথে সাথে তর্জনী উম্মুচন করিয়া দাসিকে আজাদ করিয়া দিল ।
নবীজী বর্ণনা করেন , আমি মেরাজে দেখতে পাই আমার দাদা কবরে, তার চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা । সে যখনি কষ্ট
অনুভব করে তক্ষনি যে আঙ্গুল চুষতে থাকে । আঙ্গুলের ইশারায় আমার আগমন শুভ
সংবাদ শুনে দাসিকে আজাদ করে দিয়েছিল । সেই অঙ্গুলি মুখে পুড়তেই দুযখের আগুন নিভে যায় এবং বেহেস্তের বারী বইতে থাকে ।
হাদিসে কুদসি
ইসলামের ১ম খলিফা এবং দয়াল নবীজীর সদা সাথি প্রিয় বন্ধু সাহাবি আবু বকর রা আনহুম ও ছিল একজন কবি ও সুবক্তা ।
ইসলামের সোনালী যুগে বহু কবি সাহিত্যিক জ্ঞানি গন ইসলামের পক্ষে সত্য সত্য লিখে হেদায়েত এর দিক নির্দেশ দিয়ে গেছেন তাদের রহমতি লেখনির মাধ্যমে ।
আধ্যাতিক ছুফি কবি গন ইসলামের উজ্জ্বল প্রদীপ হিসাবে সমাদৃত । পারস্য কবি ইবনে ওমর খৈয়াম । রুমের কবি মাওনালা জালালুদ্দিন রুম রা শেখ সাদি রা ,আল্লামা ইকবাল সহ বহু মুসলিম কবিগন ইসলামী ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র ।বাংলাদেশ ও পাক ভারত সাম্রাজ্য যিনি সর্বপ্রথম ইসলামের বিজ রূপণ করেন তিনি হলেন ইয়েমেন আরবের বিখ্যাত আউলিয়া ও কবি শাহ জালাল রা
। যার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি ইসলামী দর্শন সত্যর সন্ধান ও মুক্তির শানিত আহবান ।
বাঙালি কবিগন এর ভুমিকাও কম নয় । আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ফররুখ আহম্মদ , গোলাম মস্তুফা , মীর মশাররফ হোসেন সহ অনেক
নামি দামি লেখক তাদের প্রতিভার উজ্জলতা ইসলামের শানে অনেক
রচিয়া গেল ।
কবিগন আল্লাহর রহমতি সংবাদ ।
নবীজী এ সম্পর্কে বলেন
লেখকের বা বিদ্যানের কলমের কালি শহিদের রক্তের চাইতে পবিত্র ""
আল হাদিস ।















আল্লাহর সৃষ্টি রহস্য / নবীজীর ভবিষ্যৎ বানী এবং মানবের মুক্তি ।
*********

সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।।

হামদে এলাহি ও সৃষ্টি রহস্য
***************
স্মরণ কর নামটি মাওলার
যিনি পাক পরুয়ার
সবি তার ক্ষুত্রতি কারবার
যখন ছিল আল্লাহ্ই আল্লাহ্‌ নাই কিছুই আর
করতে প্রকাশ ক্ষুত্রতি নুর ইচ্ছা জাগে তার
শুন্য অন্ধকার হইল ঘুয়াকার
সবি একাকারে হইল জলাকার
ঘূর্ণি উটে জলে
সেথা ডিম্ব ফুটিলে
প্রলয় নাছিয়া ডিম্ভু ফাটিয়া
হইল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তৈয়ার ।
নুর হতে নুর স্রিজিয়া
নুর মোহাম্মাদ প্রকাশিয়া
ত্রিভুবন জুড়ে যত সৃজন ও করে
দূর হইল নবীজীর নুরে সকল অন্ধকার ।
আরশ কুরশি লৌহ কলম
১৮ হাজার সৃষ্টি আলম
সাজাইলা প্রেমের কানন
সবি গাহে প্রশংসা তোমার ।
কবি মাসুদ কহে ওহে মাওলা
সবি তোমার ক্ষুত্রতি লিলা
তুমি কর নিজগুনে দয়া
খেলা বুঝার সাধ্য আছে কার ।
********
নুর নবীজীর শুভআগমন রহস্য ।।

তুমি আদিতে নিরাকার হে রহমতের ভাণ্ডার
আকার লইলে আসি মানব বেশে
মোহাম্মাদ নামে অবশেষে

ক্ষুত্রতে কামিলে ঝিন্নুকেতে তুমি ছিলে
ডিম্ভ ফুটাইয়া ত্রিভুবন জুড়িয়া সৃষ্টি সমূদয় প্রকাশিলে
সেই নুর উজ্জ্বল হয়ে ভাসে ।

ছিলে তুমি আরশেতে সেতারা রূপে আকাশেতে
১৮ হাজার মাখলুখাত পয়দা হয় তোমার নুরেতে
নিজে খোদা বন্ধু হইয়া নাম বসাইলেন তার পাশে ।

