নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উদভ্রান্ত নাবিক। পাটাতনে মোর অগ্নিকুন্ড.......

সুদীপ্ত সরদার

সুদীপ্ত সরদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেশতো!ফুটবলের হেলমেট... লেবুর হেলমেট!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

এক কোপে ফুটবল খান দুই হয়ে যায়! মন্তুদের চোখে পানি চলে আসে!

'হারামজাদারা! কত বার বারন দিছি ক্ষ্যাতের পাশে খেলিসনে। কানে যায় না?' বেরসিক হরি কাকা বুঝলো না হাইশঠের মর্যাদা।ম্যারাডোনার নামটা হরি কাকা জানলে কি আর এমন হয়!

পাংশু মুখে মাঠের কোনায় বসে বসে ঘাসের ডাটা চিবোয় ওরা কিছুক্ষন...বলের মালিক রাতুল
বলের অর্ধেক মাথায় পরে আছে। ওকে কেমন যেন মিলিটারীদের মতো লাগছে! তাইতো, যুদ্ধ যুদ্ধ
খেললে কেমন হয়? কপ্পাল! এতক্ষন কেন এ বুদ্ধি আসেনি!

যেই ভাবা সেই কাজ। আঙুল ফুটিয়ে দুই দলে ভাগ হয়ে যায় ওরা। ওতেই বেশ জমে যায়। তিনজন আর দুইজন,দুটো দল। মাঠের দুপাশ থেকে গড়াতে গড়াতে গুলি করে ওরা! আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে ওদের দোনালা বন্দুকের গর্জনে...
খেলা শেষে বলের দুটুকরো রাতুল নিয়ে যায়... নেবেই তো ,যার বল সে তো নেবেই!

সেদিন সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফিরে আবদার করে মন্তু, 'ও বড়মা! বলের হেলমেট বানিয়ে দাও..'
বুঝতে পারেনা বড়মা। 'সে আবার কি? বলের হেলমেটের নাম তো কোনদিন শুনিনি!' মন্তু
বিকেলের হরিকাকার ঘটনা খুলে বলে আদ্যপান্ত...
বল খেলা কি খারাপ? একটু আধটু ক্ষেতে বল যাওয়া কি এমন খারাপ? সে যাই হোক, বলের
হেলমেট কিন্তু ভারি মজার! ওটা মন্তুর চাই, চাই, চাই!

বড়মা হাসতে হাসতে বেঁকা হয়ে যান।এত হাসার কি আছে? যেন ভারী হাসির আবদার করে ফেলেছে মন্তু। ক্লাস ওয়ানে উঠবে সামনের বছর,এত বোকা ও না গাব্বুর মতো।

পরদিন সকালে বড়দা লেবু পেড়ে আনেন। লেবু দিয়ে কি হবে? মন্তু তো একটুও পছন্দ করেনা!তাও আবার বাতাবি লেবু!
'কইরে মন্তু এদিকে আয়,তোর টুপি নিয়ে যা!'বড়মা রান্নাঘর থেকে ডাকছেন। মন্তু কাছে গিয়ে দেখে! ওমা! এতো হলুদ একটা হেলমেট!

সারা সকাল মন্তু হলুদ হেলমেট পরে বেড়ায় এদিক ওদিক! সাদাকালো ফুটবলের হেলমেট নেই, তাতে কি? ওর আছে হলুদ হেলমেট!

তোমরা বাতাবি লেবুর টুপিও বলতে পারো....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.