নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটা বাঁচবে না...!
পয়জনাস জাতীয় কিছু খেয়েছে হয়ত।স্লিপিং পিলও খেতে পারে। মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে। কি বিশ্রী!
বেশ আগে খেয়েছে হয়ত! অবস্থা বেশ খারাপ বোঝা যাচ্ছে! ধুঃশালা...কষে একটা লাত্থি যদি..
মরুক! বাঁচবেই বা কি কারনে? শুনেছি জন্মের পরপরই মাকে হারিয়েছে। ওর বাবা ওকে যদি ভালোবাসতো তাহলে মায়ের পথ
ধরে একবছর পরই ওপারে যেতে পারতো না।
এতিমের আইডিকার্ড দিয়ে একটা খ্রীস্টান মিশনারী স্কুলে ভাগ্যিস জায়গা করে দেওয়া হয়!
বলদা টাইপ ছেলে....
কোনভাবে দুইটা সার্টিফিকেট
জুটিয়ে কাজে নেমে পড়তে হয় ওর !নয়টা পাঁচটা কাজ করে হতভাগাটা নেতিয়ে পড়তো রুমে এসে। কথা খুব কম বলতো..প্রশ্ন করলে উত্তর আসতো অনেক
পরে! প্রচন্ড রাগ হতো প্রায়ই, কাজ কি আমাদেরকে করতে হয়না?
কি কাজ করে কখনো শুনিনি! প্রতিদিন একটা শার্ট পরে বাইরে বের হয়।বাসাভাড়া আর মাসের খাওয়া খরচ যোগাতে ধার করা ওর অভ্যাস!
প্রেম নামক জিনিস ওর বুকেও এসেছিল... হাসির ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়! গোপনে ওর ডায়রি পড়ার সময় পৃষ্ঠার ভাজে মেয়েটার ছবি দেখেছিলাম। ভারি মিষ্টি...!অন্যের কাছে হাসির হলেও ওর কাছে কষ্টের ছিল হয়ত।এখনও বিরক্ত লাগে যখন রাতে ও ফুঁপিয়ে কাঁদে!
যত্ত সব!
মরবি তো..? দ্রুত মর! বুকের ব্যথায় কদিন আগেই তো শেষ হয়ে যেতে পারতিস.,.কিভাবে যে সেরে উঠলো কে জানে! এইসব
আগাছা থাকলে সবার ক্ষতি!
তেল চিটচিটে বালিশের উপর
মাথা দিয়ে পড়ে আছে খুব বিশ্রীভাবে! নিস্তেজ নিথর! জীবিত নাকি মৃত?? আচ্ছা ও জীবিত ছিল কবে? আতশবাজির মতো অল্পের জন্যও কখনো উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি ওর জীবন!নিজের
একরঙা শার্টের মতো বড়ই একঘেঁয়ে আর অনুজ্জ্বল।
শরীরে হাত দিয়ে দেখা যেতে পারে! ইচ্ছে করছে না!মরে গেলে যাক! কার কি যায় আসে?
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: প্রশস্ত লেখার জন্য চেষ্টা করছি
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার লেখনির অন্তর্নিহিত বেদনার প্রতিচ্ছবি হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
বেশ ভাল লিখেছেন।
শুভকামনা জানবেন।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: মবীন ভাই,আপনাকে ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অল্পেই তুষ্টিত হলেম।
ধন্যবাদ।