নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উদভ্রান্ত নাবিক। পাটাতনে মোর অগ্নিকুন্ড.......

সুদীপ্ত সরদার

সুদীপ্ত সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছোট্ট জানালা...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২০

-গোল্লাছুট খেলবিনা?

-না! মিটিং আছে!

পিছনে তাকিয়ে রাতুল দেখে নিশা ভ্যাবলাকান্তের মত দাঁড়িয়ে আছে! মন খারাপ করেছে হয়ত। তা করুক! এখন ওসব ছেলেমানুষী খেলা খেলে কেউ?
বড় হয়েছে ও!

বিকেল পাঁচটার আগে বটতলায়
যেতে হবে,মিটিং আছে...
বটতলার এই জায়গাটা চারিদিকে ঝোপঝাড়ে ঘেরা। তেমন কেউ আসেনা এখানে। গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এই জায়গাটাই
ভালো!

প্রবীর,বকুল,সোহাগ সবাই এসে গেছে। শুধু কবির আসেনি। শালা! ভালো ছাত্র দলে নিতে নেই
এইকারনে! ওর অংকের টিচার এখনো কি ছাড়েনি! হারামী একটা!ওকে ছাড়াই আজকে মিটিং করতে হবে! দেরি করে আসার
শাস্তি কি দেওয়া যেতে পারে সেটাও আলোচনা হবে!

সাপ্তাহিক রিপোর্ট বলল বকুল! একটা ছোট কাগজে ও লিস্ট করে এনেছে! নাপিত বাড়ির জাম
চুরি করা থেকে বল্টুর সাথে ক্লাসে মারামারির ঘটনা,কিছুই বাদ গেল না! গম্ভীর পরিবেশে সবাই শুনলো! বকুল একটু নিরাশ হলো,একটু করতালি তো আশা করতেই পারে!

এবার প্রস্তাব উত্থাপন! নীরাবতা ভাঙল সোহাগ,' শিয়াল ডাঙার সাথে ফুটবল খেলার কি করবি?'
সবাই চেঁচিয়ে সম্মতি দিলো, রাতুল মিনমিন করে কি যেন বলতে চাচ্ছিল,কিন্তু সবার
চেঁচানিতে চাপা পড়ে গেলো!

এরপর কোন কলাগাছের কলা পাক ধরেছে, কোথাকার
বেলে টোকা দিলে পাকা কিনা তা এখন ও বোঝা যাচ্ছে না ,এসব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হল!

বল্টুদের কুত্তাটা স্কুলে আসার পথে জ্বালায় খুব..!কি করা যায় এ ব্যপারেও আলোচনা হল!সন্ধ্যা হয়ে আসছে! আজকের মতো মিটিং শেষ!দক্ষিনপাড়ার হালদারবাড়ি নাকি ভূতের আখড়া,আসছে শ্যামা পূজার রাতে অভিযানে যাওয়ার ব্যাপারে সামনের সপ্তাহের মিটিংএ কথা বলা হবে!

সোহাগের বাড়ি কিছুটা দূরে। হাড়িভাঙার মরাগাঙ পার হয়ে যেতে হয়! জায়গাটার বহুত কাহিনী আছে!

-কিরে সোহাগ যেতে পারবি?
আসবো নাকি তেমাথা পর্যন্ত?
-নাহ্! আমার ভয় করেনা,তোদের মতো ভাবিস নে!

একটু অবশ্য মন কেমন করে ওর! তেমাথার মোড়ে পেটের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে!যাহ্ !ওটা কোন ব্যাপার না!কিসের ভয়?অনেক
সাহস ওর!মিটিং করে ফিরছে...

বড় হয়েছে ও...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: ছোট্ট জানালা

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: বুঝতে পারলাম বল্টুকে সমস্যা। কবিরের মত পড়ুয়া দরকার নেই
রাতুল, নিশা, প্রবীর,বকুল,সোহাগ
বকুলের জাম,
বকুল জাম, কলা, ভুতের আসর

গ্রামের এডভেঞ্চারগুলো দস্যিপনা হয়তো প্রযুক্তির খপ্পরে পড়ে হারিয়েই যাবে। আমি একটা নদীর তীরে গতবছরও দেখেছি স্কুলের ঘণ্টা অগ্রাহ্য করে কি দারুণ ভাবে মাছ ধরে কিশোর কিশোর।

এটা কি ধারাবাহিক? নাকি এখানেই শেষ?

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: সাহস হচ্ছিলো না বাড়ানোর,আপনার মন্তব্যে উত্‍সাহিত হলাম!অবশ্যই লিখব ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.