ফেরেস্তাদের ছুরতে তাদের শিক্ষা দিলে
আরশে মহল্লায় আল্লাহর ক্ষুত্রতি পায়ে সেজদা দিলে
লৌহ কলম ৮০ হাজার আলম প্রকাশে ।

শাজ্রাতুলে ক্ষিন ডালে ময়ুর রূপে তুমি ছিলে
আল্লাহর ক্ষুত্রতে তোমার নুর থেকে সব রুহ স্রিজিলে
রুহ সব জানায় ছালাম উল্লাসে ।

বানায় খোদা আদম ছবি ফেসানিতে দিল নুরে মোহাম্মাদই
আদম থেকে ক্রমে নুর পৌঁছল এসে কপালে আব্দুল্লাহর
মা আমেনার কুলে নুরের চাঁদ হাসে

উম্মতি তরাইতে আসিলেন নেমে মক্কাূরে
দূর হইল পাপ তাপ তার নুুরের ঝলকেতে
করিলেন প্রচার ইসলাম তামাম দুনিয়ায় এসে ।

মক্কা আর মদিনার মাঝে সুসংবাদের বাজনা বাজে
কাফেরের দল মরে লাজে
শয়তানের বাসা সব পড়ে খসে ।

নবীজীর ইসলাম এবং কিয়ামত তথ্য ভবিষ্যৎ বানী
************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
আল্লামা ডঃ মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া
গবেষক আরবি বিশ্ব বিদ্যালয় , শতর শ্রী / নেত্রকোনা ।


﴿يَٰبَنِيٓ ءَادَمَ قَدۡ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكُمۡ لِبَاسٗا يُوَٰرِي سَوۡءَٰتِكُمۡ وَرِيشٗاۖ وَلِبَاسُ ٱلتَّقۡوَىٰ ذَٰلِكَ خَيۡرٞۚ ﴾] سورة الأعراف [26 :
“হে বনী আদম, আমি তো তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জা-স্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্যস্বরূপ। আর তাকওয়ার পোশাক, তা উত্তম”।

ইমাম মেহেদী আঃ এবং দাজ্জাল এর জগতে আসার লক্ষন সমুহ এবং যা হবে ।
************
আশ্চর্য এমন কিছু দৈব ঘটবে মানুষ শংকিত হবে ।
পাপাচার বৃদ্ধি পাবে , পৃথিবীর বক্ষ থেকে ধন সম্পদ রত্নাদি বেরিয়ে
আসবে এবং লোভ চাঙ্গা হবে তা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু করবে । বস্তুত দুনিয়াবি মোহে ঈমানকে বিকিয়ে পরস্পর ধ্বংসের
দিকে লিপ্ত হবে ।
হাদিস ।
৪০ জন আলেম মিলে আর ৪০ জন আলেম কে পারস্পারিক তর্কে হারাবে , নারিরা সমাজে প্রাধান্য পাবে সব ক্ষেত্রে । যিনা ব্যাভিচার
বৃদ্ধি পাবে , মুলত আল্লাহুকে ভুলে গোমরাহির দিকে ছুটবে ।
জানিও সেই সময় টুকু অতিত জাহেল বা অন্ধকার যুগের চাইতেও
নিকৃষ্ট , ঐ সময় ইমানদারের সংখ্যা হবে খুব কম ।
এহুদি নাছারাদের বক্ষ হইতে দাজ্জালের জন্ম হইবে ।
এবং আচানক ক্ষমতার অধিকারি হইবে । পৃথিবীর বহুলাংশ মানুষ তার অনুসারি হইবে । বস্তুত এক হাতে চন্ত্র আর অন্য হাতে সূর্য উদিত হইবে এবং তার আকৃতি হইবে এক চক্ষু বিশিষ্ট
মুলত তার দিকে যারা অগ্রসর হইবে তারাই জাহান্নামি ।
তার অত্যাচার যুলুমে তামাম দুনিয়ায় বিশ্রিংখলা ও হত্তা কাণ্ড ঘটবে । এত লাছ পচবে বাতাস বিষাক্ত হয়ে পশু পাখি নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে । আল্লাহর নির্দেশিত মহা মানব ইমাম মেহেদি আঃ এর
আগমন হবে , তিনি এদন পাহাড়ে অবস্থান নিবে ঐ সময় তার
সংবাদ শুনে পাহাড় বা বরফের চাইয়ের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যদি যেতে হয় তার হাতে বাইয়াত নিবে । । নিশ্চয় তিনি আল্লাহর প্রতিনিধি
তার ছুরত হবে গৌড় বর্ণ ইউছুফ আ এর মত সুন্দর , সাথে থাকবে মুসা আ,এর লাটি , ইশা আ, এর কেশ আদম আ,এর নমুনা এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর আদর্শ । পাহাড়ে উদয় হয়ে
এমন এক তাজাল্লা চাওয়া দিবে সাথে সাথে দুনিয়াবি বিজ্ঞানিকের মারনাস্র সব ধংশ হয়ে যাবে । মক্কার কানায়ে কাবার
পশ্চাদ দেশ হতে ইশা আ, চতুর্থ আকাশ থেকে নেমে আসবে
এবং বহুসংখ্যক মুসলিম নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে ।
ইমাম মেহেদির আদেশে ইশা আ দাজ্জাল কে ধরে এক আছাড়ে
পাথরের মধ্য ফেলে ধংশ করে দেবে । তামাম দুনিয়ার যারা থাকবে সবাই ইমাম মেহেদি ও ইশা আ এর নিকট তওবা করে নিবে ।
ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্মের অস্তিত্ব জগতে থাকবেনা । ইশা আ ৪০ বছর রাজত্ত করবে এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন
করবে । নবীজীর রওজা মোবারকের পার্শে তাকে দাফন করা হবে । ইমাম মেহেদি আ এর সময়ে আবার জগতে শান্তি নেমে আসবে । । আল হাদিস । ।

