নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উদভ্রান্ত নাবিক। পাটাতনে মোর অগ্নিকুন্ড.......

সুদীপ্ত সরদার

সুদীপ্ত সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোড়া পাঠা বলী...

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

কুত্তর মাথায় শিং নেই কেন,তা আমাগে না ভাবলেও চলবে। কুতুব বাড়ির হারামজাদা ধামড়াডা যে নোড়ানি দিলো আমাগে তার চিন্তে কর। তোর আমার শিং আছে,ল্যাজ আছে! হারামজাদা ধামড়াডার ও আছে।তা ওই বালডা নোড়ানি দিতি পারে তা আমাগে মানতি হবে?আমাগেও তো মালিক আছে, মুন্সী বাড়ী আমরা থাকি...

বিড়েল-কুত্তার গ্যানজামের আল ডিঙিয়ে জোড়া ছাগল এগিয়ে চলে। বাঁশ ঝাড়ের আবডাল থেকে উঁকি দেওয়া কলার ঝাড়ের দিকে বরাবরের মত আজকেও চোখ যায়,কিন্তু কিছু করার থাকে না। কুতুব বাড়ির ষাড়ের মত ওদের কুত্তাডাও লাগাম ছাড়া। পরানের ভয় আছে। তাকিয়ে কোন লাভ নেই। এক তেরানি অবশ্য দেওয়া যেত তবুও,কিন্তু সেয়ানা জমির কুতুব বেড়া দিয়ে তেরানি দেওয়ার ইচ্ছেটাকে পুরো বাঁশ দিয়ে দিল।

ব্যাঁ....সামনে পড়ে ধানের ক্ষেত।তিন দিন আগের রোয়া। একবার মুখ ছোঁয়ায় যাওয়া যাক। 'চল,বদুর ক্ষেতে! সাউয়ার বাল।ধান রুইছিস পথের পাশে,বেড়া দিসনি কোন আক্কেলে? ' বলতে সময় আছে তেরাইতে দেরি নেই। ধান ক্ষেতের কোনাযাতে তেরাবারা করে দের পাঠা দুটো।

কে যেন চিত্‍কার করে তেড়ে আসে।বদুই হবে! চার পায়ে পরান নিয়ে দৌড়। ধরাটা খেলে সোজা খোয়াড়ে। কেনো রে ধানের দিকি চোখ দিলিরে খাটাশ? ভোঁ ভোঁ ভোঁ দৌড় দৌড় দৌড়! পরান নিয়ে দৌড়। বাদ সাধে গলার দড়ি,আর আস্ত বদমায়েশ খুঁটি।দুই পাঠার একসাথে। কেবল মরন আসলেই এমন হয়। আম গাছের শিকড় আর ওরা ... একটায় খায় আছাড় ঘ্যাত্‍ করে। অন্যটা গলা ছেড়ে চেঁচাতে থাকে।

অবলেষে যা হওয়ার তাই। মেম্বর বাড়ির খোয়াড়ের এক কোনায় জায়গা হয় পাঠা জোড়ার। ৩ দিন চলে যায়। না জোটে ঘাস,কাঠালের দুটো চারটে পাতা অথবা এক মুঠো বিচুলি। হুলু মুন্সীর মান সম্মান আছে। ওদের ছাড়াতে কেউ আসেনা।

গতি হয় শুক্রবার বিহানে! রঘু ব্যানার্জী কিনে নিয়ে যায় ওদের। কম দামে জোড়া পাঠা....

শনি বারে গড়ের মাঠে কালী পূজোয় মন্ডপে দেখা যায় ওদের...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

সরদার হারুন বলেছেন: ভাই, আপনার লেখার মূল কথা কিছু বুঝলামনা ।এমন কি অনেক শব্ধ আমার কাছে নতুন মনে হলো ।"কুত্তর,আমাগে" শব্ধ গুলি কোন জেলার কথা ?

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: এটা বাগেরহাটের ভাষা! হুলু মুন্সী বলতে আমি সেইসব লোকদের বুঝিয়েছি,যাদের আমরা শেষ আশ্রয় বুঝি। কিন্তু বিপদে তাদের পাওয়া যায়না। ছাগলের মত বলী হতে হয় আমাদেরই! ব্যর্থতা স্বীকার করছি।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.