নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-ওই বাদলা,কই যাস?এদিকে আয়!এইই পায়ের
কাছের ইট টা নিয়ে আয়..
জ্যোতি দার এসাইনমেন্ট
গুলো লিখতে লিখতে বিকেল চারটা বেজে যায়!
দুপুরে খাওয়া হয়না বাদলের।তবুও বড় ভাইয়াদের
মেনে চলতে দুটো একটা অসুবিধা সহ্য করে ও..
এই ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন যে ছিল
তা নয়,তবুও মনে হয় জায়গাটা কতনা আপন।কত
কল্পনার জাল বোনা... ক্লাস,আড্ডা,ক্য
াম্পাস..কল্পনার আরেকটা বিষয় ছিল,সেটা ছিল
র্যাগ। অনেকের কাছে ভয়ের বিষয় হলেও বাদলের
কাছে অতিমাত্রায় কৌতুহলের।ব্যাপারটা হাস্যকর
হলেও খুব ইচ্ছা ছিল র্যাগ খাওয়ার!
এইতো সেদিন থার্ড ইয়ারের শিপন দা আর পরশ
ভাই ওকে দিয়ে গভীর রাতে বাসের টিকেট
কাটিয়েছে,কিন্তু কখনো মনেই হয়নি ওকে কোন
প্রকার টর্চার করা হচ্ছে!অনেক গল্প
শুনেছে বাদল,শীতের রাতে পানিতে ডুব,ম্যাচের
কাঠি দিয়ে রাস্তা মাপা আরো অনেক...
কিন্তু কিছুই ঘটেনি এখনও ওর সাথে..
এসাইনমেন্টটা জ্যোতিদা র কাছে দেয় বাদল,কিন্তু
প্রচন্ড ধমকে আঁতকে ওঠে তারপরই..'এত্ত
গুলো ভুল কে শোধরাবে,তোর বাপ?'
-সরি,দাদা।
-এইগুলা আন্ডারলাইন করিসনাই,ক্যান?
-সরি।দাদা।
এখানে 'সরি' বলাটা রীতিমত অভ্যাসে চলে এসেছে।
দিনে যে কতবার সরি বলতে হয়!প্রথম প্রথম
এসব নিয়েও অনেক ভুগতে হয়েছে ওকে।ভুল হোক
আর না হোক,সরি বলতেই হবে।এটা নাকি শুধু
জুনিয়রদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সেদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে এসাইনমেন্ট আবারও
কমপ্লিট করে জ্যোতিদার আদেশ পালন
করে বাদল। তারপর বাসার পথ
ধরে ও..সকালে ক্লাস আছে..
দুপুরে খাওয়া হয়নি,খুব খারাপ লাগছে!
এখনও অপেক্ষায় আছে ও,র্যাগ কেমন হয় দেখার
খুব ইচ্ছা...
টর্চার? শারীরিক না মানসিক?
নাকি শুধুই ভয়!
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৯
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: এক্সপেরিয়েন্স দরকার
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: :-)