এরপর আসবে কিয়ামতের লক্ষন ।
আবার মানুষ আল্লহ কে এবং ইসলামকে বুলে শয়তানের অনুসারী হবে ।
জিব্রাইল আঃ রহমত উটিয়ে নিবে ।
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে ।
পাহাড় ফেটে দাব্বাতুল আরদ নামে একটি ভয়ঙ্কর জীব উদয় হবে । তার হাতে থাকবে ছুলাইমান আঃ এর আংটি এবং মুসা আঃ লাটি । লাটি যাদের মাথায় বা কপালে লাগাবে তারা হবে মুমিন আর যাদের আংটি লাগাবে তারা হবে জাহান্নামী । জীবটি সারাদুনিয়া পলকে বিচরন করে মুমিন এবং কমিনদের আলাদা করে ফেলবে ।
ইয়াজুজ মাজুজ এর পদার্পণ হবে ।
উত্তরা বাতাসে গাইভি দুযখের আগুনের শিখা মুহূর্তে জগত আচ্ছন্ন করে নেবে । পৃথিবীর সব মানুষ ভয়ে সিরিয়ায় পাহাড়ে লুকাবে । যারা বেদিন তাদের বুকে আগুনের ক্ষুত হবে মুমিনদের পিষ্টে সামান্য দাগ হবে ।
কোরআনের অক্ষর মুছে যাবে ।
সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদয় হতে আবার পশ্চিমে ডুববে ।
আল্লাহর আদেশে ইসরাফিল আঃ শিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবে । জগত ধংশ হয়ে যাবে ।
কোরআন , হাদিস এবং তরজমার আলোকে ।


শেষ বিচার


সয়ং ইসলাম নুর নবী হযরত
সয়ং ইমান নুর নবী হজরত
তার মাধ্যমে মহান প্রভুর পরিচয়
আমরা তারি শ্রেষ্ঠ উম্মত

যত নবী রাছুল তারি উম্মত হওয়ার
দোয়া চাহে দরাবারে আল্লাহর
আমরা তারি রহমতের দরিয়ায়
পথের দিশা পাই অজানার

কবর , হাসর , মিজান পুলছিরাতে
তিনি শাফায়াত হবে উম্মতে
কর্ম ফলের আমলনামায় যা
সয়ং খোদা টানিবে সঠিক সঠিক বিচার ।

এস ঈমান ও আমলের মাধ্যমে মুক্তির দিকে ধাবিত হই ।।

ইসলামের আলো মুক্তির বানী
********** পরিবেশ বন্ধু কবি
ঈমানের অমুল্য ফসল পাক কালমাতে লুকানো রয়
সুদ্ধ দিলে একবার পড়লে সেইজন খাটি মুসলমান হয়
জপিলে পাক কাল্মা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদ রাছুলাল্লাহ
দূর হইবে দিলের ময়লা
ওরে দেহ হবে নুরে উজ্জলা দিন কাটিবে বরকতময় ।
যেজন পাঞ্জেখানা ছালাত আদায় করে
তার সর্ব অঙ্গে নেকি ধরে
পাপ তাপ যায় ঝরে
সে মুমিন খোদার প্রিয় মিলবে তার জান্নাতের পরিচয় ।
যেজন আত্তসুদ্ধি লাভে রাখে রোযা
পরকালে তার রাস্তা সুজা
থাকবেনা পাপের বুঝা
পাবে সে জান্নাতে সয়ং মাবুদের দিদারের বিনিময় ।
যেজন করবে হজ , যাকাত আদায়
নেকি লিখা হবে তার আমলনামায়
পার হইবে নিধানের পুলছেরায়
পাবে নবীজীর শাফায়াত কবর মিজানে থাকবেনা ভয় ।
এম , জি, আর, মাসুদ রানা


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: সম্পূর্ণ ব্রেইন ওয়াশ। Best Example of Prophet worshiping.

