নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংকট, মহাসংকট থেকে সাধারণ উত্তরণ নিয়ে কিছু কথা।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৪

দেশ আজ কঠিন সংকটের সম্মুখীন কিংবা মহাসংকটের সম্মুখীন -এরকম কথা আমরা অনেকবার শুনেছি ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই মানচিত্রের মধ্যে থেকে। যে পরিস্থিতির কারণে অতীতে এই ধরনের মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে, দেশের আজকের পরিস্থিতি তার চেয়ে কতটা ভিন্নতর বাআদৌ ভিন্নতর কি না সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো আবার সংকটের মখোমুখি দেশ, শান্তিপ্রিয় প্রতিটি মানুষ উৎকন্ঠায় নিমিজ্জিত। এটা সংকট বা মহাসংকট যা-ই হোক না কেন, যেভাবেই আমরা এটাকে দেখি না কেন, এটা তো সহজে বলা যায় যে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবার কথা ছিলনা। দেশের দুই প্রধান দলের মধ্যে নতুন করে এমন কোন মহাবিতন্ড তৈরী হয়নি যে সেটাকে নিয়ে দুই দল এমন মুখোমুখি অবস্থানে এসে দাঁড়াতেপারে। আমাদের দুই প্রধান দলের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব আমরা তো অহরহই দেখছি। বরং দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রীভাব কবে দেখেছি সেটা অনেক চিন্তা করে খুঁজে বের করতে হবে।

তাহলে হঠাৎ করে কেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠল ? স্বাভাবিক জনজীবন হয়ে উঠল শংকা ও ভীতিপূর্ণ। দুই দলের কিএমন প্রয়োজন ছিল যে ৫ জানুয়ারীকে ডেডলাইন করে গনতন্ত্র হত্যা দিবস কিংবা রক্ষা দিবস পালন করতে হবে সেদিনই ? এটা কি খুব ভুল বলা হবে যে পরিকল্পিতভাবেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত ও ঘোলাটে করা হচ্ছে ? আমার মনে হয় না, এটা কোন ভুল অনুমান নয়। অত্যন্ত চরমসত্য কথন এটি। তারচেয়েও সত্য কথন হচ্ছে যে, যে যতই গলাবাজী করুক না কেন, দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধাবোধ কিংবা ভালোবাসা কোন দলেরই নেই। ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র দেশকে কিংবা দেশের জনগণকে ভালোবেসে ভালোবেসে রাজনীতি করার মতো সৎ সাহস এদেেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদেরই নেই। যার কারণে আমরা হতভাগ্য আমজনতা আজ ঘরে বসে বিস্ফারিত চোখে টিভিতে দেখছি লেলিহান শিখায় জ্বলছে কারও জীবন নির্ভাহের একমাত্র উপায়খানি, বাইরে বেরিয়ে আহত হয়ে কিংবা লাশ হয়ে ফিরে আসছে আপনার-আমার স্বজন। দেশে একটা সরকার ব্যবস্থাকে আমরা মেনে চলছি কি এই দৃশ্য দেখার জন্য ? বিপন্ন সময়ের কাছে অহরহ আত্সমর্পণ করে নিজেদের স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকারকে নির্বাসন দেয়ার জন্য ?

না; আমরা কেউ এমনটা চাইনি। চাইতে পারিনা। কারণ, আমরা অতি সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে পরিবার-পরিজনদের জন্য দু'বেলা দু,মুঠো অন্নের সংস্থানের মাধ্যমেই শান্তিময় জীবনের প্রত্যাশী আমরা। তবু আমাদেরকে এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কেন যেতে হবে ? প্রকৃতির অপরূপ রূপে ভরপুর আমাদের সোনার বাংলাদেশের বুক জুড়ে এমন অশুভ শক্তির লড়াই কেন আমাদেরকে দেখতেহবে ? যদি দেখতেই হবে তাহলে গণতন্ত্রের নামে কেন এমন বাকচাতুর্য দেখানো ? কেন বিপুল অর্থ খরচ করে নির্বাচনের নামেপ্রহসন করা ? প্রহসন হোক, আর যা-ই হোক, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেই অন্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে হবে কেন ? নিজের বক্তব্য বা মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা বা অধিকার দল-মত নির্বিশেষে সকলের আছে। তাহলে ক্ষমতার চেয়ারে বসতে না পারলেই সেই শক্তির জনসভা করার অধিকার থাকবে না এ কেমন কথা ? তাহলে এ কেমন গনতন্ত্রের কথা আমরা অহরহ বলি ? ক্ষমতাসীন দল গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত। তাহলে এটা কোন গণতন্ত্র ?

