নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উদভ্রান্ত নাবিক। পাটাতনে মোর অগ্নিকুন্ড.......

সুদীপ্ত সরদার

সুদীপ্ত সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলে 'সত্যায়িত' করা কি?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

সব প্রয়োজনীয় পেপারস
ফটোকপি করে,সেগুলো নিয়ম মাফিক সত্যায়িত করে পরদিন গেলাম জমা দিতে... (নিয়ম মাফিক জিনিসটা এরকম ছিল, একজন এম বি বি এস ডাক্তারের চেম্বারে ২ ঘন্টা বসে থাকার পর
পেপারগুলা সাইন করা,সিল দেওয়া)!

জমা দেওয়ার আগে আমার দুই ফ্রেন্ডের কার্যকলাপ:
-ধুঃশালা,এইচ এস সির দুইটা তো সত্যায়িত করি নাই।
-হারামি কস কি? খারা সিস্টেম আছে..আমার কাছে সিল আছে,সই ডা তুই কর।
হয়ে গেল সত্যায়িত...


কি দরকার ছিল আমার অত কষ্ট করে সত্যায়িত করার? একটা সিলমোহর আর কালার প্যাড
থাকলেই তো...সাইনটা না হয় ওই ফ্রেন্ডটা নিপুন হাতে করে দিত! একজনকে হয়ত আমার সামনে দেখলাম, কতজন নির্ভেজাল
ভাবে এগুলো করছে?আর এগুলোর যাচাই যে হচ্ছেনা,এটাতো আমরা সবাই জানি। তবে কেন আমি এ পথের আশ্রয় নিতে পারবো না?
এটা সমস্যা না সুবিধা? যখন দেখলাম একটা সিলমোহর ই তো...নিজের কাছে রাখলেই হল!
এইসব পান্চিংসিলগুলো কিভাবে আসে হাতে হাতে?

ওদের দেখে আমার ও তো উত্সাহ হতে পারে এ ব্যপারে, ঠিকই! একটা সুবিধা সুযোগ
তো নেওয়া যেতেই পারে।

আসলে শুধু সত্যায়ন নয়। চারিত্রিক সনদ পত্র আজকাল যে কোন কম্পিউটার কম্পোজিং অথবা ফটোকপি দোকানে গেলেই
পাওয়া যায়।দুই টাকার বিনিময়ে আপনি সুচরিত্রের অধিকারী। ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভায় যান,আপনি যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পরিচিত
নাও হন,আপনার সুন্দর চরিত্রের
গ্যারান্টি কিন্তু তিনিই দেবেন। কার কি এসে যায় তাতে? আপনি নিজেই যখন উপকার পাচ্ছেন,আপনি সেটা গ্রহন করবেন না কেন?

এভাবেই তো চলছে হামেশা!
এসবের জন্য আসলে কি কাউকে দায়ী করা যায়,সে বিষয়েও হয়ত
কনফিউজড!কাকে এর দায় চাপানো যায়?
যারা সিল সরবরাহকারী? সত্যায়ন প্রদানের
অধিকারী? নাকি ছাত্র,জনগন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

কালো পাখি বলেছেন: অামরা সবাই....

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: কী জানি?

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: চারিত্রিক সনদ পত্রের জন্যে ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে দেখি সেখানে পুরো একটি বই সই করা আচে।আমি শুধু চৌকিদারের কাছ থেকে একটা পাতা চেয়ে নিলাম

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: ফালতু একটা সিষ্টেম!

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

প্রত্নাশা বলেছেন: কি আর কমু ভাই।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: বাংলাদেশে প্রচলিত আরো অনেক ফালতু জিনিষের মধ্যে এটি একটি। অন্য কোন ম্যাকানিজম তৈরী করলেই হয়। কিন্তু করবে না। মান্ধাতার আমলের সেই আইন এখন চালু আছে।

কি আর করবেন। একটা সিল, একটা প্যাড কাছে রাখেন। প্রব্লেম সলভড।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: কালো পাখি@হ্যা আমরা সবাই,কিন্তু এর কি কোন প্রতিকার নেই,নাকি তার প্রয়োজন নেই?

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





জন্মনিবন্ধন নম্বর অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রকে পুরোপুরি কার্যকর করা গেলেছে এসব অহেতুক ঝামেলায় যেতে হয় না, জনগণকে মিথ্যাবাদিও বানাতে হয় না।

জাতীয় পরিচয়পত্রের কয়েকটি তথ্য (নাম, পিতার/মাতার নাম, জন্মতারিখ) অনলাইনে এক্সেসিবল করে দিলেই সব হাসিল হয়।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভালো বলেছেন । সবই ২ নাম্বারী । :(

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সুমন কর বলেছেন: সারা বাংলায় এ ধরনের ২নাম্বারী চলছে !!! কেউ দেখে না বলেই এমনটি চলে আসছে।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.