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সালাত ও সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ, সালাত ও সালাম ইয়া হাবিবাল্লাহ, সালাত ও সালাম ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন!!!

সালাত সালাম ইযা পাক-পাঞ্জাতন!

অনেক খাটুনির কাজ করেছেন্ । আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন।

@ হানিফ ঢাকা- আল্লাহর আদেশ যেখানে তার worship করা সেখানে আপনি ব্রেইন ওয়াশ বলছেন কোন যুক্তিতে।

উনিতো শুরুতেই পবিত্র কোরআনে মহান ।আল্লাহর আদেশ সহ সূরা আহযাবের আয়াতের পরও আপনার বোধগম্য কেন হয়না তা ভেবে হয়রান। যাক আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত যোগ্য হলে হেদায়েত দান করুন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মতামত জেনে ভাল লাগল । নিরন্তর ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভিগু ভ্রাতা ।@ হানিফ ঢাকা কি বুঝাতে চাইল তা স্পষ্ট নয় তবে দোয়া রাখি এ বিষয়ে তার শোভবোধ উদয় হোক । ভাল থাকবেন সব সময় ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৫

হানিফঢাকা বলেছেন: লেখক ভাই আপনি অনেক বিষয় এক সাথে বলেছেন, তাই বুঝতে পারছিনা কোনটা দিয়ে শুরু করব। সবগুলি একসাথে বলা সম্ভব না। ধরেন আপনি বলেছেন নবী নুরের তৈরি, সবার আগে নবীকে বানানো হয়েছে , মোবারক পায়খানা পশ্রাব, কত বলব।

কোরআনর কিছু আয়াত দিয়েছেন আপনার বিষয়ের সাথে কোন মিল নাই। উদাহরণ- সুরা আল ইমরান ৮১ / ৮২ আয়াত- ভাই এইটার সাথে মিলাদের কি সম্পর্ক? কোরআনের বাংলা অর্থ বুঝেন না?

আপনি বলেছেন, "ইন্নাল্লাহা অয়ামালায়কাতাহু ইউ ছাল্লুনা আলান্নাবিয়ু ইয়া আইয়ু হাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহে অয়াছাল্লিমু তাস্লিম ।।
অর্থ , নিশ্চই আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তাগন দরুদ ভেজে তার হাবিব বা মুহাম্মাদ সা এর উপর , হে ইমানদার গন তোমরাও
দরুদ ও ছালাম পড় ।। সুরা আহযাব আয়াত ৫৬"- আপনি এইটা দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন নবীর উপর দরুদ ও ছালাম পড়তে হবে? আল্লাহ আর ফেরেস্তাগনও নবীর উপর সবসময় দরুদ ও ছালাম পড়ে? এই রকম আর কোন আয়াত কোরআনে আপনি পড়েননি? কোন মোল্লা আপনাকে এই রকম আর কোন আয়াত এর কথা বলেননি?

কোনটা বলব? আপনার লেখা দেখে আমার যেটা ধারনা হয়েছে তা হচ্ছে আপনি সূফী ঘরানার মতবাদে বিশ্বাসী। আমার ধারনা ভুল হতে পারে। দাজ্জাল, ঈসা (আঃ) সম্পর্কে যা লিখেছেন তা রূপকথা ছাড়া কিছু না। একটু কোরআন নিয়ে পড়ালেখা করেন তা হলেই বুঝবেন।

আপনি বলেছেন, "কুরআন বুঝতে হলে হাদিস পড়তে হবে ।। কোরআনে রহস্য আর হাদিস তার ব্যক্ষা "- এর উত্তরে আমি শুধু এইটা বলব যে আপনি হয় না জেনে অথবা জেনেশুনে এই কথা দিয়ে আল্লাহ এবং কোরআন সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন। কোরআন এর সাক্ষী।





০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হানিফ ঢাকা । আমার পোস্টে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে বিন্দু মাত্র ভুল নাই । কোরআন আল্লাহর বানী এবং একটা বিশ্বকুশ আর হাদিস হল নুর নবী হজরত মোহাম্মাদ সাঁ এর জীবন কর্ম তার উত্তম আদর্শ ও দিক নির্দেশ সমুহ । আপনি লিখেছেন কোরআন সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি কোথায় মিথ্যা বললাম বরং বিষয়বস্তু সম্পর্কে না বুঝা সেটা আপনার জ্ঞানের অভাব ।