শুধি ক্ষমতাসীন দল নয়। গণতন্ত্র রক্ষার ব্যাপারে এ দেশের প্রতিতটি দল সব সময় প্রতীজ্ঞাবদ্ধ। এখানেই জানতে ইচ্ছে করে এটা কোন গণতন্ত্র যেখানে জাতির পিতাকে অসম্মান করা যায় যেনতেনভাবে ?দল-মত-শ্রেণী বিভেদের উর্ধ্বে একজন জাতির পিতার আসন। যে কোন স্বাধীন-সার্বভৌম-গণতান্ত্রিক দেশে এটাই রাজনীতির স্বাভাবিক মিথ। আমাদের দেশে ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাহীন সব রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র রক্ষা ও চর্চার নামে নিজেদের সর্বস্ব সব সময় উজাড় করে দিত প্রস্তুত। তাহলে কি করে সম্ভব সদ্য গজিয়ে উঠা তরুণ রাজনীতিবিদদের পক্ষে জাতির পিতাকে অসম্মান করা ? তাকে নিয়ে কটূক্তি করা ? এসব কিসের লক্ষণ ? কিসের আলামত ?

আমার মতো সাধারণ পানসে মানুষ, যে রাজনীতির 'র' ও বুঝেনা, সেও আজ বুঝে গেছে যে এগুলো সবই সূক্ষ্ণ রাজনৈতিক চাল। রাজনীতির মাঠকে গরম রাখার জন্য, অস্থিতিশীল করার জন্য এসবের বিকল্ফ হয়না। বাংলাদেশের রাজনীতির দুই পরাশক্তি এটা খুব ভালো করেই বুঝে গেছে। তাই এসব করে নিজেদের শক্তির মহড়া দেয়ার একটা ক্ষেত্র তৈরী করে তারা। সেখানে আমরা আমজনতা অসহায় নিবর দর্শক। নিজেদের সামান্য সহায়-সম্পদ কিংবা জানমালের নিরাপত্তার চিন্তায় শ্বাস রুদ্ধ করে দেখি দুই পরাশক্তির শক্তির মহড়া। কখনও বলি দেশ সংকটে নিমজ্জিত, কখনও বলি দেশ মহাসংকটে নিপতিত। কিন্তু এই সংকট-মহাসংকট থেকে সরল উত্তরণের পথটা ধরে এগোতে পারিনা। কারণ,জনগণের জান-মালের নিরাপতত্তার কথা চিন্তা করে যারা এই সরল উত্তরণের কথা নিয়ে ভাবেন তাদের কথা কেউ শুনেনা। শুনলেও তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন মনে করেনা তারা। কারণ, সত্যিকার অর্থে দেশের এমনতর সংকট থেকে উত্তরণ লাভের লক্ষ্যে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমাদেরকে চেয়ে থাকতে হবে এই দুই পরাশক্তির দিকে। কাজেই সংকট সংকটই থেকে যায়, উত্তরণ দূরে সরে যায়।  

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সভা সমাবেশ করতে না দিলে সেটা হয় গণতন্ত্র বিরোধী, আবার সভা সমাবেশ করতে দিলেও সেটা গণতন্ত্রবিরোধী হয়ে যায় ভাঙচুরের কারণে। অবস্থাটা হয়ে গেছে শাঁখের কড়াতের মতো। হেফাজতের শাপলা চত্বরের কথাই চিন্তা করুন একবার। তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হল। তারপর সমাবেশ শেষ করে সেখানেই তারা আবার অবস্থান নিয়ে নূতন কর্মসূচী দিয়ে হাঁটু গেঁড়ে বসতে চেয়েছিল। তারপরের ইতিহাসতো সবারই জানা।
তবে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমরা কখনই রাজনৈতিক অস্থিরতা চাই না। কিন্তু আমাদের দুই প্রধান দল আবার অস্থিরতা ছাড়া তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন না। ক্ষমতার মসনদই যখন আসল ঠিকানা, তখন এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। একজন আছেন বিশ্ব পণ্ডিত, দুই দিন পর পর বিলাতী বক্তৃতা দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দেয়। সে যদি শিক্ষিত হতো, তবে জাতির জনককে নিয়ে এই ধরণের অশিক্ষিতের মতো কথা বলতে পারতো না।
যদিও আমরা রাজনীতির বাইরে নই, তবুও রাজনীতি নিয়ে আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না। কারণ আমরা যত চিৎকার করেই বলি না কেন, রাজনীতিবিদদের কানে পৌঁছায় না। আর পৌঁছালেও এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়।
দেশে শান্তি ফিরে আসুক এটাই শুধু কাম্য।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০০

সুফিয়া বলেছেন: আপনি ঠকই বলেছেন। আমরা কেউ রাজনৈতিক অস্থিরতা চাই না। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো চোখ বুজেও থাকতে পারিনা। কারণ, দুই প্রধান দলের রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হতে আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকদেরকে। আমরা জীবিত কিংবা মৃত যে কোন অবস্থায় হয়ে যাই ওদের রাজিনৈতিক পাশা খেলার প্রধান গুটি। তাই যতই এসব থেকে বিমুখ থাকার চেষ্টা করি না কেন, যখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তখন কিছু না বলে পারি না। যদিও এই বলায় কারও কিছু আসে যায়না, শত চীৎকার করে মরলেও কেউ কান দিবেনা আমাদের কথায়। আমরা সারা ঝীবন দুই রাজনৈতিক দলের শক্তিমত্তার লড়াই দেখে যাব আর কখনও কখনও এই লড়াইয়ের গুটি হয়ে বেগুড়ে প্রাণ দিব। এটাই বোধহয আমাদের নিয়তি।

ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.