আপনি লিখেছেন সুরা আহযাব আয়াত ৫৬"- আপনি এইটা দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন নবীর উপর দরুদ ও ছালাম পড়তে হবে? আল্লাহ আর ফেরেস্তাগনও নবীর উপর সবসময় দরুদ ও ছালাম পড়ে? এই রকম আর কোন আয়াত কোরআনে আপনি পড়েননি? কোন মোল্লা আপনাকে এই রকম আর কোন আয়াত এর কথা বলেননি?
কোরআনের একটা অক্ষর কে যে অস্বীকার করিবে সে নাস্তিক । আল্লাহ্‌ বলেন আমি এবং আমার অসংখ্য ফেরেস্তাগন কে নিয়ে সদা আমার হাবিবের উপর দরূদ ভেজি হে ইমানদার গন তোমরাও দরুদ ও ছালাম ভেজ । সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ সেটা অস্বীকার করার ক্ষমতা কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়ার কোন আলেম জ্ঞানি ব্যাক্তিদের হবেনা ।
কোনটা বলব? আপনার লেখা দেখে আমার যেটা ধারনা হয়েছে তা হচ্ছে আপনি সূফী ঘরানার মতবাদে বিশ্বাসী। আমার ধারনা ভুল হতে পারে। দাজ্জাল, ঈসা (আঃ) সম্পর্কে যা লিখেছেন তা রূপকথা ছাড়া কিছু না। একটু কোরআন নিয়ে পড়ালেখা করেন তা হলেই বুঝবেন।
সেটাও আপনার ভুল ধারনা । নবী পাক সাঁ বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি এক কোরআন আর ২ হাদিস । যারা কোরআন এবং হাদিস থেকে শিক্ষা নেবে এবং পথ চলবে তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত । ইমাম মেহেদী ও ইশা আঃ এর আগমন প্রসঙ্গ তা নবীজীর ভবিষ্যৎ বানী । এ সম্পর্কে একজন ভাল মুফতি বা মাওলানার নিকট সত্যতা মিলিয়ে নিতে পারেন । আশা করি ভুল ভাংবে । ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন ।


৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হানিফঢাকা বলেছেন: লেখক ভাই আপনি অনেক বিষয় এক সাথে বলেছেন, তাই বুঝতে পারছিনা কোনটা দিয়ে শুরু করব।
সহমত

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ে কোন একটা দিয়ে শুরু ক্রা যায় ।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @হানিফ ঢাকা আপনির মন্তব্যের রেশ ধরে বলা যায়- উনি যদি আপনার কথিত মত মতে সূফি ঘরানার হয়েও থাকেন- আপনি নিশ্চিত ওহাবী আর ইয়াজিদি ঘরানার বটে!
কারণ তারাই রাসূল সা: এর শানে সম্মান প্রেম দেখলে জ্বলে ওঠে!
ওরশিপের কথা বলছেন- এ বিষয়েতো লেখক অনেক সহজবোর্ধ ভাসায় প্রমাণ সহই দিয়েছেন- সূরা আহযাবের ৫৬ আয়াতের অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে আপনার কাছে! আছে কি? শব্দ, অর্থ, বোধের জন্য খুব সরল ভাবেই তো বর্ণিত হয়েছে-

রাসূল সা: মাটির তৈরী! তিনি আমাদের বড় ভাই বা এলিষ্ট সাধারণ মানুষ এ জাতীয় চেতনা ধারন করে ইসলাম থেকে বহুদূরে অবস্থানকারী ইসলামী লেবাসধারী ইয়াজিদি, ওহাবী, সালাফী গং!!!! যাদের নাটের গুরু শয়তানের দোসর সৌদ পরিবার!!!
ইসলামের শুরুর উমাইয়া আব্বাসীয় দ্বন্ধে তারা ক্ষমতা পেয়েই রাসূল সা: কে সাধারন বানানো কুচেষ্টায় রত হয়েছে- রাসূল সা: এর নাতি পাক পাঞ্জাতনের অন্যতম ইমাম হোসাইনকে শহীদ করেছে! এরপর অর্থ বিত্ত আর বয় দিয়ে তাদের পক্ষে জাল হাদীস আর ফতোয়া জারি করিয়েছে!
কিন্তু যারা প্রকৃত ইসলামকে মানত- যারা অর্থ, ক্ষমতা মৃত্যুকে পরোয়া করতা না তারাই এর প্রতিবাদ করেছে। তারা শহীদ হয়েছে কিন্তু ভন্ড ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করেনি! বাইয়াত গ্রহন করেনি! আবুজর গিফারী রাঃ এর অন্যতম!

সো! আপনি যদি জানতে চান। প্রচুর পড়াশোনা করুন। মোরাকাবা মোশাহাদা করুন। সত্রকে খুঁজতে হলেতো আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে। আর যদি তা না চান- তবে অন্ধ বিম্বাসীর মতো ওহাবী আর সালাফিদের পিছনে দৌড়ে দুনিয়া আখেরাত সবই বরবাদ করুন।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই, আপনি বলেছেন, "কুরআন বুঝতে হলে হাদিস পড়তে হবে ।কোরআনে রহস্য আর হাদিস তার ব্যক্ষা "- । কোথায় পাইলেন এই কথা? কোরআনে রহস্য না? কি রহস্য কোরআনে আছে? কোরআন পড়ে দেখেন কোরআনে কোথায় বলা আছে কোরআন রহস্য? আপনি জানেন আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কি বলেছেন? আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন কোরআন সহজ, সহজে বুঝা যায়, মনে রাখা যায়, স্বব্যখাকারী, বিস্তারিত, সম্পূর্ণ, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য নির্ণয়কারী। আর আপনি বিশাল জ্ঞানী মানুষ বলতেছেন কোরআন রহস্য। এর পর বুঝেন না কোথায় মিথ্যা কথা বলেছেন? ভাই আপনি কোনোদিন কোরআন বুঝে পড়েছেন? আল্লাহ কোরআন ছাড়া অন্য কোন হাদিস অনুমোদন দেয় নায়।

আল্লাহ যতই বলেন কোরআন সহজ, আপনি বলেন না কোরআন কঠিন, আল্লাহ যতই বলেন কোরআনে সবকিছ্রর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, আপনি বলেন না সবকিছু দেওয়া নাই, আল্লাহ যতই বলেন কোরআন বিস্তারিত, আপনি বলেন উহা রহস্য। কে সঠিক? আল্লাহ মানেন, কিন্তু আল্লাহর বানী কোরআন কে মানেন না? যদি মানতেন এই কথা বলতেন না।

সুরা আহযাব আয়াত ৫৬ আমি কোন ভাবেই অস্বিকার করছিনা। কিছু হলে মোল্লারা এই আয়াত বলে, যে এই দ্বারা নাকি প্রমানিত যে আল্লাহ স্বয়ং এবং ফেরেস্তাগন নবীর্ উপর সবসময় দরুদ পড়েন। যদি এই অনুবাদের ব্যাখা সঠিক হয়, তবে আল্লাহ এবং ফেরেস্তাগন সব বিশ্বাসীদের উপর দরুদ পড়েন- আমার আপনার সবার উপর- যারা বিশ্বাস করে। একই সূরা ৪১-৪৩ আয়াত, কোন মোল্লা কোনোদিন বলেনা। দয়া করে একটু দেখে নিয়েন।

আপনি বলেছেন "নবী পাক সাঁ বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি এক কোরআন আর ২ হাদিস"- শুধু এই হাদিসটাই শুনেছেন? এইরকম আর হদিস শুনেন নাই নাকি শুনতে ইচ্ছা করে না? এইটা নিয়া, আপনার হাদিস বইয়ে তিন ধরনের হাদিস আছে।
আমি তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছিঃ
১। কোরআন
২। কোরআন এবং হাদিস
৩। কোরআন এবং আহ্লে বায়াত।
সবই আপনার সহি হাদিস।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ানিফ ঢাকা আপনি অন্ধকারে আছেন এখনও । وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।। গোপন ভেদ কি? এই গোপন ভেদ বা অজানা বিষয় কে জানাই রহস্য। কোরআন এর আয়াত অনুবাদ করলে যে অর্থ আসে তা দিয়ে অর্থের সারমর্ম বুঝা কঠিন । বরং সুরা বা আয়াতের শানেনুযুল জানতে হবে । এখন শানে নুযুল কি কোরআনে আছে । যখন জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে পাক নবীজীর নিকট কোন সুরা বা আয়াত নাযিল হত তখন নবীজী সাহাবাগনকে জানিয়ে দিতেন । সাহাবাগন কোরআনের আয়াত বুঝার জন্য প্রশ্ন করতেন ইয়া রাছুলুল্লাহ ইহা কেন? নাযিল হল এর ব্যাখ্যাবিশ্লেষন কি ? । নবী পাক সাল্লাল্লাহু আ তা সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দিতেন । আর এই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এর অধিকাংশই হাদিস ।, উদাহারন সুরা কাহফ আয়াত ১১০ । আল্লাহ বলেন হে রাছুল আপনি বলুন আমি তোমাদের মতই মানুষ । সাহাবাগন প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনি কি আমাদের মত রক্তে মাংসে গড়া মাটির মানুষ । নবীজী বলেন না , আওয়ালু খালাকাল্লাহু নুরি । সর্ব প্রথম আল্লাহ আমাকে তার নুর হতে সৃষ্টি করেন । আলা কুল্লি সাইয়িন নুরি এবং আমার নুর হইতে সকল কিছু সৃষ্টি করেন । আয়াত এর অর্থ তিনি আমাদের মত মানুষ , হা তিনি রঙে নমুনায় আমাদের মত মানুষ আসলে ব্যাখ্যা যা পাই তিনি নুরের তৈরি । কোরআন হাদিসে কেহ কোথাও কোনদিন প্রমান করতে পারবেনা তিনি মাটির তৈরি । ৪১ / ৪৩ আয়াত এর ব্যাখ্যা ভিন্ন । দরুদ ছালাম শুধু নবীজীর উপর । বিশ্বাসীদের উপর আল্লাহ এবং তার ফেরেস্তাগন রহমত বর্ষণ করেন । দরূদ এবং রহমত বর্ষণ এক নয় । নবীজীর সাথে আপনি সাধারন মানুষের তুলনা করছেন । আল্লাহ্‌ যার প্রশংসায় সদা পঞ্চমুখ যিনি সমস্ত নবীগনের নবী রাছুল গনের রাছুল এবং উম্মতের শাফায়াতের কাণ্ডারি আগে তাকে চিনুন ।
সুরা ইমরান আয়াত ১০৭ আল্লাহ বলেন আমাকে পাইতে হলে সর্ব প্রথম আমার হাবিব কে ভালবাস এবং তাকে অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের ক্ষমা করিয়া দিব ।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগুঃ আমি লেখক কে এই কথাটা কোনভাবেই আক্রমনাত্তক অর্থে বলিনি। আপনি ভুল বঝেছেন।

আমি সকল নবী রাসুলদের স্মমান করি, কিন্তু স্মমান করতে গিয়ে আল্লাহতুল্য বানিয়ে ফেলিনা। লেখক নবীর প্রশংসা করতে গিয়ে যে কথা গুলি লিখেছেন, তার বেশিরভাগই অতিরিঞ্জত, নবীর সম্পর্কে বানানো কথা। আপনি আব্বাসিয় যুগের কথা বলেছেন, ওইসময় এই গুলি বানানো হয়েছে।

আপনি জানতে চেয়েছেন ৩৩ঃ৫৬ আয়াতের আর কোন ব্যাখা আমার কাছে আছে কি না। আমি আপনাকে এর ব্যখা দেবনা, আমি শুধু বলব, একই সূরার ৪১-৪৩ নম্বর আয়াত ৫৬ নম্বর আয়াতের সাথে এক সাথে পড়েন। এক সাথে পড়লে আপনি বোঝতে পারবেন আল্লাহ এবং সকল ফেরেস্তা সকল বিশ্বাসীদের উপরই (নবী সহ) সালাম/ দরুদ পড়েন। পড়ার সময় একটু আরবী অক্ষরগুলির দিকে খেয়াল রাইখেন। এখন আল্লাহ এবং সকল ফেরেস্তা যদি সকল বিশ্বাসীদের উপরই সালাম/ দরুদ পড়েন, তবে নবীর উপর দরুদ পড়ার আলাদা কোন বিশেষত্ব আছে কি? এর উত্তর কি দিতে পারবেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবীজীকে অবমাননা করে যারা তারা বেঈমান , আর বেঈমানের জন্য জান্নাতের গরজা বন্ধ ।হজরত আলী কাররামুল্লাহু অয়াজহু হইতে বর্ণিত , নবীজী বলেন আমি আল্লাহর আদেশ ব্যাথিত একটি কথাও বলিনি । তাহলে নবীজীর পাক যবান মোবারকের বানী
যদি হাদিস হয় । নবীজী নিজে বলেছেন আমাকে আল্লাহ সর্ব প্রথম নুর হইতে সৃষ্টি করেছেন এবং আমার নুর হইতে সকল কিছু সৃষ্টি
করেছেন । হাদিসে কুদসি ।।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
আল্লাহর রাছুল হায়াতুন্নবি বা জিন্দা নবী
***********
বাহ্যিক ভাবে আমরা তার ৬৩ বছরের জিন্দেগিকে দেখি আসলে তা নয়
এটাই মানুষের বিবেকের জন্য মহা জিজ্ঞাসা আসলেই তিনি
আল্লাহর ক্ষুদ্রতি রহস্য ।
হাদিস
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন । আলামান কানা নাবিয়াও অয়া আদাম বা মায়ে অয়াত্তিন ।
নবীজী বলেন সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং আদম যখন কাদা মাটি মিশ্রিত মূর্তি তখনি আমি আল্লাহর রাছুল ।
কোরআন আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিব কুমুল্লা ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম
আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্ব প্রথম আমার রাছুলের পায়রবি কর তার অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের মাফ করিয়া দিব ।
সুরা ইম্রান ।
ঈশা আ এবং শীষ আ কে আল্লাহ জিন্দা আকাশে উটিয়ে নিয়েছিলেন সেটা আল্লাহর ক্ষুত্রত।
আল্লাহর রাছুল মানুষের ন্যায় মানবের বেশে মানবের সাথে মিশে জিন্দেগি কাটায়ে আবার মানুষের ন্যায় পরজগতে বা পর্দার আড়াল হন সেটাও আল্লাহর রহস্য ।
আসলে তিনি মানুষ নন তিনি আল্লাহর নুর ।আল্লাহর জাতী নুরের জ্যুতি ।
নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম একদিন হাস্য চ্ছলে নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে পেছিয়ে আগলে রাখতে চাইলে ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে । মা আয়েশা রা অবাক হলেন জানতে চাইলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সাঁ এটা কেমনে সম্ভব ।দয়াল নবীজী উত্তর দিলেন , আমি কি তোমাদের মত মানুষ ।
নবীজী আধার রাতে কোথাও বের হলে সমস্ত জগত তার নুরে আলোকিত হত ।
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম বলেন আমি ঘরে সুই বা ক্ষুত্র জিনিস হারিয়ে ফেললে নবীজী ঘরে ফিরে এলেই হারানো জিনিস ত্বরিতে তার নুরের ঝলকে খুজে পাইতাম
হাদিস
আয়শা রা হইতে বর্ণীত
নবীজীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা মাঝে মধ্য ময়লা হয়ে গেলে তিনি তা জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতেন কিছুক্ষন পর দেখা যেত
তা দুধের মত ছাফ হয়ে যেত । ছুবহানাল্লাহ । মানুষ যা ব্যবহার করে আগুনে সেই সব নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।
নবীজী সয়ং আল্লাহর জাতি নুর , আর আল্লাহর নুর আগুনের চাইতে কোটি কোটি গুনে গুনান্নিত ।
আল্লাহর রাছুল সা জাগতিক রহস্য কে ঈমানের দ্বারা পুস্পটিতিকরা মুমিনদের জন্য মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ ।





হযরত আলী কাররামুল্লাহু অয়াযহু বলেন , জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান । নবীজী বলেন লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয় ।
হেদায়েত যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর রহমত আসে নবীজীর পক্ষ থেকে ।
হজরত আলি রা হইতে বর্ণীত নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য ৭২ দল হবে এক দল বাদে বাকি সব জাহান্নামি দলের অন্তর্ভুক্ত ।
সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা সেই মুক্তি প্রাপ্ত দল
কোনটি । নবীজী তাৎক্ষণিক বললেন , আহলে ছুন্নাতয়াল জামাত । যারা আমার ছুন্নত কে মানে কোরআন মানে এবং আমার উত্তম সাহাবাদের জীবন অনুস্মরণ করে তারাই
মুক্তি প্রাপ্ত । হাদিস
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন এবং ভ্রান্তি হইতে ধুকাবাজি হইতে
ভাল পথে চলার রহমত দিন । আমিন ।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @হানিফ ঢাকা ধন্যবাদ আলোচনা কন্টিনিউ করার জন্য।
৬ নং কমেন্টে আপনি লেখকের কোরআনে রহস্য বিশ্লেষনে হাদীসের যে কথা বলেছেন তা কাটতে গিয়ে বলছেন কোরআন সহজ, সহজে বুঝা যায়, মনে রাখা যায়, স্বব্যখাকারী, বিস্তারিত, সম্পূর্ণ, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য নির্ণয়কারী।
ভাল।
আচ্ছা। এই সহজ কোরআনের প্রথম সহজ ৩ হরফ- যা দিয়ে কোরআনের যাত্রা শুরু- আলিফ লাম মীম! এর অনুবাদে/ ব্যাখ্যায় আজো কেন আপনার তথাকথিত হুজুররা লিখেন- এর অর্থ আল্লাহই ভাল জানেন? এর সহজ অর্থটা কেন সহজ করে ব্যাখ্যা করেন না!!! বলতে পারবেন?

আর আপনার টোটাল প্রতিক্রিয়ায় সংক্ষেপ করলে যা দ্বারায়- আপনি আপনার সাথে সাধারন বিশ্বাসীদের সাথে নবীজিকে সরল রেখায় ফেলতে চাইছেন!!! এই মানসিকতা কেন?
অতদূর অস্ত বাদ দেন- সাধারন হিসাবেই আপনার প্রিয় বুদ্ধিজীবর সাথে একজন সাধারন আইজুদ্দিনের তুলনা কেউ করলেতো ভাই নিগ্গাত ক্ষেপে যাবেন! ষ্টীফেন হকিংসের সাথে যদি বলি আপনিও তার মতোই বা সেও আপনার মতোই সাধারন- আপনি উল্টো আমাকেই পাগল বলবেন!!!

হায় ! আর এই আপনি বিশ্বনবীকে তাঁর বিশেষ সম্মান দিতে কতইনা কার্পন্য করছেন!!!!!

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উদ্দেশ্যপ্রনিত বা আক্রমণাত্মক উক্তি থেকে বিরত থাকুন ।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: 1. plz give me reference of your hadith that you mentioned.
2. why did you lie against Quran? is this your hadith taught you? you lied three times on this matter.
3. why didn't I see my previous comment? did you erase it?
4. what statement of mine seems you attacking?
5. Do you ever in your life read Quran?
6. Do you know what is called respect?
7. I am talking with the reference of highest authority- The Quran and you encounter it with your whims and wims? Are you ok?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.